নষ্টা মেয়ে
পর্ব ৩+৪
মিলি নামটা শুনতেই মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠলো।তা হলে কি,,,,,ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে।না রিমন আমার সাথে কিছুতেই চিট করতে পারে না।ও আমাকে কথা দিয়েছে ফিরে এসেই আমাকে বউ করে নিয়ে যাবে।তাহলে মিলি রিমনের সাথে কেন।
কথাটা ভাবতেই ফোনটা বেজে উঠলো।রিমন নামটা জ্বল জ্বল করছে।
চোখের পানি মুছে,,,, হ্যাঅ্যালোওও,,,
রিমন:আমার জানটার কি মন খারাপ?
মিথিলা:রিমনের কথার খেয়াল না দিয়ে,,,মিলি কি তুমার সাথে?
হ্যা কেন বলোতো?
তুমি কি মিলির রুমে ছিলে? আরে বাবা হ্যা এতো কিছু জিজ্ঞাস করছো কেন বলোতো।তুমি ঠিক আছোতো?
মিথিলা:তুমি ওই মেয়েটার সাথে রুম ডেট করছো আর আমাকে জিজ্ঞাস করছো ঠিক আছি কি না।
রিমন:ওয়েট ওয়েট কি বলছো এসব।আমি করবো মিলির সাথে রুম ডেট।নো ওয়ে।আমিতো শুধু আমার জান পাখিটাকে কাছে চায়।(মুখটা বাকা করে হেসে)
মিথিলা:তা হলে তুমি ওর কাছে কি করছো।
রিমন:আরে কি বলো মিলি আমার অফিসের একজন কর্মচারি আর কিছুই না।আমিতো ওকে একটা ফাইল বুঝিয়ে দিচ্ছিলাম।বিশ্বাস করো সোনা তোমার কসম(ন্যাকা কষ্ট পাওয়ার ভাব ধরে)
মিথিলাও ওর মিথ্যা অভিনয়ে গলে গেল।ভালোবাসার মানুষের ওপর বিশ্বাস রাখতে হয় তাই আর কিছু বলতে পারলো না।
রিমনের বলা সব মিথ্যা কথা গুলো নিমিষেই বিশ্বাস করে নিলো।
আচ্ছা ঠিক আছে তুমি ওই পেত্নিটার কাছে যাবা না ওকে!!
ওকে আমার বউ পাখিটা।আর শোনো আমি সারাদিন অনেক বিজি থাকি তাই ফোন ওফ করে রাখি তুমি আবার টেনশন করো না।তুমাকে ফোন দিতে হবে না আমি সময় পেলেই তুমাকে কল করে নিবো।
এখন আর কথা বলতে পারবো না অনেক টায়ার্ড লাগছে।
মিথিলা:আর একটু কথা বলি না প্লিজ।এই টুকু কথা বলে মন ভরে না।
রিমন:আমার তো কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে সোনা। তুমি কি চাও আমি কষ্ট পায়।
রিমনের কষ্ট হচ্ছে শুনে মিথিলাও জোর করলো না।নিজের খেয়াল রাখো বলে ফোটা কেটে দিলো।
মিথিলা ফোন রাখতেই রিমন রহস্যের হাসি হেসেই ভাবছে মেয়েটা কতো বোকা।আমি নাকি ওকে ভালোবাসি হা হা হা হা,,,,,
হঠাতি দরজায় টিং টং আওয়াজ।দরজা খুলতেই দেখি মিলি হাঁটু বের করা প্যান্ট আর নাভি বের করা ছোটো জামা পরে আছে।আমিতো দেখেই মাতাল হয়ে যাচ্ছি।
মিলি:হাতে তুড়ি দিয়ে কি হলো মি:রিমন সাহেব শুধু কি দেখেই যাবা নাকি অন্য কিছু করবা।
রিমন:কতো কিছুই তো করতে ইচ্ছ করছে মিলিকে জড়িয়ে ধরে।
মিলি:আজ না আমাদের বাইরে ডিনার করার কথা? তুমি এখনো রেডি হওনি?
রিমন:মনে নেই মানে আমার সোনাটা কিছু বললো আর আমি না করতে পারি।আমিতো রেডি চলো।
অনেক রাত করে ঘুরে হোটেলে আসলো।এক সাথে ডিনার করেছে আর এখন এক সাথে রাতটাও কাটাচ্ছে একি রুমে।
একে একে বিশ দিন পার হয়ে গেলো।মিথিলার কাছে এক একটা দিন মনে হচ্ছে এক একটা যুগ।
রিমনও কাজের চাপের দোহায় দিয়ে কথাও কমিয়ে দিয়েছে।এই বিশ দিনে বিশ মিনিট কথা হয়েছে কি না সন্দেহ আছে।মিথিলাও বিষয়টা স্বাভাবিক ভাবেই নিচ্ছে।
এদিকে রিমন আর মিলি পুরো শহর ভালোবাসার চাদরে মুড়িয়ে দিচ্ছে।রাতে নিচ্ছে একে ওপরের শরিরের গন্ধ।
আগামি কাল রিমন দেশে ফিরবে মিথিলার মনটা আজ অনেক খুশি।কিন্তু একটু খারাপও লাগছে রাতের ফ্লাইটে আসছে তাইতো আজ আর দেখা হবে না।
বাড়ি ফিরেই আব্বু আম্মুকে সালাম করে নিজের রুমে চলে গেল।ফোনটা অন করতেই মিথিলার অনেক গুলো এস এম এস।ওসব দেখার সময় নেই।
একটু ভাবুক হয়ে মনে মনে বলতে লাগলো এবার খেলাটা শেষ করতে হবে।
সকাল হতেই মিথিলার ফোন।
হ্যালো,,, এতো সকালে ফোন করেছো কেন?
কি এখন সকাল ভালো করে দেখো কটা বাজে।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ও তাই তো এগারোটা বেজে গেছে।অনেক বেলা হয়ে গেছে।
মিথিলা:হুম তুমি তাড়াতাড়ি আসো আজ তুমাকে অনেক বড় সারপ্রাইজ দেবো।
রিমন:মৃদু হেসে হুম আমিও আজ তুমাকে অনেক বড় সারপ্রাইজ দিবো যা তুমি স্বপ্নেও কল্পনা করোনি।
মিথিলা মনে মনে ভাবছে হয়তো রিমন তার জন্য কোনো দামি গিফ্ট এনেছে।আচ্ছা তাড়াতাড়ি আসো।
রিমন তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে নিলো বেরিয়ে আসার সময় আলমারিতে লুকিয়ে রাখা মেমরিটা নিয়ে নিলো।
রিমনকে দেখেই মিথিলা জড়িয়ে ধরলো।
রিমন:বাহ আজ যে তুমাকে অনেক খুশি খুশি লাগছে কই কি সারপ্রাইজ দেবে বললে।
মিথিলা:এখন না আজ আমরা সারাদিন ঘুরবো তার পরে বলবো।আগে তুমি কি সারপ্রাইজ দেবে বললে কই।
রিমন:না আগে তুমি বলবে তার পরে আমি।
সারাদিন ঘুরে ক্লান্ত হয়ে বসে আছে দুজন পিঠে হেলান দিয়ে।আচ্ছা মিথিলা চলোতো এই রোদে আর ভালো লাগছে না।
মিথিলা:কোথায় যাবে?
রিমন:চলো না আজ ফাহিম বললো ওদের বাসাই কেউ নাই তুমাকে কতো দিন আদর করি না।আজকেই শেষ আর বলবো না প্রমিজ।
মিথিলা:একটু ভাবুক ভাব নিয়ে আচ্চা চলো।
রিমন ভাবছে বাহ আজতো দেখি মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি।এতো সহজে রাজি হবে ভাবতেই পারিনি।
আজও দুজন এক সুখ সাগরে পাড়ি দিয়েছে।মিথিলার দিকে কাপড় এগিয়ে দিয়ে আজ যে এক কথায় রাজি হয়ে গেলে ব্যাপার কি।
মিথিলা:কারন আজকের পর থেকে তো আর আদর করতে অনুমতি নিতে হবে না এটাই শেষ তাই বাধা দিলাম না।
রিমন:মানে কি বুজলাম না।
মিথিলা;আগে তুমাকে সারপ্রাইজটা বলি তাইলেই বুজতে পারবা।
রিমন:হুম বলো কি সাইপ্রাইজ আছে।
মিথিলা:অনেকটা একসাইটেড হয়ে রিমন আমি বাসাই তুমার আর আমার কথা বলে দিয়েছি আব্বু রাজি হয়ে গেছে বলেছে কালই তুমাদের বাসাই বিয়ের কথা বলতে যাবে।এবার তুমার পালা।
রিমন মিথিলার দিকে তাকিয়ে সত্যি?? (অবাক হয়ে)
আমি তুমাকে কি সারপ্রাইজ দিবো শুনবানা?
মিথিলা:হুম বলো আমিতো আর অপেক্ষা করতে পারছি না।জলদি বলো।
রিমন:,,,,,,,,,,,,,,.
.
.
চলবে,,,,,,,,
নষ্টা মেয়ে
পর্ব ৪
.
.
মিথিলা:আমি তো আর অপেক্ষা করতে পারছি না।তাড়াতাড়ি বলো।
রিমন:বলছি তার আগে তোমার বাসায় জানিয়ে দাও তুমি এখন বিয়ে করবে না।
মিথিলা:মানে কি রিমন।আমি এখন বিয়ে করতে রাজি না কে বললো!! আমি তো তোমাকে এখনি কাছে পেতে চায়।(জড়িয়ে ধরে)
রিমন:কিন্তু আমি চায় না।আমি এখনি বিয়ে করছি না আর হ্যা আমার সাথে কোনো কনটাক করবে না।আমি এখন একা থাকতে চায়।
মিথিলা:মানে কি তুমি কি আমার সাথে ফাজলামি করতেছো।দেখো আমি কিন্তু সিরিয়াস।সব বিষয়ে মজা করতে ভালো লাগে না।
রিমন:তো আর কি ভাবলাম তোকে ভালোভাবে বলবো কিন্তু না তুইতো শুনতেই নারাজ।তাইলে শুনে রাখ তোর মতো একটা নষ্টা মেয়েরে কখনো আমার বউ বানাবো না।তোর দেহের প্রতি লোভছিলো ওটা পেয়েগেছি।তোকে চায় না।
যে মেয়ে বিয়ের আগে সব দিয়ে দিতে পারে তাকে নিয়ে শুধু খেলা করা যায়।ঘর বাধা যায় না।
মিথিলা:এ সব তুমি কি বলছো রিমন(কান্না করতে করতে)।আমি কি নষ্টা মেয়ে? আমি তো তুমাকে ভালোবেসে সব দিয়েছি।তুমিতো আমাকে বিয়ে করবে বলেছিলে।
রিমন:তখন কি বলেছি না বলছি ওসব সব ভুলে যা।তোর মতো কাউকে খুজে নিস।আর হ্যা টাকা লাগলে বলিস এই রিমন কিছুই ফ্রিতে নেয় না।তোকে কত টাকা ভিজিট দিতে হবে বলিস।সব দিয়ে দিবো।
মিথিলার চোখ থেকে অনবরত জল পড়েই চলেছে।তার মানে রিমন আমাকে শুধু একটা ভোগের বস্তু মনে করে।আমাকে প্রসটিটিউটের মতো ব্যবহার করেছে।
রিমন:কিহলো বলে ছিলাম না তোকে আজ অনেক বড় সারপ্রাইজ দেব।দেখলি তো,,,,ওহ হ্যা তোকে আরো সারপ্রাইজ দেওয়া বাকি আছে।এটা শুনলেতো তুই আরো খুশি হবি।
এ কথা বলে রিমন পকেট থেকে ফোনটা বের করে ভিডিও গুলো দেখাতে লাগলো।
স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মিথিলা নিজের ইচ্ছাতে শরীর টাকে বলিয়ে দিচ্ছে।নিজের নগ্ন দেহ।
প্রতিটা বিডিও খুব সতর্কতার সাথে তোলা হয়েছে।ভিডিওতে শুধু মিথিলার নগ্ন দেহ আর মুখটাই দেখা যাচ্ছে।
এমন কিছু দেখতে হবে স্বপ্নেও ভাবেনি।ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে রিমন এমনটা করতে পারে।
রিমন:ওতো কান্নাকাটি করে কোনো লাভ হবে না যদি বেশি শেয়নাগিরি করিস না এগুলা সকলের হাতে হাতে চলে যাবে।
ভেবে দেখ তখন তোর কি হবে তোর বাবা মা মেয়ের এমন কুকীর্তি দেখে হয়তো গলাই ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়বে।আর যাই হোক নষ্টা মেয়ের বাবা মা তো সম্মান বলে কিছু আছে।
মিথিলা কি করবে ভেবে না পেয়ে রিমনের পা জড়িয়ে ধরলো।রিমন প্লিজ ওগুলা ডিলেট করে দাও প্লিজ রিমন।আমি তো তোমার কোনো ক্ষতি করিনি কেন করলে আমার সাথে।আমিতো তোমাকে নিজের চাইতেও বেশি ভালো বেসেছি।আমার সাথে এমন টা করোনা আমি বাঁচবো না রিমন।
রিমন:তুই যেটা করেছিস তার কাছে এটা কিছুই না।তোকে আরো কষ্ট ভোগ করতে হবে।এটাতো সবে শুরু।বলেই মিথিলাকে লাথি দিয়ে সরিয়ে দিলো।
একটু একটু করে তোকে তিলে তিলে মারবো।আর শুনে রাখ আজি আমি বাসাই বিয়ের কথা বলবো তবে তোর সাথে না।মিলিকে এক সপ্তাহের মধ্যেই বিয়ে করে ঘরে তুলবো।,,,,
এ কথা বলেই রিমন বেরিয়ে পড়লো।মিথিলার হাজার ডাকও কানে পৌছাচ্ছে না।
রিমনের লাথির আঘাতে পড়ে গিয়ে মাথাই অনেক ব্যাথা পেয়েছে তবে তার চাইতে হাজার গুন ব্যাথা বুকে লেগেছে।
এতো দিনের ভালোবাসার উপাধি হলো নষ্টা মেয়ে।আমাকে নিয়ে খেলা করা যায় ঘর করা যায় না।
অনেক কষ্টে বাসাই পৌছাতেই মায়ের সাথে দেখা।মিথিলার এমন উদাসিন চেহারা দেখেই কি হয়েছে জিজ্ঞাস করলো।কিছু না বলেই দৌড়ে গিয়েই ঘরের দরজা বন্ধ করে দিলো।কিভাবে বলবে তার মেয়ে একটা নষ্টা মেয়ে।
কিভাবে বলবে একটা মেয়ের সব চাইতে দামি জিনিস তার সম্মান যা অন্য কেউ লুটে নিয়েছে।
শরীরটা পাথর হয়ে গেছে চোখ দিয়ে আর পানি পড়ছে না।হয়তো নষ্টা মেয়েদের চোখেও পানি আসতে নেই।শুধু বুকের ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে যায় হয়তো।
এদিকে রিমনও বাসাই ফিরে দেখলো তার মামা আর নানু এসেছে তাই আর আজ মিলির কথাটা বলা হয়নি।
মামা আর নানু চলে গেলেই বলবে।আজ যেন মনটাই অনেক শান্তি লাগছে।ফোনটা বের করে কার ছবির দিকে তাকিয়ে,, আজ তোর কষ্টের অনেক খানি বদলা নিয়েছি।
তবে এখনো বদলা নেওয়ার বাকি আছে।তুই বাসাই ফেরার আগেই তোর চাওয়া পূর্ন হবে।
তুই আবারো হেসে খেলে বেড়াতে পারবি।আবার স্বপ্ন দেখবি।
কতখন ভেবে বাথরুমে চলে গেল নষ্টা মেয়েটার শরীরের গন্ধটা এখনো লেগে আছে গোসল করে সব ধুয়ে ফেললো।
অনেক দিন শান্তির ঘুম ঘোমানো হয়নি।আজ শান্তিতে ঘোমানো যাবে।
ফ্রেস হয়ে বাইরে এসে দেখে মামা নানু আব্বু আম্মু সবাই বসে গল্প করছে।
সিঙ্গাপুর থেকে এসে আব্বু আম্মুর সাথে ভালো করে কথা বলা হয়নি।রিমনও গল্পের আড্ডায় বসে গেল।
এই কদিন কেমন কেটেছে কেমন ছিলাম অফিসের কাজ কেমন চলছে বলতে বলতেই সন্ধা গড়িয়ে রাত হয়ে গেল।
আম্মু সকলকে খাবার টেবিলে বসতে বলে রান্নাঘরে চলে গেলো।
বেস ভালো হয়েছে সেই দুপুরে খেয়েছি বেশ খিদে পেয়েছে।
মামা আর নানু আসাতে অনেক আইটেমের খাবারও রান্না হয়েছে।
যাক অনেক দিন পরে আম্মুর হাতের রান্না খেয়ে বেশ ভালো লাগছে।সবাই এক সাথে খেয়ে যে যার রুমে চলে গেলাম।
বিছানায় গাটা এলিয়ে দিতেই চোখটা লেগে আসলো।
ঘুম ভাংলো সাড়ে আটটায়।ফ্রেস হয়ে নিচে নেমে দেখি আব্বু পেপার পড়ছে।মামা আর নানু কই জিজ্ঞাস করতেই আম্মু বললো,,ভোর বেলাতে মামানি ফোন করেছে সাইম(মামাতো ভাই)অসুস্হ তাই আর দেরি না করে বেরিয়ে পড়েছে।
আব্বু আম্মু আমার জন্যই যেতে পারেনি।এখনি নাস্তা করে বেরিয়ে পড়বে।
আব্বু আম্মুর সাথে বসে নাস্তা করছি।তবে মন থেকে এখনো কালকের ঘটনা ভুলতে পারছি না।আর এখনি মক্ষম সময় আব্বুকে বলে দেওয়ার।
রিমন:আব্বু আম্মু একটা কথা বলার ছিলো।
আব্বু:হ্যা বলে ফেল এতো অনুমতি নেওয়ার কি আছে।বল শুনছি।
রিমন:আব্বু আমি,,,,,,,,,,,,(তখনি রিমনের ফোনটা বেজে উঠলো।ফোনের দিকে তাকাতেই চোখটা কপালে উঠে গেল।তাহলে কি,,,,,,,,
.
.
চলবে,,,,,,

0 মন্তব্যসমূহ
গল্প গুলো কেমন লাগলো, আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।