নষ্টা মেয়ে
পর্ব-- ১৫ শেষ
কিছুক্ষন বাদেই মিথিলা আসলো।আমার সাথে সজিবকে দেখে ভুত দেখার মতো চমকে গেছে।ভাবতেই পারেনি এভাবে সজিবকে দেখতে পাবে।
অরনি মুখোমুখি সোফাটাতে বসে আছে।কোনো কথাই বলছে না।
সবিজ:অরনি তুই যে এতোটা নিচো মনের জানতামই না।কি করে পারলি এমন করতে।কেমন করে পারলি মিথিলার জিবনটা শেষ করে দিতে?
অরনি চিৎকার দিয়ে,,,আমি যা করেছি ঠিকই বলেছি।যা বলেছি সবই সত্য বলেছি।
সজিব:কিছুই ঠিক বলিস নি।আমি কিংবা মিথিলা কেউ কি কখনো বলেছি আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি?
হুম তা বলিস নি।কিন্তু আমার কি চোখ নেই? আমার কি কোনো বুদ্ধি নেই?কিছুই বুঝি না?
কেন? কি এমন দেখেছিস আমাদের মাঝে জার জন্য,এমন করে ওর জীবনটা ধংস্ব করে দিলি?
আমাকেও কম কষ্ট দেয়নি ও।রাতের পর রাত আমি না ঘুমিয়ে,, কেঁদেই কাটিয়েছি।
তোর কষ্ট পাওয়ার কারন কি?তোর কষ্ট পাওয়ার সাথে মিথিলার কি সম্পর্ক?
হুম সম্পর্ক আছে।আর তার কারন তুই।শুধু তোর জন্য।
সজিব:বাজে কথা বলবি না কিন্তু।নিজেকে বাচানোর মিথ্যা নাটক করছিস তুই।
অরনি:আমি কোনো নাটক করছি না।মিথিলা জানতো আমি তোকে শুধু বন্ধু ভাবি না তাও তোর সাথে কেন এমন ঘনিষ্ট ভাবে কথা বলতো?আমার সহ্য হতো না,, তুই মিথিলার সাথে কথা বলিস।তুই শুধু আমার সাথে কথা বলবি।
সজিব:তুই যেমন আমার বন্ধু ছিলি মিথিলাও আমার বন্ধু।ও কেন কথা বলতে পারবে না আমার সাথে?
অরনি:হ্যা পারতো তাই বলে সব সময় ও কেন তোর পাশের সিট টাতে বসবে? কোন তোর সাথে খুনসুটি করবে?
কই আমাকে তো কখনো বলতি না অরনি তোকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে।
সজিব:তুই কি একটা গাধা? ও আমার জাস্ট ফ্রেন্ড।আর এতে তোর এতো প্রব্লেম তাইলে বললেই পারতি।
অরনি:হ্যা তোকে বলিনি কিন্তু মিথিলাকে অনেক বার বলেছি।চোখ বুজলেই শুধু তোকে দেখতাম।বিশ্বাস কর কোনো কাজে মন বসাতে পারতাম না।তাইতো মিথিলাকে এড না করে নতুন ফেসবুক একাউন্ট খুলেছিলাম।শুধু তোর জন্য।
মিথিলাকে অনেক বার বলেছি আমার কথা তোকে বলতে।কিন্তু কখনো রাজি হয়নি।সব সময় বলতো বন্ধুত্বে কোনো রিলেশন না করতে।
রিলেশন করলে বন্ধুত্ব নষ্ট হয়।অনেক ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তোকে মন থেকে ঝেড়ে ফেলে দেবো।শুধু বন্ধু ভাববো।
কিন্তু যেদিন ঘুরতে গেছিলাম ও আবারো তোর পাশে বসেছিলো।আর আমি সেদিন স্পষ্ট দেখেছি তুই ওর হাত ধরেছিস।আবার সূর্য ডোবা দেখার পরে তুই মিথিলাকে রক্ত জবাও বলেছিলি।আমি জানতাম তোর সব চাইতে প্রিয় ফুল রক্ত জবা।
জানিস সে দিন আমার কতো কষ্ট হয়েছিলো?আমাকে বন্ধুর সাথে প্রেম করতে মানা করে নিজে করবে।
সজিব এবার নিজের রাগকে কন্ট্রলে না রাখতে পেরে সজোরে চড় বসিয়ে দিলো।রাগে ফুসছে।
সজিব:এই সামান্য কারনে তুই এতো নিষ্ঠুর হয়ে গেলি? আরে ওই দিন ড্রাইভ করতে আনমনে মিথিলার হাতে হাত পড়ে যায় আর ব্যাপার টা দুজনেই বুঝতে পেরে হেসে ফেলি।ইচ্ছা কৃত ধরিনি।
কাউকে আমার সব চাইতে পছন্দের ফুল বলেছি তার মানে কি আমি তাকে ভালো বাসি?
অরনি:আমি শুধু ওটা দেখেই সন্দেহ করিনি।তোকে আমি মিথিলার বাসার সামনে বেশ কয়েকবার যেতে দেখেছি।
সেদিন তো তুই মিথিলাদের বাসার সামনে দাঁড়িয়েই ফোনে কথা বলছিলি।আমাকে দেখেই ফোন রেখে দিলি কেন।
মিথিলাকে অনেক বার জানতে চেয়েছি তোদের মধ্যে ব্যাপারটা কি,,কিন্তু প্রতি বারই এড়িয়ে যেতো।
আর আমি সেদিনই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম মিথিলাকে উচিত শিক্ষা দেবো।আমার সাথে প্রতরনা করে আমার মনের মানুষকে ছিনিয়ে নেওয়ার ফল বোঝাবো।
পর দিনই তোর এক্সিডেন্ট হয় আর সেটাকেই হাতিয়ার করে রিমন ভাইয়াকে ওসব কথা বলি।আমি জানতাম রিমন ভাইয়া তোর জন্য প্রানও দিতে পারে আবার কারো প্রান নিতেও পারে।
সজিব:ছিঃ অরনি তুই আমার বন্ধু ভাবতেও আমার ঘৃণা হচ্ছে।আরে আমি মিথিলাদের বাসার সামনে যেতাম মিথিলা না ওর বোন মালিহাকে দেখতে।
প্রথম যেদিন মালিহাকে দেখেছিলাম সেদিন থেকে আমার নাওয়া খাওয়া ছিলো না।এক বার দেখার জন্য ছুটে যেতাম।
মালিহা কিছুই জানতো না।তবে বিষয়টা মিথিলাকে বলতাম।মালিহার সাথে রিরেশনটা করিয়ে দেওয়ার জন্য বার বার ফোন করতাম।কিন্তু মিথিলাকে রাজি করানো এতো সহজ না তাই সেদিন বাসার সামনে গিয়ে ফোন করি যেন মালিহাকে একবার দেখার সুযোগ করে দেয়।আর সেটা তুই দেখে ফেলিস।বিষয়টা আরো ক্রিটিকাল হবে যেনেই আমি মিথিলাকে কাউকে জানাতে না করেছিলাম।
সব কিছু না জেনে এটা তুই কি করলি?মিথিলাতো তোকে বোনের মতোই ভালোবাসতো আর তুই সেই বোনের সংস্বার ভাংলি? ছিঃ ছিঃ!!!তুই এই পাপ কেমন করে সুদ্রাবি? কখনো কি এই মুখ নিয়ে মিথিলার সামনে যেতে পারবি?
সব কিছু জানতে পেরে অরনিও অঝরে কেঁদে যাচ্ছে।সত্যই তো বিনা অন্যায়ে মিথিলার যা করেছে তার কোনো ক্ষমা নেই।
অরনি:এটা আমি কি করলাম? আমি না জেনে মিথিলার এতো বড় কষ্ট দিয়েছি।
রিমন:কষ্ট শুধু মিথিলাকে না কষ্ট আমাকেও দিয়েছো।তোমার বলা কথা আমি যাচাই না করেই কতো অত্যাচারই না করেছি মিথিলার সাথে।
অরনি:ভাইয়া মিথিলা কোথায়? আমি ওর পায়ে ধরে মাফ চাইবো।সকল দোষ আমার যত ইচ্ছা আমাকে শাস্তি দিক।
সজিব:সেই সুযোগ মনে হয় আর পাবি না।মিথিলা সংস্বার জীবন ত্যাগ করেছে।কোথায় গেছে কেউ জানে না।অনেক খুজেও লাভ হয়নি।
অরনি:মিথিলাদের এই শহরে কোথাও কোনো আত্মীয় নেই।গ্রাম থেকে অনেক আগেই চলে এসেছে।একা যেতে পারবে না।আমার মনে হয় ও দূরে কোথাও যায় নি।
সজিব:কিন্তু কোথাই যেতে পারে তোর কোনো আইডিয়া আছে?
আমার মনো হয় ও বাসাতেই আছে।কোথাও যাবে বলে মনে হয় না।
রিমন:হ্যা সজিব আমারো তাই মনে হচ্ছে।আমার মন বলছে মিথিলা বাসাই আছে মালিহা মিথ্যা বলছে।
সজিব:যদি তাই হয় তো আমাদের মিথিলাদের বাসাই যাওয়া দরকার।
রিমন:হুম তাই চল।
অরনি:প্লিজ ভাইয়া এখন যাবেন না।এতো রাতে যাওয়া ঠিক হবে না।তার চাইতে বরং সকালে গেলে ভালো হবে।এখন এখানেই থেকে যান।কাল ভোরে আমরা তিনজনই রওনা করবো।
সজিব:হুম তাই কর।এতো রাতে যাওয়া ঠিক হবে না।কাল অরনিকে সাথে নিয়েই মিথিলাদের বাড়িতে যাবো।
রিমন:তোরা যেটা ভালো মনে করিস কর।আমার মাথা কাজ করছে না।মিথিলাকে না পেলে আমি পাগল হয়ে যাব।
আরে বেশি টেশন করিস নাতো।রাত টারি তো ব্যাপার।আচ্ছা অরনি আমাদের থাকার ব্যবস্থা করে দে।
রিমন আর সজিব কে পাশের ঘরটাতে থাকার ব্যবস্থা করে দিলো।দুজনই চুপচাপ শুয়ে আছে কোনো কথা বলছে না।
চোখ বুজলেই বার বার মিথিলার মায়ামাখা মুখটা চোখের উপর ভাসছে।করুন সুরে বারবার বলছে আমি নির্দোষ রিমন।প্লিজ আমাকে অবহেলা করো না।আমি কিছুই করিনি।
মিথিলার কথা মনে পড়তেই রিমন ডুকরে কোঁদে উঠলো।বিষয়টা বুঝতে পেরেও সজিব কিছুই বললো না।নিজের ভেতর অনুশোচনা বোধ থাকা ভালো।শোধরে নেওয়ার শক্তি পাওয়া যায়।
ভোর হতেই রিমন সজিব আর অরনি বেরিয়ে পড়লো।সকালে রাস্তা ফাকা থাকায় বেশি সময় লাগেনি।
বেশ কয়েক বার কলিং বেল বাজানোর পরে মিথিলার আম্মু দরজা খুলে দিলো।এতো সকালে মেয়ের জামাইকে দেখতে পাবে কল্পনাও করেন নি।
আম্মু:আরে বাবা এতো সকাল সকাল।সব কিছু ঠিক আছে তো?
রিমন:না আম্মু কিছুই ঠিক নেই।মিথিলা কই? আমি মিথিলাকে নিতে এসেছি।
আম্মু:সে কি বাবা মিথিলাকে নিতে এসেছো মানে কি? মিথিলাতো এখানে আসেই নি।
রিমন:আপনারা মিথ্যা বলছেন।প্লিজ আম্মু ওকে ডাক দিন।মিথিলার সাথে আমার কথা আছে।ওর ভুল ভাঙাতেই হবে।
মিথিলার আব্বু এসেই বলে দিলো,,,,
আব্বু:তুমি ভেতরে যাও মিথিলার মা।আর এই ছেলেকে বলে দাও আমার মেয়ে ওর কাছে যাবে না।অমন একটা পশুর কাছে থাকার চাইতে মরে যাওয়া অনেক ভালো।
রিমন:তার মানে মিথিলা এখানেই আছে।প্লিজ আব্বু আম্মু আমি যা করেছি ভুল করেছি।মিথিলা আমাকে যে শাস্তি দিবে মাথা পেতে নিবো তবুও আমি ওকে ছাড়া থাকতে পারবো না।আপনারা প্লিজ মিথিলাকে ডাক দিন।
আব্বু:বললাম না মিথিলা এখানে নেই।কোথায় গেছে আমরা জানি না।তুমি চলে যাও।
রিমন:ওহ এতোক্ষন ভালো ভাবে বলছিলাম তাই কাজ হচ্ছে না।আমার বউকে তো আমি নিয়ে যাবই।এই বলে স্টোর রুম থেকে একটা লাঠি বের করে সামনে যা পাচ্ছে তাই ভাংতে শুরু করে দিলো।
টিভি,,ফ্রিজ,, শোকেজ,,আলমারি,,
ড্রেসিংটেবিল,, সোফা কিছুই ভাংতে বাদ রাখেনি।রিমনের গর্জন শুনে ভয়ে সামনে কেউ যাচ্ছে না।কিচেনের সব বাসন কোসন সারা বাড়ি ছুড়ে ফেলছে।সামনে রাখা এল ই ডি টা তুলে আছাড় দেবে তখনি মালিহা বললো দোলাভাই আর কিছু ভেঙেন না আপু কোথায় আমি জানি।
রিমন:জানো তো বলছো না কেন? এই বাড়িতে আমি আগুন ধরিয়ে দেব।
মালিহা:আগুন ধরাতে হবে না আগে শান্ত হন।
আমি শান্ত আছি আগে বলো মিথিলা কোথায়।
মালিহা:বউ ছাড়া থাকতে পারছেন না বুঝি?
দেখো মালিহা এখন মজা করার মুডে নেই তোমার আপু কোথায় আগে বলো।সব ভেঙে ফেললাম বলেই এল ই ডি টা আছাড় দিলো।
মালিহা:সবই কিছুই তো ভাংলেন।যেয়ে দেখেন আপুর ঘরটাতে ভাংতে কিছু বাদ আছে কিনা।হয়তো জিনিস ভাংতে গিয়ে বউও পেয়ে যেতে পারেন।
রিমন সেখানে দাঁড়িয়ে না থেকে দৌড়ে মিথিলার রুমে চলে গেলো।এখনো দরজা বন্ধ।
দরজা ভাংতে শুরু করতেই মিথিলা দরজা খুলে দিলো।মিথিলা নিজেও ভাবেনি এতো সকালে রিমন চলে আসবে।তার উপর হাতে টেবিলের ভাঙা পায়া।
মিথিলাকে দেখেই ভেতরে ঠেলে দিয়ে দরজা আটকে দিলো।হাতে লাঠি নিয়ে মিথিলার দিকে এগোচ্ছে আর মিথিলা ঢোক গিলতে গিলতে পেছনের দিকে।
পেছাতে পেছাতে দেওয়ালে ঠেকে গেছে আর পেছানোর জায়গা নেই।রিমন মিথিলার সামনে দাঁড়িয়ে পাশে রাখা ড্রেসিংটেবিলের আয়নাটা বাড়ি দিয়ে ভেঙে দিলো।
একে একে রুমের সব ভেঙে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।মিথিলাকে দেখতে পেয়ে রাগটাও কমে গেছে।
মিথিলা:আমার হৃদয়টা ভেঙে স্বাদ মেটেনি এখন সব জিনিজ ভাংছো।
রিমন:সব জিনিস ভেঙেছি বেশ করেছি দরকার পড়েতো আরো ভাংবো।আর আমার কাছ থেকে চলে যেতে চাইলে তোকেও মেরে ফেলবো তার পর নিজে মরবো।বলেই মিথিলাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো।
রিমন:আমাকে মাফ করে দাও মিথিলা।আমি না বুঝে অনেক অন্যায় করেছি।
মিথিলা:না কোনো মাফ হবে না।ক দির পরে আবার কেউ কিছু বলবে অমনি তো গালি দিবা, নষ্টা বলবা,,গায়ে হাত তুলবা।আমি আর ফিরে যাবো না।
মিথিলা ফিরে যাবে না শুনেই ভাঙা কাচে সজোরে ঘুসি দিলো।হাত কেটে রক্ত বের হচ্ছে।
মিথিলাও সহ্য করতে না পেরে দৌড়ে এসে শাড়ির আচলে হাত চেপে ধরলো যাতে রক্ত না বের হয়।কিন্তু রিমন কিছুতেই ধরতে দিচ্ছে না।
মিথিলা:এই তোমার হাত থেকে রক্ত পড়ছে।
পড়ুক রক্ত ঝরে মরে যেতে চাই এ জিবনে যখন তোমাকে পাবো না তাইলে মরে যাওয়াই ভালো।পাপের রক্ত ঝরে মরতে চাই।
মিথিলা আর অভিমান করে থাকতে পারলো না রিমনকে জড়িয়ে ধরলো।
মিথিলা:তুমি চলে গেলে আমার কি হবে।শুধু নিজের কথাটাই ভাবলা আমার কথা ভাবলে না।
দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেই চলেছে।এতো দিনের অপূর্নতা যে পূর্নতা পেয়েছে তাই আজ শেষ চোখের জল ফেলে নিচ্ছে।কেউ কাউকে ছাড়তেই চাচ্ছে না কিন্তু রিমনের হাত থেকে রক্ত পড়ছে তাই ছেড়ে হাত পরিষ্কার করে বেঁধে দিলো।
রিমন:মিথিলা তুমি আমাকে মাফ করেছো তো?
মিথিলা:তুমিতো কোনো দোষ করোই নি তাইলে মাফ কেন?
আমি তোমার সাথে এতো অন্যায় করলাম তাও বলছো কিছুই করিনি?
হুম কিছুই করোনি।তুমি ভুল পথে হাটছিলে এখনতো বুঝে গেছো তাই আমার কোনো কষ্ট নেই।
আর চলো আব্বু আম্মু মালিহা সবাই ওয়েট করছে আমরা কখন নিচে যাবো।হাজার হোক ওরাও তো খুব ভালো অভিনয় করেছে।
রিমন মিথিলার দিকে তাকিয়ে হেসে ফেললো।মিথিলাও রিমনের দিকে তাকিয়ে হেসে ফেললো।
দুজনকে এক সাথে নামতে দেখে সবাইকে অনেক খুশি দেখাচ্ছে।
অরনিও দৌড়ে এসে মিথিলার পা জড়িয়ে ধরলো।মিথিলাও অরনিকে মাফ করে দিয়েছে।
সকলে অনেক খুশি।বাড়িতে আব্বু আম্মুকে ফোন করে বলে দিয়েছে সারা বাড়ি অনেক সুন্দর করে সাজাতে।মিথিলাকে আজ বউয়ের সাজে সাজিয়ে নিয়ে যাবে।
শ্বশুর আব্বু:তা বাবা তুমি তো মিথিলাকে পেয়ে গেলে কিন্তু আমার বাড়ি যে ভেঙে তচনচ করে দিয়েছো তার খেশারোত কে দেবে?
রিমন:ওহ এই কথা আমার শ্বশুরের কাছে বলে দিচ্ছি ওনি সব দিয়ে দিবেন।
রিমনের কথা শুনে সকলে এক সাথে হেসে উঠলো।
এই হাসি চলতেই থাকবে,,,,,,
.
.
THE END
HAPPY GOLPO BOOK

 
 
 
 
 
0 মন্তব্যসমূহ
গল্প গুলো কেমন লাগলো, আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।