পর্দাশীল মেয়ের ভালোবাসা
পর্ব-১১ শেষ
আমি: সরি ভুলে বসে ফেলছি আর বলবো না।এটা বলেই রুহিকে জরিয়ে ধরছি। রুহি ও আমাকে জরিয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিয়েছে। আমি রুহিকে ছাদের টেবিলে বসালাম।
রুহি: তোমার কিছু হলে আমার কি হবে।
আমি: আচ্ছা এবার বাদ দেও না এসব।
রুহি: বাদ দিবো মানে?
আমি: আর মরার কথা বলবো না।
রুহি : মাফ করবো কিন্তুু কিছু শর্ত আছে?
আমি: আবার কি শর্ত?
রুহি: আমার সাথে কোন ধরনের মিথ্যা কথা বলা যাবে। মিথ্যা কথা আমার একেবারেই ভালো লাগে না।
আমি: আচ্ছা মনে থাকবে।
এভাবেই আল্লাহর অশেষ রহমতে দিন কাটতে লাগলো। দেখতে দেখতে 4 টা বছর পার হয়ে গেলো।
কিন্তুু এখনো রুহি বাচ্চাদের মতো কাজকর্ম করে। কিছু কিছু কাজ আমাকে বাধ্যতামূলক ভাবে করতে হয় তা না করলে রুহি আমার সাথে কথা বলে না।
যেমন : 1)5 ওয়াক্ত নামাজ পরতে হবেই। না পরলে কথা বন্ধ।
2) রাস্তায় মধ্যে বেশি আড্ডা দেওয়া রুহির পছন্দ না। তাও বাদ।
3)প্রতিদিন রাতে রুহিকে নিজের হাতে খাইয়ে দিতে হবে। না হলে রাগ।
4) অফিস থেকে বাসায় আসতে দেরি হলে 20 মিনিট দরজার বাইরে দারিয়ে থাকতে হবে। আর বসে থাকার ও কোন সুযোগ নাই কারন রুহি বারান্দায় দারিয়ে আমাকে পাহারা দেয়।
5)প্রতিদিন সাকালে আর রাতে 2 করে পাপ্পি দিতে হবেই। সবসময় ওর কথা মানতে হবে। মাসে একবার ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে। ইত্যাদি।
আরে একটা কথা বলতে তো ভুলেই গেছি গত 4 বছরের মধ্যে আমাদের একটা মেয়ে ও আছে। আমার আর রুহির মধ্যে সবসময় একটা কথা নিয়ে ঝগরা হয় আর তা হলো আমাদের মেয়েটাকে কে বেশি ভালোবাসে।
সত্যি বলতে গেলে রুহি একটা পাগলি আর আমি ওর পাগল। আমাদের জন্য দোয়া করবেন যাতে আমরা সারাজীবন একসাথে থাকতে পারি।
❤[( সমাপ্ত)]❤
পুরো গল্প টা কেমন হয়েছে তা অবশ্যই জানাবেন।পাসে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার পরের গল্পের জন্য অপেক্ষা করেন। গল্পের মধ্যে কোন ভুল বা বানানে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। গল্পের মধ্যে বলা কোনো কথা খারাপ লাগলে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
www.golpobook.tk

0 মন্তব্যসমূহ
গল্প গুলো কেমন লাগলো, আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।