মামাতো বোন
পর্ব- ৮
কিন্তু তোমরা পুরো উল্টো।😱 আমাকে প্রেম করার জন্য সাহায্য করছো।
আরমানঃ আসলে আমাদের ভালোবাসা পরিপূর্ণ হয়েছে তোমার ফুফুর জন্য। আপু না থাকলে হয়তো আমাদের অবস্থান কোথায় থাকতো আমরা জানতামই না।😥
মুনঃ মানে? ফুফু আবার কি করলো?😱
শাহানাঃ তোর ফুফু ছিল বলেই তোর বাবা আমাকে প্রপোজ করতে পেরেছে। ও তো পুরো হাবলা ছিল। তখন আপু এসে আমাকে ওর কথা জানিয়ে দেয়।😳😡যদিও আগে থেকেই তোর বাবাকে পছন্দ করতাম। কিন্তু মেয়ে মানুষ তো, তাই আগ বাড়িয়ে কিছু করার ছিল না।তারপর শুরু হলে আমাদের গল্প। 💟মাস্টার্স শেষ করতেই আমার পরিবার থেকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। তোর বাবাকে বলেছিলাম আমার বাবা-মায়ের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়ে দিতে কিন্তু ভয়ে কিছু করতে পারেনি😳। তখন আপুকে বলি এ বিষয়টা।তারপর উনিই আমাদেরকে একত্রিত করে।😍
মুনঃ ওও বুঝলাম। কিন্তু তোমরা আমাকে উৎসাহিত করছো কেন?😧
আরমানঃ মন ভেঙ্গে গেলে কতোটা কষ্ট হয় সেটা আমার জানা আছে। তাই আমি চাই না আমার মেয়েও কষ্ট পাক। আর একটা কথা, তোমার সাথে আশিকের ছোট থেকেই সব ঠিকঠাক করা আছে। বড় হলে তোমাদের বিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। তাই তো তোমাদের কিছু বলতাম না। রাতকরে ঘুরতে যাওয়া, তোমাদের পাগলামি গুলো দেখে আমরা জেনেও কিছু বলি নি। কিন্তু হঠাৎ আপুর চলে যাওয়া আর আশিকের বাসা ছেড়ে যাওয়ার পর সব কিছু উলটপালট হয়ে গেছে।😢 যাহোক রাত অনেক হয়েছে। ঘুমিয়ে পরো।
মুনঃ হু।তোমরাও😒
সত্যি তাদের লাভ স্টোরি টা দারুণ। কিন্তু আমার টা তো মাঝ পথে থেমে আছে। এই পাগটা কোনদিনও কি বুঝবে না। না বুঝলে আমার কিছু করার নাই।আর তো মাত্র কয়েকটি দিন। তারপর শুধু আমার হবি। শুধু আমার।😍
.
আকাশ পাতাল ভেবে মুনও ঘুমিয়ে পড়ল😴। একটু বেশি আনন্দিত ছিল। কেননা তার ভালোবাসা গড়তে তার সহযোগী নিজের মা-বাবাই। এমনটা কজনের কপালেই বা থাকে।পরিবার থেকে ফুল সাপোর্ট থাকলে আর কি চাই।
সত্যি সে মহাখুশি।
ক্রিংক্রিং.....ক্রিংক্রিং⌚
আশিকঃ উফফফ।এতো তাড়াতাড়ি কেন যে সকাল হতে হয়। বুঝিনা। মহারানী তো বললো তাড়াতাড়ি যেতে। লেট করলে আবার কতো কি যে সহ্য করতে হবে। যদিও কিছু বলবে না। অন্যের অধীনে কাজ করি। এখন থেকে নিয়মিত সময় নিয়েই যেতে হবে। উনার আবার কাজে গাফিলতি একদমই পছন্দ নয়।😞😒
.
অ্যালার্ম এর শব্দে ঘুম ভেঙে যায় আশিকের।বিরক্ত নিয়ে ঘুম ভাঙলেও আজ তেমন বিরক্ত হচ্ছে। আর কতোদিন এমন ভাবে চলবে। সময় পরিবর্তন হচ্ছে। তাই নিজেকেও পরিবর্তন করতে আগ্রহী আশিক।😃
.
মুনঃ চাচ্চু চলো। এখোনো উঠেনি। ও তো লেটলতিফ। প্রতিদিনই লেট করে উঠে।😡
মি.আকরামঃ হ্যাঁ চল। জানি কি রকম।😃
.
আশিকঃ এতো তাড়াতাড়ি উঠেও কেন জানি মনে হচ্ছে লেট হবে। হাতে সময় নিয়ে যেতে হবে। বাইরে গিয়ে খেয়ে নিবো।😢
.
দরজা লক করে একটু তাড়াতাড়ি করে বেড়িয়ে পরল, যেন আজ লেট না হয়। এখানে তেমন একটা রিকশা পাওয়া যায় না। একটু এগিয়ে মোড়ে চলে যেতে লাগলো।আনমনে ও তারা তারি করতে গিয়ে একটা গাড়ির সাথে 🚗ধাক্কা লেগে গেলো।
আশিকঃ আআআআআ। (পরে গেলাম)
চোখে দেখেননা নাকি? 😠এভাবে কেউ গাড়ি চালায়? মনে হচ্ছে রাস্তা টা কিনে নিয়েছেন😠।(রেগে বললাম)
মুনঃ কি বললি? রাস্তা কিনে নিয়েছি😠😠😠?(প্রচন্ড রেগে)গাড়ি থেকে নেমে।
আশিকঃ আরে আপনি? এভাবে গাড়ি চলানোর কি মানে? একটু হলে তো সোজা উপরে টপকে যেতাম।রাস্তা দেখে চালাতে পারে না, না-কি নতুনভাবে চালানো শিখতে😠?
মুনঃ ঐ আমাদের গাড়ি শিখাতে আসছিস😠? তুই কই দেখতো।(কোমরে হাত গুজে, রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম)😠😠
আশিকঃ (এটা কি হলো?ঠিক সাইড দিয়েই তো যাচ্ছিলাম।তাহলে রাস্তার মাঝখানে আসলাম কিভাবে?😧😧)সরি আসলে...😰
মুনঃ তোর সরির গুষ্টি কিলাই😠। এতো কেয়ারলেস কেন তুই হ্যাঁ। আর একটু হলেই তো কি না হতো(😠শার্টের কলার ধরে)। চোখ কোথায় রেখে আসছিস? দেখে চলতে পারিস না।আমাকে কষ্ট দিতে ভালো লাগে তাই না😢😭?
(চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় বৃষ্টি পরতে লাগলো।)
আশিকঃ (ওর চোখের পানি দেখে বুকটা ফেটে যাচ্ছে।আমার জন্য এতো মায়া😢 তোমার?কেন এতো মায়া দেখাও। আমি যে তোমার অযোগ্য?)আপনি কান্না করছেন কেন?প্লিজ কাঁদবেন না।😩😰
মুনঃ (যদি বুঝতি তাহলে এভাবে বলতি না।তুই কি কিছুই বুঝিস না,কেন বলতে পারিস না😩।একবার বল। দেখ আমি তোর।তোকে আর কষ্ট পেতে দিবো না)না।এমনি।😢
মি.আকরামঃতোদের পর্ব শেষ হলে আমি কিছু বলতাম।😂
আশিকঃ ছোট মামা তুমি? এখানে😱?(জরিয়ে ধরে)
মি.আকরামঃ আমি তো আর তোর মতো স্বার্থপর নই। তোকে দেখতে চলে আসতে হলো। তুই তো আর আসবি না।😠
আশিকঃ মামা তুমিও এমন বলছো?(😢কান্না করে)
মি.আকরামঃ থাক কাঁদতে হবে না আর।কেমন আছিস?😒
আশিকঃ হুম ভালোই।তুমি?😶
মি.আকরামঃ ভালো। তো মামা ভালোই চলছে😃😂?(কানে কানে)
আশিকঃ কি বলছো মামা?😲
মি.আকরামঃ নাটক করা লাগবে না।আমি সব জানি।😂
আশিকঃ কি জানো তুমি?(আমি তো কখনো কাউকে বলি নি।)😱😲
মি.আকরামঃ আমি জানি তোরা দুজন দুজনকে ভালোবাসিস। খুশির খবর কবে পাবো ভাগ্নে।😂
আশিকঃ কি যে বলো না তুমি।কোথায় সে,আর কেথায় আমি।😥
.
আশিক এবং আকরাম (ছোট মামা) দু-জনেই অনেক ক্লোজ। অবশ্য বয়সটা কিছুটা কাছাকাছি। তাই তাদের সম্পর্কটা মামা-ভাগনের মধ্যে না থেকে বন্ধুত্বের মধ্যে গিয়ে ঠেকেছে।আশিকের মায়ের সবচেয়ে আদরের ভাই আকরাম। ছোট দেখে একটু বেশিই আদর করতেন। আকরাম সবসময় তার আপুর কাছে থাকার চেষ্টা করতো।একটু বেশিই ভালোবাসতেন তার আদরের ভাইকে। অন্য ভাইকে যে ভালোবাসতেন না তা না, ওদের কেউ ভালোবাসতেন। তবে তাদের একটু শাসনের মধ্যে রেখেছিলেন। তাই তারা তার বোনকে ভয় পায়।😕
.
মি.আকরামঃ তুই রাজি থাকলে বাকি টা আমি ম্যানে..😂
আশিকঃ থাকনা মামা। এমনিতেই ভালো আছি।😩 বাদ দাও বাসার সবাই কেমন আছে। মিশু, মামি, আর নতুনটা আমার ভাই নাকি বোন? 😁
মি.আকরামঃ একদম তোর মতো।সবাই ভালো আছে।বাকিটা গাড়িতে গিয়ে খোঁজ বুঝতে পারবি?
আশিকঃ কেন?😕
মি.আকরামঃ প্রশ্ন না করে গিয়ে দেখ।
মুনঃ চাচ্চু তোমাদের ভাগনা তো প্রশ্নের ঝুলি নিয়ে বসে থাকে।তাই সবসময় প্রশ্ন করতেই থাকে।😂
মি.আকরামঃ সেটা তো দেখতেই পাচ্ছি।এবার গিয়ে দেখ তোর জন্য কি অপেক্ষা করছে।😠
আশিকঃ ভয় দেখাচ্ছো? 😶
মুনঃ তোকে ভয় দেখাতে যাবে কেন দুঃখে একবার গিয়েই দেখনা। 😂
আশিকঃ ঠিক আছে।(মনে মনে দোআ দরুদপাঠ করতে করতে দরজা টা খুলতেই কে যেন মারতে লাগলো)😞
মিশুঃ তুমি খুব পঁচা। যাও তোমার সাথে কোন কথা নাই। তুমি একদম ভালো না😰।(মারতে মারতে)
আশিকঃ আরে আমার আপুটা যে? কেমন আছিস তুই😃😩? (চোখের কোণায় জল খেলা করতে লাগলো)
মিশুঃ তোমার সাথে কোন কথা নাই। তোমার সাথে আরী।😩😡
আশিকঃ আমার ছোট আপুটা রাগ করেছে? দাড়াও তোমার রাগ ভাঙ্গাচ্ছি।😰
.
পাশের দোকান থেকে কয়েকটা চকলেট নিতে গেল। মুন ও আকরাম এদের কান্ড দেখে মুচকি হাসছে। রাগ করবেই না কেন? আশিককে কতোটা ভালোবাসে মিশু ছোট থেকেই। হঠাৎ হারিয়ে যাওয়ায় অনেক কষ্ট পায় মিশু। সারাক্ষণ কাদতে থাকে। নিজের কোন ভাই নেই। আশিক নিজের ভাইয়ের মতোই ছিলো। সব আবদার পুরন করতো আশিকই। অপর দিকে ৬ বছরের আরিফ কিছু নিয়ে চিন্তা করছে।সে কোন ভাবেই মিলিয়ে নিতে পারছে না এটা তার ফুফাতো ভাই। কোথাও দেখেছিল সে,কিন্তু কোথায় সেটা মনে পড়ছে না।বসয় কম হলেও তার মস্তিষ্ক অনেক তুখার।
.
আশিকঃ আমার লক্ষি আপু এই নাও তোমার জন্য, তোমার পছন্দের চকলেট।
মিশুঃ না আমি খাবোনা। তুমি আমাকে কষ্ট দিছো।
আশিকঃ (এতোদিন আমাকে মনে রেখেছিল? সেই ছোট বেলায় চলে গেছিলাম। তখন ওর বয়স ছিল ৬ বছর।পিচ্চি একটা মেয়ে। এতোদিনে আমাকে চিনতে পারলো কিভাবে?) আমার পিচ্চি বুড়ী, এই দেখ কান ধরেছি। আর কষ্ট দিবো না।😢
মিশুঃ সত্যি তো? 😬
আশিকঃ হুম।তিন সত্যি।😂
মিশুঃ তাহলে আমার একটা শর্ত আছে।😕
আশিকঃ তোরও শর্ত? আচ্ছা বল কি শর্ত।😞
মিশুঃ আমাকে আইসক্রিম🍦 খাওয়াতে হবে।😁
আশিকঃ ওও এই কথা? আচ্ছা এক্ষুনি আনছি কিন্তু তুই তো আইসক্রিম🍦 খাসনা।😣
মিশুঃ কে বললো তোমাকে?(রাগি দৃষ্টিতে😠)
আশিকঃ (ও মা-রে।এ তো দেখছি মুনের থেকেও বেশি ভয়ানক।)আইচ্ছা বোইন আনতাছি।😒
মিশুঃ এতোদিন অন্য কে দিয়ে কাজ করাইছো, এখন তুমি করছো হিহি। এই যে আপু তোমার ইয়েকে দিয়ে কাজ করাচ্ছি বলে কিছু মনে করো না কেমন।😂😃
মি.আকরামঃ ইয়ে মানে?😨
মুনঃ না,না চাচ্চু কিছু না।ভালো হচ্ছে না কিন্তু মিশু।(রেগে)😠
মিশুঃ হিহি।আজ না হলে, কাল তো হবেই।😂
মুনঃ হুহ।সেটা পড়ে। এখন চুপ করে থাক😡।
মিশুঃ দেখছো আপু আমি কেমন কনট্রোল করলাম।তোমাদের তো কথা শোনে না।😂
মুনঃ বেশি কথা বলিস তাই না?চুপচাপ থাক।
মিশুঃ মি. আরিফ চৌধুরী খান, আপনি আজ এতো ভদ্র। কেমনে কি?😃😑
মুনঃ তাইতো? আজ এতো ভদ্র সাজছিস কেন? কি ব্যাপার বলতো?😳
আরিফঃ আচ্ছা আপু,ঐ ভাইয়াটাকে কোথাও দেখেছি আমি?😱
মুনঃ আমরা কি ভাবে বলবো তুই দেখেছিস কি না।
.
মিশুঃ তুই কিভাবে দেখবি? আগে কি এখানে এসেছিলি নাকি?😱
আরিফঃ না আপু। উনাকে কোথাও দেখেছি আমি😨।
মুনঃ ওর কথাও ফেলে দেওয়ার মতো না।কিন্তু ও কিভাবে দেখবে? আশিক তো ঐ দিকে যায়না। তাহলে?(মিশুকে উদ্দেশ্য করে)😱😲
মিশুঃ আমি কি ভাবে বলি। সেটা তো ভাইয়া বলতে পারবে 😰
মুনঃ হুম ঠিক বলেছিস।😕
আশিকঃ এই নে তোর আইসক্রিম।কতো কষ্ট করে আনলাম।🍦
মিশুঃ( মুচকি হেসে) তুমি জানোনা আমি আইসক্রিম খাই না।🍦
আশিকঃ তাহলে আনতে বললি যে?😨
মিশুঃ জানোনা কেন? যার জন্য এনেছ তাকে দাও।(হেঁসে)😂
আশিকঃ সত্যি মিশু অনেকটা বড় হয়েছে।অনেকটা পরিবর্তন এসেছে। হবেই বা না কেন? সেই ৭ বছর পর দেখলাম। এখন তো প্রায় তেরো চলতেছে। এখন সে অবুঝ নয়। 😳
মিশুঃ কি হলো দাও।(রাগি কণ্ঠে)😠
আশিকঃ হ্যাঁ দিচ্ছি।(আমার হাত কাঁপছে। পুরোনো কথা মনে পড়ে গেলো। মুনকে প্রায় 🍦আইসক্রিম এনে দিতাম। অবশ্য রাগ ভাঙ্গানোর বিশাল একটা ঔষধ। আর একটা ছিল ফুচকা।
মুনের অন্য তম পছন্দের খাবার ফুচকা।যখন ফুচকা খেত তখন দেখতে পুরো লাল টমেটো🍅 দেখা যেতো।)
মুনঃ ওর দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। এমন অনেক ঘরে যাওয়া দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠছে। আমাদের খুনসুটি, ঝগড়া, মারামারি, মান অভিমান সব কিছু। কতোটা না আনন্দময় ছিল সেই দিন গুলো।
মিশুঃ এহেম, তোমাদের শুভ দৃষ্টি হলে আমরা এখন যেতে পারি।😂
আশিকঃ হ্যাঁ।(লজ্জা পেলাম।এভাবে তাকিয়ে না থাকলেই হতো)😑
মুনঃ হুম চল তাহলে।😕
আশিকঃ ঐ ছেলে(আরিফ) 😱টা এখানে?(গাড়ির ভেতর লক্ষ্য করতেই অবাক হয়ে গেলাম)
মুনঃ তুই চিনিস ওকে?(অবাক হয়ে)😱
মিশুঃ আরে আরিফও তো বলল তোমাকে চেনে।কিন্তু কিভাবে?😲
আশিকঃ কোথায়, কোথায়।ওহ মনে পড়েছে। কয়েকমাস আগে এক্সিডেন্ট হতে চলেছিল..😕.
মুনঃ তারমানে সেই তুই?😱
আশিকঃ হুম।😧
মিশুঃ থ্যাংকস ভাইয়া। জানো তোমাকে আমরা কতোটা খুজেছি? এরপর থেকে আমরা আরিফকে একা ছাড়িনি। কেউ না কেউ আসতাম।😢
আশিকঃ থ্যাংকস এর কি আছে? আমার তো কর্তব্য।কিন্তু তখন জানতাম না,এখন তো দায়িত্ব ও কর্তব্য দুটোই।😍
মুনঃ হুম। চল এবার যাওয়া যাক।😃
.
ইতিমধ্যে মি.আকরাম চলে গেছে নিজের কাজে।
আশিক যেদিন ঢাকায় আসে তখনি আরিফের সাথে দেখা। সেদিন রাস্তার ধারে একটা ক্রিকেট⚾ বল পড়ে যায় আরিফ। আরিফ বলটা আনতে চলে যায়, ঠিক তখন একটা গাড়ি 🚗চলে আসে। আশিক দৌড়ে গিয়ে আরিফকে এক্সিডেন্টের হাত থেকে বাঁচিয়ে নেয়। সাথে একটু আঘাত পেয়েছিল। তবে বেশি গুরুত্বপূর্ন আঘাত নয়। পেইন কিলার নেওয়ায় ব্যাথা কমে যায়।সেদিন আরিফকে পাশের দোকান থেকে চকলেট কিনে দেয় আশিক। কিছু জিজ্ঞেস করার সুযোগ হয়নি। কারণ তখনই মামাকে দেখে।তাই দ্রুত কেটে পড়ে। সে চাই না যাতে কেউ আশিকের খোঁজ পায়।কিন্তু নিয়তি সেটা মেনে নিতে পারেনি। গাঁ ঢাকা দিয়ে থাকলেও অবশেষে সবার সামনে উপস্থিত হতে হয়েছে।
.
আরিফের সাথে আশিকের বন্ধুত্ব অল্প সময়ের মধ্যে হয়ে গেল। প্রথমে আরিফকে শান্ত মনে হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই বুঝতে পেরেছে আরিফ তার থেকেও বেশি ফাজিল। হবেই না বা কেন? পুরো পরিবারের একমাত্র ছেলে আরিফ। সবার আদরেই সে এমন হয়েছে। আশিকের চলে যাওয়ার পর মিশুর কলিজা হয়ে ওঠে আরিফ। আরিফকে নিজের ভাইয়ের থেকেও বেশি ভালোবাসে। হয়তো নিজের ভাই নেই তাই এতটা ভালোবাসে।
.
আশিকঃ আমাদের অফিস?(হঠাৎ মনে পড়লো অফিসের কথা)
মুনঃ মানে? অফিস তো অফিসের জায়গাতেই আছে।🏢
আশিকঃ না মানে, অফিস যেতে হবে তো। খেয়ালই ছিল না। আপনারা বাসায় যান। আমাকে অফিসের দিকে রওনা দিতে হবে। এমনিতেই লেট হয়ে গেছে।
মুনঃ আজ যেতে হবে না।😠
আশিকঃ কিন্তু এভাবে কতোদিন।
মুনঃ যতদিন ইচ্ছে।(😢তুই চাইলে আজীবন হবে)
মিশুঃ আপু বলছিলাম কি, আজকে আমরা তোমাদের সাথে যাবো।😂
মুনঃ মানে?কোথায় যাবি?😱
মিশুঃ তোমাদের অফিসে।🏢
আরিফঃ ইয়েএএএ। আমিও যাবো আপু।😃
মুনঃ কি বলছিস? ওখানে গিয়ে তোরা কি করবি?😱
মিশুঃ তোমরা যা করতে পারো না আমি তা করবো।(ফিসফিস করে)😂
মুনঃ খুব পেকে গেছিস তাই না।😠(কান মলা দিয়ে)
মিশুঃ কি করছো আপু লাগছে তো ছাড়ো।
আশিকঃ ওরা যখন যেতে চাইছে তখন চলেন না।অফিসে যায়।😧
মুনঃ আহারে খুব অফিসের প্রতি টান।অফিসে গেলেই শুধু মেয়ে দেখা তাই না😠?(কথাটি বলেই চমকে গেলাম। সত্যি কি এটাই? কালকে তো দেখলাম ঐ মেয়েটার সাথে কথা বলছে।)😢
আশিকঃ কি যে বলেননা আপনি😒?(লজ্জার ভঙ্গিতে। আপনি থাকতে অন্য কাউকে দেখার জোঁ আছে নাকি আমার।বেহায়া চোখ দুটি সারাক্ষণ শুধু আপনাকেই খুজতে থাকে😰😍)
মিশুঃ তাহলে তো ভালোই হয় ভাইয়া। আমাদেরও ভাবি হয়ে যাবে।(আপুকে রাগানোর জন্য😂)
মুনঃ মিশু বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু😠।
মিশুঃ আচ্ছা আর বলবো না।এবার তো চলো।😂
মুনঃ হুম। অফিসের দিকে চলেন(ড্রাইভারকে)
ড্রাইভারঃ জ্বি ম্যাডাম।
.
গাড়ি চলছে আপন গতিতে, আশিক আর আরিফ দুজনেই মাস্তিতে মেতে উঠলো। কতোদিন পর নিজের মন খুলে মজা করছে নিজেও জানে না। এটা দেখে মুন মুগ্ধ হয়ে গেল।,😍 হাসিখুশি তেই তাকে বেশ মানায় কিন্তু উনি তো গোমড়া মুখো। দেখতে বাংলার ৫ (পাঁচ) গুলোর মতো লাগে।😃
মিশুঃ এই আপু কি ভাবছিস? নেমে পড়। ভাববার অনেক সময় পাবি।😂
মুনঃ ও হ্যাঁ। চল।(কখন যে অফিসে পৌঁছালো বুঝতে পারিনি।)
.
আশিকের কোলে আরিফ। দুই ভাইকে একদম দারুন মানিয়েছে। যদিও আশিক তেমন ভাবে কোলে নেওয়ায় এক্সপার্ট নয়। তবে ভাই তো। তাকে পেয়ে খুশিতেই কেন জানি কোলে তুলে নিলো।ছয় বছরের বাচ্চা, তেমন বেগ পেতে হলো না আশিকের।
.
তাদেরকে একসাথে অফিসে ঢুকতে দেখে সবাই অবাক ভাবে ......
.
.
.
.
.
To be continue....

 
 
 
 
 
0 মন্তব্যসমূহ
গল্প গুলো কেমন লাগলো, আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।