নষ্টা মেয়ে । পর্ব ৫+৬


নষ্টা মেয়ে

পর্ব ৫+৬

এতো অনুমতি নেওয়ার কি আছে কি বলতে চাস বল।
রিমন:আব্বু আমি,,,,বলতেই ফোনটা বেজে উঠলো। স্কিনে মিলির নামটা দেখা যাচ্ছে।যাক বাবা যেই ওর কথা ভেবেছি ওমনি কল।
এখন ফোন রিসিভ করা যাবে না আগে আব্বুর কাছে কথাটা বলতে হবে।না হলে মনকে হালকা করতে পারছি না।
আসলে আব্বু আমি একটা মেয়েকে পছন্দ করি।মেয়েটাও আমাকে অনেক ভালোবাসে।
আব্বু:তাই নাকি তাইলে তো হয়েই গেল দেখ রিমনের মা তোমার ছেলে আমাকে অনেক বাচিয়ে দিলো।নিজেই বউমা খুজে নিয়েছে।তা বাবা মেয়েটা কে,,কোথায় থাকে?
রিমন:আব্বু ওর নাম মিলি আমাদের অফিসেই চাকরী করে।
আমাদের অফিসে চাকরী করে কথাটা শুনে নাসির সাহেবর(রিমনের বাবা)মনটা খারাপ হয়ে গেল।পরক্ষনে ভাবলো ছেলে নিজে পছন্দ করেছে খারাপ হবে না।ছেলের প্রতি নাসির সাহেবের অঘাত বিশ্বাস আছে।
তো ঠিক আছে তোর নানুর বাসা থেকে ফিরেই না হয় মিলির আব্বু আম্মুর সাথে কথা বলে বিয়েটা ফাইনাল করবো।
মিলিকে বলে রাখিস আগামি পরশু আমরা দেখতে যাবো।
রিমনতো আনন্দে আকাশে উঠে।আব্বু আম্মু চলে যেতেই মিলিকে ফোন দিয়ে বলে দেয় আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না আব্বু আম্মুকে তাদের কথা বলে দিয়েছে।
মিলির সাথে অনেকক্ষন কথা বলে ফোন রেখে দেয়।ফেসবুকে লগইন করে প্রথমে মিথিলাকে ব্লক করে দেয়।মুচকি হেসে বেচারি মিথিলা।ঘর করবো ওর সাথে,,হাহাহাহাহা,,,,
এদিকে অনেক ধাক্কাধাক্কি করেও মিথিলার সাড়াশব্ধ পাওয়া যাচ্ছে না।দরজা ভেঙে ভেতরে ডুকেই দেখে মিথিলা সেন্সলেন্স হয়ে পড়ে আছে।
তাড়াতাড়ি ডাক্তার ডেকে আনা হলো।বেশ কিছু মেডিসিন দিয়ে গেছে।
মিথিলার আম্মু:আমার মেয়েটার কি হয়েছে কাল বিকালে এসেই রুমে ডুকেছে অনেক ডাকাডাকি করেও দরজা খুলছিলো না তাই আজ দরজা ভেঙে দেখি এই অবস্হা।কি হয়েছে আমার মিথিলার।
ডাক্তার:দেখুন রোগ বলতে কিছুই বুজতে পারছি না তবে হ্যা আপনার মেয়ে অনেক বড় মানুষিক আঘাত পেয়েছে হয়তো।তাই এমন মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে।চিন্তার কোনো কারন নেই এই ঔষধ গুলো ঠিক মতো খাওয়াবেন আর ওর দিকে একটু খেয়াল রাখবেন।
একা না রাখাই ভালো।
মিথিলার আব্বু আম্মু ছোটো বোনটা সকলের মুখে চিন্তার ছাপ।
মিথিলা নড়ে উঠতেই ছোটো বোনটা পিঠে বালিস দিয়ে হেলান করে দিলো।
মিথিলার আম্মু:মারে কাল থেকে কিছু খাসনি এগুলো খেয়ে নে মুখের সামনে খাবার নিয়ে।
না মা আমি খাবো না,, আমি মরে যেতে চাই।
কি হয়েছে বল মা রিমনের সাথে ঝগড়া হয়েছে।আমি ওকে ফোন করবো।ফোনটা হাতে নিয়ে
না ওকে ফোন করবে না বলে হাত থেকে ফোনটা নিয়ে এক আচাড়ে ভেঙে ফললো।আর অঝরে কাঁদতে লাগলো।
মেয়ের এমন আচারন কখনো দেখেনি মিথিলার বাবা।এমন শান্ত মেয়েটার আমার কি হলো।মেয়ের এমন কষ্ট পেতে দেখে মিথিলার বাবাও চোখের পানি আড়াল করতে বাইরে চলে গেল।
মিথিলার আম্মুর চোখেও পানি।তবে নিজেকে শক্ত না করলে মেয়েটা আরো ভেঙে পড়বে তাই বৃথা চোখের পানি মুছে মেয়েকে শান্তনা দিচ্ছে।
মেয়ের চোখের পানি মুছে দিয়ে বলতে লাগলো কি হয়েছে আমার সাথে বল।সব ঠিক হয়ে যাবে।
মিথিলা:কিছুই ঠিক হবে না মা রিমন আমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে।ও আমাকে ভালোবাসেনি মা।ওশুধু আমার শরীর টাকে ভালোবেসেছে।
মিথিলার আম্মু:কি বলছিস এসব আজ না রিমনদের বাসাই যাওয়ার কথা।তুরা তো দুজন দুজনকে ভালোবাসিস।
মিথিলা:না আম্মু রিমন আমাকে কখনো ভালোই বাসেনি।ভালো শুধু আমিই বেসে গেছি।ওতো আমার নগ্ন শরীরটাকে ভালোবেসেছে।সেটা আবার ভিডিও করে রেখেছে। বলছে বেশি চালাকি করলে ভিডিও নেটে ছেড়ে দিবে।,,,একটু নিশ্বাস নিয়ে আরো বলেছে আমি নাকি নষ্টা মেয়ে।
মেয়ের মুখে এমন কথা শুনে নিজেই পাথর হয়ে যাচ্ছে সেখানে বাচ্চা একটা মেয়ে কিভাবে সইবে।
এখন মা মেয়ে দুজনই নিরব হয়ে গেল।
দেখ মা রিমনের কথা ভুলে যা ও তো তোকে ভালোয় বাসেনি তুই ওর চাইতে ভালো ছেলে পাবি।দেখিয়ে দিবি তুইও কম না।
মিথিলা:না মা এই শরীর টা এক জনকেই দিয়েছি বিয়ে যদি করতে হয় ওকেই করবো।না হলে না।
কি করবি তুই রিমন তো নিজেই রাজি না তাহলে তুই এমন কথা বলছিস কেন।
শেষ রাস্তাটাই বেচে নিতে হবে আমি কালই রিমনের বাবার কাছে যাবো।শুনেছি রিমনের বাবা অনেক ভালো মানুষ উনি নিশ্চয় এর সঠিক বিচার করবেন।
যদি রিমনের বাবা তোকে মেনে না নেয় তখন কি করবি।আরো লোকে জানাজানি হলে হাসবে মুখে থুতু মারবে।
মেনে আমাকে নিতেই হবে না হলে রিমনকে কারো হতে দিবো না।প্রয়োজন হয়তো খুন করবো।
মেয়ের এমন প্রতিজ্ঞা দেখে কিছু বলার সাহস পেলো না।
পরদিন সকালে মিথিলা রিমনদের অফিসের সামনে যেতেই দেখে রিমন গাড়ি নিয়ে ভতরে ডুকছে।ভেতরে যেতেও ভয় করছে।দারোয়ানের কাছে জিজ্ঞাস করতেই জানালো রিমনের বাবা নাসির সাহেব আজ অফিসে আসেন নি বাসাই আছে।
মিথিলাও ভাবছে ভালোয় হলো বাসাই গিয়েই সব বলবে নাসির সাহেবকে।
বাসাই গিয়ে কলিংবেল চাপতেই দরজা খুলে দিলো।নাসির সাহেব আর উনার স্ত্রী কোথাও বেরহচ্ছেন।
মিথিলা উনাদের সালাম করে একটু কথা শুনার অনুরোধ করতেই না করতে পারলেন না।
সকলে সোফায় বসে আছে।কোথা থেকে শুরু করবে মিথিলা নিজেও জানে না।
তার পরো সব জড়োতা ভেঙে প্রোপজের শুরুর দিন থেকে গত পরশু দিন পর্যন্ত সব কিছু খুলে বললো।শেষ কথাগুলো বলতেই চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো।
ছেলের এমন অমানষিক আচারনের কথা বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছে।যে ছেলেকে নিয়ে নাসির সাহেবের গর্বের শেষ নেই সেই ছেলেই কিনা একটা মেয়ের জীবন শেষ করে দিচ্ছে।
তবে আসস্ত করে বলরেন মিথিলার কথা যদি সত্তি হয়ে থাকেতো কাল দিনের মধ্যেই মিথিলাকে এই বাড়ির বউ করে আনবে।
মিথিলাও বেশ আশা নিয়ে বাসাই ফিরে গেলো।
নাসির সাহেব রাগের মাথাই কি করবে ভেবে পাচ্ছে না।আজ মিলিদের বাসাই যাওয়ার কথা ছিলো তবে মিথিলার কথা শোনার পরে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই।ফোন করে নিষেধ করে দিলো।
কিছুক্ষন বাদেই রিমন বাসাই ফিরে এলো হয়তো মিলি রিমনকে ফোন করে জানিয়ে দিয়েছে তার বাবা মা যাবে না।
রিমন বাসাই আসতেই ঠাস করে তার বাবা চড় বসিয়ে দিলো।
কিছুই না বুঝতে পেরে রিমন হতচকিয়ে গেল।আব্বু আমাকে মারছো কেন?
কথাটা জিজ্ঞাস করতেই আরেকটা চড় বসিয়ে দিলে।লজ্জা করে না একটা মেয়ের সর্বনাশ করে অন্য কাউকে বিয়ের কথা বলতে।ছিঃ ছিঃ আমার ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে এমন একটা কুলাঙ্গার আমার ছেলে।
খাইয়ে পরিয়ে এমন নিকৃষ্ট মনের জানুয়ারকে বড় করেছি।
রিমন:আব্বু তুমি কি বলছো কিছুই তো বুঝতে পারছি না।কি করলাম আমি।
এখন সাধু সাজা হচ্ছে? আজ মিথিলা এসেছিলো।আর একটু দেরি করলেই তো কতো বড় একটা অঘটন ঘটে যেতো।
আব্বুর মুখে মিথিলা নাম টা শুনতেই বুঝে গেলাম আব্বুর কোনোকিছু জানতে বাকি নেই।তাই চুপ করে গেলাম।
আব্বু:শুনে রাখো কালই তুমার আর মিথিলার বিয়ে হবে।আমি আজই মিথিলার বাবার সাথে কথা বলবো।
রিমন:কিন্তু আব্বু,,,,,,,
আব্বু:কোনো কিন্তু না আমি যা বলেছি তাই হবে আর শিনে রাখো আমার কথার অবাধ্য হলে আমি ভুলেই যাবো আমার কোনো ছেলে ছিলো।কথাটা মনে থাকে যেন।
রিমন:মিথিলাকে বিয়ে করতে হবে ভাবতেই চোখে জল চলে আসছে।তাইলে মিলির কি হবে।মিলিকে রেখে শেষ পর্যন্ত একটা বিশ্বাস ঘাতক নষ্টা মেয়েকে বিয়ে করতে হবে যে কি না আমার কলিজায় আঘাত করেছে।যার জন্য,,,,,,,,,,
.
.
চলবে,,,,,,,,,,

নষ্টা মেয়ে

পর্ব ৬
.
.
মিলিকে রেখে শেষে কি না ওই বিশ্বাস ঘাতককে বিয়ে করতে হবে যে কি না আমার কলিজাকে শত টুকরো করেছে।
চোখের সামনে ভাইয়ের করুন আর্তনাদ ভেসে আসছে।
আজও না মরে বেঁচে আছে।প্রতি দিনই মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছেআর আমিই কি না শেই বিশ্বাস ঘাতককে বিয়ে করে সুখি হবো।না এটা হতে পারে না।
ওকে আরো কষ্ট ভোগ করার আছে।যত দিন ওকে পুরোপুরি কষ্ট দিতে না পারছি আমার শান্তি নেই।
এখনি আব্বুকে বলতে হবে আমি এই বিয়ে করতে পারবো না।তাতে যা হয় হবে তবুও না।
আমি:আব্বু আমি এই বিয়ে করতে পারবো না।আমি মিলিকেই বিয়ে করবো।
কি বললি তুই এই বিয়ে তোকে করতেই হবে।একটা মেয়ের সর্বনাশ করার সময় মনে ছিলো না।সমাজে আমার একটা মান সম্মান আছে।আর মেয়েটা কেও আমাদের ভালো লেগেছে।
এই মেয়েকেই বিয়ে করতে হবে নয়তো এই বাড়ির ভাত তোর জন্য বন্ধ।আর ভুল করেও যদি অন্য কাউকে বিয়ের কথাও ভাবিস তো,, তোর মা আর আমি একি দড়িতে ঝুলে পড়বো তখন কেউ বাধা দেবে না।
আমি মিথিলার বাবার সাথে কথা বলে এসেছি আজ রাতেই বিয়ে হবে।শুধু আমি আর তোর মা যাবে চাইলে কোনো বন্ধুকে সাথে নিতে পারিস।সময় আজ রাত মনে থাকে যেন।
আব্বু আম্মুকে কিভাবে বোঝায় ওই দুচরিত্রা মেয়েকে বিয়ে করলে আমার জীবনটাই শেষ হয়ে যাবে।
কিন্তু কিছুই করার নেই আব্বু আম্মু কথার অবাধ্য হলে চির তরে আব্বু আম্মুকে হারাতে হবে।আব্বু আম্মুকে নয় শাস্তি পাবে ও।বিয়ে করে ওকে তিলে তিলে শাস্তি দেবো।
সে রাতেই বিয়েটা হলো ঘরোয়া ভাবে কেউই নেই আমরা ছাড়া।না বেজেছে কোনো সানাই না হয়েছে কোনো আয়োজন।সাক্ষি আর কাজির উপস্হিতিতে বিয়ে হয়ে গেল।
মেয়েরা বিয়েতে অনেক কান্না করে কিন্তু মিথিলার চোখে সামান্যতম জলও ছিলো না।না বিয়ের আসনে না নিয়ে আসার সময়।হয়তো নিজে বিয়ে করে জিতে গেছে ভেবে কান্না পায়নি।
কিন্তু বিয়েটা হলেও জিতবো আমি।ও তো আর জানে না ওর জন্য কি অপেক্ষা করছে।
ওহ এতো কিছু ভাবতে পারছি না মাথাটা ব্যাথা করছে।বন্ধুদের সাথে বেশ কয়েকবার নেশা করেছি তবে নেশার জন্য না বন্ধুদের আবদারে।
সখের বসে এক বোতল আলমারিতেও লুকিয়ে রেখেছিলাম কিন্তু বাসাই খাওয়ার সাহস হয়নি।তবে আজ সাহস করে বোতলটা নিয়ে ছাদে বসে আসি।খাবো কি খাবো না ভেবে পাচ্ছি না।
তবে ওই ছলনা ময়ী নারীর কথা ভাবতেই পুরো বোতল উপুড় করে সাবার করে দিলাম।আর একটু পেলে নেশাটা জমতো।
ঘড়িতে এখন রাত তিনটা।কিছুক্ষন বাদেই আজান দেবে আর থাকা ঠিক হবে না।
ডুলতে ডুলতে রুমের দরজাই কড়া নাড়তেই নষ্টা মেয়ের মুখ মেজাজটা বিগড়ে যাচ্ছে।সেদিনের মতো আজও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলাম।তবে আজ কান্না করছে না হয়তো কান্না করতে ভুলে গেছে।বোতলটা পড়ে গিয়ে ভেঙে গেল।
মিথিলার পড়ে যাওয়াতে কষ্ট না পেলেও বোতলটা ভাঙাই কষ্ট পেলাম।মিথিলা বেশ কয়েকবার পায়ে ধরে সালাম করতে চেয়েছে কিন্তু প্রতিবারেই আমার লাথির কাছে ব্যার্থ হয়েছে।ওসব ন্যাকামো ভালো লাগে না।
মিথিলা:তুমি এখন আমার স্বামি আর প্রতিটা স্ত্রীর অধিকার আছে তার স্বামিকে ছুয়ে দেখার।
কে তোর স্বামি? আমি তোকে স্ত্রী বলে মানি না।তোর মতো নষ্টা মেয়ের টাকাই পাওয়া যায়।আমাকে এতো বিয়ের স্বাদ কেন তোর এই টাকার জন্য।
স্বামি আর স্ত্রীর পবিত্র সম্পর্কটাকে টাকার কথা বলে অপবিত্র করো না।আমার টাকা চায় না তোমাকে চায়।বলে জড়িয়ে ধরলো।
মিথিলাকে হেচকা টানে বিছানায় ফেলে দিলাম।
আমাকে তো পেয়েছিলি অনেক বার তাতে স্বাদ মিটেনি পারমানেন্টলি পাওয়ার কি আছে।
তবে এটা সিনেমা না যে তোকে স্ত্রী বলে মানি না বলে ছুয়ে দেখবো না।রাত এখনো বাকি আছে তোর বিবস্ত্র শরীরটাকে প্রতি রাতে ছিড়ে খাবো।বলেই মিথিলার উপর ঝাপিয়ে পড়লো।
অন্য দিন ভালো বাসার পরশ থাকলেও আজ শুধু কামুকতা।পুরোটা শরীর কামুকতার শিকার।একটা মাংস পিণ্ডের মতো ব্যবহার করছে।
মিথিলার পুরোটা শরীর ব্যাথায় অবশ হয়ে আসছে তবুও আজ বাধা দেওয়ার সাহস নেই।দম বন্ধ হয়ে আসছে তবুও বাধা দিচ্ছে না।শুধু চোখ দুটোই নিজের কন্ট্রলে আছে।মনের সুখে কান্না করতে পারছে বাধা দেওয়ার কেউ নেই।
ক্লান্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত চললো কাগজ কলমে লিখে আনা বৈধ ধর্ষন।যার অস্তিত্ব টের পেয়েছে রাতের অন্ধকার।
রিমন ক্লান্ত হয়ে দিব্বি ঘুমাচ্ছে।কিন্তু মিথিলার চোখে ঘুম নেই।দুটি চোখ এক করতেই ভালোবাসা আর ধর্ষনের মধ্যে ভাবতে মন চাচ্ছে।
সেদিনের মতো আজো মনে হচ্ছে এই শরীর টাই তার সম্বল।এটার প্রেমেই পড়েছে রিমন।তার মনকে ছুয়ে দেখেনি,, কতো ভারোবাসা লুকিয়ে আছে তার জন্য।
তাহলে এই শরীর টা যখন শেষ হয়ে যাবে তখন কি হবে।রিমনকে তখন কি দেবো।ওর তো মন না দেহ চায়।
ভাবতে ভাবতেই আযান দিয়ে দিলো।গোসল সেরে নামাজটা পড়ে নিলো।মনের কষ্ট এক মাত্র তিনিই বোঝেন।আর নামাজ পড়লে মনে শান্তি লাগে।এই সংস্বারে টিকে থাকতে হলে মনের শান্তি আর ধৈর্য লাগবে যেটা নামাজের মাধ্যমেই পাওয়া যায়।
যাক এবার অনেকটা ভালোলাগছে তবে দেহে নখের আচড়ে বেশ ব্যাথা হয়েছে।তাতে কি নিজের স্বামির আচড়ের ব্যাথা কষ্টের হলেও পরম পাওয়া।তবে একটা কথা কিছুতেই মাথায় ডুকছে না রিমনের এতোটা বদলে যাওয়ার কারন কি।আর বিয়ের পরও এমন নোংড়া কথা বলছে কেন?
আজ ঘুম থেকে উটলেই জানতে হবে কি এমন করেছি যার জন্য আমাকে সহ্য করতে পারছে না।আমার ব্যাথাতে ও সুখ পাচ্ছে।আজ যে করেই হোক সত্যটা জানতেই হবে।
তবে তার আগে আম্মুর সাথে কাজে সাহায্য করি নতুন বউ,,তো কি হয়েছে।
রান্না ঘরে গিয়ে দেখি শাশুড়ি আম্মু রান্নাই ব্যস্ত।আমি কাজে হাত লাগাতেই,, করো কি করো কি নতুন বউ কাজ করছে জানলে তোমার শ্বশুর আব্বু রেগে জাবেন।
তবুও আমার জোরাজুরিতে হার মেনে নিলো।শুধু নিজের হাতে চা বানিয়েছি।
শ্বশুর আব্বুকে দিতেই অনেক খুশি হলেন।বেশ প্রশংসা করলেন চায়ের।
চা নিয়ে রিমনকে ডেকে উঠাতে বলে দিলেন।আমিও চা হাতে রুমে ফিরে এলাম।
রিমন এখনো বেঘরে ঘুমাচ্ছে।ঘুমাবে
না কেন কাল রাতেতো আর কম পরিশ্রম যায়নি।
বেশ কয়েকবার ডাক দিতেই ঘুম ভেঙে গেল।প্রথমে ভেবেছিলা আম্মু কিন্তু পরেক্ষনে আমি বুজতে পেরেই সজরে চড় বসিয়ে দিলো।
পড়ে যেতেও সাপোর্ট পেয়ে দাড়িয়ে গেলাম।
আব্বু তুমাকে চা দিতে বলেছিলো তাই ডাক দিলাম।
ও তাই নাকি এক দিনেই আব্বু হয়ে গেল।তো কি চা নিয়ে এসেছিস দে।এক চুমুক খেয়েই এটা কি চা বলেই মুখের দিকে ছুড়ে দিলো।গরম চা গায়ে লাগতেই বাবাগো বলে চিৎকার দিয়ে উঠলো।
আব্বু আম্মুও চিৎকার শুনে উপরে উঠে এলো।এই অবস্হা দেখে আব্বু রিমনের দিকে তাকিয়েই রিমন বলে চিৎকার দিয়ে উঠলো,,,,,,,
.
.
চলবে,,,,,,

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ