নষ্টা মেয়ে। পর্ব- ২ লেখক: golpo book


নষ্টা মেয়ে

পর্ব- ২
লেখক: golpo book

পুরো পৃথিবী অন্ধকার মনে হচ্ছে।চারদিক থেকে অন্ধকার গ্রাস করে নিচ্ছে।
রুমে এসেই দরজা বন্ধ করে দিলো আম্মু এসে অনেক বার ডেকে গেছে।
আজ যে চোখের জলই তার একমাত্র সঙ্গী।সেই বিকালে রুমে ডুকেছে রাত এখন দশটা।অনেক চেষ্টা করেও ওই বিশ্বাস ঘাতকটাকে ভুলতেই পারছে না।
এই কি সেই রিমন যে তার সাথে দেখা করার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা কলেজের গেটে দাঁড়িয়ে থাকতো এ কি সেই রিমন যে আমার চোখের জল দেখলেই পাগলের মতো করতো এ কি সেই রিমন যে আমার আঘাত লাগলে ও ব্যাথা পেতো।
আজ যে আমি অনেক কেদেছি অনেক ব্যাথা পেয়েছি কই নাতো আমার দিকে ফিরেও তাকালো না।
আমার হৃদয়ে যে কষ্টের ঝড় বয়ে চলছে।
চোখে শুধু সেই দিনের কথাই ভেসে আসছে যে দিন মামার সাথে কথা বলছিলাম ফোন ওয়েটিং পেয়ে কেদেই দিয়েছিলো।সে আজ আমার সাথে কথা না বলে কিভাবে থাকতে পারে।
কতঘুরাঘুরি কত না খুনসুটি সব কিভাবে ভুলে গেলে।
মায়ের আওয়াজে কল্পনার জগত থেকে ঘোর কাটল।আম্মু অনেক বার কি হয়েছে জানতে চাইলো কিভাবে বলবো কেউ একজন আমাকে না আমার দেহটাকে ভালো বেসেছে।
খেতে মন চাইছে না তবুও না খেলে আব্বু আম্মুও খাবে না তাই সামান্য খেয়েই উঠেগেলাম।
বেশ কিছুদিন ডায়রি লেখা হয় না আজ যে বড্ড লিখতে মন চাইছে।শুনেছি কষ্টের কথা কারো সাথে শেয়ার করলে মন হালকা হয় তাইতো আজ আমার মনের কষ্ট টাকে ডায়রির পাতায় আচড় কাটছে।
ওকে ভুলতেই হবে ভুলে যেতেই হবে।শত চেষ্টায় ঘুম হলো না।চোখ বুজলেই ওর নিষ্পাপ মুখটা ভেসে আসছে।বার বার বলছে আমি তোমাকে ভালোবাসি ঝান্টুসি অনেক ভালোবাসি।
ওর মোহ থেকে যে বের হতে পারছি না।সুধুই মনে হচ্চে আমি আমার রিমনকে ফিরে পাবো।ও শুধুই আমার শুধুই আমার।
এভাবে আরো দুদিন চলে গেল কিছুতেই মনকে শান্ত করতে পারছি না।বেহায়া মন বার বার ওকেই খুজছে।প্রতিটা স্পর্শে শুধুই রিমন রিমন।
যা হয় হবে আমার শরীর দিয়ে হলেও আমার ভালো বাসার মানুষকে অন্যের হতে দিবো না।আমি এখনি রিমনকে ফোন করবো ও যা চায় সব দিবো সব।আমি শুধু রিমনকে চায়।
রিমনের কাছে ফোন দিতেই ফোন করছো কেন??
মিথিলা:কিছুসময় নিরব থেকে আমি তোমার শর্তে রাজি রিমন।বলো কোথায় আসতে হবে।
রিমন:আমি জানতাম আমার জানটা আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না।আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি সোনা।তুমি আজই আমাদের বাসায় চলে এসো।বাসায় আজ কেউ থাকবেনা শুধু তুমি আর আমি জান।
পাঁচটায় চলে আসো।I love you jan,,,,,,ummmmmahhhh
রিমনের সাথে কথা বলে এখন অনেক ভালো লাগছে।একটা বেজে গেছে তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে রিমনদের বাসায় যেতে হবে আজ আমার ভালোবাসার মানুষটাকে কাছে পাবো।এখন থেকে ও শুধুই আমার।
ফ্রেস হয়ে মিথিলা বেরিয়ে পড়লো উদ্দেশ্য রিমনদের বাসা।
কলিংবেল বাজাতেই রিমন এসে দরজা খুলে দিলো।আজ ওকে অনেক খুশি লাগছে।ওর খুশি দেখে মিথিলারও ভালো লাগছে।
পুরো বাসা ফাকা আমি আর রিমন ছাড়া কেউ নেই।রিমন বলে উঠলো আরে বেডরুমে চলো।আজ তোমাকে অনেক আদর করবো আব্বু আম্মু এক সপ্ত্াহের জন্য নানুর বাসায় গেছে।চলো সোনা বলেই মিথিলাকে কোলে তুলে নিলো।
রিমনের রুমে মিথিলাকে শুইয়ে দিলো দরজা বন্ধ।
আস্তে আস্তে রিমন মিথিলার কাছে যাচ্ছে দুজনরই নিশ্বাস ভারি হয়ে যাচ্ছে।মিথিলার ঠোঁটে ঠোঁট মিশিয়ে দিলো।দুজনই বিবস্ত্র।
দুজনই হারিয়ে গেলো এক অজানা সুখে।
মিথিলার প্রতিটা অংশ ছুয়ে দেখেছে।এক বিন্দু জায়গা নেই যেখানে রিমন স্পর্শ করেনি।
আজ রিমনের চাওয়া পূর্ন হয়েছে।মিথিলা এখনো বিছানায় লেপ্টে আছে।ওঠার শক্তিটুকু নেই তাতে কি ভালোবাসার মানুষটাতো তৃপ্তি পেয়েছে।রিমন ফ্রেস হয়ে মিথিলাকেও ফ্রেস হতে বললো।উঠতে কষ্ট হলেও হাসি মুখে উঠে ফ্রস হয়ে নিলো।
বাইরে এসে রিমন আমরা কবে বিয়ে করছি?
রিমন:এইতো সোনা তোমার ছোয়া পেয়েগেছি আর তো একা থাকতেই পারবো না।আম্মু আসলেই তোমার কথা বলবো।
মিথিলাও মনে মনে বলছে শুধু শুধু কতো ভয় পাচ্ছিলাম।রিমন আমাকে কতো ভালোবাসে।
কই চলো রিমনের ডাকে ঘোর কাটলো।বাইকে করে মিথিলাকে পৌছে দিলো।
সব ঠিক হয়েগেছে ভেবে মিথলারো মনটা ভরে গেল।
সারা রাত কথা হলো।ভোর রাতে রিমনের আবারো আবদার আব্বু আম্মু আসতে এখনো ছয়দিন।রিমন আবারো মিথিলাকে কাছে পেতে চায়।
মন না চায়লেও রিমনের জোরাজুরিতে রাজি হয়ে গেল।এই ছয়টা দিনো রিমন মিথিলা সুখের সাগরে ভেসেছে।
মিথিলা জানিয়ে দিলো কাল আম্মু আসলেই তার কথা বলতে।রিমনকে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে মন চায় না।রিমনও মাথা নাড়ালো।
আজ মিথিলা একাই চলে গেলো।রিমন তার গোপন ক্যামেরা গুলি চেক করেই হাসতে লাগলো।এবার পাখিটা ধরা দিয়েছে।
আম্মু বাসাই আসলো কিন্তু রিমন কিছুই বললো না।এদিকে বাবার শরির খারাপ তাই মিথিলাও জোর দিলো না।
বাবার ব্যবসার জন্য এক মাসের ছফরে সিঙ্গাপুর যেতে হবে।
মিথিলার মন খারাপ তবু পরিস্তি বুঝে কিছু বললো না।
রিমনের আগামীকাল ফ্লাইট।মিথিলাও এসেছে রিমনের সাথে একমাস দেখা হবে না তাই মনটা খারাপ।রিমন পৌছেই আমাকে কল করবা।নিজের খেয়াল রাখবা ওকে।আর সময় পেলেই আমার সাথে কথা বলবা।,,,I love you jan,,,
রিমন:,,,I love you too,,
রিমনর বিমান টেকআপ করলে মিথালাও বাসাই চলে আসে।আর অপেক্ষা করতে থাকে কখন তার ফোন আসবে।
অপেক্ষা করতে করতে রাত গড়িয়ে সকাল হয়ে গেল তবুও কোনো কল আসলো না।মিথিলার টেনশন হচ্ছে কোনো বিপদ হলো না তো।সঙ্গে সঙ্গে রিমনের ফোনে কল দিলো কিন্তু বন্ধ দেখাচ্ছে।টেনশন আরো বেড়ে যাচ্ছে।রিমনে আম্মুকে কি এক বার ফোন করবো।কিন্তু কি বলবো তাকে তো আর চিনে না।অনেক ভেবে সিদ্ধান্ত নিলো বিকাল পর্যন্ত দেখবে না হলে আম্মুকে কল করবে।এদিকে কিছুক্ষন পর পর রিমনের ফোনে কর দিয়েই যাচ্ছে সেই একি কথা।
বিকাল পাঁচটার সময় রিমন ফোন অন করেছে সাথে সাথেই মিথিলার ফোন।
ফোন রিসিভ করতেই একটা মেয়েলি কন্ঠ ভেসে এলো।কে বলছেন?
মিথিলা:আমি মিথিলা আপনি কে?
আমি নিষি।কাকে চায়?
রিমনকে ফোটা দিন বলুন মিথিলা ফোন করেছে।
নিষি:কিন্তু স্যারতো মিলি ম্যাডামের রুমে।দরজা লক করা।আগামি এক ঘন্টার জন্য কাউকে ডিস্টার্ব করতে মানা করেছে।
মিলি নামটা শুনতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো।কারন মিলি হলো রিমনে এক্স গার্লফ্রেন্ড।
সাথে সাথেই,,,,,,
.
.

চলবে,,,,,,,

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ