পর্দাশীল মেয়ের ভালোবাসা
part = 9+10
এটা বলেই পিছলে ঘুরে হাটতে লাগলাম। আর রুহি পিছন থেকে আমার পান্জাবি ধরে চান দিয়ে আমাকে জরিয়ে ধরলো। কিছুখন পর আমি রুহিকে কুলে তুলে নিয়ে হাটতে লাগলাম।
আরে আল্লাহ তুমি রুহিকে এতো ভারি কেন বানাইছো। 🙊
রুহি : এইইইই? কিইই বললি?😡
মনে হয় রুহি সব শুনে ফেলছে। একটু আস্তে বলার দরকার ছিলো। 🙊
রুহি রাগে আগুন হয়ে গেলো আর বললো
রুহি: আমাকে নামা?
আমি তো চোখ, কান বন্ধ করে হাটতে লাগলাম। আর লুহি আমাকে কিল_ঘুসি দিয়ে আমারে আধা মরা বানিয়ে দিলো। অবশেষে সাদে এসে রুহিকে নামিয়ে দিলাম। রুহি অভিমান করে সাদের এক কোনায় গিয়ে দারিয়ে আছে।
আমি কি করবো কিছুই বুজছি না। ওর রাগ ভাঙ্গানোর কোনো ওপায় ও পাচ্ছি না তাই রুহির কাছে গিয়ে রুহিকে পিছনদিক থেকে জরিয়ে ধরলাম। আর রুহি আমাকে ঝারা দিয়ে সারাতে চেষ্টা করলো কিন্তু আমি মাটিতে পরে গেলাম। ( ইচ্ছা করেই মাটিতে পরেছি) 😁
রুহি এবার আমার কাছে এসে আমাকে ওঠিয়ে ছাদের ঝোলনাতে বসালো।
রুহি: ohh so sorry. আমি বুজতে পারি নাই তুমি পরে যাবে।
আমি :.......... ( আমি চুপ করে রইলাম, একটু নাটক না করলে কি হয়)
রুহি: কি হয়েছে কথা বলো।
আমি:........?
রুহি : sorry বললাম তো?
আমি: তো কি হয়েছে?
রুহি : কথা বলো না কেন। আমি কি যেনে বুঝে তোমাকে ধাক্কা দিয়েছি নাকি।
আমি: আমি এতো কিছু জানি না। আমি কিন্তুু প্রচুর ব্যাথা পেয়েছি।( ডাহা মিথ্যা কথা)
রুহি : তুমি বসো আমি মলম নিয়ে আসছি? ( এই বলে রুহি মলম আনতে যাবে আর আমি রুহির হাত ধরে ফেলি)
আমি: আরে কোথায় যাচ্ছো?
রুহি : কেন? মলম আনতে।
আমি: মলম তো তোমার কাছেই আছে আবার আনার কি দরকার?
রুহি:যা ফাজিল?
আমি: আমাকে ফাজিল বললা কেন? আমি কি করছি তোমার সাথে?
রুহি: কিছু না।
আমি : বসো দারিয়ে আছো কেন।
রুহি: সরো বসতে দেও।
আমি: হ্যাঁ
আমি একটু চেপে রুহিকে বসতে দিলাম। রুহি আমার কাধে মাথা রেখে আসমানে চেয়ে আছে আর আমি রুহি দিকে। রুহি যখন আমার দিকে তাকায় তখন আমি আসমানে তাকায় আর রুহি যখন আসমানে তাকায় তখন আমি রুহির দিকে তাকাই। আমার এই লুকুচুরিতে অনেক সময় পার হয়ে গেলো।
আমি তো ঘুমে পরে যাচ্ছি তখনি
রুহি: কি হলো?
আমি: আমার প্রচুর ঘুম পাচ্ছে।
রুহি: আচ্ছা চলো।
আমি: চলো।
রুহি: এইইই চলো মানে কি।
আমি: ও বুঝজি আবার কুলে নিতে হবে তাই না।
রুহি: hmm good boy.
আমি: হ্যাঁ জানি। তোমার কথা মানলে ভালো না মানলে খারাপ।
রুহি: খারাপ না।
আমি: তাহলে কি ভালো।
রুহি : না। শুধু খারাপ না। আমার কথা না মানলে এমন মাইর দিমু এমন মাইর দিমু যে তুমি ( রুহিকে থামিয়ে )
আমি : হয়ছে আর বলতে হবে না।
রুহি : তাহলে বুঝজো তো।
আমি: হ্যাঁ সব বুঝজি আর ভালো মতো বুঝজি। এবার কলে নিবো।
রুহি : হায় আল্লাহ আমি কি মানা করছি নাকি।
আমি: এটা কি কেও মানা করে নাকি?
রুহি: এইইই কি বললা।
আমি : না কিছু না।
রুহিকে কুলে করে রুমে নিয়ে গেলাম। তারপর আমর কিছু জানি না আমি তো ঘুমের দেশে চলে গেছি।
সকালে থুক্কু সকালে না, ভোর রাতে রুহি ঘুম থেকে ওঠিয়ে দিলো ফজরের নামাজের জন্য। আমি বললাম কাল থেকে পরবো এর জন্য রাগে একটা থাপ্পড় ও খেতে হয়েছে সকাল সকাল। নামাজ পরার পর বাড়িতে এসেই আবার ঘুম।
আবারো ঘুমের মধ্যে কে যেনো মুখে সুরসুরি দিচ্ছে। প্রচুর বিরক্ত হয়ে রাগের মাথায় বললাম
আমি: এই কুত্তা সর এখন থেকে? ( চোখ খুলে দেখি রুহি ওর ভিজে চুল দিয়ে আমার ঘুম ভাঙ্গানোর চেষ্টা করছিলো। কিন্তুু আল্লাহ আমি এসব কি বলে ফেললাম )
রুহি : কি বললি আবার বল তো??
আমি:.... রু... রু.....রুহি...তুমি।
রুহি: কি বললি এখন আবার বলতে বলছি?
আমি: না কিছু না।
রুহি: তুই এভাবে বলবি না রাখ আজ তোর একদিন কি আমার এক দিন।
আমি তো দৌড় একবারে বাথরুমে চলে গেলাম। fresh হয়ে বের হবো তখন আবার রুহির কথা মনে পরলো বাইরে গেলে তো বিপদ না গেলে ও বিপদ।কি করি এখন
হালকা করে দরজাটা খুলে দেখি রুহি আছি কিনা, দেখলাম নাই। বাথরুম থেকে বের হয়ে খুসিতে নাচতে লাগলাম আর এমন সময় কে যেন আমার কাধে হাত রাখলো আমি তো পানি পানি হয়ে গেলাম। আসতে আসতে পিছনে ফিরলাম, সবার আগে রুহির হাতের দিকে তাকালাম কিছু আছে কিনা।
আল্লাহ রে রুহির হাতে ঝারু, আর রুহি বিলেন মারকা হাসি দিতাছে।
রুহি: তুই সকালের কথা ভুলে গেছোছ আমি ভুলি নাই।
আমি: জান তুমি এভাবে কথা বলছো কেন। আমি তোমার স্বামী।
রুহি: চুপ ! আর একটা কথা ও না।
আমি:........
রুহি: আজ তোর 3 বেলার খাবার বন্ধ।
আপনারা কি ভাবছেন শুধু খাবারি বন্ধ করছে আরে না সাথে 15 মিনিট ভাষন আর ধোলাই ঠিকই দিছে।
আমি আর ঘরে থেকে কি করবো খাবার বন্ধ কথা বন্ধ, বাইরে চলে গেলাম বাইরে থেকে বিরিয়ানী আমার ফেবারিট খাবার পেট ভরে খেয়ে রাত 10 টায় বাড়ি ফিরলাম। তারপর
রুহি: রাস্তায় কি কি খেয়েছো।
আমি: তুমি শাস্তি দিছো আর আমি তোমার শাস্তি অমান্য করতে পারি।
রুহি: তুমি সত্যি এখন পযর্ন্ত কিছুই খাও নাই।
আমি: না। {( আপনারা তো জানেন আমি কতো সত্য কথা বলছি)( কিন্তুু রুহিকে কিছু বলেন না কিন্তুু )}
রুহি: আচ্ছা তুমি বস আমি খাবার নিয়ে আসছি। নিজের হাতে খাইয়ে দিবো।
আমি:..... ( আল্লাহরে পরছি বিপদে হ্যাঁ করলে ও জালা না করলে ও জালা)
রুহি: কি হলো। কথা বলো.।
আমি: হ্যাঁ নিয়ে আসো। ( বলে তো দিলাম এখন এসব খাবো কোন পেটে মাএ তো বাইরে থেকে বিরিয়ানী গেয়ে আসলাম)
রুহি খাবার নিয়ে আসলো। দুই বার খেয়ে আর খেতে পারছি না। আর খেলে মনে হয় আমি শেষ।
রুহি: হা করো।
আমি: আর খাবো না হয়েছে।
রুহি : আরে এই কি দুইবার খেয়ে আর খাবে না।
আমি: আরে আমার পেট ভরে গেছে।
রুহি: মাএ দুই বার খাইয়া পেট কিভাবে ভরলো।
আমি: এতে তোমার প্রচুর ভালোবাসা আছে তো তাই পেট তারাতারি ভরে গেছে।
রুহি: চুপ! বকবক কম কর আর বল বাইরে থেকে কি খেয়ে এসেছিছ।
আমি: না মানে কিছু না।
রুহি: মিথ্যা কথা আমার একেবারে পছন্দ না। আর আমার সাথে মিথ্যা বললে তোর দাত ভেঙ্গে ফেলবো।
আমি: বেশি কিছু খাই নাই।
রুহি: কি খাইছোছ?
আমি: বিরিয়ানী।
রাগে রুহির দুচোখ লাল হয়ে গেছে, হাতে খাবারের পেলেট আছে তাই আমাকে কিছূ বলে নাই। তাই রাগে চলে গেলো।
আমি ঘুমিয়ে গেলাম, ঠিক 5 মিনিট পর আমার চেহারায় ঠান্ডা পানি মারলো। আমি পুরো অবাক।
রুহি: এখানে কি..........
চলবে............
part = 10
রাগে রুহির দুচোখ লাল হয়ে গেছে, হাতে খাবারের পেলেট আছে তাই আমাকে কিছূ বলে নাই। তাই রাগে চলে গেলো।
আমি ঘুমিয়ে গেলাম, ঠিক 5 মিনিট পর আমার চেহারায় ঠান্ডা পানি মারলো। আমি পুরো অবাক।
রুহি: এখানে কি? যা সর।😡
আমি : সরমু মানে।😦
রুহি: বাংলা কথা কি কম বুজোছ।
আমি: না কিন্তুু আমি কোথায় যাবো আর আমার ওপর পানি মারলা কেন।
রুহি: আমি মিথ্যাবাদীর সাথে থাকবো না।
আমি: তো তুমি ঘর থেকে বের হয়ে যাও। এটা আমার ঘর।😏
রুহি: কি বললি আবার বল তো।😠
আমি: না কিছু না।😔
রুহি: এখন যাবি নাকি? (রাগে আগুন হয়ে)😠😠
আমি: হুমমম। ( ওর সামনে থেকে সরে গেলাম না হলে বিপদ ছিলো)
যাক ফ্রেস হয়ে আবার ঘুমিয়ে গেলাম কিন্তুু ছোফায়। ঘুমানোর পর আমার আর হোস থাকে না।
সকালে ভালো মতো ঘুমাচ্ছি আর আল্লাহ............রে.........
চোখটা খেলে দেখি রুহি বালিশ দিয়ে আমাকে মারছে। 😭
আমি লাফ দিয়ে ওঠে পরলাম।
বাইরে আজান হচ্ছে মনে হয় ফজরের আজান চুপচাপ নামাজ পরতে চলে গেলাম। ( এভাবেই রুহি প্রচুর রাগ আর যদি নামাজে না যাই তাহলে আমার অবস্থা প্রচণ্ড খারাপ করে দিবো )
নামাজের পর বাসায় এসে আবার ঘুম।
9 টা বাজে ঘুম থেকে ওঠলাম আজ আমার প্রথম দিন অফিসে তাই সবার দোয়া নিয়ে চলে গেলাম।😚
কিন্তু রুহি আমার সাথে কোন কথা বলে না। 😭
5 টা বাজে কাজ থেকে ফিরে আসলাম, প্রথম দিন তাই তারাতারি চলে আসলাম।
ফ্রেস হয়ে খাবার টেবিলে বসলাম, কিন্তুু খাবার আর কেও দিচ্ছে না। যানি এখানে বসে থাকলে কেও কিছু দিবে না।
তাই চলে গেলাম এক বন্ধুর বাসায়, ওখানেই খেয়েছি। অনেক রাতে বাসায় ফিরলাম বন্ধু তো আসতে দিচ্ছে না কিন্তুু কাল অফিস আছে তাই জোর করে চলে আসলাম।
বাসায় এসে দরজা নক করলাম but কেও খুললো না।
ভাগ্য টা ভালো যে আমার কাছে একটা অতিরিক্ত চাবি আছে। দরজা খুলে ঘরে চলে গেলাম ডায়রেক নিজের রোমে গেলাম গিয়ে দেখি রুহি কান্না করছে।
আমি দরজার সামনে দারিয়ে থেকে ওর কান্না দেখছি।
আমি দরজা নক না করে ভিতরে চলে গেলাম আর রুহি আমাকে দেখে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আর তারাতারি করে চোখ মুছে ফেললো।
আমি ওর পাসে বসলাম আর কান ধরে sorry বললাম।
রুহি অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো
আমি রুহির হাত ধরে বললাম আমি আর কোন সময় তোমার সাথে মিথ্যে কথা বলবো না। তোমার কথা অমান্য করবো না।
রুহি আমার দিকে তাকিয়ে বললো আমি যেভাবে বলবো সেভাবে চলবা তো?
আমি : হ্যা চলবো।
রুহি: তাহলে শুনো এখন যাও আর আমার জন্য খাবার নিয়ে আসো। আমাকে নিজ হাতে খাইয়ে দিতে হবে।
আমি: তুমি কিছু খাও নাই।😧
রুহি: কাল রাত থেকে কিছুই খাই নাই।😔
আমি: কিইইইই? তোমার এতো রাগ করার দরকার কি?😡
রুহি : আছে প্রচুর দরকার আছে।
আমি : চুপ করো একদম একটা ও কথা বলবা না। 😠
রুহি : এইই তুমি আমাকে দমক দিলা কেন। তুমি কি ভুলে গেছো আমি যে তোমার থেকে বড়?😡
আমি: না, মনে আছে।
রুহি: তাহলে আমাকে কোন সাহসে রাগ দেখালা।😠😠😠
আমি: আচ্ছা sorry মাফ করো। মহারানী আপনে বসেন আমি খাবার নিয়ে আসতাছি।😉
রুহি: হুমম, এভাবেই কথা বলবা। আর যদি রাগ দেখাও, তা ও আমার সাথে তাহলে তোমার দাত ভেঙ্গে ফেলবো।😁
আমি : আচ্ছা ভালো মতো মনে রাখবো। এবার যাবো নাকি?
রুহি : হুমম যাও। আর তারাতারি আসবা কিন্তুু।
আমি : আমি কি এভারেস্ট জয় করতে যাচ্ছি যে তারাতারি আসবো। 🤔
রুমি : আবার আমার সাথে তর্ক করো তোমার সাহস তো কম না।😠😠
আমি দৌড় দিয়ে পালাইছি। পাগলটা কালকে থেকে কিছূ খায় নাই আর আমি কিছুই বুজলাম না। আবার ও যে এতো বকবক করে তার শক্তি পায় কোথা থেকে।
খাবার নিয়ে রোমে আসলাম।রুহির পাসে বসলাম,
রুমি: এইই আমারে কি গরু মনে হয়।🙀
আমি: কিইইই? তুমি তো আমার একমাএ আদরের বউ। 😚
রুহি : এতোগুলো খাবার আনছো কেন।
আমি: তো কি হয়েছে। কথা কম বলো আর হা করো।
রুহি : আমি এতো গুলো খাবো না।🤐
আমি : আগে হা করো তো। ( অর্ধেক খাওয়ার পর )
রুমি : আমি আর খাবো না।😣
আমি : আচ্ছা হা করো তো কথা কম বলো।
( জোর করে রুহির মুখে ভাত দিয়ে দিলাম। মুখে খাবার আছে তাই কিছু বলতে পারছে না। তারপর ও আমাকে নানান কথা বলছে but আমি কিছুই বুজছি না। রুহি মুখের খাবার শেষ করার আগেই আমি আবার জোর করে খাইয়ে দেই। খাবার খাচ্ছে রুহি কিন্তুু মজা তো আমার লাগছে)
রুহি : পানি !😣
আমি: এই নেও।
রুহি : আমি আর খাবো না।😖
আমি: আচ্ছা আর একবার খাও।
রুহি : না আর একবার ও খাবো না।😖
আমি: please খেয়ে নেও এটাই lest.
রুহি : এটা lest তো? 😕
আমি: হ্যা হ্যা । নেও? হা করো ( খাইয়ে দিলাম)
রুহি : দেও পানি দেও।
আমি: আর একবার খেয়ে নেও তারপর পানি দিবো।
রুহি: না তুমি বলছো ওইটা lest.😭
আমি: আচ্ছা এটাই শেষ।হা করো। ( খাইয়ে দিলাম )
রুহি: পানি দেও না?😭😭
আমি:........ আমি আর কিছু বলবো আর রুহি দৌড়, আমি ও ওর পিছে গেলাম। দেখি রুহি পানি খাবে আর তখনি আমি রুহির হাত ধরে টেবিলে বসিয়ে দিলাম।
রুহি: আমি আর খেতে পারবো না?😫
আমি : এটা খাও তারপর আমরা ছাদে যাবো।
রুহি : না আমি আর খাবোই না।😭😭😭
আমি: আচ্ছা কুলে করে নিয়ে যাবো।😉
রুহি : সত্যি তো☺
আমি : হ্যাঁ 100% সত্যি।😏
তারপর মহারানী সব খাবার শেষ করলো।
রুহির কপালে একটা পাপ্পি দিয়ে বললাম "good girl. "😍
আমি: চলো এবার ঘুমাই।
রুহি : কি বললা আবার বলো তো।😠😠😠
(আমি তো ভুলেই গেছিলাম যে রুহিকে নিয়ে ছাদে যেতে হবে তাও কুলে করে নিতে হবে। রুহির দিকে তাকিয়ে আমি ভয়ে কাপতে লাগলাম, কমরে দুই হাত দিয়ে রাগে লাল হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে)
আমি: আরে তুমি এভাবে মানে রাগ কেন?
রুহি : দারা তোর আজ খবর আছে।😠😠😠
( রুহির একবার রাগ ওঠলে তারপর আর রুহির হোস থাকে না)
আমি রুহিরে তারাতারি কুলে নিয়ে নিলাম ওর সরমে মাথে নিচু করে নিলো।
আমি: কি ব্যপার তুমি তো সরমে রংধনু হয়ে গেছো। 😁 ( দিলো একটা কিল)
রুহি : চুপ করো।😳
আমি: আচ্ছা আমি কি বোবা হয়ে থাকমু।
রুহি: কেন?🤔
আমি: আমি কথা বললেই তুমি শুধু শুধু মারতে থাকো। এতো মারলে আমি তো একদিন মরেই......
ঠাসসস
রুহি আমার কুলে তাই বেশি জোরে থাপ্পড় দিতে পারে নাই। যদি কুলে না থাকতো তাহলে তো হইছে কাম। আল্লাহ বাচাইছে।
রুহি: আমারে নামাও। 😡
আমি: কেন?😦
রুহি : আমি আর জীবনে তোর কুলে ওঠবো না। তোর সাথে কোন কথা ও নাই।😠
আমি: আরে তুমি যদি কথা না বলো তাহলে আমি বাচমু......😑( আল্লাহ রে আবার ও বলে ফেললাম নাকি)
রুহি: চুপপ....। আর আমাকে নামা ।😠😠😠
আমি: না।
রুহি: সাদে তো এসে পরেছি এখন নামা।😠😠😠
আমি : না। ( নামাইলে বিপদ/ না নামাইলে আপদ)😭
রুহি: তোরে আমার কছম নামা। 😠😠😠
আমি রুহিকে তারাতারি নামিয়ে দিলাম আর রুহি ও বেশি দেরি না করে খুব তারাতারি 500 বোল্ড এর গতিতে আমাকে
" ঠাসসসসসসসসসসহসস"
এমন জোরে মারছে যে আমি গালে ছয় আঙ্গুলের থুক্কু পাচ আঙ্গুলের দাগ বসে পরছে। তারপর রুহি পিছন দিকে ঘুরে দারিয়ে আছে। আমি কান্না কান্না শুরে
1
2
3
4
5
6
7 ......... কি মনে করছেন? গননা করছি না। কান ধরে ওঠবস করছি 😭
8
9
10
11
12
13..... { রুহি ( এই থাম, আমি কি তোরে কান ধরে ওঠবস করতে বলছি )}😱
আমি: সরি ভুলে বসে ফেলছি আর বলবো না।এটা বলেই রুহিকে জরিয়ে ধরছি। রুহি ও আমাকে জরিয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিয়েছে। আমি রুহিকে ছাদের টেবিলে বসালাম।
রুহি:....
চলবে...............

0 মন্তব্যসমূহ
গল্প গুলো কেমন লাগলো, আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।