গল্পঃ নষ্ট মেয়ে। লেখক Golpo book


গল্পঃ নষ্ট মেয়ে 

পর্ব- ১
লেখকঃ Golpo book

রিমন:হাই ঝান্টুসি।
ঝান্টুসি:,,,,,,
রিমন:আমার জানটা কি রাগ করেছে।
ঝান্টসি:,,,,,,,,(শুধু চোখ লাল করে তাকালো)
রিমন:আর এমন হবে না আমার জান পাকি,,ময়না পাখি,,টিয়া পাখি,,আমার ঝানটুসি,,
ওই আমাকে একদম ঝানটুসি বলবি না।কি বিশ্রি নাম।আমার নাম কি ঝানটুসি? (রেগে আগুন)
ওহ আমার জানটার নামটাই তো বলা হয়নি তর নাম মিথিলা।আদর করে কত কি যে ডাকি তার ঠিক নাই আজ আসতে একটু দেরি হয়েছে তার ওপর ঝান্টুসি বলেছি যেটা আমার বাবু সোনা একটুও পছন্দ করে না।
আমার বউ পাখিটা কি আমার সাথে রাগ করেছে।
মিথিলা:কে তোর বউ পাখি?
রিমন:তুমিই তো আমার বউ পাখি।
মিথিলা:আমি কারো বউ না।বিয়ের কথা বললে হাটু কাপে তার আবার বউ।(মুখ ভেংচি কেটে)
রিমন:হু তাই তো আমার কোনো বউ পাখিই নাই তাই যাই এখানে থেকে কাজ নেই(ভাব নিয়ে)।
মিথিলা:ওই কই যাস এক পাও যদি সামনে গিয়েছিস তো হাসপাতালে পাঠাবো।চুপ করে দাঁড়িয়ে থাক।
রিমন:ভয়ে কাচুমাচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছি ও যা বলেছে সত্তি এক পা এগুলে রক্ষে থাকবে না।
দাঁড়িয়ে আছি তো আছি ভয়ে বসতেও পাচ্ছিনা।এখন মাথা ঘোরার অভিনয় না করলে দাঁড়িয়েই থাকতে হবে।যেই ভাবা সেই কাজ।অভিনয়ে কাজ হলো দুজই বসে আছি।
মিথিলা :আচ্চা তুমি এমন কেন(বাহ তুই থেকে তুমি রাগ একটু কমেছে)।
রিমন:কেমন গো বউ পাখি? বাদামে ফু দিতে দিতে।
মিথিলা:দেখো একদম ডং করবা না তুমি কি কোনো কিছুতে সিরিয়াস হবা না।বাড়ি থেকে কত মিথ্যা বলে বের হয়েছি আর তুমি সবসময় লেট করে আস।
রিমন:ও হ্যা তোমাকে তো বলাই হয়নি যানো কি হয়ছে আজ আমি যেই না বাথরুমে গিছি গোসল করতে অমনি দেখি পানি শেষ কোথাও পানি নেই তারপর পাশের বাসা থেকে পানি এনে গোসল করে আসছি তাই একটু দেরি হয়ছে।সত্তি বলছি সোনা(করুন ভাবে)।
মিথিলা:কত মিথ্যা যে তুমি বলতে পারো আল্লাহ গো।
রিমন:সরি সোনা আর এমন হবে না।
মিথিলাও ওর মলিন চেহারা দেখে বললো মাফ করতে পারি এক সর্তে।
রিমন:তোমার সব সর্তে রাজি সোনা বলো তোমার কি শর্ত।
মিথিলা:আজ আমাকে নিয়ে সারাদিন ঘুরবা আর বিকালে ফুসকা খাওয়াবা।
রিমন:ওকে ডান আমার লক্ষি বউটা আবদার করেছে না মেনে উপায় আছে।
(রিমন আর মিথিলা দুজন দুজনকে ভালো বাসে রিমন ঢাকা ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে।দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি স্মার্ট হাজারো মেয়ে প্রথম দেখায় প্রেমে পড়ে যাবে।অপর দিকে মিথিলা অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।মিথিলাই প্রথম রিমনকে প্রপোজ করেছিলো।তাদের ছ মাসের রিলেশন।)
সারাদিন অনেক ঘুরাঘুরি করে সন্ধ্যায় যার যার বাসায় চলে যায়।রাতে ফোনে ভোর পর্যন্ত কথা চলে দুজনার।
এভাবেই আরো এক মাস চলে গেল তবে এদানিং রিমনের মধ্যে কেমন যেন পরিবর্তন হয়েছে। রিমন এখন সুযোগ পেলেই মিথিলার গায়ে হাত দেয় যখন তখন কিচ করে।
মিথিলাও তেমন রিএক্ট করে না তবে সেও বুজতে পারে রিমন কি চায়।
রিমন বেশ কয়েকবার মিথিলাকে রুম ডেটের কথাও বলেছে কিন্তু বিয়ের আগে ওমব কিছুই সম্ভব না বলে মিথিলা এড়িয়ে যায়।রিমনও জোর করেনি।
বেশ কিছুদিন হলো রিমন মিথিলাকে এড়িয়ে চলছে। নানান কাজের অজুহাতে কথাও কমিয়ে দিয়েছে।মাঝে মাঝেই ফোন ওয়েটিং।মিথিলাও বুজতে পারে রিমন রিলেশন রাখতে চায় না।কিন্তু কি করবে রিমনকে ছাড়া তার সারা পৃথিবী যেন অন্ধকার।
রিমন যতটা না ভালো বাসতো তার বহুগুনে মিথিলা ভালোবাসে।
আজ কলেজ থেকে ফেরার পথে দেখতে পায় অন্য একটা মেয়ের সাথে হাত ধরে বসে আছে।বুকের মধ্যে চিনচিন করে উঠছে।বাসায় গিয়ে দরজা বন্ধ করে অনেক কান্না করলো কি এমন করেছে যার জন্য রিমন এমন করলো।
চোখের পানি মুছে মোবাইলটা নিয়ে কল করতেই ওয়েটিং।বার বার ট্রাই করে রাতে কথা হলো কাল তারা দেখা করবে।জানতেই হবে কেন তার নিষ্পাপ মনটা নিয়ে এমন করলো।
পরদিন সকালে দেখাহলো সারা রাত কেঁদে চোখ দুটো ফুলে গেছে সেদিকে নজর না দিয়ে কেন ডেকেছো(রিমন)
রিমন:যা বলার তাড়াতাড়ি বলো আমার তাড়া আছে।
মিথিলা:কোনো ভনিতা না করে,,,আমাকে এড়িয়ে চলছো কেন, কি করেছি আমি আমার সাথে এমন করছো কেন রিমন।
রিমন:দেখো আমি তোমার সাথে হ্যাপি না আমি কোনো রিলেশন রাখতে চায়না।
মিথিলার কানকে যেন বিশ্বাস হচ্ছে না।অনেকটা কাঁদো কাঁদো গলায় কেন রিমন আমার দোষটা কি বলবা। আমি কি করেছি।
রিমন:ওতো বলে লাভ নেই।আর হ্যা কোনো যোগাযোগ করার চেষ্টা করবে না।বলেই চলে যেতে লাগলো।
মিথিলা এবার কেদেই দিলো।দৌড়ে গিয়ে রিমনের হাতটা ধরে আটকালো।রিমন আমাকে ছেড়ে যেয়ো না আমি তুমাকে ছাড়া বাঁচবো নো প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেয়ো না।
রিমন:দেখো আমি তোমার সাথে হ্যাপি না আমার আর তোমার ভাবনা ভিন্ন।
মিথিলা:তুমি যেমন বলবে আমি তেমনই চলবো তুমি যা বলবে আমি তাই করবো।
তবুও আমাকে ছেড়ো যেয়ো না প্লিজ।
রিমন:ঠিক আছে তবে আমার কথায় রাজি হলে আমি রিলেশন রাখতে রাজি আছি।
মিথিলার চোখে আনন্দ আভাস চোখ মুচতে মুচতে তুমি যা বলবে তাতেই রাজি।
রিমন:আমার সাথে রুম ডেট করতে হবে তাইলে রিলেশন রাখতে পারি।
মিথিলা রুমডেটের শর্ত শুনে পাথর হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো।
সম্পর্কটাকে টিকিয়ে রাখতে নিজের শরীরকে তুলে দিতে হবে।
নিজেকে আজ অনেক অসহায় লাগছে।তবে যাই হোক রিমনের হাতে শরির টা তুলে দেবে না জানিয়ে দিলো।
রিমনও জানিয়ে দিলো রুমডেটই তার চাওয়া না হলে সম্পর্ক এখানেই শেষ।বলেই চলে গেল।
এবার যেন চোখ বাধা মানলো না।বাধাহীন বর্ষন চলছে।


চলবে,,,,,,,


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ