গল্পঃ মামাতো বোন । পর্ব- ৩


মামাতো বোন

পর্ব- ৩

আশিকঃও হ্যাঁ।(চমকে উঠলাম। কখন গাড়ি থামলো বুঝতেই পারিনি।এমনিতেই tension এ ছিলাম)
আশিকঃ নেমেই আরেকবার চমকে উঠলাম😱।এটা তো সেই জায়গা, যেখানে মুনের সাথে কতো স্মৃতি জরিয়ে আছে। এখানে প্রতি সপ্তাহে আব্বু আম্মুর সাথে আসতাম। কতো মজা করতাম। আর মুনকে নিয়ে এখানো প্রায়ই আড্ডা দিতাম। সবসময় আমাদের জন্য একটা টেবিল রিজার্ভ করা থাকতো। এই রেস্টুরেন্টে এ বসে আমি মুনকে আমি কি কি করবো, কিভাবে ভালোবাসা মানুষকে মনের কথা বলবো, আমার ইচ্ছে, এককথায়  সব কিছুই শেয়ার করতাম)
মুনঃ ভিতরে যাবি না?
আশিকঃ হুম।(চুপচাপ মুনের পিছনে পিছনে গেলাম)
মুনঃ (আজকে আগের মতো তোকে নিয়ে সময় কাটাবো। জানিনা আগের মতো মজা হবে কি-না😐।) এই এখানে চুপ করে বোস।আমি আসছি।
আশিকঃ হুম।(মুন চলে গেল। মনে পরে গেল সেই আগের কথা। ডান পাশে আম্মু বসে আমায় খাওয়াইতো। বাঁ বাসে মুন আমাকে নিয়ে মজা 😝করতো। দিন গুলো ভালোই ছিল)
-কিরে কি ভাবছিস?খাবি না? নাকি এখনো খাইয়ে দিতে হয়।😂😊☺
-না না। খাচ্ছি।(কখন আসলো বুঝতে পারি নি)
মুন-(মুচকি হেসে খাওয়া দেখছি। এখনো ঠিক মতো নিজে নিজে খাইতে পারছেনা)☺
আশিকঃ এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?(এভাবে তাকিও না।এমন চাহনিতে বারবার কাছে টানে।তোমাকে কাছে পেতে ইচ্ছে করে😍)
মুনঃ নে হা কর।(মুখের কাছে খাবার নিয়ে)
আশিকঃ আমি খেতে পারছি তো।😒
মুনঃ চুপ।। খা কর।(ধমকে বললাম)😠
আশিকঃ আমি..(এদিকে ওদিকে তাকিয়ে)
মুনঃ হা করবি কিনা?এভাবে তাকিয়ে কি দেখছিস😠? এটা তের পছন্দ করা জায়গা। তুই তো আগে পিচ্চি ছিলি। তোকে না খাইয়ে দিলে তো খেতেই পারতি না।😂
আশিকঃ একটু লজ্জা পেলাম। মুন আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে।(আমাকে খাইয়ে দিতে হয় বলে এই টেবিল টা আমার জন্য রিজার্ভ করে রাখছি। বাহির থেকে বোঝা যায় না এখানে কি ঘটছে)
মুনঃ আর লজ্জা পেতে হবে না।আজকে নতুন না। ছোট থেকেই এই দায়িত্ব পালন করে আসছি😂।
আশিকঃ (এই জন্যই তো তোমায় এত্তো 😍😍ভালোবাসি)
মুনঃ কি এতো ভাবছিস?
আশিকঃ না।কিছু না।আপনি খাবেন না?
মুনঃ না।
আশিকঃ ওওও।আমিও খাবো না।(😒মুখ ফিরিয়ে নিলাম)
মুনঃআচ্ছা বাবা খাচ্ছি।হা কর এবার☺। (তুই আগের মতোই থেকে গেলি।আচ্ছা তুই কি আমকে কখনো মনে করেছিলি💚? আমাকে কি রাতে তোর মনে পড়তো?দুজনে ছাদে বসে চাঁদ 🌙দেখা,মাঝরাতে খুনসুটি করে রাগ করে😡 থাকা এসব কি তোর কখনো মনে হয় নি?)
-মুন?
-......

-কি হলো? Hello...
-.......
-আঙ্গুলে কামড় বসিয়ে দিলাম।
-আউচ.... কামড় দিলি কেন?😱
-সেই কখন থেকে ডাকছি?শুনছেন না তাই।
-তাই বলে এতো জোড়ে?😠
-sorry, আর হবে না।😢(মাথা নিচু করে বললাম)
-(আগে তো কতো কামড় দিতি,বললেই বলতি আমার ইচ্ছে তাই দিছি।আর আজকে...)😩
আশিকঃ খেয়ে উঠে পড়লাম।
মুনঃ উঠলি যে?😱😱
-তো কি করবো?😱
মুনঃ আগে তো খুব বকবক করতি। উঠতেই চাইতি না।
আশিকঃ পুরোনো দিনের কথা ভেবে কি লাভ?রাত তো কম হয়নি?😶
মুনঃ হুম চল।(তোর লাভ না হলেও আমার লাভ ঠিকই আছে)☺😂
আশিকঃ আপনি কই যাবেন?😱😱
মুনঃ একটু ঘুরবো।😂
আশিকঃ পাগল নাকি? এখন রাত ১১ টা বাজে। এখন না ঘুমাইলে তো অফিসের দেরি হবে।😱😱
মুনঃ চুপ।দেরি হলে হবে। এখন চল।(রেগে)😠😠😠
আশিকঃ হুম(এখন কথায় কথায় রাগ দেখায় কেন?আগে তো এমন ছিলো না)😞
মুনঃ(সারাদিন কি এতো ভাবে?আমাকে কি চোখে পড়ে না নাকি😠) কিরে কি ভাবছিস?
আশিকঃ নাহ।।কিছু না।
মুনঃ ভয় পাইছিস?☺
আশিকঃ কেন?😱
মুনঃ এতো বকা দেই বলে।
আশিকঃ না।ভয় পাওয়ার কি আছে?
মুনঃ হুম।তুই কিন্তু অনেক চেঞ্জ হয়ছিস।😂
আশিকঃ আপনিও।
মুনঃতাই। তো কি কি তোর চোখে পড়লো?(মুচকি হেসে)😊
আশিকঃ আগে তো এমন ছিলেন না।
মুনঃ কেমন?😊
আশিকঃ কথায় কথায় ঝাড়ি মারা,আগের থেকে Smart, আর অনেক চঞ্চল। একদম অন্য রকম।(অনেকটা মায়াবীও।)
মুনঃ বেশি হচ্ছে না?😯
আশিকঃনা।
মুনঃ হু এখন নাম। এইদিকে অনেক দিন আসা হয়নি। চল।
আশিকঃ (নেমে আরেকবার চমকে 😱উঠলাম। এটা তো শহরের বাইরে নিরিবিলি জায়গা। নদীর পাড়। আমার অন্যতম পছন্দের জায়গা।এখানে তো প্রথম মুনকে এনে সারপ্রাইজ দিয়েছিলাম।তারমানে আমার ভাবনা ভুল। মুন এখনো আগের মতো আমকে নিয়ে ভাবে?)
মুনঃ এই ভাবে statue হয়ে দারিয়ে আছিস কেন?যাবি না?😊😂😠
আশিকঃ হুম। কিন্তু এতো রাতে এখানে আসার কি দরকার ছিল?
মুনঃ আমার ইচ্ছে তাই।(আর একটু wait কর বুঝতে পারবি)😂😂
আশিকঃ তাই এতো রাতে? 😱আমি বাসায় যাবো। খুব ঘুম পাচ্ছে।😴
মুনঃ সত্যি যাবি?😱
আশিকঃ হুম।
মুনঃ আচ্ছা যা।😞
আশিকঃ আপনি যাবেন না?😱
মুনঃ না। তোর সমস্যা হলে যেতে পারিস।😒😒
আশিকঃ চুপ করে মুনের পাশে বসে পড়লাম।
মুনঃ (যানতাম আমাকে রেখে তুই যাবি না। যতই রেগে থাকিস না কেন?তবুও একা ফেলে কখনোই যাবি না।)
.
.
দুজনে নদীর তীরে রাতের আকাশে তাকিয়ে আছে। সামনে আগুন ♨ 🔥জ্বালানো। ডিসেম্বর মাসে ঠান্ডা কম নয়। শীতে দুজনেই বরফের মতো জমতে লাগলো। শুধু আজ নয়।৬ বছর আগেও তারা এভাবে রাতে ঘুরতে আসতো। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা তাদেরকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।
.
.
কিছুক্ষণ নিরবতার পর মুন বলল,
-চল না একটু হাঁটি।
-হুম।(মুনের কথা ফেলতে আমার সাহস নেই।ও হয়তো ভালো নাই বা বাসে।আমি তো বাসি।)
কিছুক্ষণ যাওয়ার পর একটু দুরে দেখতে পেলো আগুন 🔥জ্বলছে।
আশিকঃ এতো রাতে ঠান্ডার মধ্যে আগুন কে জ্বালিয়ে রাখলো?😱😱এখানে কি আমাদের মতো আরও কেউ এসেছে নাকি?আগে তো গরমেও তেমন কেউ আসতো না রাতে।🌌🌃
মুনঃ চলনা ঐ আগুনের কাছে 🔥আগুন পোহাতে যায়।ঠান্ডা লাগছে।
আশিকঃ এতো রাতে আসার কি দরকার ছিল?😕
মুনঃ ছিল দেখেই তো আসলাম।চুপচাপ আয় আমার সাথে।😠
আশিকঃ যত এগিয়ে যাচ্ছি, ততই অবাক হয়ে😱 যাচ্ছি। আগুনের পাশে একটি টেবিল।টেবিলে কি যেন সাজিয়ে রাখা ছিলো।
মুনঃ আশিকের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসতে লাগলাম। হাতের ঘড়ির দিকে বারবার তাকিয়ে আছি। সময় নেই বেশি।⌚
আশিকঃএভাবে হাসছে কেন মুন?😱😞জিজ্ঞেস করব।না থাক।
মুনঃ হ্যাপি বার্থডে... মেনি মেনি হ্যাপি রিটার্ন অফ দ্যা ডে।🎈🎈🎂
.
আশিকঃ চমকে মুনের দিকে তাকিয়ে আছি😱😱😯। মুন মুচকি হেসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আজ যে আমার জন্মদিন আমারই মনে ছিল না।ওর চোখের দিকে তাকাতেই মনে হলো আমাকে জরিয়ে ধরবে।
মুনঃ আশিককে জরিয়ে ধরলাম☺☺☺। জানিস আজ আমি খুব খুশি। খুব খুব।ভাবতে পারিনি তোকে আজকের দিনটাতে ফিরে পাবো।☺ এতো দিন তোকে খুব মিস করছি। এবার তোকে কোথাও যেতে দিবো না।আর sorry.😞
আশিকঃ অবাক হয়ে।কেন?😱
মুনঃ জানি তুই এসব পছন্দ করিস না। জোর করেই প্রতি বছর তোকে দিয়ে কেক কাটাই🎂।আজ জোর করবো না। আমি চাই তুই নিজের ইচ্ছেতে কেক কাটবি।
আশিকঃ(এইভাবে তাকিয়ে বললে তো আমি কিছু বলতে পারবো না।তেমার মায়াবী চোখের চাহনিতে সব ভুলে যাচ্ছি।) অনেক অনেক ধন্যবাদ।নিজেই ভুলে গেছিলাম আজকে ২০ ডিসেম্বর। Thanks a lot.😯☺
-জানতাম তো তুই ভুলে যাবি😡😢। এই জন্যই এতো বাহানা করতে হলো।এবার কেক🎂 টা কাট।(মুন)
আশিকঃ হুম।(কেক কাটতে গিয়ে অবাক না হয়ে পারলাম না, ৬ টা মোমবাতি জ্বলছে)😱😯
মুনঃ এইটাই ভাবছিস এখানে ৬টা মোমবাতি কেন?😂
আশিকঃ (মাথা নেড়ে হ্যাঁ জবাব দিলাম)
মুনঃ তুই চলে যাওয়ার পর এবার তোর ষষ্ঠ জন্মবার্ষিকী।☺
আশিকঃ অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।😱😯
মুনঃ জানিস তুই চলে গেছিলি তারপর কত
খুঁজেছি তোকে। বারবার এখানে চলে আসি। তুই যেখানে বেশি সময় কাটাইতি সব জায়গায় খুঁজেছি। সেদিন তো গেলি আর ফিরে এলি না।😢 কতোটা কষ্ট হয়েছে তুই বুঝবি কেমন😭?(কথাটা বলতেই চোখের কোণায় পানি জমতে লাগলো)
আশিকঃ মুন আমার জন্য এতো টা কষ্ট করিছে?😱😱তারমানে ও কি আমাকে.... না না এটা হবে কিভাবে।এতোদিন একসাথে ছিলাম তাই হয়তো এমন করেছে।😥
মুনঃ তোর একবারও বাসার কথা মনে পড়েনি?😢দাদি, মিশু,আম্মু-আব্বু,চাচ্চু কারো কথায় ভাবলি না একবার?😡
আশিকঃ sorry. আসলে হঠাৎ এভাবে সব হারিয়ে ফেলবো ভাবতে পারিনি। তাই চলে গেছিলাম।😢😢
মুনঃ তোকে আর কোথাও যেতে দিবো না।কালকেই বাসায় নিয়ে যাবো।😒😭😭
-সরি আমি যেতে পারবো না।😰
-কেন?(এমন কথায় অবাক না হয়ে পারলাম না।নিজের বাসাতে যাবে না?)😱😱
-আমি আর ঐ বাসায় ফিরতে চাইছি না।
-ওটা তো তোর নিজের বাসা।তু...(আমকে বলতে না দিয়েই বলা শুরু করলো)
-এসব বাদ দিন।এখন যেটা করার সেটা করবো না-কি বাসায় যাবো😡?(এসব কথা বাড়িয়ে শুধু শুধু কষ্ট পেতে হবে😢)
-ওহ, সরি এই নে (ছুরি টা আশিককে দিয়ে কেক কাটতে বললাম। চোখের😢 পানি মুছে ফেললাম।এটা দুঃখের নয়, আনন্দের।এতো বছর পর প্রিয় মানুষকে পাওয়ার আনন্দ☺😊)
দুজনই ভালো সময় পার করে দিলো। আশিকের জীবনে আবার মুন আসবে সেটা ভাবতেই পারে নি। আম্মুর পরপরই মুন আশিককে আগলিয়ে রাখে। সবসময় ঝগড়া করলেও তাদের দুজনের প্রতি  অনেক ভালোবাসা ছিল। দু'জন দুজনকে ভালোবাসে💝 ছোট থেকেই। কিন্তু কেউ কাউকে বলতে পারে না। যদি ছেড়ে চলে যায় এই ভয়ে।
.
.
আশিকঃ মুন?
মুনঃ হুম বলো।
আশিকঃ কালকে যদি না দেখা হতো তাহলে কি করতেন?
মুনঃ প্রতিবছর যা করতাম।
আশিকঃ কি করতেন?😱😱
মুনঃ তোকে ছাড়াই তোর জন্মদিন পালন করতাম।
আশিকঃ কিহহ?এই ঠান্ডার মধ্যে একা একা আসতেন? ভয় করেনা আপনার।😱😱
মুনঃ একা না।মিশু ও আসতো মাঝ মাঝে । বাদ,দে তো। আর এবার তো আপনি বলা বন্ধ কর।😞
আশিকঃ সেটা সম্ভব নয়।আপনিও তা জানেন।
মুনঃ কলেজে কি ঘটেছে তা ওখানেই শেষ।আর ৭ বছর আগের ঘটনা। এখন তো তুই/তুমি বলে ডাকতে পারিস।😢
আশিকঃ সরি।আপনি তেই বেশ আছি।😐
মুনঃ হুম(মলিন সুরে)😞
আশিকঃ ভোর তো হতে চলেছে। এবার উঠি।😨
মুনঃ এখনি যাবি?😱 আচ্ছা চল। তোকে নামিয়ে দিই।
আশিকঃ আমাকে রাস্তার মোড়ে নামিয়ে দিলেই চলবে।
মুনঃ বাসায় গেলে সমস্যা আছে নাকি? না আবার বিয়ে টিয়ে করছিস?(মুচকি হেসে)😂😂
আশিকঃ হতেও পারে।😂
মুনঃ কি বললি?(মলিন স্বরে)😞😩
আশিকঃ নাহ, কিছু না।😂
.
.
মুনঃ আজকে অফিসে যাওয়া লাগবে না। এখন ঘুমিয়ে পরবি।
আশিককে নামিয়ে দিয়ে কথাটি বললো মুন।
আশিকঃ সমস্যা হবে না। আমি যেতে পারবো।😐😑
মুনঃ চুপ। আমার উপর দিয়ে কথা বলতে নিষেধ করছি না?(রেগে)😠
আশিকঃনা মানে,,,,
মুনঃ আবারও,,,,  যা বললাম তাই হবে।😠
আশিকঃজ্বি আচ্ছা।এখন আপনিও যান। রাতে তো ঘুমাতে পারেননি।😕
মুনঃ তোকে এতো ভাবতে হবে না। এখন যা শুয়ে পর।😡
আশিকঃ হুম।
.
.
মুন চলে গেল। আর আশিকও ঘুমিয়ে😴 পরল। এমনিতেই ক্লান্ত ছিল।তাই শুয়ে পরতেই ঘুম চলে আসে।
মুনঃ আজকে আমি অনেক অনেক ☺খুশি। অনেক কষ্টে আশিককে পেয়েছি।এবার ওকে আমার নিজের করে নিবো।☺
মুন বাসায় পৌছাঁতে সকাল হয়ে গেলো। এতোক্ষণে মুনের বাসার সবাই ঘুম থেকে উঠে পড়েছে। মুনের খুশি দেখে দাদিমা বললো,
-কিরে এতো খুশি খুশি লাগছে কেন?আগে তো মন খারাপ করে ফিরতি এই দিনে।😱😱
মুনঃ না দাদিমা কিছু না।☺(জরিয়ে ধরলাম)
দাদিমাঃ ব্যাপার কি, আজ এতো খুশি দেখাচ্ছে যে😂।
মুনঃ কিছু না। দুপুরে তৈরি থেকো।
দাদিমাঃ কেন?কোথাও যাবি নাকি?😱😱
মুনঃ হুম।(চলে আসলাম রুমে)
দাদিমাঃ আজ কি হলো নাতনি টার। এতো খুশি কেন?আজকের দিনে তো শুধু কন্না😭 করে ভেসে দিতো। তাহলে আজ এমন করলো কেন? আর দুপুরে তৈরি থাকতে বললো কেন?😒😨 আজ কি হলো মুনের।
আরিফঃ দাদু কি করছো।(দৌড়ে কোলে বসে পড়ল)
দাদিমাঃ কিছু না দাদু ভাই।
দুজনে বিভিন্ন গল্পে জমে গেল।আর ওসব নিয়ে ভাববার সময় পেলো না।
.
.
আশিকঃ ঘুমিয়েও শান্তি নেই। এতো বার কেউ knock করে. ধুর... কে?😠😠
দিয়াঃ আমি।😐
আশিকঃ একটু wait করো। এতবার কেউ নক করে?😠
দিয়াঃ হুম। হাতে সময় নেই।তারাতাড়ি দরজাটা খোলেন।😶
আশিকঃ কি হয়েছে? এতো সকালে ডাকাডাকি করছো কেন?মনে হয় ডাকাত পরেছে।😬
দিয়াঃ সকাল মানে?১০টা বাজছে সেই কখন?আর এখনো ঘুমিয়ে আছেন কেন?অফিস নাই আজ?😱😯
আশিকঃ ওও তাই তো।আজ অনেক দেড়ি হয়ে গেল।না জানি কতো বকা খেতে হবে।😱😟(আরে মুন তো আজ যেতে নিষেধ করেছে)
দিয়াঃ তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নেন।😞
আশিকঃ আসলে মনেই ছিলো না।আজ আমি ছুটি নিয়ে নিয়েছি।
দিয়াঃ ওও। ভালো হলো। By the way আজ সন্ধ্যায় আমাদের বাসায় party আছে। আপানে কিন্তু আসতেই হবে।
আশিকঃ আজ😱? কিসের party??
দিয়াঃ আমার জন্মদিনের।
আশিকঃ আজ তোমারও জন্মদিন?😱
দিয়াঃ হ্যাঁ, আর কারো আছে নাকি আবার?😯
আশিকঃ না তো।শুভ জন্মদিন। আগামী দিন গুলো তোমার ভালোভাবে কাটুক☺।
দিয়াঃ ধন্যবাদ। আসবেন কিন্তু সন্ধ্যায় কেমন।
আশিকঃ আচ্ছা চেষ্টা করবো।
দিয়াঃ চেষ্টা করলেই হবে না। আসতেও হবে।
আশিকঃ হুম।( রাতেও ঘুম হলো না।এখনো পুরোপুরি ঘুমাতে পারলাম। এতো ডাকাডাকি করলে ঘুমাবো কেমনে।দরজাটা লাগিয়া দিয়ে আরামে একটা ঘুম দিতে হবে।উফফফ)
.
দিয়াঃ আজ যে করে হোক আমার মনের কথাটা বলতেই হবে। আজকেই right time. এই সুযোগ miss করা যাবে না।(এক চিলতি সুখের হাসি দিয়ে 😂বেরিয়েছিল পড়লাম।কত কেনা কাটা করতে হবে আজ)
.
.
মুনঃ আজকেই এতো late হতে হবে উফ। ঘুমটা হঠাৎ করে আসলো বুঝতেই পারি না।
ম্যানেজারঃ Madam আজকে এতো দেড়ি করলেন যে। ৫ মিনিট পর মিটিং শুরু হবে।
মুনঃ ও আচ্ছা, আপনি ফাইল গুলো ভালো করে দেখে নিন।আমি আসছি।
ম্যানেজারঃ জ্বি ম্যাডাম।
.
মুনঃ একটু হলেই ডিল টা মিস করতাম।ভালোভাবেই ডিল টা ফাইনাল করতে পারতাম। এই ফাইল টা দেখে মাথা গরম হয়ে গেল। ম্যানেজার কে ডাক দিলাম।
ম্যানেজারঃ জ্বি ম্যাডাম।
মুনঃ এসব কি?(ফাইলটা দিয়ে)😡
ম্যানেজারঃ আসলে ফাইলটা রবিনের দায়িত্বে ছিল।
মুনঃ এসব কথা আমাকে শোনাচ্ছেন কেন😠? ওদের কি এমনি এমনি স্যালারি দেওয়া হয়? কাজ না পারলে বেরিয়ে যেতে পারে। কেউ ধরে রাখবে না।একটা ফাইলে এতো গুলো ভুল হয় কিভাবে?😠😠😠১০ মিনিটের ভিতরে ফাইলটা জমা করে দিবেন।(রেগে)😠
ম্যানেজারঃ জ...জ্বি ম্যাডাম।(ভয়ে)😟
মুনঃ এক্ষনি ফাইলটা আমার কেবিনে চাই। কাজে গাফিলতি আমার একদম পছন্দ না। যে কাজ করার সে করবে।না হলে চলে যেতে বলেন।এমন এমপ্লয়ি দরকার নেই।(রেগে।চোখ দিয়া আগুন বের হচ্ছে)😠😠
মুন এতো জোড়ে বলল যেন পুরো অফিস কেপে উঠতেছে। সবাই ভয়ে কাচুমাচু হয়ে আছে।এতো রাগ আগে কেউ
দেখেনি।দেখবেই বা কি করে। কালই নতুন।মুনের কথা মতো ১০ মিনিটের মধ্যেই ফাইল complete করে আনলেন ম্যানেজার। এতো তাড়াতাড়ি সম্ভব ছিল না।তাই ম্যানেজার সহ তিন জন মিলেই complete করেছে। ম্যানেজারও খুব রেগে আছেন।না জানি রবিনের জন্য নিজের চাকুরি হারাতে হয়।
ম্যানেজারঃ ম্যা’ম আসবো।(ভয়ে)😰
মুনঃ হুম আসেন।
-এই নেন ফাইল কমপ্লিট।
মুনঃ (চেক করে) হুম ঠিক আছে। Next time যেন এমন না হয়। কাজে গাফিলতি করলে তার একাউন্ট ক্লিয়ার করে দিয়ে চলে যেতে বলবেন।
ম্যানেজারঃ ok Ma'am. আর একটা কথা।
মুনঃ কি? আমার হাতে সময় নেই।এখনি বের হতে হবে।
-আশিক সাহেব তে আজ আসেননি। আর কাল তো কিছু বলেও যায়নি।
মুনঃ ছুটিতে আছে।আমাকে বলেছিল।আমাকে এখন উঠতে হবে। আপনি এই দিকটা সামলিয়ে নিয়েন। আর একটা কথা মনে রাখবেন, কাজে কোন রকম গাফিলতি যেন না হয়।😠
ম্যানেজারঃ জ্বি ম্যা’ম।(যাক বাবা চাকুরিটা বেঁচে গেল। যে ভয় পেয়েছিলাম। টেবিলে রাখা পানি এক ঢোকে খেয়ে নিলাম)
.
.
আশিকঃ(ধুর বাবা।এখন আবার কে বিরক্ত করতে চলে আসলো।শান্তিতে ঘুমাতেও দিবে না নাকি?) আসছি।এতোবার knock করার কি আছে?
দরজা খুলতেই
-ঠাসসসসস ঠাসসসসসস.....
.
.
.
.
.
To be continue...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ