গল্পঃ মামাতো বোন । পর্ব--৪


মামাতো বোন

পর্ব--৪
.
আসছি।এতোবার knock করার কি আছে?
দরজা খুলতেই
-ঠাসসসসস ঠাসসসসসস।👏👏
আশিকঃ এতো জোরে দুই দুইটা থাপ্পড় মারলো কে?দাত গুলো নাড়িয়ে দিলো। সামনে তাকিয়ে দেখি নানু।
নানুঃ তুই কিভাবে পারলি এভাবে ছেড়ে যেতে।😭😭(জরিয়ে ধরে)
আশিকঃ নানু, তুমি এখানে কিভাবে?😱
নানুঃ চুপ। তুই এভাবে চলে গেছিলি কেন😭? বাসায় না গিয়ে এখানে উঠেছিস কেন?😭
আশিকঃ বাসায় আর যাবো না নানু।😧
নানুঃ কেন যাবি না?তোর বাসা ছেড়ে তুই এখানে থাকবি কেন?😰😭😠
আশিকঃ উফফ বাদ দাও তো।আগে বলো এখানে কিভাবে?😱
নানুঃ মুন নিয়ে আসলো।
আশিকঃ ওও মুন কই?😱
মুনঃ এহেম এহেম। পিছনে তাকিয়ে দেখ।
আশিকঃ দরজায় দাড়িয়ে বলল। আর মুচকি 😊হাসছে।বাইরে কেন?ভিতরে আসুন।
মুনঃ হুম।যাক এতোক্ষণে দেখলি। ভাবছিলাম নানুকে পেয়ে আমাকে ভুলেই গেছিস😃।(মুচকি হেসে)
আশিকঃ খেয়াল করিনি। সরি।😨
মুনঃ থাক থাক আর বলতে হবে না।উফফ ঘরের এই টা কি অবস্থা করে রেখেছিস😠?এখানে মানুষ থাকে না গরু। এখনো আগের মতো অগোছালোই আছিস।😡😨
আশিকঃ চুপ করে নিচের দিকে তাকিয়ে আছি।কি-বা বলার আছে আমার😒😒।
নানুঃ মনে হচ্ছে ঘুম থেকে কেবল উঠলি। যা ফ্রেশ হয়ে আয়।😨
আশিকঃ হুম।
 ফ্রেশ হাওয়ার জন্য ওয়াশরুমে গেলাম।
.
মুনঃ দাদিমা আমাদের কাজ গুলো সেরে ফেলতে হবে। তুমি ওদিকটা দেখো আমি এদিকটা দেখছি। তোমার আদরের নাতি আর মানুষ হতে পারলো😡 না।
নানুঃ চুপচাপ হাত চালা।আমার নাতিকে নিয়ে একদম বাজে কথা বলবি না।😠
মুনঃ আহা! নাতির জন্যই দরদ উতলে পরছে।ঢং দেখলে বাঁচা যায়না।😒
আশিক বের হওয়ার আগেই সব কাজ complete করে নিলো দুজনে।এতো দ্রুত করলো যে হাফিয়ে উঠল মুন।
আশিকঃ ৫ মিনিটে পুরো রুম চেঞ্জ করে ফেলল।😱😱 এখন তো নিজেই চিনতে পারছি না এটা কার রুম?
মুনঃ এই মি. এভাবে হা করে তাকিয়ে আছেন কেন? লজ্জা করে না আপনার এই রুমে থাকতে?😠
আশিকঃ'না' মাথা নাড়িয়ে।
মুনঃ (কি বেয়াদব ছেলেরে বাবা) আবার না বলছে😠। যা গাড়িতে আমার ফোন ✆  টা রেখে আসছি নিয়ে আই।😠
আশিকঃ আপনি তো নিয়ে আসতে পারতেন।
মুনঃ চুপ। বেশি কথা শিখে গেছিস তাই না। যা এক্ষুণি নিয়ে আয়।😠
আশিক কথা না বলে চলে গেল।যানে সে আগের মুন নেই। কথায় পারবে না।😞
মুনঃ দাদিমা ব্যাগ থেকে সবকিছু  বের করে টেবিলে রেখে দাও। আমি সাজিয়ে দিচ্ছি।
দাদিমাঃ হুম।এখন তে আর তর সইছে না আমার নাতনির।😃
মুনঃ মানে?😱
দাদিমাঃ কিছু না। তাড়াতাড়ি কর।😀😂
মুনঃ হুম।সব কিছু রেডি।☺
আশিক রুমে ঢুকতেই অবাক হয়ে যায়।রুমটা হালকা বেলুনে সাজানো হয়েছে। নানুর 🎂 হাতে কেক টা দেখে বুঝতে পারলো কেন এতো তারাহুরো করলো।
নানুঃ শুভ জন্মদিন আমার নানু ভাই।☺☺
আশিকঃ তুমি জানতে না আমি এসব পছন্দ করি না।(কিছুটা রেগে)😠
নানুঃ এতোদিন পর দেখা।তাই ভাবলাম তোকে সারপ্রাইজ দিই।☺
আশিকঃ তোমাকে এতো কিছু করতে কে বলেছে? মুনের দিকে তাকিয়ে দেখি মুচকি মুচকি😃 হাসছে। তাহলে এসব প্লান তাহলে মুনেরই।ওর দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকালাম।😠
নানুঃ কিরে এভাবে দাড়িয়ে থাকবি না কেক টা কাটবি?😕
আশিকঃ আমি এসব....
নানুঃ রাত জেগে সব করতে পারিস😠, আর এখন সাধু সাজছিস আমার কাছে। থাক লাগবে না।😰😩
আশিকঃ এটা নানু জানলো কিভাবে? নিশ্চয় মুন বলেছে।😠 তাই তো আর হাসি থামছে না।আরে আমার জানুটা দেখি রাগও করে। এইদিকে দাও😊।
মুনঃ যেমন ভাবে তাকাচ্ছে যেন চোখ দিয়ে 🔥 আগুন বের হচ্ছে। তবে এইভাবে তাকিয়ে থাকলে যা লাগে না ওকে..😂
আশিকঃ নানুর জন্য কেকটা কাটলাম। মুন সব কিছু নানুকে বলে দেয়। এবার থেকে সচেতন থাকতে হবে।😒কখন কি না কও বলে দেয়।
মুনঃ (কি এতো ভাবছে আল্লাহ ই ভালো জানে।)কিরে এতো কি ভাবছিস? গার্লফ্রেন্ডের জন্য চিন্তা করছিস নাকি😊।(রাগানোর জন্য বললাম, রাগলে তো মনে হয় কিউটের ডিব্বা😂😁)
আশিকঃ গার্লফ্রেন্ড কথা শুনে একটু হাসি পেল।😊 যাকে ভালোবাসি তাকে কখনোই বলা হয়নি। আবার girlfriend. নাহ তেমন কিছু না😞।
নানুঃ দেখি দেখি হা কর তো।😯
আশিকঃ নানু, তুমি জানোই তো আমি মিষ্টি খাই 😩না।তারপরেও পায়েস আনলে কেন?
নানুঃ চুপ। জন্মদিনে মিষ্টি জিনিস খাইতে হয়।😟
আশিকঃ হু, তোমারে কইছে।😞
নানুঃ হুম।এখন হা কর।
আশিকঃ নানু আমি খাবো না।
নানুঃ একটু খেয়েনে। তোর জন্য বানিয়ে আনলাম।
আশিকঃ আচ্ছা একটু। বেশও না কিন্তু।😒
নানুঃ হ্যাঁ একটু। তোকে মোটা বানাতে চাই না।মোটাতে ভালো লাগবে না।😁
আশিকঃহুহ।(নানু খাইয়ে দিলো)
নানুঃ বাসায় যাবি না?
আশিকঃ না।😒
নানুঃ কেন?😱
আশিকঃ যাওয়ার হলে আগেই যাইতাম।😒
নানুঃ কেন চলে গেছিলি?কেউ কি তোকে বলেছিল?😱😲
আশিকঃ না।তেমন কিছুই না।বাদদাও তো।বাসার সবাই কেমন আছে? মামা,মামি, মিশু?
নানুঃ ভালোই আছে।
আশিকঃ মিশু অনেক বড় হয়েছে তাই না?
নানুঃ হুম। ভাবছি তোর সাথে বিয়ে দিয়ে দিই। প্রেম টেম তো করিস না।😂😂
আশিকঃ কি যে বলোনা নানু।😶(যাকে এতো ভালোবাসি তাকে ছাড়া যে অন্য কাউকে ভাবা অসম্ভব)😞
মুনঃ তোমাদের প্রেমালাপ শেষ হলে আসতে পারো।খাবার রেডি।
আশিকঃ খাবার মানে? বাসায় তো কিছুই নেই।😱😱
মুনঃ যানতাম কিছুই নেই।বাসা থেকে নিয়ে এসেছি। শুধু গরম করলাম।😂
আশিকঃ এসবের কি দরকার ছিল?😯
মুনঃ চুপ।আমার ইচ্ছা হয়ছে তাই।এখন চলে এসো।(ঢং দেখলে বাঁচা যায়না)😟😕
আশিকঃ যা বাবা।কোন কথাই তো বলতে পারিনা।শুধু ধমক দেয়।😒
মুনঃ তোমরা বসো আমি পরিবেশন করছি।আর এই যে আপনাকে কি খাইয়ে দিতে হবে নাকি?😂
আশিকঃ না, আমি পারবো।
মুনঃ সেটা কালই বুঝতে পারছি।এতো ঢং করার কি আছে।হা কর।😡
আশিকঃ কি করছেন?আমি পারবো তো।😒
মুনঃ চুপ। হা করতে বলেছি।😠
আশিকঃ (এতই যখন খাইয়ে দিতে ইচ্ছে ছিল বলার কি দরকার ছিল।একটু ভালোও লাগলো।আগে তো রোজ খাইতাম।)
মুনঃ কেমন লাগছে রান্না টা?☺
আশিকঃ হুম ভালোই। আপনি না রান্না করলেও পারতেন?
মুনঃ কিভাবে বুঝলি যে আমি রান্না করেছি?😱😯
আশিকঃ ছোট থেকে একসাথে বড় হয়েছি।এতো টুকু তো বুঝতে পারবই।😃
মুনঃ (যতটা গাধা ভাবছিলাম ততটা নয়)।এতো বছর পর এখনো মনে আছে তোর?😱😲
আশিকঃ থাকবে না কেন?
(হয়তো দুরেই ছিলাম।কিন্তু প্রতি মুহূর্তে তোমাক অস্তিত্ব আমার হৃদয়ের অনুভব করি।তুমি যে আমার প্রথম ভালোবাসা।তোমার প্রতিটি কথা, প্রতি আচরণ এখনো ভুলতে পারিনি। হয়তো এ জীবনে ভোলাটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।শুধু তোমায় বলা হবেনা)😒😞
মুনঃ কি হলো।কি ভাবছিস এভাবে তাকিয়ে?😃😲
আশিকঃ কই কিছু নাতো?😞
নানুঃ (বাহ্ কতো মানিয়েছে দু'জনকে।
যদি দুজনেই রাজি থাকে চার হাত এক করে দিবো)☺😂।
মুনঃ দাদিমা আমাদের দিকে তাকিয়ে কি ভাবছে? ঐ দাদিমা খাওয়া বাদ দিয়ে কি ভাবছো?
দাদিমাঃ খাচ্ছি তো।
.
.
খাওয়া শেষে ২০ মিনিট গল্প করার পর আশিক বলল,
-তোমরা এখন চলে যাও। এতোক্ষণ আছো লোকে কি না কি বলবে।😞
মুনঃ তাড়িয়ে দিচ্ছিস?😨
আশিকঃ মুচকি হেসে। না, তাড়িয়ে নয়। এখানকার সবাই জানে আমি একা। হঠাৎ এতোক্ষণ এখানে থাকলে অনেকেই অনেক কিছু বলবে।😂😃
নানুঃ তুই ও চল না আমাদের সাথে।😞
আশিকঃ না নানু। আমি এখানেই ভালো আছি।☺
নানুঃ গেলে কি হয়?একা একা থাকার চেয়ে আমাদের কাছে থাকবি। আমরা কি মরে গেছি নাকি?😢
আশিকঃ এমন ভাবে বলো না তুমি। অন্য কোনদিন নাহয় যাবো।প্লিজ তুমি কেদোনা।😒😩
নানুঃ ভালো থাকিস নানু ভাই। মাঝেমধ্যে দেখা করতে আসবো।তুই তো আসবি না। আমরা তো তোর মতো স্বার্থপর নই।😢😰
আশিকঃ নানু এমন ভাবে বলো না প্লিজ।মুন নানুকে নিয়ে সাবধানে যাইয়েন।😞
মুনঃ হুম তুই ঠিকঠাক থাকবি কিন্তু। আর সকালে ✆ ফোন দিবো।অফিসে যেন দেরি না হয়।
আশিকঃ হুম।চলে গেল ওরা। এতোক্ষণ খুব ভালো লাগছিল😊।হয়তো অনেকদিন পর নানুকে দেখতে পেয়ে। বিকেল তো শেষ হতে চলেছে। এখন একটু বাহিরে থেকে ঘুরে আসি।
.
.
গাড়িতে,
মুনঃ দেখলে তোমার নাতি কেমন বদলে গেছে।😒
দাদিমাঃ হুম। তবে আমার নাতির সাথে আরো একজন বদলে গেছে।😂
মুনঃ আরো একজন?কে?😲😱
দাদিমাঃ ভাবছি তাকে আমার নাতির বউ করে নিয়ে আসবো।😂
মুনঃ (😱😲কি বলে বুড়ি?আমি থাকতে আশিককে অন্য কেউ নিয়ে নিবে? না তা হতে দেওয়া যাবেনা😥।) কে সেই ভাগ্যবতী যে তোমার বাদর নাতির গলায় ঝুলিয়ে দিতে চাচ্ছো?(মলিন কণ্ঠে)😒
দাদিমাঃ আমার নাতিকে নিয়ে কিছু বলবি না বলে দিলাম।😠
মুনঃ নাতির জন্য যখন এতোই দরদ তো তুমিই ঝুলোনা।😒😕
দাদিমাঃ দরকার হলে তাই করবো।😂
মুনঃ( বলে কি বুড়ী? আমি থাকতে নিজেই... না না।আমার মাথা নষ্ট হলো নাকি। এই বয়সে দাদি কি বিয়ে করবে নাকি। tension এ মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে)। ঐ দাদিমা...
দাদিমাঃ কি হলো?শুনতে পাচ্ছি তো বল।😡
মুনঃ বলোনা মেয়েটা কে?😩
দাদিমাঃ তোকে বলতে যাবো কেন? শুধু মনে রাখবি, মেয়েটি আমার নানু ভাইকে অনেক অনেক ভালোবাসে।😂
মুনঃ কিহহহহ? কি বললে😱😲😳?(আমি ছাড়াও কেউ আশিককে ভালোবাসে?হৃদয়ে মনে হচ্ছে কেউ হাতুড় দিয়ে পেটাচ্ছ। চোখ দিয়ে পানি বইয়ে পরবে মনে হচ্ছে😳😳)
দাদিমাঃ ঠিকই বললাম।😃
মুনঃ এতোদিনে অপেক্ষার ফল কি এই? কাছে পেয়েও কি তাকে হারিয়ে ফেলবো😰😰? আবার আমার থেকে দুরে চলে যাবে? না ভাবতেই দুচোখ দিয়ে পানি ঝরছে।😢😰
দাদিমাঃ কিরে নামবি নাকি এভাবে বসে থাকবি?😂😃
মুনঃকখন বাসায় আসছি বুঝতেই পারিনি। হ্যাঁ তুমি যাও আমি আসছি।😒
দাদিমাঃ ঠিক আছে(মুচকি হেসে)😃
মুনঃ কি হচ্ছে আমার সাথে? আর ঐ মেয়েটা কি আমার চেয়েও আশিককে বেশি বোঝে😥?আশিককে কি আমার চেয়েও ভালোবাসে? না-কি আমার থেকে বেশি Care করে😥? কেন দাদি এ কথা বলে গেল। উফফ ভাবতে পারছি না।মাথাটা ব্যাথা করছে।😰
.
.
আশিকঃ আরে আজ তো দিয়ার জন্মদিনের পার্টি। আমাকে তো যেতে বলেছে। আমার যাওয়াটা কি খুবই জরুরি। না না। আমি তো সামান্য ভাড়াটে। যাওয়াটা কেমন দেখায় তাই না। না যাবো না।কিন্তু সকালে তো জোড় গলায় বলল যেতে। কি যে করি😨।
.
.
মুনঃ দাদিমা কি বলল এসব। আমার তো কোন কিছুতেই মন বসছে না। বারবার আশিকের চেহারা ভেসে আসছে।😞 সত্যি কি হারিয়ে ফেলবো😢? না এক্ষনি দাদির কাছে যেতে হবে। ঐ বুড়ির বাচ্চা বুড়ী আমার মাথা গরম করে দিয়েছে।😡
দাদিমাঃ কিরে এতো কি ভাবছিস?(😂মুচকি হেসে)
মুনঃ নাহ।কিছু না।😨
দাদিমাঃওহ, কিছু কি বলবি?😂😂
মুনঃ না মানে হ্যাঁ।😨
দাদিমাঃ বল কি বলবি?
মুনঃ সত্যি কি তুমি আশিকের জন্য মেয়ে দেখেছো😩?
দাদিমাঃ কেন বিশ্বাস হয়না?
মুনঃ বলোনা তুমি।😞
দাদিমাঃ না।😂
মুনঃ তখন যে বললা?
দাদিমাঃ মজা করেছিলাম।😂
মুনঃ উফফফ, যাহ বাবা বাঁচা গেল। যা ভয় পাইয়ে দিয়েছিলে।(দীর্ঘ নিঃস্বাস ছেড়ে)😯😯
দাদিমাঃ ভয়?কিসের ভয়?😱😲
মুনঃ না কিছু না তো।আমি যাই কাজ আছে।😒☺(একটুর জন্য ধরা পড়তাম)
দাদিমাঃ বুঝি সব বুঝি। এতো ভয় কেন। আশিককে বাসায় আনার সব ব্যবস্থা করতে হবে।
.
মুনঃ যাক বাবা tension মুক্ত হলাম। আর একটু হলে পাগল হয়ে যেতাম।😢
.
.
আশিকঃ এ-শহর ছেড়ে যেতে হবে নাকি আবার। মুনের মায়ায় জরিয়ে পরলে আবারও নতুন করে কষ্ট পেতে হবে😰😰। মুনের তো ভালো ঘরে বিয়ে হবে। সেখানে তো আমি কিছুই না। নাহ, এখন থেকে যতো পারি মুনের থেকে দুরে দূরে থাকতে হবে। নতুন করে মায়ায় জরিয়ে কষ্ট বাড়ানোর কোন মানেই নেই😢। আমার ভালোবাসা না-হয় সুপ্ত অবস্থায় থাক। হোক না এক তরফা ভালোবাসা।এতে তো দুজনেরই মঙ্গল😩।
ভাবনার ছেদ ঘটলো দরজা ধাক্কানোর শব্দে। এতোটাই ভাবনাতে ডুবে ছিল কোন হুঁশ নেই আশিকের।
দিয়াঃ শালা মরে টরে গেছে নাকি? এতো বার ডাকার পরও কোন নাম গন্ধ নাই।😠
আশিকঃ কে?
দিয়াঃ আমি।
আশিকঃ ওহ দিয়া, কি হয়ছে?
দিয়াঃ দরজাটা খুলেন।
আশিকঃ oops sorry. হ্যাঁ বলো।(দরজা খুলে দিয়ে)
দিয়াঃ কথা কি ছিল?(রেগে)😠😠
আশিকঃ কি কথা?(অবাক হয়ে)😱
দিয়াঃ (যাচ্ সালা বলে কি? সকালে কতোবার বললাম এখন বলে কি কথা?)😠
আজকে সন্ধ্যায় যে আসতে বললাম?(রেগে)
আশিকঃ ও সরি আসলে মনে ছিল না।😶
দিয়াঃ (তা থাকবে কেন😠?) ok এক্ষনি চলেন।
আশিকঃ রাত তো হয়ে গেছে।
দিয়াঃ অতশত বুঝি না। ৫ মিনিটের ভিতরে আসবেন।(চলে আসলাম)😠
আশিকঃ দিয়া শোন।দিয়....
চলে গেল।যাওয়াটা কি ঠিক হবে? বলে তো গেল।
আর যে রেগে আছে।না জানি কি ঘটিয়ে বসে। তারচেয়ে গিয়ে দেখি। কি হবে হোক।😩😨
.
দিয়াঃ ধন্যবাদ আসার জন্য।😃
আশিকঃ হুম।
প্রিয়া(দিয়ার বান্ধবী)-চল সময় হয়ে গেল তো।
দিয়াঃ হুম চল।আপনি এখানে থাকবেন।কথা আছে।😂
আশিকঃ ঠিক আছে। একাই একটা কোনায় বসে পড়লাম। সবাই আনন্দে মেতে উঠলো। কেক খাওয়ার থেকে মাখানো হচ্ছে বেশি।😂😂
দিয়াঃ আপনার সাথে কিছু কথা ছিল। যদি ঐদিকে একটু আসতেন,,😩
আশিকঃ এখানেই বলতে পারো।
দিয়াঃ না মানে।সিক্রেট কথা।😑
আশিকঃ কি এমন কথা?😲
দিয়াঃ চলুন না।😐
আশিকঃ ok..
.
ক্রিংক্রিং...📱
ফোন বেজে উঠলো আশিকের। মুন দিয়েছে। ধরতে ধরতেই কেটে গেল। আবারো ফোন দিলো।ধরতেই,,
মুনঃ এতো সময় লাগে ফোন ধরতে?😡
আশিকঃ আসলে...
মুনঃ চুপ।এতো শব্দ কিসের? কই আছিস এখন😡😡।
আশিকঃ বাসাতেই..
মুনঃ মিথ্যা বলবি না একদম। এক্ষুনি বাসায় যা।😡😡
আশিকঃ আমার একটু কাজ আছে।এখন রাখছি।
মুনঃ এতো রাতে কিসের কাজ হ্যা? এক্ষুনি ঘুমিয়ে পড়বি। তাই তো বলি এতো লেট হয় কেন? যা বললাম তাই কর😡😡😡😡।
আশিকঃ আসলে...
মুনঃ চুপচাপ আমার কথা শোন।নাহিল আমি চলে যাবো তোর কাছে।তখন মজা বুঝবি।😂
আশিকঃ না না।এক্ষনি যাচ্ছি।
মুনঃ হুম। ২ মিনিটের মধ্যে রুমে আসবি।
আশিকঃ ঠিক আছে।ফোন কেটে দিলে।
দিয়াঃ কার ফোন?😱
আশিকঃ সরি দিয়া পরে কথা বলছি। এক্ষণ যেতে হবে।😞
দিয়াঃ আমার কথাটা তো...😦
আশিকঃ কাল শুনবো। চলে আসলাম রুমে।
দিয়াঃ কি হলো আবার।এভাবে চলে গেল কেন?ধুর আজকেও বলা হলো না।😞😞😞
.
.
আশিকঃ এই মেয়েটা এতো অধিকার খাটায় যেন আমার বউ নাহলে গার্লফ্রেন্ড। এতো জের করার কি আছে? আমার বউ ও মনে হয় এমন করবে না😩। বিরক্ত লাগলেও ভালো লাগে। মুনের এমন আচরণ বারবার কাছে টানে। ইচ্ছে করে তো মুনকে নিজের করে নেয়।এ মেয়েকে যে বিয়ে করবে সে অনেক সুখী হবে।☺ এমন মেয়ে কে না চায়। দেখতেও মাশাআল্লাহ দারুন। এতোটা ফর্সা না হলেও বেশ মায়াবী।একদম বাঙ্গালী মেয়েদের মতো।😍😍
দরজার কাছে এসে অবাক হয়ে গেল আশিক।😱😱 যাওয়ার আগে তো দরজা লাগিয়ে গেছিল। তাহলে খোলা কেন? চোর ঢুকলো নাকি? রুমে তেমন কিছু নাই চোর নেওয়ার মতো😨😂।বিভিন্ন চিন্তা করতে করতে ঘরে ঢুকেই Shocked......
.
.
.
.
.
.
.
To be continue...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ