মামাতো বোন
পর্ব-৬
মেয়েরা তো জন্মেই অন্যের সংসার করার জন্য। আর আপনার বিয়েতে আমি কেন মন খারাপ করবো?😨আমার সব থেকে কাছের মানুষ আপনি। আমি তো অনেক আনন্দ করবো☺।(কথাটা বলতে ভিতর ফেটে যাচ্ছে😢। নিরূপায় হয়ে বলতে হচ্ছে)
মুনঃ (তুই এখনো চাপা স্বভাবের রয়ে গেলি।জানি তুই অনেক কষ্ট পাইছিস😰। নিজের মধ্যে কষ্ট রেখে হাসি মুখে কতো কথাই না বলছিস😰) হুম।খেয়েনে।☺
আশিকঃ আচ্ছা মুন কে অন্য কারো সাথে কি সত্যি আমি সহ্য করতে পারবো😞?
না।পারবো না। না পারলেও বা কি করার আছে।😞আমার তো ওর কাছে যাওয়ার কোন যোগ্যতা নেই। শুধু দুর থেকে ভালোবাসা ছাড়া। কোনদিনই জানানো হবে না কতোটা ভালোবাসি তাকে।😢😢। কালকের মুন আর এখনকার মুনের মধ্যে কতোটা ফারাক তৈরি হয়েছে। এটাই নিয়তির খেলা। (চোখের কোণে জল খেলা করছে।পরবে পরবে বলেও পরছে না।)
মুনঃ জানি তুই আমাকে ভালোবাসিস।তোর চোখ বলছে।কিন্তু তুই মুখে কিছুই বলছিস না। প্লিজ একবার বল ভালোবাসি। আমি শুধু তোরই, আমাকে শুধু তুই পাবি। প্লিজ বল ভালোবাসি।😰😢
।
দুজনে চোখে চোখে কথা বলছে।কিন্তু মুখ ফুটে কেউ বলতে পারছে।একটা জড়তা কাজ করছে তাদের ।দুজনের ভাবনা বিপরীত। তাই হয়তো জড়তা বেশি ডিস্টেন্স করে ফেলছে।
.
.
আশিকঃ আমি এখন আসি।
মুনঃ যাবি? আচ্ছা যা।মনোযোগ দিয়ে কাজ করিস😩😞। মামাতো বোনের অফিস বলে ফাঁকি দিবি না কিন্তু।😂
আশিকঃ হুম। আমি আগেও নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেছি। এখনো করি☺😃।
মুনঃ সেটা তো দেখতেই পাচ্ছি কেমন দায়িত্ববান।(এখনো নিজের মনের কথা বলতে পারিস না।তাতে খুব দায়িত্ববান😕 )
আশিকঃ হুম।এখন যাচ্ছি।
মুনঃ হুম যা।
.
.
আশিকঃসবাই এতো অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে কেন😱?প্যান্টের চেইন ও তো লাগা। ইশরে দেখতে দেখতে ৩০ মিনিট⌚ চলে গেছে বুঝতেই পারিনি। এখন তো সবাই মজা করবে আমাকে নিয়ে।😒
শফিকঃ ভাই ৩২মি.২৫ সেকেন্ড।আমার ধারনাটি তো পুরোই ভুল।ভালো😉😉... চালিয়ে যান।
আশিকঃ কি যে বলেননা। একটু গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল তাই লেট হলো।😄
শফিকঃ প্রেমে পরলে সব কাজই গুরুত্বপূর্ণ।😁😂
আশিকঃ ভাই কাজ করেন তো।শুধু শুধু জ্বালাচ্ছেন।😨😨
শফিকঃ হ্যাঁ ভাই একটু আপনার থেকে শিখতে চাচ্ছি।তাই একটু জ্বালাচ্ছি😊। আমি পুরো ৪ মাস ধরে ঘুরতাছি। কোন কাজই হচ্ছে না।আর আপনি ২ দিনেই কেমনে সম্ভব?😱😮
আশিকঃ আগে মনটা ফ্রেশ করেন।হাবিজাবি না ভেবে কাজ করুন।😃
পিয়নঃ স্যার আপনাকে ডাকছে।
আশিকঃ (অবাক হয়ে) 😱তাকিয়ে দেখলাম আমাকে না শফিক ভাইকে। ভাই এতো কি দোয়া পড়ছেন?😁😀বাঘের কাছে যাচ্ছেন নাকি?
শফিকঃ ঠিকই বলেছেন ভাই।😒আজ মনে হয় আমার অবস্থা শেষ।😨
আশিকঃ কেন?😱
শফিকঃ যদি বেঁচে থাকি তাহলে বলবো।এখন যাই😰।
আশিকঃ এর আবার কি হলো?সকালে রাগিণী বলল মুনকে, আর এখন ভয়ে শেষ। বেচারার মুখটা দেখার মতো ছিল।😂
.
.
শফিকঃ না জানি আজ কোন সুনামি বইবে আমার উপর।কাল যত রেগে গেছিল, আজ যে কি হয়😰।আসবো ম্যাডাম?😳
মুনঃ হুম আসেন।ফাইল রেডি?😡
শফিকঃ হুম।এই নিন।
মুনঃ রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে ফাইল নিয়ে দেখতে লাগলো।😠
শফিকঃ আমি তো শেষ।যেভাবে তাকিয়ে আছে।আল্লাহ বাচাও মোরে।😨
মুনঃ এই টা কি?(রেগে)😠
শফিকঃ (আরে এইটা এখানে কেমনে আসলো।চিঠিটা তো কেবিনে রেখে আসছিলাম। কিন্তু.. ) আসলে ম্যা’ম.😞
মুনঃ এটা প্রেম করার জায়গা? মনোযোগ দিয়ে কাজ করবেন।প্রেম করতে হলে বাইরে গিয়ে করবেন। এখানে কোন এক্সকিউজ দেখাবেন না😠😠।কাজের সময় অযথা গল্প করে সময় নষ্ট করবেন না। আউটট।(রেগে)😠
শফিকঃ জ্বী ম্যাম।(উফফ বাঁচলাম একটুর জন্য কলিজা ছিরে বের হয়ে যাইতো।)😞
মিলিঃ উফফফ। দেখে চলতে পারেননা?চোখ কি বাসায় রেখে আসছেন।😡😬
শফিকঃ হার্টবিট এতো 💓লাফাই ক্যারে। সরি দেখতে পাইনি😒।আসলে ম্যাডামের রুম থেকে আসলাম তো।
.
শফিক ঘেমে শেষ।একে তো, ম্যাডামের ঝাড়ি খেয়ে,দুই তার ক্রাশের সাথে প্রথম কথা বলাতে। ৪মাস থেকে তার পিছনে ঘুরছে।কিন্তু একবারও কথা বলা হয়নি।
.
মিলিঃ আপনি তো ঘেমে ভিজে যাচ্ছেন।দেখি,(টিস্যু দিয়ে মুছে দিলাম)
শফিকঃ প্রতিটি ছোঁয়ায় আমি কেপে উঠছি। মনে হচ্ছে কারেন্ট বইয়ে যাচ্ছে শরীরের ভিতর দিয়ে।অসম্ভব ভালোলাগা কাজ করছে।☺
(দৌড়ে আশিকের কাছে চলে আসলাম।)
.
মিলিঃ পালিয়ে গেল কেন😲? আমি তো শুধু উপকার করতে আসলাম। সাহস তো নেই কথা বলার।কাছে আসতেই পালিয়ে গেল। শুধু শুধু তাকিয়ে থাকতে পারে।ছেলেদের মাথায় বুদ্ধি যে আসবে কবে?😠
আশিকঃ কি হলো ভাই হাঁপাচ্ছেন কেন?😱😱
শফিকঃ ভাই আগে আমার কথার উত্তর দেন। আপনি যখন ম্যাডামের কাছে থাকেন তখন আপনার ফিলিংস কি রকম হয়।😨(হাফাতে হাফাতে)
আশিকঃ মানে?😮
শফিকঃ আরে ভাই তখন কি কি হয়?মানে আপনার হার্টবিট কি স্থির থাকে?😑
আশিকঃ হ্যাঁ কেন?😱
শফিকঃ ওও। ভাই কি যে বলবো মিলি আমার কাছে আসতেই আমার হার্টবিট এতো স্পিডে উঠানামা করছিল মনে হয় বেরিয়ে যাবে।😧😧
আশিকঃ বুঝছি প্রেমে পড়ার লক্ষণ।😂
শফিকঃ প্রেমে তো আগেই পরছি।কিন্তু আজ এভাবে,, কিভাবে যে বলি।😕😕
আশিকঃ ভাই প্রথম প্রথম এমনি হয়।পরে ঠিক হয়ে যাবে।😂
শফিকঃ আপনারো কি তাই হইছিলো?😦😦
আশিকঃ কথা শুনে হার্টবিট উঠানামা করছে। ভাই বাদদিন এসব। আগে ট্রিট দেন।😂
শফিকঃ দিবো ভাই। তার আগে আমার একটা কাজ করে দিতে হবে।
আশিকঃ কি?😱
শফিকঃ না মানে মিলির সাথে..☺
আশিকঃ আচ্ছা সমস্যা নেই। আমি থাকতে চিন্তা করার দরকার নাই। দিনক্ষণ দেখে বলে দিবেন ব্যাস।😂
শফিকঃ হুম ভাই। আপনি কিন্তু আমার সাথে থাকবেন।এটাই প্রথম ভাই।😩
আশিকঃ ঠিক আছে।(বেচারা পুরোই শেষ। আমার টা যে কবে হবে।হঠাৎ মুনের বলা কথা গুলো মনে পরলো।আমাদের কখনো হবে না। কোথায় সে,আর কোথায় আমি)😰😰
.
.
মুনঃ এতো মনোযোগ দিয়ে কাজ করার কি আছে? আমাকে একটুও মনে পরে না নাকি ওর😡? লান্সটাইম শেষ হতে লাগলো তারপরও মুখটা কম্পিউটার থেকে সরানোর কোন লক্ষণ দেখছি না।ফোন দিবো?না থাক ডেকে নিয়ে যাবো।😞
.
শফিকঃ কি ভাই খাওয়ার ইচ্ছা নাই, নাকি ম্যা’মের জন্য অপেক্ষা করছেন?😂
আশিকঃ মানে?😱
শফিকঃ টাইম দেখেন।⌚
আশিকঃ এইরে সারছে। খেয়ালই ছিল না লান্সের সময় হয়ছে। আগে বলবেন তো।😡
শফিকঃ ভাবলাম আপনাকে আর না জ্বালায়। এমনি তেই আমাদের ম্যাডা....(ইনি এখানে কি করছেন)😶😶
আশিকঃ আপনি এখানে?😱
মুনঃ কয়টা বাজে খেয়াল আছে?😡
আশিকঃ হ্যাঁ মানে....😞
মুনঃ চুপ।তুই কি এখনো বাচ্চা।আয় আমার সাথে।(টেনে নিয়ে যাচ্ছি)😠
আশিকঃ আরে আস্তে টানেন। পড়ে যাবো তো।😩
মুনঃ একটা কথাও বলবি না।😠
.
শফিকঃ কি হলো এটা?ম্যাডাম তুইতুইতোকারি বলছে কেন? তাহলে কি আমার ভাবনা টা ভুল ছিলো? উনারা কি আগে থেকেই চিনতো।নাহ আশিক সাহেব তো ওনাকে ভালোবাসে আমি নিশ্চিত।😨
ভাবতে ভাবতে মিলি কেবিনে চলে আসলো।
মিলিঃ কি ভাবছেন।😄
শফিকঃ (ঘাবড়ে গেলাম।হার্টবিট লাফাতে লাগলো।কেন যে মিলি আসলেই এসব হয় বুঝতে পারছি না)। কিছু না তো।😢
মিলিঃ হুম না ভাবাই ভালো। লান্স করছেন।😊
শফিকঃ হুম আপনি?😅
মিলিঃ আমিও করছি। আচ্ছা যাওয়ার সময় একটু দেখা করবেন কেমন।😊
শফিকঃ কেন?😱
মিলিঃ যা বললাম তাই করবেন।(রেগে)😠
শফিকঃ হুম।রাগলে এতো সুন্দর আর কিউট লাগে মিলিকে না দেখে বোঝায় যায় না।আচ্ছা মিলিকি আমাকে সুযোগ দিচ্ছে😧।নাহ্ ওকে তো এখনো কিছুই বলি নি।আর আজকেই প্রথম কথা হলো।ধুরর কাজ করি পরে দেখা হবে।😢
.
.
আশিকঃ এভাবে টেনে আনার কি দরকার ছিল😨?
মুনঃ তোর জন্য কখন থেকে অপেক্ষা করছি, তুই শুধু কাজই করে যাচ্ছিস।তোকে এতো কাজ করতে কে বলেছে?😠
আশিকঃ আপনাদের লাভের জন্য তো করি।😧😞
মুনঃ তোকে কিছু ভাবতে হবে না। কাল থেকে তুই অল্প কাজ করবি।😍
আশিকঃ কেন?(অবাক হয়ে)😱
মুনঃ আমি বললাম তাই।😡
আশিকঃ বেশি কাজ করলে তো আপনাদের সুবিধা। আর অল্প কাজ করলে তো দিনদিন অসলে পরিনতি হবো।😃
মুনঃ কে বলল তুই অল্প কাজ করবি।😶
আশিকঃ মানে?এখনি তো বললেন?😮
মুনঃ হ্যাঁ বলেছি। তবে তুই আমার সাথে থাকবি।😍
আশিকঃ কেন?😱
মুনঃ চুপ। যা বললাম তা-ই করবি।এখন শুরু কর।খুব ক্ষিদে পেয়েছে।😕😑
আশিকঃ হুম। এই মেয়েকে কিছুতেই বুঝতে পারি না।গিরগিটির মতো একটু পর পর রং বদলায়। এক্ষুনি কষ্ট দিবে আবার এক্ষুনি ভালোবাসা। এতো চেঞ্জ কিভাবে হয় মানুষ।আগে তো এমন ছিলো না।
মুনঃ কি ভাবছিস?খাইয়ে দিতে হবে নাকি এখানেও।(মুচকি হেসে)😃
আশিকঃ না কিছু না। খাচ্ছি তো।😨
মুনঃ (তোকে যতো দেখছি তত তোর মায়ায় পড়ে যাচ্ছি। বিশেষ করে তোর ঠোঁটের কোণে এক চিলতি মুচকি হাসি। এই হাসির প্রেমে বারবার পরতে ইচ্ছে করছে।😍 এই হাসি দিয়েই প্রথম আমাকে ইমপ্রেস করেছিলি।)
একটা কথা বলবো?
আশিকঃ হ্যাঁ বলেন।😲
মুনঃ তোর কি কোন গফ আছে?😕
আশিকঃ মানে?হঠাৎ এই প্রশ্নে😞।
মুনঃ যা বলছি তার উত্তর দে।ঠিক ঠাক উত্তর চাই কিন্তু।😠
আশিকঃ প্রেম করি কিনা জানিনা। তবে হ্যাঁ একজনকে ভালোবাসি।নিজের থেকে অনেক অনেক বেশি।জানিনা সে আমায় ভালোবাসে কি-না।তবে আমি তাকে ভালোবেসে যাবো। শুধু তাকেই ভালোবেসে জীবন পাড় করে দিবো।😍(মুনের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বলে ফেললাম)
মুনঃ কে সেই ভাগ্যবতী?যাকে এতো ভালোবাসিস😂?(এবার তো বল। আর কতো চুপ করে থাকবি। একবার বলেই দেখ তোকে কত্তো ভালোবাসা দিবো)
আশিকঃ আছে কেউ একজন।😞
মুনঃ বেশি দেরি করিস না আবার।না হলে তাকে হারাবি।😕
আশিকঃ (মুচকি হেসে) হারানোর ভয় করিনা।😃 আমার ভাগ্যে সে থাকলে হয়তো তাকেই পাবো। না পেলেও দুঃখ নেই।সে সুখী থাকলে আমি খুশি।😊(চলে আসলাম)
মুনঃ স্বার্থপর, তুই কিভাবে ভাবলি তোকে ছাড়া আমি ভালো থাকবো। তোকে ছাড়া আমি সুখী কখনোই হবো না😰। নিজে তো একা-একা কষ্ট পাবি,কিন্তু একবারো মুখ ফুটে বলবি না।স্বার্থপর বেইমান।(কান্না করতে করতে)😭
ম্যানেজারঃ ম্যাডাম আপনি কান্না করছেন কেন?😱
মুনঃ কই না তো।(অপ্রস্তুত হয়ে) চোখে কিছু একটা পরেছে তাই হয়তো।😶
ম্যানেজারঃ জ্বী ম্যা’ম।😕
মুনঃ শুনুন।খুব শীঘ্রই একটা ট্যুরের ব্যবস্থা করুন। আগামি সপ্তাহের মধ্যে।😑
ম্যানেজারঃ এতো তাড়াতাড়ি।কেন ম্যাডাম?😱
মুনঃ রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।😡
ম্যানেজারঃ সরি ম্যা’ম।ঠিক আছে।আমি ব্যবস্থা করছি।😦
মুনঃ আমি আর হারাতে পারবো না।আশিককে পেতে হলে এই ট্যুরের ব্যবস্থা করতেই হবে। যে কোন মূল্যে আশিককে আমি চাই।আর একটু কষ্ট করো জানু, তোমাকে আর কষ্ট পেতে দিবো না।😍 ভালোবাসা দিয়ে রাঙিয়ে দিবো তোমায়।শুধু আর কয়েকদিন।😂😊
.
.
মিলিঃ সেই কখন থেকে দাড়িয়ে আছি।এখনো উনার আসার নামই নেই।কি দেখে যে এই হাদার প্রেমে পড়লাম।বিরক্তি কর একটা।😠
শফিকঃ খুব ভয় করছে। কি যে হবে।এই প্রথম কোন ভালোবাসার মানুষের সাথে এভাবে কথা বলতে যাচ্ছি। এর আগেও অনেক মেয়ের সাথে কথা বলেছি।কিন্তু এমন তো হয়নি।😤😥
আশিকঃ কি ভাই এতো কি ভাবছেন?যাবেন না নাকি?😲
শফিকঃ হ্যাঁ ভাই কিন্তু।😞
আশিকঃ কি কিন্তু?😐
শফিকঃ মিলি..
আশিকঃ কি হয়ছে।😱
শফিকঃ আমার জন্য নিচে অপেক্ষা করছে।😒
আশিকঃ এটাতো ভালোকথা।তো চলেন।😲
শফিকঃ ভাই আমার শরীর কাপছে। কি যে হবে।😰
আশিকঃ ধুর ভাই।চলেন কিছু হবে না।
আমি আছি তো।😃
শফিকঃ বলছেন তো?😨
আশিকঃ হ্যাঁ চলেন😂।(ফার্স্ট লাভ হলে যা হয়)
শফিকঃ আচ্ছা।(ভয়ে।এই প্রথম এমন লাগছে)😨
মিলিঃ এতোক্ষণ লাগে আসতে?(রেগে)😠
আশিকঃ আর বলিয়েন না।ইনি তো লজ্জায় আসতেই চাইছে না। জোর করে নিয়ে আসলাম।😄
মিলিঃ লজ্জা?আপনি পুরুষ তো?😡
শফিকঃ কি আবোলতাবোল বকছেন।প্যান্ট খুলতে হবে নাকি?😃
মিলিঃ ছিছি. এই আপনার লজ্জা তাই না। এমন ভাবে বলতে লজ্জা করেনা আপনার?😠
শফিকঃ আমাকে নিয়ে যা বলার বলেন কিন্তু মেইন পয়েন্টে হাত দিতে আসবেননা। ভালো হবে না কিন্তু বলে দিলাম।😨
মিলিঃ আচ্ছা বাবা সরি আর হবে না।😞 এবার চলেন।
শফিকঃ কই যাবো।😱
আশিকঃ ভাই চলে যান।নাহলে অনেককিছু মিস করতে পারেন। 😂পরে পস্তাতে হবে।(কানেকানে)
শফিকঃ সত্যি যাবো?😨
আশিকঃ হ্যাঁ যান।কালকে কিন্তু ট্রিট চাই।😄
শফিকঃ হো ভাই আগে কাজটা সারি তারপর দেখা যাবে।😆
আশিকঃ হুম যান।বাই।😯
মিলি & শফিকঃ বাই😃।
দুজনে রিকশায় করে চলে গেল। যদিও শফিক ভয় পাচ্ছে কিন্তু মিলি ছেড়ে দেওয়ার পাত্রি নয়। তাই ভয় ভাঙ্গানোর জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করছে।আর ভাবছে যেখানে আমি ভয় পাওয়ার কথা সেখানে উনি ভয় পাচ্ছেন। দুনিয়াটা সত্যি বদলে গেছে।😞
.
.
মুনঃএভাবে অন্যের সাথে হেসে কথা বলার কি দরকার।আমার কাছে আসলে তো যাই যাই করিস। হাসা তো দুরের কথা। ঠিকমতো কথাও বলিস না😡।
।
আশিকঃ এবার বাসায় গিয়ে ঘুমিয়ে পরতে হবে।এমনিতে সকালে ঘুম হয়নি।😄
মুনঃ আশিক শোন।😐
আশিকঃ জ্বি কিছু বলবেন?😱
মুনঃ হুম। চল তোকে ড্রপ করে দিই।😄
আশিকঃ আমি যেতে পারবো।😦
মুনঃ সোজা আঙ্গুলে ঘী উঠবে না বুঝছি।কিছু একটা করতে হবে।😠
আশিকঃ কিছু করার দরকার নাই। চলেন😕(না জানি কি করে বসে। বয়স হয়েছে সাথে বুদ্ধিও কিছুটা লোপ পেয়েছে)😐
.
.
মুনঃ (কি ব্যাপার এরা এখানে কেন?কোথায় যাচ্ছে সবাই?😮😮😮)
আশিকঃ আজ সাইলেন্ট মুডে চলে গেলো যে? এতোক্ষণ তো বকরবকর করেই যেতো। ওর আবার কি হলো?এতো চিন্তিত দেখাচ্ছে কেন?একবার জিজ্ঞেস করবো? না থাক। হয়তো পারসোনাল কোন ব্যাপার নিয়ে।😨
মুনঃ আচ্ছা আশিক, মনে কর হঠাৎ আমার করে পরিবারের সবার সাথে দেখা হলো।তখন কি করবি?😨
আশিকঃ মানে?😮
মুনঃ বাব,মা, চাচ্চু,চাচি সবার সাথে দেখা হলে তোর কেমন লাগবে?😊
আশিকঃ সবার কথা মনে করে কেমন যেন অসহনীয় ব্যাথা অনুভব করছি😨😩। হঠাৎ করে দেখা হলে কিভাবে মুখ দেখাবো।আমি যে ভাবে চলে গিয়েছিলাম তাতে তো তাদের সাথে দেখা হওয়া দুরে থাক, উনাদের কথা শুনলে লজ্জায় মুখ দিয়ে কথা আসে না।😒😰
মুনঃ কিরে কই হারায় গেলি?😕
আশিকঃ না, কিছু না।😞
মুনঃ চল তাহলে যাওয়া যাক।😄
আশিকঃ মানে?😮
মুনঃ গেলেই বুঝতে পারবি।😩
আশিকঃ আরে কই নিয়ে যাবেন?😲
মুনঃ চুপপপ।(এতো কথা না বললে দিন কাটে না তোর)
আশিকঃ এতে ধমকের কি আছে।আমিতো শুধু জানতে চাইছিলাম। আর উনি......😞
মুনঃ নাম তাড়াতাড়ি।😡
আশিকঃ এখানে কেন?😮
মুনঃ কথা বলার সময় নাই তাড়াতাড়ি চলে আয়😡।
আশিকঃ কই যাবো সেটা তো বলবেন?😮
মুনঃ অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।😠
আশিকঃ বাবারে এভাবে তাকালে তো আমি হার্ট-অ্যাটার্ক করবো।😥
মুনঃ তাড়াতাড়ি পা চালা😶।
আশিকঃ হুম।ওর পিছনে পিছনে চলে যাচ্ছি।😒
জানিনা কোথায় নিয়ে যাচ্ছ আমায়।
মুনঃ আব্.......
.
.
.
.
.
.
.
To be continue.

0 মন্তব্যসমূহ
গল্প গুলো কেমন লাগলো, আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।