মামাতো বোন
পর্ব- ৫
দরজা খোলা কেন? চোর ঢুকলো নাকি? 😞😲রুমে তেমন কিছু নাই চোর নেওয়ার মতো।বিভিন্ন চিন্তা করতে করতে ঘরে ঢুকেই shocked.😱 এতো রাতে মুনকে দেখতে পাবে ভাবতেও পারে নি।
আশিকঃ এতে রাতে আপনি এখান?😱
মুনঃ আসতে পারি না নাকি?😃(মুচকি হেসে)
আশিকঃ তা নয়। এতো রাতে আসার কি দরকার ছিল। আর এটা অন্যের বাসা।কেউ দেখলে সমস্যা হতে পারে।😡
মুনঃ বাবা, চিন্তা শক্তি তো দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। 😱তোকে এতো কিছু ভাবতে হবে না। 😡কোথায় গিয়েছিলি এতো রাতে?😠
আশিকঃ আসলে দিয়ার Birthdays party। তাই...😒
মুনঃ ঐ থাম। দিয়া টা আবার কে?😠😠
আশিকঃ বাড়িওয়ালার মেয়ে।☺
মুনঃ কিহ,, বাড়িওয়ালার মেয়ের সাথে তুই..😠😠😠
আশিকঃ আরে যেমনটা ভাবছেন তেমন টা নয়।দিয়া আমার বোনের মতো।😕
মুনঃ এর বেশি কিছু যেন না হয়।😠
আশিকঃ ঠিক আছে। আর যদি হয়।😂
মুনঃ মেরে ফেলবো তোকে। ঐ মেয়ের সাথে যেন তোকে আর না দেখি।😠😠
আশিকঃ রাগছেন কেন?দিয়ার সাথে থাকলে কি হবে?😞😨
মুনঃ অনেক কিছু।আর যেন না কথা বলা দেখি😠।
আশিকঃ আচ্ছা আপনি আমার উপর এতো অধিকার দেখান কেন?😥
মুনঃ তুই বুঝবি না।(বুঝলে তো এতোদিন ছেড়ে যেতি না)😞
আশিকঃ হুম। 😢
মুনঃ যা এবার ফ্রেশ হয়ে আয়।😶
আশিকঃ কেন?😵
মুনঃ উফফ। আবার শুরু হয়ে গেল। খাইছিলি রাতে?😠
আশিকঃ মাথা নাড়িয়ে 'না'।😞
মুনঃ জানতাম তো। এখন তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আয়।(ওয়াশরুমে ঢুকিয়ে দিলাম।) প্রশ্ন করতে করতে পাগল করে দিবে।😬
.
আশিকঃ আচ্ছা মুন কি আমাকে ভালোবাসে? নাকি অনাথ বলে এতো করুণা করছে? আচ্ছা ওর যখন বিয়ে হয়ে যাবে তখন কি ওকে ভুলতে পারবো? না না, এতোদিন যখন ভুলিনি, আর ভুলব না।ও হয়তো ভুলে যাবে।😩😩😩😒
মুনঃ আর কতক্ষণ লাগবে?ঘুমিয়ে পরছিস নাকি😃?
আশিকঃ আসছি।
এতক্ষণ ওয়াশরুমে ভাবছে আশিক😳😵। মুনের এতো কেয়ারিং কি সহ্য হবে তার কপালে? নাকি হারাতে হবে তার ভালেবাসাকে। বিভিন্ন ভাবনা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে আশিকের।
মুনঃ ভাবলাম ঘুমিয়ে গেছিস নাকি।যাক এতোক্ষণে আসলি।😄😄
আশিকঃ আপনি এবার চলে যান।😩
মুনঃ কিহ্?তোর জন্য এতো কষ্ট করে খাবার 😱😠বানিয়ে আনলাম আর তুই তাড়িয়ে দিচ্ছিস।
আশিকঃ কেন বুঝতে পারছেন না।এতো রাতে একটা ব্যাচেলর ছেলের ঘরে মেয়ে দেখলে লোকে কি বলবে? কত সমস্যা হতে পারে জানেন?😷😶
মুনঃ তোকে এতো কিছু ভাবতে হবে না। আর আগে তো আমরা সারারাত একসাথে মুভি দেখতে দেখতে কাটিয়ে দিয়েছি।😍
আশিকঃ তখন পরিস্থিতি ছিল আলাদা আর এখন আলাদা।☺
মুনঃ আলাদা নয়। আলাদা হয়ে গেছিস তুই।তুই আর সেই আগের আশিক নেই। আমরা কত রাত নির্ঘুম কাটিয়ে দিয়েছি আর তুই কি-না আজ পরিস্থিতি দেখাচ্ছিস?😢😩😰
আশিকঃ প্লিজ বোঝার চেষ্টা করুন। তখন ব্যাপারটা ছিলো পরিবারের মধ্যে আজ দুটো ভিন্ন এলাকা। 😩😨প্লিজ....
মুনঃ (তুই কি আগের আশিক? মানলাম চেঞ্জ হয়ে গেছিস।কিন্তু এতোটা চেঞ্জ? যেখানে আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝতিস না আর এখন😞😒..) আচ্ছা ঠিক আছে। আমি চলে যাবো।তার আগে খেয়েনে।
আশিকঃ আমার খিদে নেই।😦
মুনঃ আরে বাবা আমি থাকবো না তোর আাসায়। শুধু তো খাওয়ার জন্যই বললাম। এখন ভেবে দেখ কি করবি। না খেলে তোরই লস। এতো রাতে তোর ঘরে আমাকে দেখলে কত কি হয়ে যাবে বুঝতে পারছিস তো।😊😉 এমনও হতে পারে যে তোর সাথে আমার...(মুচকি হেসে)
আশিকঃ এতো হার্ড ভাবে কথা বললাম তারপরও এমন করছে কিভাবে😱😟।আগে তো একটু বকলেই কথা বলা বন্ধ করে দিতো।
মুনঃ কিরে কি হলো। আচ্ছা যা।আমি শুয়ে পড়লাম।😂(বোঝ এবার। আমাকে ইগনোর করা হচ্ছে তাই না)
আশিকঃ না না।আমি খাবো।😞
মুনঃ হুম চল।(এবার সোনা তোমার দুর্বলতা খুজে পাইছি। আমাকে ইগনোর করার শখ বুঝাই দিবো😎😎)ঐ আমি তোকে খাইয়ে দিবো।
আশিকঃ আমি খেতে পারি।নিজেই পারবো।
মুনঃ হুম জানি। নে হা কর(মুখে খাবার তুলে)
আশিকঃ আমি এখনো ছোট নেই।(এভাবে চোখ রাঙিয়েছে যেন চোখের আগুনে 🔥পুরে পারবে।উপায় না পেয়ে হা করলাম)
মুনঃ গুড বয়।এমনিভাবে আমার কথা শুনবি।
আশিকঃ হুহ।(এমন ভাবে অধিকার দেখায় যেন বউ আমার)আপনি খাইছেন?😞
মুনঃ চুপ করে আছি😨।
আশিকঃ কি হলো?
মুনঃ (বুঝতে পারিস না। বলে দিতে হবে নাকি। ভালোবাসলে হয়তো বুঝতে পারতো) না।
আশিকঃ আগেই বুঝছিলাম। আপনিও খান।
মুনঃ তুই আগে খেয়েনে তারপর।
আশিকঃ আচ্ছা আমিও খাবোনা।(হঠাৎ বলে ফেললাম)
মুনঃ আমি না খেলে তোর কি?(আমার জন্য কি ওর অনুভুতি হয়)😍
আশিকঃ (এইরে এখন কি বলি) আপনি এতো কষ্ট করে রান্না করে নিয়ে আসলেন। আর রাত ও অনেক হয়ে গেছে।খেয়ে নেন।😨
মুনঃ ওহ।(ভাবনাটা তাহলে ভুল ছিল।এটা আমি ঠিক করেই ছাড়বো) তুই খাইয়ে দিলে খাবো।😂😂
আশিকঃ পাগল নাকি?😲
মুনঃ পাগল হতে যাবো কেন? অন্য কাউকে খাইয়ে দিতে বললে কি পাগল হতে হয়?😕😕😅
আশিকঃ হুম হয়। আপনি তো বলেনহু আমি নিজেই খাইতে পারিনা,আপনাকে খাইয়ে দিবো কেমন?😇😅
মুনঃঅতশত বুঝিনা খাইয়ে দিবি কি-না বল😠।নাহলে...(মুচকি হেসে)😂😀
আশিকঃ বলতে হবে না।হুহ হা করেন।😢
.
দুজন দুজনকে খাইয়ে দিতে লাগলো।
আশিকঃ একটা কথা বলি?😣
মুনঃ হুম বল।পারমিশন লাগবে নাকি আমার কাছে।😊
আশিকঃ আর কতো দিন.(মলিন স্বরে)😨
মুনঃ কি আর কতোদিন?(অবাক হয়ে)😱
আশিকঃ আর কতোদিন এভাবে মায়া বাড়াবেন😥😥😤😤? একদিন তো দুজনের রাস্তা আলাদা হয়ে যাবে।
মুনঃ সেটা পরে দেখা যাবে।(কিছুটা মলির ভাবে😞)
আশিকঃ আমার মনে হয় আমাদের এতো গভীর ভাবে মেলামেশা না কারাই ভালো😑।(তুমি হঠাৎ করে চলে গেলেপ আমার বাঁচা টা মুসকিল হয়ে যাবে।জানিনা তোমার চলে যাওয়াটা আমি মেনে নিতে পারবো কিনা)😰😢😞
মুনঃ আমি দেখতে কি এতোটাই অসুন্দর?😩
আশিকঃ এখানে অসুন্দরের কথা আসছে না।আমাদের জীবনের ব্যাপার। এভাবে মেলামেশা করলে লোকে খারাপ বলবে।আর আপনার হাসবেন্ড কি না কি মনে করতে পারে। তাই বলছি প্লিজ আমার থেকে দুরে থাকবেন😒😒😒😒।
মুনঃ কেউ কিছু মনে করবে না। ফুফু কি বলেছে মনে নেই?😉
আশিকঃ কি?😱
মুনঃ আমি তোর বউ হবো।(লজ্জা পেলো)😊
আশিকঃ মজা করে বলছে। তাই বলে এই নয় যে আপনার সাথে আমার... যাইহোক ওসব কথা বাদ দিন। এবার বাসায় চলে যান।😦
মুনঃ হুম।(গাধা টা কিছুই বুঝে না।এতো সুযোগ দেই আর ও কিনা...কবে যে বুঝবে।আমিও হাল ছেড়ে দিবো না।আমার করে নিবোই)😃
.
আশিকঃ আচ্ছা মুন কি ঐ কথা বিশ্বাস করে নাকি😲? আমারও খুব ইচ্ছা ছিল মুনকে বিয়ে করে আবারো পুরোনো জগতে ফিরে যেতে☺😂।কিন্তু বিবেকে বাধে। আমি কোথায় আর ও কোথায়। আমাদের মধ্যে এখনো আকাশ পাতাল ফারাক আছে।😞
.
.
মুনঃ আশিক কি আমাকে এতটুকু অনুভব করে না? আমার আচরণ গুলো কি ওর খারাপ লাগে।এতো বোঝানোর চেষ্টা করি তারপর ও আমাকে বুঝতে পারে না। কেন আশিক তুই বুঝিস না। আমি যে তোকে ছাড়া আর কারো হতে পারবো না।বড্ড বেশি ভালোবাসি তোকে। 😒আমার স্বামী কেউ হলে সেটা হবি তুই।খুব তাড়াতাড়ি তোকে আমার ভালোবাসার কথা বলতে হবে।😍😍
আশিকঃ মুন কি আমাকে সত্যি ভালোবাসে? নাকি অনাথ বলে সহানুভূতি দেখাচ্ছে।
মাথায় অনেক চিন্তা নিয়ে এপাশ-ওপাশ করতে করতে ঘুমিয়ে পরল।
.
.
সকালে..
খাবার টেবিলে..
জনাব.আরমান (মুনের বাবা)ঃ কিরে মা নতুন অফিস কেমন লাগছে?☺
মুনঃ হুম ভালোই।
দাদিমাঃ ভালো তো যাওয়ারই কথা তাই না দাদিমা।(মুচকি হেসে)😂
মুনঃ (এই বুড়ি তো দেখছি খুব জ্বালানো শুরু করছে) হুম।তুমি চুপচাপ খাও।(রেগে)😠
দাদিমাঃ এখন তো আমার কথা শুনে রাগ😂 লাগবেই।
মুনঃ হুহ্।😡
মুনের বাবাঃ সব ঠিকঠাক আছে তো?কোন সমস্যা হলে আমায় জানিও।
মুনঃ ঠিক আছে বাবা।(দাদির দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে উঠে পরলো)😠
এইরে হাঁদারাম কে তো ফোন দেওয়া হয়নি। আজকেও মনে হয় এখনো উঠেনি।😴😴😴
আশিকঃ এতো সকাল সকাল কে আবার ফোন দিলো। এই টন টাও খুব বিরক্তিকর।😠
মুনঃ যা ভাবছিলাম তাই। শুধু ঘুম পাগল। মানুষ যে এতো ঘুমিয়ে থাকতে পারে আশিককে না দেখলে বোঝায় যেতো না।
আশিকঃ হেল্লো.. এতো সকাল সকাল ঘুম নষ্ট করার আর মানুষ পাননাই।আমারটা নষ্ট করতে ফোন দিছেন।😡😠
মুনঃ এ আশিক তো? 😱নাম্বার টা ভালোভাবে চেক করলাম।না ঠিকই আছে। তারমানে এখনো ঘুমের ভিতরে আছে।😴
আশিকঃ কানের কাছে ফোন ধরে ঘুমাচ্ছি।
মুনঃ তুই কি মানুষ হবি না? এতো বেলা অব্দি কেউ ঘুমিয়ে থাকে?(ধমকে)😠
আশিকঃ বেলা মানে? কয়টা বাজে এখন?কেবল তো ঘুমাইলাম।😱😮
মুনঃ চুপ। ৯ বাজতে চললো আর উনি এখনো ঘুমিয়ে আছে।তাড়াতাড়ি অফিসে চলে আয় লেট করলে তোর আজ খবর আছে বলে দিলাম।😠
আশিকঃ হুম।(ঢোক গিলে)এতো দেরি হবে ভাবতেই পারিনি। কিন্তু এলার্ম তো বাজেনি এখনো? মনে পরেছে,আজ মুন তো ডেকে দেওয়ার কথা। নিজে ডেকে দিতে চেয়ে এখন নিজেই এত্তো গুলা কথা শুনালো। এই জন্যই বলে নিজের কাজ নিজেই করা ভালো।অন্য কে দিয়ে করাতে গেলে ভুল তো হবেই।
.
.
তাড়াতাড়ি করে অফিসের দিকে দৌড় লাগালাম। কি ব্যাপার আজ এতো সবকিছু এমন লাগছে ক্যারে? মনে হয় এই রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। গাড়িও তেমন একটা নেই। হরতাল শুরু হলো নাকি?এই অসময়ে কিসের হরতাল-অবরোধ। এসব ভেবে লাভ নাই।আগে ঠিক সময় অফিসে পৌঁছাতে পারলেই বাঁচি।😀
.
মুনঃ আজকে ডোজ টা ভালোই দিলাম। ৮ না বাজতেই ঘুম ভেঙে দিছি। আমার কাছে আনার আগে তোকে সম্পুর্ন পাল্টিয়ে দিবো।😃(মুচকি হেসে)
আশিকঃআজ কি বন্ধ নাকি? ৯টা বাজছে সেই কবে এখনো কারো আসার নাম গন্ধ নাই😲😲😱। নাহ দারোয়ান মামাকে জিজ্ঞেস করে নিই।
-আজকে কাউরে দেখতে পাচ্ছি না, অফিস বন্ধ নাকি😲?
দারোয়ানঃ ভুত দেখার মতো চমকে উঠলাম। 😱😮সত্যি নাকি ভুল দেখছি? চোখটা ডলা দিলাম।
আশিকঃ কি হলো?সাইলেন্ট মুডে চলে গেলেন যে।
দারোয়ানঃ না কিছু না। আপনি ভিতরে গিয়ে বসে পড়ুন।😱
আশিকঃ সেটা তো করতেই হবে। নাহলে চাকরি থাকবে নাকি? তার আগে বলেন সবাই কই? আজ সবাই লেট করছে কেন? নাকি সবারই ছুটি😱।
দারোয়ানঃ(এতক্ষণে বুঝলাম) কয়টা বাজে⌚ এখন?
আশিকঃ এত্তো বড় ঘড়ি ⌚থাকতে আমাকে জিজ্ঞেস করছেন কেন?এই তো.(ঘড়ির দিকে চেয়ে দেখতেই কয়েক শত না না কয়েক হাজার 😱😱😯
ভোল্টের শকট খেয়ে বসলাম।তাই তো বলি সব কিছু চেঞ্জ কেন)
দারোয়ানঃ বুঝলেন মামা কেন জিজ্ঞেস করলাম?😂
আশিকঃ খুব ভালো ভাবে বুঝছি😒। হ্লায় সেই কখন নাকি ৯টা বাজে।আর এখনো ৩০ মিনিট বাকি আছে ৯বাজতে।আমাকে এতো বড় ধোকা দিতে পারলো মুন? শখের ঘুম ছেড়ে চলে আসলাম। এখন তো নিজেকে বড় মাপের গাধা মনে হচ্ছে।বললেই সময় না দেখে আসতে গেলাম কিল্লাই।উফফ এতোক্ষণ কি করমু। গফ থাকলে তো চুটিয়ে প্রেম করা যাইতো।না থাক গফ লাগবো না, কালকের জমা কাজ গুলো সেরে নেই। পরে চাপ থাকবে না।
.
.
অফিসে এসে সবাই ভুত দেখার মতো অবাক হলো। সত্যি কি এটা সেই আশিক না অন্যকেউ? কয়েকদিন থেকে সবাই শুধু চমকেই উঠছে।
শফিক ভাইঃ কি ব্যাপার ভাই সুর্য🌞 কোন দিকে উঠছে আজ?😱
আশিকঃ আসার সময় তো পূর্ব দিকে দেখে আসলাম।😃
শফিকঃ সেটাই তো বোঝার চেষ্টা করছি।😱😱
আশিকঃ মানে?😱
শফিকঃ আজ এতো তাড়াতাড়ি আবার সবার আগেই ব্যাপার টা কি?😂
আশিকঃ কোন ব্যাপার নাই। আসতে নিষেধ নাকি😟।
শফিকঃ নিষেধ নয়।কিন্তু আপনি এতো সকালে আসবেন সেটা বুঝতে পারছি না। রাগিনীর সাথে কিছু চলছে নাকি ভাই।😂😃
আশিকঃ রাগিণী? রাগিণী কে? আর কি চলবে?একটু ক্লিয়ারলি বলেন।😱😱😱😣
শফিকঃ আমাদের সুন্দরী বস। আপনার সাথে ভালোই মানাবে।বলেননা কিভাবে পটালেন😂। একদিনেই কিভাবে সম্ভব।😱😱😱
আশিকঃ ধুর শফিক ভাই তেমন কিছু না। আর উনি আমাদের বস।উনার সাথে আবার আমার কিসের সম্পর্ক।😲😲
শফিকঃ থাক ভাই। আর বলতে হবে না। ধরা পরলে সবাই এমনি বলে।বুঝি ভাই বুঝি।😞
আশিকঃ ভাই আপনার কাজ করেন। কাজ না থাকলে এই ফাইল টা একটু চুপচাপ দেখে দেন😡।
শফিকঃ হুম দেন।
.
.
শফিকঃ ভাই আজ তো রাগিণী কে দারুণ লাগছে।ব্যাপার কি?কোথাও যাওয়ার প্লান আছে নাকি😱😱?
আশিকঃ মানে কি?(অবাক হয়ে)😱
শফিকঃ পিছনে তাকান।
আশিকঃ তাকাতেই আরেকবার ক্রাশ খেয়ে 😍😍ফেললাম। একদম দারুন লাগছে। আমার পছন্দের নীল রঙের শাড়ি পড়ে আসছে। এমনিতেই অনেক মায়াবী সাথে হালকা সাজে দারুন লাগছে। হাতে ম্যাচিং করা চুরি, হালকা গোলাপি লিপস্টিক, এককথায় নীল পরীর মতো লাগছে। যেন আকাশ থেকে নেমে আসলো।😍😍😱
শফিকঃ এহেম। আশিক ভাই এভাবে তাকিয়েই থাকবেন নাকি কাজও কিছু করবেন?😂😂
আশিকঃ (লজ্জা পেয়ে) ওহ হ্যাঁ। আজকে কাজের প্রেসার বেশি।😕😐😐
শফিকঃ এই নেন আপনার ফাইল। মনোযোগ দিয়ে কাজ করেন।(রহস্য ভাবে কথা টা বলল)😂
আশিকঃ বুঝলাম না ভাই।😱
শফিকঃ এখন নাটক করার টাইম নাই। রাগীনি দেখলে আমাদের বারোটা বাজিয়ে দিবে। আপনার তো কিছু হবে না। নিজের কাজ করতে দেন।অযথা বিরক্ত করিয়েননা।😠😠
আশিকঃ যাস্ সালা। কই কি?আমি বিরক্ত করছি। আজকে সবারই কি হলো।নিশ্চুপ সবাই। শুধু টাইপ করার শব্দটা ছাড়া অন্য কোন শব্দের আওয়াজ পাওয়াই যাচ্ছে না।😱😮
.
মুনঃ এভাবে তাকিয়ে ছিলো যেন আজ আমাকে নতুন দেখছে।ঢং.. কিছু বলার সাহস নেই শুধু হা করে তাকিয়ে থাকে।আচ্ছা আজ এতো আগেই আসলো যে? 😠আমার ধমকে ভয় পাইছে মনে হয়।হিহি।ভালোই কন্ট্রোল করতে পারতেছি।😉😉
.
.
পিয়নঃ স্যার, আপনাকে ম্যাম ডাকছে।
শফিকঃ ডাক পরেছে।আসতে না আসতেই আপনার প্রেয়সীর ডাক।কতো ভালোবাসা। আমার টা যে কবে রাজি হবে।😂😕
আশিকঃ ধুর ভাই। আপনার মাথায় শুধু সবসময় উল্টো পাল্টা চিন্তা ঘুরে বেড়ায় তাই না।😬
শফিকঃ এখন তো বলবেনি। একবার ঢুকলে ২০ মিনিটের আগেই তো আসবেননা। 😂😂বুঝি ভাই সব বুঝি।যান আপনার জন্য বেচারি কতো অপেক্ষা করছে।😀😊
আশিকঃ শুধু আপনি একটু সিরিয়াস হতে পারেননা। বলে চলে আসলাম।😠
শফিকঃ ইনি তো আসতে না আসতে শুরু করে দিলো। আমি গতো ৫ মাস থেকে চেষ্টা করি।সুযোগই পাচ্ছি না। কি যে করি।
.
আশিকঃ আসবো ম্যা’ম।
মুনঃ হুম। তোকে না বলছি আমার কাছে আসতে পারমিশন লাগবে না।😠
আশিকঃ তা কি করে হয়। আপনি বস।আর আমি সামান্য...😒
মুনঃ চুপ।আর একটা কথাও বলবি না।😠
আশিকঃ কি জন্য ডেকেছিলেন?
মুনঃ এমনিতে।
আশিকঃ এমনিতেই?(অবাক হয়ে)😱😱
মুনঃ কেন ডাকতে পারি না?
আশিকঃ না।এটা অফিস। এখানে কাজের জন্য স্যালারি দেওয়া হয়। কাজ না করে তো আমি আপনার টাকা নিতে পারবো না।😑😕
মুনঃ আচ্ছা... খেয়েছিস?😨
আশিকঃ হুম।
মুনঃ জানিস না আমি মিথ্যা পছন্দ করি না।😠
আশিকঃ (কেমনে যে বুঝলো আমি মিথ্যা বললাম) না।আর আমি খাবো কি খাবে না তাতে আপনার কি?😡
মুনঃ আমার কি তাই না?(আমাকে ধমকে কথা বলা দেখাচ্ছি মজা।দরজা টা লক করে দিলাম)😂
আশিকঃ দরজা লাগালেন কেন? সবাই কি ভাববে।খুলুন বলছি।😨
মুনঃ চুপ।কথা বললে কিন্তু কিছু করে বসবো।😂
আশিকঃনা না। কিছু করা লাগবে না।
মুনঃ হুম গুড বয়।আমার সাথে আয়।
আশিকঃ কোথায়..(এভাবে চোখ রাঙ্গানোর কি আছে। ভয় লাগে তো।মনে হয় চোখের আগুন দিয়ে পুরে মারবে)😞😞
মুনঃ এখানে এসে বোস। 😠
আশিকঃ চুপ করে বসে পরলাম।
মুনঃ নে হা কর। জানিতো না খেয়ে এসেছিস।
আশিকঃ আপনি কি করে জানলেন?😱
মুনঃ (যাকে ভালোবাসা যায় তার চোখ দেখলেই সব বোঝা যায়) তোকে আমি ছোট থেকে চিনি।😲
আশিকঃ আমাকে খাইয়ে দিতে লাগলো।
মুনঃ আচ্ছা তুই কি কখনো সিরিয়াস হতে পারবি না?এখনো আগের মতো অগোছালো হয়ে আছিস। আমি তো বেশিদিন থাকবো।তখন তোকে এভাবে আগলিয়ে রাখবে কে?😩(সত্যি কথা বের করে নিতে হবে। ওর তো সাহস নেই এতটুকু)
আশিকঃ কথাটা বুকের তীরের মতো গিয়ে লাগলো। চোখ কোনায় পানি জমতে লাগল।😢😢😢😢
মুনঃ কিরে মুখটা এমন বাংলার ৫ এর মতো করলি কেন?😲
আশিকঃ নাহ কিছু না। আমি এখন উঠি।
মুনঃ চুপ।এগুলো খেয়ে তারপরে যাবি।
আশিকঃ ইচ্ছে করছে না এখন।😢
মুনঃ আমার চলে যাওয়ার কথা শুনে মন খারাপ বুঝি।😰
আশিকঃ কই নাতো। মেয়েরা তো জন্মেই অন্যের সংসার করার জন্য। আর আপনার বিয়েতে আমি কেন মন খারাপ করবো?আমার সব থেকে কাছের মানুষ আপনি। আমি তো অনেক আনন্দ...
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.To be continue..

0 মন্তব্যসমূহ
গল্প গুলো কেমন লাগলো, আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।