মামাতো বোন
পর্ব-৭
জানিনা কোথায় নিয়ে যাচ্ছ আমায়।
মুনঃ আব্বু।
মি.আরমানঃ তুমি এখানে?😱
মিসেস আরমান(মুনের মা)ঃ ঐ দেখো।(আশিককে দেখিয়ে)😯😯😞😰
মি.আরমানঃ আশিক তুমি?কোথায় গিয়েছিলি বাবা।(জরিয়ে ধরে।চোখের কোনে পানি জমছে😰😰😰😢)
আশিকঃ আরে মামা কি করছো? পাবলিক প্লেসে তোমরা চোখে জল মানায় না।😨
মি.আরমানঃ তুমি কোথায় ছিলি বাবা?😰😰।হঠাৎ করে অভিমান করে চলে গেলে আর ফিরলে না। আমারা তোমাকে কত খুজেছি😢।তোমার দেখা পাইনি। তোমার কিছু হলে আপা আমাদের ক্ষমা করতো? 😢আপু তোমাকে আমাদের হাতে রেখে চলে গেছেন। তুমি কিভাবে পারলে😰
মিসেস শাহানা(মুনের মা)- তোর কি একবারও আমাদের মনে পড়ে নি?😰 তোর বাবা মা মারা গেছে তাই বাসা ছেড়ে চলে যেতে হলো😭। আমরা কি তোকে ফেলে দিতাম। মুনের মতো তুইও তো আমাদের সন্তান। আমাদের ছেড়ে কেন চলে গেছিলি বাবা? আমরা কি তোর কেউ না।😭(কাদতে কাঁদতে)
আশিকঃ এভাবে বলো না মামি।😩😨
মিসেস শাহানাঃ আমরা কতো চিন্তা করতাম জানিস? কোথায় আছিস,কি করছিস?তুই তো কেয়ারলেস ছেলে। একবার বলে যেতি।আমরা কি তোকে না করতাম।😰😭
-স্যার মিটিংয়ের সময় হয়ে গেছে।(কর্মচারী)😶
আরমানঃ ক্যন্সেল করে দাও।😩
কর্মচারীঃ কি বলছেন স্যার? এতো বড় ডিল।হাতছাড়া করবেন?😯
মি.আরমানঃ এর থেকেও আমার ইম্পর্ট্যান্ট মিটিংয়ে আছি।😠
কর্মচারীঃ জ্বি স্যার।😞
মিটিংটা তাদের কোম্পানির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। কিন্তু এতো বছর পর একমাত্র ভাগ্নে কে পেয়ে ক্যান্সেল করে দিতে হলো। কারণ কোম্পানির থেকে বড় তার ভাগ্নে। তাদের জন্য তার একমাত্র বোনকে হারিয়ে ফেলতে হয়েছে।তার ভাগ্নেকে বাবা-মা হারাতে হয়েছে। আজ আশিককে ফিরে পেয়ে অসম্ভব ভালো লাগছে।হয়তো বাবামায়ের মতো ভালোবাসতে পারবেনা।কিন্তু একটু হলেও আগলিয়ে রাখতে পারবে। তার ইচ্ছে আবদার গুলো পুর্ন করতে পারবে।
আশিকঃ তুমি আমার জন্যই এতো বড় ডিল হাতছাড়া করছো কেন? আমি বা কে? তোমরা চলে যাও।আমি বাসায় যাবো।😰😩
মিসেস শাহানাঃ চুপ। বেয়াদব ছেলে।খুব বড় হয়েছিস তাই না? তুই কি ভাবে পারলি এতো বছর আমাদের ছেড়ে থাকতে?😭একবারও আমাদের কথা মনে পড়লো না তোর?😰😰
আশিকঃ পড়েছিল মামি। কিন্তু আমি নিরুপায়😒।এখানে থাকলে বারবার বাবামায়ের জন্য খারাপ লাগতো। তোমাদেরও অনেক জ্বালাইতাম।তাই তো গিয়েছিলাম অজানা শহরে। তোমরা চলে যাও।আমি বাসায় যাবো।😩😰
মি.আরমানঃ বাসায় যাবে মানে?চল আমাদের সাথে।এখন থেকে তুমি আমাদের সাথে থাকবে।😦
আশিকঃ কি করে হয় মামা। আমি তো অনাথ তোমাদের সাথে আমার যায় না।😩
মি.আরমানঃ চুপ। থাপ্পড় দিয়ে দাঁত সব
ফেলে দিবো। আমরা কেউ এখনো মারা যায়নি। আর একবার অনাথ বললে খুব খারাপ হবে কিন্তু।😠😠(রেগে)
মুনঃ ওর তো এখন খুব অহংকার। ভালো চাকরি করে।এখন আমাদের তো চিনেই না।😨
আশিকঃ খোঁটা দিচ্ছেন?😩
মুনঃ খোটা দিতে যাবো কেন?যা সত্যি তাই বললাম। নাহলে এতোদিন থেকে এখানে আছিস।একবারও আমাদের বাসায় যাইতি।😕
আশিকঃ আপনি তো জানেনি...😒😞
মিসেস শাহানাঃ কোন জানা জানি নেই। তুই আমাদের সাথে থাকবি এটাই ফাইনাল😡(জোড় দিয়ে বলল)।
আশিকঃ তুমি অন্তত আমাকে বোঝার চেষ্টা করো। আমি এখন যেতে পারবো না।😩
মি.আরমানঃ কবে যাবে?😦
আশিকঃ সময় আসুক।পড় দেখা যাবে। এখন আসি।😞
মুনঃ আচ্ছা তোকে বাসায় যেতে হবে না। এখন আমাদের সাথে চল।😲
আশিকঃ কোথাও যেতে পারবোনা। চলি।😞
মুনঃ (ওর শার্টের কলার ধরে) ভালোভাবে বললে বুঝিস না।তাই না।চল আমার সাথে।😠
.
আশিক বাকরুদ্ধ হয়ে মুনের সাথে যেতে লাগলো।আর মুন রেগে টানতে টানতে নিয়ে যেতে লাগলো। মুনের বাবা মা এটা দেখে হাসতে লাগলো😄। এতো বড় হয়েও তাদের মধ্যে খুনসুটি ভাব এখনো যায়নি।
.
মুনঃ তোমাদের (বাবা-মাকে) কি নিমন্ত্রণ করতে হবে নাকি?😠
মুনের মাঃ আসছি আমরা।😄
মি.আরমানঃ দেখেছো তাদের মধ্যে দুষ্টামি এখনো যায়নি।এতোগুলো বছর পরও তারা ঠিক আগের মতোই আছে।😄(কষ্টের মধ্যেও মুখে হাসির রেখা ফুটিয়ে উঠলো)
মিসেস শাহানাঃ ঠিক বলেছো।চলো এখন।না হলে তোমার মেয়ে আস্ত রাখবেনা।😁
.
.
আশিকঃ কি করছেন কি?এবার তো ছাড়ুন। সবাই কি মনে করবে।😨
মুনঃ চুপ। একদম চুপ। আগে মনে ছিল না এসব।থাপ্পড় দিয়ে দাত গুলা ফালাই দিবো।কুত্তা।😠
আশিকঃ থাক। আর কষ্ট করা লাগবে না।সময় আসলে এমনিতেই পড়ে যাবে।😅
মুনঃ শালা হারামি।ফাজলামো করিস😠।(চোখের দিকে তাকাতেই সব রাগ কমে গেলো।ডুবিয়ে যেতে ইচ্ছে করে ওর চোখে। ভালোবাসা দিয়ে ভরপুর ওর দুটি মায়বী 👀চোখ।কিন্তু বলতে পারে না😍😧।)
আশিকঃ এভাবে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত তাকিয়ে থাকতে পারি।কিন্তু সে সুযোগ কি পাবো আমি? এতো কাছে পেয়েও হারিয়ে ফেলতে হবে আমায়?😒
.
দুজন দুজনার চোখে চোখ রেখে মনের ভাব প্রকাশ করছে। কিনে কেউ মুখে বলতে পারে না।মুন লজ্জায় বলতে পারে না।কেননা মেয়েরা আগে প্রপোজ করেনা। কথায় আছে না,"মেয়েদের বুক ফাটে, তবুও মুখ ফোটে না" কিছুটা ঐরকম।আর আশিক সম্মানের ভয়ে। সে এখন সাধারণ ছেলে। না আছে থাকার মতো বাড়ি, না আছে তাদের মতো টাকা। যে বেতন পায় সেটা দিয়ে কোনরকম তার চলে যায়। ভবিষ্যত নিয়ে কোন চিন্তায় নেই।সে মনে করে শুধু 'মুন' তার ভবিষ্যত। মুনকে পেলে সে তার নতুন ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়িয়ে দিবে। না হলে আবারো হারিয়ে যাবে অজানা পথে।ফিরে আসবে না কখনো আর এই কষ্টের জগতে।😢
মিসেস শাহানাঃ এরা দুজনে মূর্তির মতো দারিয়ে কি করছে? কোন কথা নেই?ব্যাপারটা সুবিধাজনক মনে হচ্ছে না।😕
মি. আরমানঃ আমারো তাই মনে হচ্ছে। এদের মধ্যে কিছু চলছে নাকি?😲
মিসেস শাহানাঃ হুম। ব্যাপার টা দেখতে হচ্ছে।😵 কিরে? এভাবে থাকবি নাকি তোরা?😃
মায়ের ডাকে ঘোর ভেঙে যায় মুনের। আশিক লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে। কি করছিল সে নিজেই বুঝতে পারছিল না। হঠাৎ করে মুনের মায়াবী চোখ জোড়া বারবার তার হৃদয় কেড়ে নেয়।এভাবে তাকালে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না আশিক।হাজার হলেও ছোট থেকে প্রেম। যদিও একতরফা, কখনো যানাতে পারেনি। সেই সুযোগ কিংবা অধিকার কোনোটাই আশিকের নেই, তাই আর জানাতেও পারবেনা। তবুও ভালোবাসার মানুষ তো।একটু দুর্বলতা কাজ করবেই।
মুনঃ এই যে এতো ভাবতে হবে না। আপনার গার্লফ্রেন্ড আপনার জন্য অপেক্ষার করছে না। এবার খেয়ে নেন। নাকি খাইয়ে দিতে হবে?😂😃
আশিকঃ না না নিজেই খেতে পারবো।😒(আবোলতাবোল ভাবতে ভাবতে কখন খাবার চলে এসেছে বুঝতে পারি নি। অবশ্য রাতে খাইতে অভস্ত্য নই)
মি.আরমানঃ এখনো কি খাইয়ে দিতে হয় নাকি?😱(অবাক ভঙ্গিতে)
মিসেস শাহানাঃ তাহলে মুন তুই খাইয়ে দে।তোর হাতে ছাড়া তো আর খায়না।😂😃
আশিকঃ না মামি আমি খেতে পারি। আগের মতো নেই।😩
মিসেস শাহানাঃ দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতটা চেঞ্জ হয়ে গেছিস।😒😞
আশিকঃ হুম।
.
সবাই খেতে লাগলো। মুন আশিককে দিকে তাকিয়ে আকাশপাতাল ভাবতে লাগলো। আর আশিক মাঝে মাঝে তাকিয়ে দেখে মুনকে তার দিকে চেয়ে আছে। এটা আশিকের কাছে আনইজি লাগছে। অন্য দিন হয়তো ভালো লাগতো।কিন্তু আজ তাদের সাথে মামা-মামি ও আছে।
মিসেস শাহানাঃ কিরে খাচ্ছিস না কেন?(মুনকে লক্ষ্য করে)😱
মুনঃ কই খাচ্ছি তো।😩
.
মিসেস শাহানাঃ (ব্যাপার টা ভালো মনে হচ্ছে না। সত্যি কি তাদের কিছু চলছে?😳😵)
মি.আরমানঃ (আমারো তাই মনে হচ্ছে)
মুনের বাবা-মা চোখ দিয়েই কথা বলছে। মুখে বললে ওরা দুজনে লজ্জা পাবে।তাই চোখের ভাষা দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে। এটা তারা ক্লাস থেকে করে আসছে। স্যারের বকবকানি না শুনে চোখের ভাষায় নিজেদের ভিতর কথা আদান-প্রদান করে। বিশেষ করে প্রেমিক-প্রেমিকারাই চোখের ভাষায় কথা বলতে বেশি অভাস্ত্য। সব জায়গায় তো আর মুখে বলা যায় না। সেই দিক দিয়ে উনারাও একই সূত্র প্রয়োগ করেছেন।
.
মি.আরমানঃ আচ্ছা মুন বলতো তুমি আশিককে কোথায় খুঁজে পেলে। এতো বছর পর তোমরা দুজনেই এক সাথে? নাকি তুমি জানতে আশিক কোথায় ছিলো?😱😲
মুনঃ কি বলো না আব্বু?আমি কিভাবে জানবো ও কোথায় ছিল।😯😱
মিসেস শাহানাঃ তাহলে তোরা দুজন এক সাথে?😱
মুনঃ আসলে আম্মু....(সব ঘটনা বললাম)😩😢😂
মি.আরমানঃ হুম বুঝেছি। কিন্তু আশিক তুমি বাসায় ফিরতে চাও না কেন? আমাদের কি তোমার এতই অপছন্দ?😨😨
আশিকঃ মামা আসলে এমন কোন ব্যাপার না। আমি ঐ বাসায় ফিরতে পারবো না। ওখানে গেলে নতুন করে আবারো কষ্ট পাবো।😥
মিসেস শাহানাঃ নতুন করে কষ্ট মানে?কে কি করবে?😱😮
আশিকঃ না মানে। বুঝতেই তো পারছো😥।(ওখানে থাকলে নিজের চোখের সামনে মুনকে অন্যের হাতে দেখতে হবে। এই কষ্ট টা আমায় কুরে কুরে খাবে। হয়তো জিন্দালাশ হয়ে থাকতে হবে।তার থেকে অন্য কোথাও চলে যাবো।এটাই দুজনের জন্য মঙ্গল হবে। খুব শীঘ্রই এ শহর ছেড়ে যেতে হবে😨)
মি.আরমানঃ কি হলো আবার? কি ভাবছো?😮😳
আশিকঃ না মামা কিছু না।রাত অনেক হয়েছে এবার চলে যেতে হবে।😞
মি.আরমানঃ তাহলে বাসায় ফিরবে না?
আশিকঃ বললাম তো এখন না সময় আসুক।😢
মিসেস শাহানাঃ কবে তোর সেই সময় আসবে😦?
আশিকঃ হয়তো খুব তাড়াতাড়ি। এখন চলি।তোমরা সাবধানে যেও।😩
মুনঃ তুই একা যাবি মানে?আমি তোকে ড্রপ করে দিয়ে আসবো।😡
আশিকঃ যেতো পারবো।বাসা বেশিদূর নয়। আপনি মামা-মামীর সাথে চলে যান।😧
মুনঃ আমি চিনি না তোর বাসা? আমারে পথ চিনাইতে আসছিস?😠
আশিকঃ আপনি...😒
মি.আরমানঃ মুন তো ঠিকই বলেছে। তোমাকে ও ছেড়ে দিয়ে আসুক। সময় তো বেশি লাগবে না।(আশিককে থামিয়ে)
মিসেস শাহানাঃ হ্যাঁ মুন তুই আশিকের সাথে যা😶।
মুনঃ হুম মা। এই চল।😬
আশিকঃআপনাকে কষ্ট করার কি দরকার। আমি যেতে পারবো তো।😞
মুনঃ ভালো কথা শুনতে ভালো লাগে না।দাঁড়া তোকে মজা দেখাচ্ছি😠।
আশিকঃ থাক। কিছু করা লাগবে না।(এই মেয়ের মাথায় সমস্যা আছে। বেশি কথা বললে নিজেরই বিপদ)😒
মুনঃ হু।(জানি তো তুই ভালো কথা মানবি না। 😠তোকে সোজা করতে হলে অন্য পথ অবলম্বন করতে হবে)
.
মিসেস শাহানাঃ কি বুঝলে?😃
মি.আরমানঃ আগেই বলছিলাম কিছু একটা চলছে।😃
মিসেস শাহানাঃ হুম আমারো সেটাই মনে হচ্ছে। তাই তো বলি হঠাৎ করে এমন চেঞ্জ আমার মেয়ের কেন?😂😃
মি. আরমানঃ যদি আমাদের আইডিয়া সঠিক হয় তাহলে আপার কথা মতো কাজ করতে পারি। কি বলো?😂😃
মিসেস শাহানাঃ হুম। আপুর ইচ্ছে টা পুরণ করতে হবে আমাদের। তবে আমার মনে হচ্ছে এদের মধ্যে কোন সমস্যা আছে। তার আগে মুনের থেকে ক্লিয়ার হতে হবে।😩😰
মি.আরমানঃ ঠিক বলেছো। সেই দায়িত্ব টা তোমার।
মিসেস শাহানাঃ সব দায়িত্ব তো আমারই।তোমার তো কিছু নাই।😡
মি.আরমানঃ তুমি পরিবারের বড় বউ।তোমার দায়িত্ব তো বেশি হবে।😁😂
মিসেস শাহানাঃ থাক, আমাকে দায়িত্ব শেখাতে আসবানা। আমি যথেষ্ট দায়িত্ববান।এবার চলো।😬
মি.আরমানঃ হুম যাওয়া যাক। কিন্তু তোমার মার্কেট?😥
মিসেস শাহানাঃ তোমার মিটিং হয়েছে?😠
মি.আরমানঃ না।
মিসেস শাহানাঃ কেন?
মি. আরমানঃ তুমি তো সব দেখলা।
মিসেস শাহানাঃ এটাই আমারো কারণ।এখন বকবক না করে চলো😠। মার্কেট মেয়ের বিয়েতে হবে।
মি.আরমানঃ আমার বউ তো খুব বুদ্ধিমতী।😂
মিসেস শাহানাঃ আজকে নতুন জানলে নাকি? এতোদিন খাতা দেখিয়ে পাশ করে দিলাম। তখন কি আমি কম বুদ্ধিমতী ছিলাম নাকি?😠
মি.আরমানঃ দেখো একদম পুরানো কথা টেনে আনবা না.😩
মিসেস শাহানাঃ হুম এখন চুপ চাপ বাসায় চলো😬।
.
.
গাড়ি চলছে আপন গতিতে। দুজনেই নিশ্চুপ।কারো মুখে কোন কথা নেই।পুরো রাস্তা এভাবে চলে আসলো।
আশিকঃ এবার আসি। আপনি সাবধানে যাইয়েন।😁
মুনঃ হুম। ঠিক আছে। তাড়াতাড়ি চলে আসবি।লেট যেন না হয়।😡
আশিকঃ ঠিক আছে।😞
.
রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরলো আশিক। আজকে চিন্তা করার মতো অবস্থা নেই। সব কিছু মাথার উপর দিয়ে গেল আশিকের। কি করবে, না করবে ভাবতেই পারছে না।😞
.
মুনঃ রাত অনেক হয়েছে। এখন ঘুমিয়ে পড়ি। এতোক্ষণে নিশ্চয় হাঁদারাম ঘুমিয়ে গেছে। সত্যি কি আমাকে বোঝেনা?এতো সুযোগ দিই, তবুও অবুঝের মতো আচরণ করে। কিভাবে যে বোঝাবো😒😰😢।উফফফ (দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে)
মিসেস শাহানাঃ আসবো?(মুনের দরজায় নক করে)
মুনঃ ওহ তুমি। আসো।
মিসেস শাহানাঃ অন্য কাউকে আশা করছিলি মনে হয়।😂😂
মুনঃ মা।তুমিও না😰।কিছু বলবা?😑
মিসেস শাহানাঃ হুম। তাই তো এতো রাতে ডিস্টার্ব করতে চলে আসলাম।😂
মুনঃ ধ্যাত।কিযে বলো না তুমি?বলোতো কি বলবা।😶
মিসেস শাহানাঃ তোদের মাঝে কি কিছু চলছে?😳
মুনঃ মানে?
মিসেস শাহানাঃ ঢং করতে হবে না। সত্যি টা বলতে পারিস।😃
মুনঃ তুমি কিসের কথা বলছ...😲
মিসেস শাহানাঃ আশিকের কথা বলছি। আমি তোকে আশিকের কথা বলছি। সত্যি কি তোদের মাঝে কিছু নাই?😤😥
মুনঃ (কি বলবো আমি? অনেক চেষ্টা করার পরও তো আমি ব্যর্থ😢।)[চোখের কোণায় জল খেলা করছে]
মিসেস শাহানাঃ কি হলো? বল তোদের মাঝে কিছু আছে নাকি।😲
মুনঃ মা।কি বলবো বলো তো।😢
মিসেস শাহানাঃ দেখ সোজাসাপ্টা কথা বলছি। আমি তোদের মাঝে লুকিয়ে থাকা কিছু আচরণ দেখতে পেয়েছি। যদি তোরা চাস তো তাড়াতাড়ি তোদের মিলিয়ে দিতে পারি।😃
মুনঃ এটা কিভাবে সম্ভব মা।
মিসেস শাহানাঃ সবই সম্ভব। তোরা রাজি থাকলে আমরা তোদের...😃
মুনঃ আমি কি বলবো বলো মা। তোমাদের ভাগ্নে তো আমাকে একটুও বোঝে না😭😭।(জরিয়ে ধরে কেঁদে)
মিসেস শাহানাঃ আরে পাগল মেয়ে কাঁদছিস কেন? 😥
মুনঃ কতো সুযোগ দিয়েছি আশিককে। কিন্তু সবসময় আমাকে ইগনোর করে। আমাকে কি বোঝেনা ও। আমাকে কি একটু ভালোবাসে না😭।
মিসেস শাহানাঃ আমি জানি আশিকও তোকে ভালোবাসে। কিন্তু কোন একটা জড়তা আছে, প্রকাশ করতে পারছেনা।😥
মুনঃ আমি কি করলে ওকে বোঝাতে পারবো আমি শুধু ওর। বলো মা।ও কি কখনো আমার হবে না? ওকে ছাড়া আমি বাঁচব না মা।😭
মিসেস শাহানাঃ এভাবে হাল ছেড়ে দিলে হবে না। তোকে বোঝাতে হবে তুই ওকে কতোটা ভালোবাসিস।😒
মুনঃ কিন্তু কিভাবে? ও তো বুঝতেই চাই না কিছু।😢
মিসেস শাহানাঃ আমার মনে হয় তোকেই আগে প্রকাশ করতে হবে। ও হয়তো নিজেকে আড়াল করতে চাইছে। দেখলি না কতোটা পরিবর্তন হয়ছে😩😩।
মুনঃ হুম মা।আমিও তাই ভাবছি।😢
মিসেস শাহানাঃ কি করবি এখন?
মুনঃ কোন স্পেশাল যায়গায় যাবো। সেখানে ওকে প্রপোজ করবো। ওর তো সাহস নেই শুধু কথা বলতে পারে।😡😧
মি.আরমানঃ এই না হলে আমার মেয়ে। পুরো বুদ্ধিমানের মতো কাজ হবে।😂
মিসেস শাহানাঃ আহারে নিজে কতোটা বুদ্ধিমান সেটা বোঝাই যায়। ভাগ্নে টা তো হয়েছে পুরো তোমার মতো। আমার মেয়ে কে কষ্ট দেয়। যেমনটা তুমিও আগে দিতে।😠
মি.আরমানঃ থাক পুরোনো কথা টেনে আনতে হবে না।😩
মিসেস শাহানাঃ হ্যাঁ এখন তো বলবাই। আমার মতো কাজ আমার মেয়ে কেও করতে হচ্ছে।😡ছেলেদের মাথায় কবে যে বুদ্ধি হবে? শুধু তাকিয়ে থাকতে পারে।মুখ দিয়ে একটা কথাও বলার সাহস নেই।😢😡
মি.আরমানঃ ভালো হচ্ছে না কিন্তু।😞
মিসেস শাহানাঃ ভালো তো হবেই না। সঠিক কথা বললে সবারই গা জ্বলে😡। তুমি যেমন লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতা। কথা তো দুরে থাক। আশেপাশে ঘিরতে না তেমনি তোমার ভাগ্নে টাও হয়েছে।😠
মি.আরমানঃ আমার ভাগ্নে কে নিয়ে কিছু বলবে না বলে দিলাম। আমার ভাগ্নে যথেষ্ট বুদ্ধিমান। নাহলে কি তোমার মেয়ে তার পিছনে পরে থাকতো?😂😄
মিসেস শাহানাঃ আহারে তোমরা যখন এতোটাই বুদ্ধিমান তাহলে আগে বলতে পারো না কেন?আমাদের মেয়েদেরই আগে প্রকাশ করতে হয় কেন?😢😡😬
মুনঃ উফফ। তোমরা নিজেদের লাভ স্টোরি নিয়ে পড়ে আছো। আমার কথা একবারো ভাবছো না। তোমার যাওতো। নিজেদের রুমে গিয়ে সারারাত ঝগড়া করো। আমাকে ভাবতে দাও।😠😰
মি.আরমানঃ তোমার কোন চিন্তা করতে হবে না। আগামী রবিবার তোমাদের চট্টগ্রাম যাওয়া কনফার্ম। 😂
মুনঃ তুমি কিভাবে জানলে আমরা কোথায় যাবো?(আমি তো কাউকে বলি নি)😱
মু.আরমানঃ তুমি ভুলে যেও না আমি তোমার বাবা। তোমার দেখা শেনার দায়িত্ব টা আমার উপর আছে।
মুনঃ থ্যাংক ইউ বাবা।😍
মিসেস শাহানাঃ আমি এতো কিছু করালাম আর শুধু তোর বাবাকেই থ্যাংকস জানালি..😰😢
মুনঃ তোমাকেও থ্যাংকস😍। কিন্তু মা আমি বুঝতে পারছি না, অনেকের বাবা মা চাই,তাদের সন্তান তাদের পছন্দের পাত্রের সাথে বিয়ে দিতে।কিন্তু তোমরা পুরো উল্টো। আমাকে প্রেম করার জন্য সাহায্য করছো।😱
মি.আরমানঃ আসলে আমাদের ভালোবাসা পরিপূর্ণ হয়েছে তোমার ফুফুর......
.
.
.
.
.
.
.
.
To be continue..

0 মন্তব্যসমূহ
গল্প গুলো কেমন লাগলো, আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।