মামাতো বোন। পর্ব- ৯


মামাতো বোনপর্ব- ৯

ছয় বছরের বাচ্চা আরিফ, তেমন বেগ পেতে হলো না আশিকের।
.
তাদেরকে একসাথে অফিসে ঢুকতে দেখে সবাই অবাক ভাবে তাকিয়ে আছে।😮😮 যেন এলিয়েন দেখছে তাঁরা। অবশ্য এটা এক্সেপ্ট করে নি তারা। আশিকের সাথে কিছু একটা আছে সেটা সবাই বুঝতে পারছিল। কিন্তু আজকে ঘন্টা খানিক লেট করে দুজনে একসাথে আসলো,সাথে নতুন দুজনও আছে।এসব আকাশ-পাতাল ভাবাচ্ছে সবাই কে।😮 যদিও শফিক ব্যাতীত। কারন ও কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছে তাদের মধ্যে কি সম্পর্ক।😯
.
মুনঃ এভাবে সবাই তাকিয়ে আছেন কেন?(রাগি কণ্ঠে) নিজেদের কাজ করুন।😠😠 আর হ্যাঁ এরা আমার চাচাতো ভাই-বোন।😡
সবাইঃ জ্বি ম্যা’ম।
.
সবাই ভয়ে নিজেদের কাজ করে ব্যাস্ত হয়ে পড়লো। তবে তাদের যে ভাবাচ্ছে না সেটা নয়।
.
আশিকঃ আমি কেবিনে যাচ্ছি। তোমরা আপুর সাথে চলে যাও।☺
আরিফঃ ভাইয়া আমি তোমার সাথে যাবো।😊
আশিকঃ মুনের দিকে চেয়ে আছি।
মুনঃ ঠিক আছে। তবে কোন দুষ্টামি করবি না।😡
আরিফঃ ঠিক আছে আপু।আমি ভদ্র ভাবে থাকবো😃
মুনঃ ঠিক আছে। আশিক তোর সাথে নিয়ে যা। কোন সমস্যা হলে আমায় জানাবি।☺
আশিকঃ ঠিক আছে ম্যা’ম।😞
মিশুঃ ম্যা’ম?(অবাক হয়ে)😮
আশিকঃ উনি তো অফিসের বস। তাই ম্যা’ম ই ডাকতে হয়।☺
মিশুঃ মাত্রই কয়েকটা দিন। তারপরে অন্য কিছু ডাকতে হবে।(মুচকি হেসে)😃
আশিকঃ মানে?😮
মুনঃ কিছু না। তুই তোর কাজে যা।😡
আশিকঃ হুম। চলো ভাইয়া।আমরা যাই😃।
মুনঃ কি হচ্ছিল এটা?(রেগে)😬
মিশুঃ হিহি।যেটা হবে সেটাই।😂
মুনঃ চুপ।বেশি পেকে গেছিস তাই না।😡
মিশুঃ না আপু। একটু তোমার হেল্প করছি 😂
মুনঃ তোকে কিছু করতে হবে না। চল কেবিনে।😡
.
শফিকঃ কে ভাই আপনার?😦
আশিকঃ মামাতো ভাই।😃
শফিকঃ তারমানে ম্যাডাম আপনার মামাতো বোন?😱😲
আশিকঃ হুম।😶
শফিকঃ তাহলে তো সুবিধা ভালোই😂।মামাতো বোনের সাথে প্রেম।😂 আহা, কতো মজা তাই না।😊
আশিকঃ ধুর ভাই এসব কিছু না। নিজের কাজ করেন।ভাইয়া (আরিফকে) তোমার কিছু লাগবে😊?
আরিফঃ না।আমি গেইমস 😩খেলবো?
আশিকঃ গেইমস খেলবা? কিভাবে?😦
আরিফঃ তোমার কম্পিউটারে।😊
আশিকঃ আমার কম্পিউটারে গেইমস নাই তো ভাইয়া। আমি তো এখন কাজ করবো।😨
আরিফঃ ডাউনলোড করে দাও।😅
আশিকঃ( কি বলে আরিফ? ডাইনলোডও বুঝে?হাইরে ডিজিটাল পৃথিবী। আমরা ছয় বছর বয়সে মোবাইল কি জানতামই না।আর এখন ও নাকি ডাইনলোড পর্যন্ত বুঝে) আমি কম্পিউটারে কাজ করি? তুমি ফোনে গেইমস খেলো।😐
আরিফঃ ঠিক আছে। দাও।☺
আশিকঃ আগে কিছু গেইমস ডাইনলোড দেই।😦
আরিফঃ তোমার কাজ তুমি করো।আমি ডাইনলোড দিচ্ছি।☺
আশিকঃ (হাজার ভোল্টের শক খেলাম। বলে কি ডাউনলোড ও নাকি দিতে পারে)😮
শফিকঃ ভাই দিয়ে দিন। এটা ডিজিটাল যুগ। এখন সবই সম্ভব।☺
আশিকঃ ঠিক বলেছেন ভাই।😊(ফোনটা দিয়ে কাজ করতে লাগলাম।)
.
মুনঃ এতোটা সময় হয়ে গেল এটুক বারো আশিককে দেখতে পারছি না😢। মিশু এসে যতসব ঝামেলা বেঁধে দিলো।😡
মিশুঃ ভাইয়াকে ডেকে দিবো?😂
মুনঃ মানে?😮
মিশুঃ আমি জানি তুমি ভাইয়াকে নিয়ে ভাবছো। মাঝখানে আমি এসে সমস্যা করছি তাই না।😕
মুনঃ কই না তো।😮
মিশুঃ থাক বলতে হবে না। ভাইয়াকে ডেকে দিই। তোমরা প্রেম করো।😃 আমি আসছি।(উঠে পড়লাম)
মুনঃ কই যাচ্ছিস।😮
মিশুঃ ভাইয়াকে ডাকতে।😀
মুনঃ লাগবে না।তুই চুপ করে বোস।😨
মিশুঃ ধুর আপু তুমি একটুও রোমান্টিক না।কোথায় বিয়ের আগে প্রেম করবে, একটু সময় কাটাবে তা-না। আমি আর আরিফ অফিসটা ঘুরে দেখছি।এই ফাঁকে তোমরা সময় কাটাও😂। বেশি সময় দিবো না বলে দিচ্ছি।(চলে এলাম ভাইয়ার রুমে)😂
মুনঃ আমার মনের কথা মিশু বুঝতে পারে।তবুও গাধাটা বোঝেনা।😠😞
.
মিশুঃ আশিক ভাইয়া আপু ডাকছে।😂
আশিকঃ কেন?😮
মিশুঃ বোঝ না কিছু? তাড়াতাড়ি যাও😡
 সময় কিন্তু কম।
আশিকঃ কি আবোলতাবোল বকছিস?😮
মিশুঃ ধুর,, তুমি কাজ করতে আসছো তো এখানে😮? একটু পরই তো লাঞ্চ টাইম।😃
আশিকঃ ও হ্যাঁ। যাচ্ছি।😲
শফিকঃ ভাই আপনার কি সুন্দর ভাগ্য।প্রেম করার জন্য শালিকার সাহায্য পাচ্ছেন😂।(ফিসফিস করে)
আশিকঃ ধুর কি যে বলেননা। আপনি একটু সিরিয়াস হতে চেষ্টা করুন।😁
মিশুঃ তোমাকে কি বললাম?(রেগে)😡
আশিকঃ যাচ্ছি বইন৷রাগার কি আছে।😞
মিশুঃ হু তাড়াতাড়ি যাও।আরিফ আমার কাছে আয়।😃
.
আশিক চলে যাইতেই শফিক বলে উঠলো,
-আমি কিন্তু বুঝতে পারছি।😁
মিশুঃ কি?😡
শফিকঃ আশিক ভাইকে কেন পাঠাইলেন। ভাইয়ের কি সুন্দর হেল্প করার মানুষ আছে।😕
মিশুঃ যে বোঝার সেই তো বোঝে না।আরেক জন বুঝে বসে আছে।😡
শফিকঃ কি করবেন বলেন। এতো বার বলি কিন্তু আশিক সাহেব একই কথা বলে, ওসব কিছু না। উনি আমাদের বস,আর আমি সাধারণ এমপ্লয়ি😥।
মিলিঃ অন্যজন বোঝেননা। আর উনি সব কিছু বুঝে বসে থাকেন(রেগে)😡
শফিকঃ উফফ এই মেয়েটা তো আমায় মেরে ফেলবে।কাছে আসলেই হার্ট বেড়িয়ে যেতে চায়😩
মিশুঃ আপনি?😱
মিলিঃ আমি মিলি। এখানেই কাজ করি।😂
মিশুঃ ও আচ্ছা।😮
মিলিঃ হুম। আপনারা কি নিয়ে কথা বলছিলেন?😁
মিশুঃ না তেমন কোন কিছু না। আমি তোমার ছোট। তুমি করেই বলবে।😃
মিলিঃ এ কেমন ভাবে হয়? আপনি আমাদের ছোট ম্যাডাম।😲আপনাকে...
মিশুঃ আমি যা বললাম তাই। ওকে। এখন চলো তো।😃
মিলিঃ কোথায়?😱
মিশুঃ আজকে হঠাৎ চলে আসলাম। একটু আশেপাশে ঘুরে দেখবো। আর তো আসা হবে না। চলো আমাদের দেখাবে।😃।আপনি(শফিক) থাকেন।
শফিকঃ থাকতেই তো হবে।😂
.
মিশু ছোট হলেও বুদ্ধি অনেক। খুব তাড়াতাড়ি সবাই কে আপন বানানোর কৌশল সে জানে। একটু রসিকও বটে।,☺☺
.
আশিকঃ ম্যাডাম আসবো?😦
মুনঃ তোকে কতোবার বলতে হবে আমার কাছে আসতে পারমিশন লাগবে না?😡
আশিকঃ তা কি করে হয়?আপনি আমাদের বস।😶
মুনঃ থাক এতো কথা শুনতে চাই না।😡
আশিকঃ কেন ডেকেছিলেন ম্যাডাম?😞
মুনঃ এমনি। বসে পর।☺
আশিকঃ কোন কাজ না থাকলে এখানে থাকার কোন মানেই হয় না।😥
মুনঃ তোকে বলেছি এখানে কোন কাজ নেই। এতো বেশি বুঝিস কেন?😠
আশিকঃ কি কাজ ম্যডাম?😮
মুনঃ বোস। বলছি।😑
আশিকঃ হুম।😐
.
আশিক চুপ করে বসে পরলো।মুন চুপচাপ কাজ করে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে নিরবতা চলছে। মাঝেমাঝে মুন আশিকের দিকে তাকিয়ে কিছু বোঝার চেষ্টা করে।😞 আশিকের চোখ মিথ্যে বলছে না। মুন যেটা চাইছে ঠিক সেটাই তার চোখে দেখতে পাচ্ছে। 😍চোখ রেসপন্স দিলেও মুখ কোন রেসপন্স দিচ্ছে।😞
এভাবে মুনের সামনে বসে থাকতে আনইজি লাগছে আশিকের। 😞অনেকক্ষণ বসে আাছে মুনের সামনে।মাঝে মাঝে তাকিয়ে থাকে মুন।এটা আরো বেশি আনইজি লাগে😒। তবে মুন যে কিছু বলবে তার কোন লক্ষণ নেই।😧
আশিকঃ কিছু বলবেন কি?😲(অনেকক্ষণ বসে থাকতে বিরক্ত লাগছে।তাই বললাম)
মুনঃ হুম।😶
আশিকঃ তাড়াতাড়ি বলেন।অনেক কাজ পড়ে আছে।😳
মুনঃ কয়টা বাজে?😦
আশিকঃ (টাশকি খেয়ে গেলাম।)সময় জানতে আমাকে ডাক দিলেন?😮
মুনঃ হ্যাঁ তাই। খেয়াল করেছিস কয়টা বাজে?😡(জোর গলায়)
আশিকঃ হ্যাঁ কেন?😱
মুনঃ এখন তোর কাজের টাইম নেই। লান্সটাইম চলে আসছে।😡
আশিকঃ তো?😱
মুনঃ তো মানে?কথা কি ছিল?😠
আশিকঃ কিসের কথা?😮
মুনঃ ভুলে গেছিস? তোকে না বললাম যতদিন একসাথে কাজ করবো আমরা লান্স একসাথেই করবো।😡
আশিকঃ কই?আমাকে তো বলেননি?😱
মুনঃ এখন বললাম। কথাটা মাথায় ঢুকে রাখ।😡
আশিকঃ এটা কিভাবে সম্ভব।আপনি কোথায় আর আম..😧
মুনঃ থাপ্পড় মেরে দাত ফেলে দিবো। আর একবার এই কথা বললে।বুঝতে পেরেছিস?😡
আশিকঃ হুম।😞
মুনঃ হু।আর শোন।সামনে রবিবার তৈরি থাকিস।😍
আশিকঃ কেন?😱
মুনঃ অফিসের কাজে চট্টগ্রাম যেতে হবে।
আশিকঃ আমি কেন যাবো?😱
মুনঃ শুধু তুই না। সাথে আরো ১২ জন যাবে।😠
আশিকঃ ও আচ্ছা।আমি না গেলে হয় না?😞
মুনঃ না হয় না।তোকে যেতেই হবে।😠
আশিকঃ প্লিজ আমার জায়গায় অন্য কাউকে...😒
মুনঃ চুপ।তোকেই যেতে হবে।(যার জন্য এতো কিছু আর সে নাকি যাবে না।)😬
আশিকঃ ওখানেও গেলে কি নতুন কোন ঝামেলায় পরতে হবে? যদি মুনের কিছু হয়ে যায় তখন? 😞মুনকে বলতেও পারছিনা। আমার সাথে দেখলে বিপদ যেন পিছু ছাড়বে না।😒
মুনঃ কি রে? কি হলো?😮
আশিকঃ না কিছু না।😶
মুনঃ কোন রকম সমস্যা করবি না বলে দিচ্ছি। তোকে যেতেই হবে।😦
আশিকঃ জ্বি ম্যাম।😰
.
মিশুঃ আচ্ছা শফিক ভাইয়ার সাথে তুমি রাগলে কেন?😨
মিলিঃ কই না তো।😲
মিশুঃ মিথ্যা বলবে না একদম।😯
মিলিঃ মিথ্যা কেন বলবো।😱
মিশুঃ আমি বুঝে গেছি?😂
মিলিঃ কি?(ভয় পেয়ে)😨
মিশুঃ তুমি ঐ ভাইয়াকে ভালোবাসো তাই না।😂
মিলিঃ ক...কই।না তো।😥
মিশুঃ হিহি আমি জানি।😃
মিলিঃ চুপ করে আছি।😞
মিশুঃ তুমি যখন কেবিনে গিয়েছিলে ভাইয়ার মুখ খানি দেখার মতো ছিল।ভয়ে চুপসে গেছে।হিহি।😂😃
মিলিঃ ঐসব কিছু না।😃
মিশুঃ আমি জানি তোমরা দুজনেই ভালোবাসো😂।
মিলিঃ নাহ। সেটা আর সম্ভব নয়।😞
মিশুঃ কেন?😮
মিলিঃ দেখছো না ও তো ভয়ে কথাই বলছে না😒।
মিশুঃ তারমানে এখনো শুরু হয়নি?😮
মিলিঃ নাহ।😩
মিশুঃ তোমরাও দেখছি একই গোয়ালের গরু।😦(কপালে হাত দিয়ে)
মিলিঃ মানে?😮
মিশুঃ ভাইয়া আর আপুও এমন।ভালবাসে ঠিকই কিন্তু বলতে পারে না।😥
মিলিঃ তারমানে ম্যাডামের সাথে উনি? তাই তো বলি এতো কেয়ার কেন।😕😂
মিশুঃ হুম😨
পিয়নঃ ম্যাডাম(মিশু) আপনাকে বড় ম্যাডাম ডাকছে।,😧
মিশুঃ হ্যাঁ যাচ্ছি।চলো।ওদের কাজ শেষ।ডাক পরেছে।😃
মিলিঃ হুম। চলো।(মুচকি হেসে)😃
.
মিলি এবং মিশু দুজনেই একটু সময়ে ক্লোজ হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে সবকিছু ঘুরতে ঘুরতে নানা ট্রপিক নিয়ে কথা বলেছিল। মিশু ছোট হলেও এসবে খুব এক্সপার্ট। কারন তাদের ফ্যামিলিতে প্রেমের গল্প অনেক পুরোনো। তাই খুব তাড়াতাড়ি বুঝে যায় শফিক আর মিলির ব্যাপার।মিলি অবশ্য অবাক হলেও তেমন চমকে যায়নি।,😃
কেননা মুন আর আশিকের এমন ঘটনায় সে বুঝে গেছিল তাদের মধ্যে কিছু চলছে।আজ সে ক্লিয়ার।তবে আরো কিছু জানার ইচ্ছা ছিল মিলির। কিন্তু ম্যাডামের ডাকে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি।😕
.
মুনঃ কই ছিলি তোরা।😲
মিশুঃ অফিস টা ঘুরে দেখছিলাম।😃
মুনঃ ওও। আরিফ কই?😮
আরিফঃ এখানে আমি।(দৌড়ে এসে)😁
মিশুঃ কই ছিলি?😣
আরিফঃ জালনার দিকে তাকিয়ে বুঝাই দিলো জানালার কাছে ছিল।😄
মুনঃ ওখানে কি করছিলি তুই?যদি পরে যাইতি?😮
আরিফঃ ওখানে একটা পিচ্চি মেয়ে আছে।😂
আরিফের কথা শুনে সবাই ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল। জানালার কাছে গিয়ে দেখছে সত্যি একটা বছর পাঁচেক বয়সের মেয়ে খেলা করছে অপর ছাঁদে। এটা দেখে সবাই ফিক করে হেঁসে দেয়😃। এই পিচ্চি টাও ক্রাশ খেয়ে ফেলেছে।😂
.
আশিকঃ ঐ মেয়েকে তোমার পছন্দ হয়ছে ভাইয়া😂?
আরিফঃ মাথা নেড়ে হ্যাঁ জবাব দেয়।😄
.
আবারও সবাই অবাক হয়ে গেলো।বলে কি এইটুকু ছেলে আবার পছন্দ করে ফেলেছে মেয়েটিকে। অবশ্য মেয়েটি একদম কিউটের ডিব্বা। ছোটদের এমনিতেই কিউট লাগে।😂
.
আশিকঃ তাহলে ভাইয়া মামাকে বলে তোমাদের বাসায় ঐ মেয়েকে নিতে বলছি কেমন।😄
আরিফঃ হু।😃
মুনঃ কি হচ্ছে কি আশিক?😡
মিশুঃ ভাইয়া আগে নিজের টা ঠিক করে নাও।তারপর না হয় আরিফের টা লক্ষ্য করিও।😂
আশিকঃ মানে।😱
মুনঃ কিছু না।চল, লান্সের সময় হয়ে গেছে।😕
.
যে যার মতো করে লান্স করতে লাগলো। দুইটি টেবিলে শুধু অন্যরকম ঘটনা ঘটছে। মুন দের টেবিলে তারা সবাই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মজা করছে।যেন তাদের বাসার ভেতর আড্ডা দিচ্ছে। আশেপাশে কি হচ্ছে তাদের কোন খেয়ালই নাই। অবশ্য দেখার মতো কেউ নেই। সবাই নিজেদের মতো করে ব্যস্ত। অপরটা শফিকদের টেবিলে।এখন শফিক আর মিলি লান্স একসাথেই করে। শফিক আগের মতোই ভয় পায়। তবে মিলি শফিকের ভয় কাটানোর জন্য ক্লোজ হওয়ার চেষ্টা করছে😅। তার সাথে ফ্রিলিভাবে কথা বলছে।শফিক পুরোপুরি না পারলেও একটু আধটু সংকোচ ফেলে কিছুটা রেসপন্স দিচ্ছ মিলির কথায়।😂
একই ছাদের নিচে ২টা প্রেমের গল্প আবির্ভাব ঘটছে। এর সীমা কতো দুর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে সেটা এখনো অজানা।😢
লান্সের পর মুন মিশু আর আরিফ কে বাসায় পাঠিয়ে দিলো। অনেকক্ষণ থেকেই আছে ওরা।কয়েকবার বাসা থেকে ফোন দিয়েছিলো তাদের খোজ নেওয়ার জন্য। বিশেষ করে আরিফ কে নিয়ে বেশি টেনশনে থাকতে হয়। এই বয়সে যতো দুষ্ট, কখন না জানি কি ঘটিয়ে ফেলে।😃😢
.
শফিকঃ ম্যাডামের বোনটা খুব কিউট তাই না😂
মিলিঃ কিহহহ। 😠ঐ মেয়ের দিকে তাকিয়েছেন। আসলে আপনারা ছেলেরা খুবই লুচ্চা। পাশে গফ থাকতেও অন্যের দিকে তাকাতে লজ্জা করে না।(প্রচন্ড রেগে)😠😠
শফিকঃ না মানে আমি ওটা বোঝাতে চাই নি। আর গফ মানে?😱
মিলিঃ কিছু না। আপনাদের ভালো করে চিনি আমি। ফালতু ছেলে।😠
.
বলেই হনহন করে চলে গেলো। শফিকের কথাতে মাথা গরম হয়ে গেলো মিলির। এতো চেষ্টা করছে যেন ওর প্রতি আকৃষ্ট করতে পারে।নিরদ্বিধায় কথা বলতে পারে। তা না করে উনি অন্য মেয়ের কথা বলে মুডটাই নষ্ট করে দিলো।😠
.
অফিস শেষে সবাই চলে গেলো। শুধু মুন আর আশিক ছাড়া।মুন ওয়েট করছে আশিকের জন্য।অনেকক্ষন যাবত অপেক্ষা করছে।কিন্তু আশিকের কাজের চাপ থাকায় সে চলে যেতে পারছে না।
অবশেষে মুন ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে আশিকের কেবিনে প্রবেশ করে কম্পিউটার বন্ধ করে দিলো।😡
আশিকঃ এটা কি হলো?😱
মুনঃ কি হলো দেখতে পাচ্ছিস না?(রেগে)😠😠
আশিকঃ কতো কষ্ট করে ফাইলটা তৈরী করছিলাম আর আপনি এসে সব নষ্ট করে দিলেন।😢
মুনঃ চুপ।এতো সময় ধরে তোকে কাজ করতে কে বলেছে?😠
আশিকঃ নিজের কাজ তো করতেই হবে।😰
মুনঃ অনেক করেছিস এখন চল।😡
.
মুন জোর করে টেনে নিয়ে যাচ্ছে আশিককে। আশিক আস্তে যেতে বলছে, কিন্তু মুন কিছুই কানে নেয়নি।কিছুক্ষণ যেতেই আশিক মুনকে জরিয়ে ধরলো......
.
.

.
.
.
.
.
.
.
To be continue......

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ