মামাতো বোন
পর্ব- ১০
মুন জোর করে টেনে নিয়ে যাচ্ছে আশিককে। আশিক আস্তে যেতে বলছে, কিন্তু মুন কিছুই কানে নেয়নি।কিছুক্ষণ যেতেই আশিক মুনকে জরিয়ে ধরলো।মুন ও আশিককে শক্ত করে ধরে রাখলো। কতক্ষন এভাবে ছিলো তাদের তা লক্ষ্য নেই।😍দুজনেই ঘোরের মধ্যে আছে।
আশিক বুঝতে পেরে দ্রুত মুন কে ছেড়ে দিলো।
.
আশিকঃ সরি আসলে বুঝতে পারি নি।😨
মুনঃ না।ঠিক আছে।তুই না থাকলে কি যে হতো😢।
আশিকঃ কতো করে বললাম আস্তে চলুন। কিন্তু শুনলেই না আর একটু হলে কি হতে বুঝতে পারছেন?(রেগে)😠
মুনঃ সরি রে।আসলে বুঝতে পারিনি।(মলিন শুরে😢)
আশিকঃ একটু তো দেখে শুনে চলবেন।উফফফফ... কি হতে পারতো।😞😞
মুনঃ কি হতো?আমি মরে যেতাম তাই তো?😨
আশিকঃ চুপ। একদম চুপ।আর একটাও ফালতু কথা বলবেন না।😬(তোমার কিছু হলে আমি যে নিঃস্ব হয়ে যাবো। তেমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না। কিছুতেই না😢।)
মুনঃ হু😦(এবার তো বল, প্লিজ আর চুপ করে থাকিস না। বলে দে না একবার? দেখবি তোর আর কোন কষ্টই থাকবে না।প্লিজ বল😰।)
আশিকঃ চলুন।😦(ওনাকে কি বলে দেওয়া টা ঠিক হবে? নাহ। থাক।উনি যদি কিছু মনে করেন? কিন্তু উনি আমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন কেন? সত্যি কি আমাকে.... না।তা কি করে সম্ভব। আমি অনাথ। তাই হয়তো সহানুভূতি দেখাচ্ছে😒।)
মুনঃ হ্যাঁ চল😢।(তুই কি সত্যি বুঝিস না আমি তোকে কতটা ভালোবাসি? সত্যি তুই অবুঝ। আমি যে তোকে বড্ড ভালোবাসি😍।)
.
আজকেও তাদের মধ্যে নিরবতা কাজ করছে।কিছুক্ষণ আগের ঘটনাটা তাদের ভাবাচ্ছে। কাল শুক্রবার। কালকে আশিককে মুন কাছে পাবে না। ডাকলেও সে আসবে না। কারন আশিক দূরে দূরে থাকতে চায়। যদিও মুনের কাছে থাকাকালীন সময় অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ সময়। ভালোবাসার মানুষের সাথে কাটানো সময় গুলো একটু গুরুত্বপূর্ণই হয়। কিন্তু আশিক মুনের থেকে দুরে থাকতে চায়।কারন নতুন করে মায়ায় জরিয়ে পরতে চায় না।😨
.
মুনঃ নেমে পর।😀
আশিকঃ এখানেই?😲😱
(একমনে ভাবতে ভাবতে কোথায় এসে পড়েছে লক্ষ্যই করে নি)
মুনঃ হুম।এখানে।
আশিকঃ কিন্তু এখানে হঠাৎ করে?😯
মুনঃ চুপ। চল দুজনে হেটে আসি।😂
আশিকঃ এই সন্ধ্যা বেলায়?😲
মুনঃ হুম।এখনি।তোর সমস্যা?😠
আশিকঃ অনেক সমস্যা।😢
মুনঃ সমস্যা থাকলে পরে সল্ভ করবি।এখন চল।😠
আশিকঃ ওকে।(ওর সাথে পারবো না।যা করে করুক।)😕
মুনঃ (হাঁটতে শুরু করলাম। ওকে কি ভাবে বলবো সেই ভাষা খুজেই পাচ্ছি না।)আচ্ছা আশিক এই সন্ধ্যায় নদীর তীরে হাঁটতে কেমন লাগে তোর?😃
আশিকঃ ভালো।😐
মুনঃ শুধুই ভালো?😤
আশিকঃ না অনেক ভালো।😃 এই গোধুলীর আলোয় দুজন দুজনের হাত ধরে হাটবো, হাল্কা আলোয় তার দিকে তাকিয়ে দেখবো, আমার সহধর্মিণী কে এই আলোতে অসম্ভব সুন্দরী লাগবে, যেন আকাশ থেকে নেমে আসা পরী। তার চোখের ভাষায় বুঝাবে আমায় কতোটা ভালোবাসে আমায়, ওর ঠোঁটের কোণায় এক চিলতি হাসির রেখা ফুটে উঠবে, দেখতে যেন মায়াবতীর মতো লাগবে।হাতের আঙ্গুলে তার আঙ্গুল দুষ্টুমিতে মেতে উঠবে, ভালোবাসার এক স্মৃতিময় মুহূর্ত গড়ে উঠবে এই গোধূলি সন্ধ্যা।
.
আশিকের কথায় মুন মুগ্ধ হয়েছে।নিজেকে আশিকের সহধর্মিণী ভেবে কল্পনায় এসব ভাবছে।ঠিক যেন দুজন ভালোবাসাময় সন্ধ্যা উপভোগ করছে মুন।😂
.
মুনঃ বাহ, কি সুন্দর তোর কল্পনা। সত্যি মনোমুগ্ধকর। অসাধারণ। তা কেউ আছে নাকি তোর?😂
আশিকঃধন্যবাদ। নাহ, তেমন কেউ।😩
মুনঃ ও আচ্ছা। যদি আমি তোর কল্পনার কথা গুলো বাস্তবে পরিণত করি।😂
আশিকঃ মানে?😱
মুনঃ (আশিকের হাতে হাত রেখে) এভাবে তোর সাথে এই সন্ধ্যা উপভোগ করতে চাই😂।
আশিকঃ কি করছেন কি? হাত ছাড়ুন। এটা সম্ভব নয়।😮
মুনঃ কেন সম্ভব নয়?😩
আশিকঃ কারন আমার সেই অধিকার নেই।😩
মুনঃ আমি যদি তোকে সেই অধিকার দেই😂?
আশিকঃ না, এটা সম্ভব নয়।😰
মুনঃ আচ্ছা তুই তোর সহধর্মিণী না ভেবে, মামাতো বোন বা বন্ধু ভেবে না হয় হাত ধরে রাখ।😢
আশিকঃ কি বলছেন...😥
মুনঃ কোন বলাবলি নয়।প্লিজ(অনুরোধের শুরে😢😢)
আশিকঃ কিছু বলতে পারছি না।ওর এমন চাহনিতে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যি যেমনটা মুনকে নিয়ে কল্পনা করতাম তার থেকেও অনেক সুন্দর লাগছে।😍😍
.
দুজনেই নদীর ধারে হাতে হাত রেখে হাঁটতে লাগলো। আশিকের বলা কথা গুলো মুন বাস্তবায়ন করছে। আশিকও এটাই চাইছিলো। কিন্তু সে এভাবে পাবে তা ভাবতে পারে নি।সত্যি মেয়েটার মনে জাদু আছে। না হলে কি আর আশা অসম্পূর্ণ থাকে? আশিকের সেই সপ্ন আজ পুরন হতে লাগলো। তবে আজ নয়।মুনকে দেখার পর থেকেই স্বপ্ন গুলো বাস্তবের দেখা পাচ্ছে। 😃😃
এমন ভাবে দুজনে হাঁটছে যেন কোন কাপল-কাপলি হাঁটছে নদীর তীরে। এক মনোমুগ্ধকর স্মৃতি হয়ে উঠছে তাদের দুজনের জন্য। হাতে হাত রেখে পথ চলতে ভালোই লাগছে আশিকেরও।এর বেশি কিছু করার সাহস নেয় মুনের। অনেক কষ্টে এভাবে আশিকের হাত ধরে হাঁটছে সে।এর থেকে বড় কিছু করতে গেলে এই সুযোগটা হাত ছাড়া করতে হবে। আশিকের ভিতরে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। ৭ বছর আগের আশিক সে এখন নেই।😩
.
আশিকঃ রাত তো হতে চললো।এবার যাওয়া যাক।
মুনঃ ভালোই তো লাগছে।আর একটু থাকি না😞।(রিকুয়েষ্ট করে)
।
মুনের অনুরোধে আশিক কোন কথা বলতে পারলো না। এই সন্ধ্যা এতো মনোমুগ্ধকর হবে সেটা আশিক বুঝতেই পারতো না যদি মুন তার পাশে না থাকতো।বেশ কিছুক্ষন এভাবে নদীর তীরে বসে প্রকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছিলো তারা। আজকের সন্ধ্যাটা মনে হয় খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলো।রাত হতেই চারপাশে অন্ধকার ঘনিয়ে আসতে লাগলো।তারা চলে গেলো সেই রেস্টুরেন্টে। এই রেস্টুরেন্টা তাদের সব থেকে প্রিয়। কেননা রাস্তা থেকে একটু দূরে।কোলাহল মুক্ত যায়গা।আর পাশে সুন্দর একটা ফুলের বাগানও রয়েছে। এক কথায় মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।😍
ডিনার করে আশিককে নামিয়ে দিয়ে চলো গেলো মুন। এই অল্প সময়েই অনেক বেশি চাওয়া পূর্ন হয়েছে মুনের। ভাবতেই পারেনি আজ এতোকিছু ঘটবে।
.
আশিকঃ আজকে একটু বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেললাম।ওর সামনে এমন না করতেও পারতাম। তবে অনেক ভালো লেগেছে মুনের হাত ধরে হাঁটতে। সেই কবে এমন ভাবে একসাথে চলেছি তা মনেই পরছে না😰।আচ্ছা এটা করা কি আমার ঠিক হচ্ছে? ওর যখন বিয়ে হবে তখন আমার কি হবে? সত্যি কি অন্যের হয়ে যাবে মুন?আচ্ছা মুনকে কি বলে দেওয়া উচিত? ও কি আমাকে ভালোবাসবে? যত ওর সাথে সময় কাটাচ্ছি তত মনে হচ্ছে ও আমার প্রতি দুর্বল। কিন্তু আবারো মনে হচ্ছে আমায় সহানুভূতি দেখাচ্ছে। এই দু মাসে আমি অনেকটা মুনের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছি। ওকে ছাড়া চলা কি সম্ভব?😰😢
.
মুনঃ ভালোই লাগলো আজকের মুহুর্ত টা। কতোদিনের ইচ্ছে ছিল প্রিয় মানুষটাকে নিয়ে কোন এক অজানা পথে হাতে হাত রেখে দীর্ঘ সময় পাড়ি দিবো😍। আজ তা পুরন হলো।আমার সব ইচ্ছে গুলো আশিককে ঘিরে।আর সবগুলোই আশিককে নিয়েই পুর্ন করবো। না হলে জোর করে করবো।আশিক শুধু আমার।আর কারো হতে পারে না।এতোদিনের ভালোবাসা আমি নিজের করে নিবোই😍💗💗 💟।
.
আশিকঃ ভালোবাসা গুলো কি এমনি হয়? যাকে এতো ভালোবাসি তার সুখের জন্য আমাকে দুরের পথ পাড়ি দিতে হবে। হায়রে নিয়তি। তুমি কতোটাই দক্ষ। একসাথে দেখা করিয়ে দিলে, অথচ আবার দুরে সরে দিচ্ছো। সত্যি তুমি বড় মাপের খেলোয়াড়😢। তোমার সাথে পেরে উঠা আমার মতো সাধারণ মানুষের কাজ নয়।😒
.
মুনঃ আমি যখন ওর সামনে যায় তখন মনে হয় হার্টবিট ফুল স্পিডে চলে। কেন জানি দিনদিন ওর সামনে গেলেই এমন হতে থাকে। না জানি কক্সবাজারে ওর সাথে কি কি ঘটবে। ওকে যে কি ভাবে বলি?😢 আমার কি তখন খুব লজ্জা করবে? না না, সব লজ্জা ভেঙে আশিককে বলতে হবে।আর বেশি কষ্ট পেতে হবে সোনা। খুব শীঘ্রই তুমি আমার হবে।😂
।
এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরলো মুন। আশিক মুনকে হারানোর ভয়ে ঘুমাতে পারছে না। নিজেকে খুবই বোরিং লাগছে আশিকের। এতো কষ্টের পর মুনকে যখন নিজের ভাবতে লাগলো ঠিক তখনই মুনের একটি কথা তার সব ভাবনাকে নিঃশেষ করে দিলো😢। মুনের কাছে তার বিয়ের কথা এক্সেপ্ট করে নি আশিক।😩
বিভিন্ন চিন্তা করতে করতে কখন ঘুমিয়ে পরলো তা বুঝতে পারিনি সে। কাল শুক্রবার হওয়ায় সারাদিন ঘুমিয়ে থাকলেও কিছু হবে না। অফিসের কোন চিন্তা নেই।না আছে গফের চিন্তা। তাই আরাম করে ঘুমিয়ে থাকার জন্য এই দিনটাই যথেষ্ট।😁
.
মুনঃ উফফ, আজ এতো তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙে গেলো কেন?(বিরক্ত হয়ে) 😩আজ তো শুক্রবার, তেমন কোন কাজ নেই। তারপরও ঘুম ভাঙ্গার কোন দরকার ছিলো? 😡
অনেক দিন হলো হকাল বেলায় সূর্যোদয় দেখিনি।আজ ছাদে গিয়ে দেখি।
.
এই কথা মনে আসতেই সমস্ত বিরক্ত ভেঙে খুশিতে পরিনত হলো😀।এই সকাল বেলা সূর্য উদয় দেখতে খুবই ভালো লাগে মুনের। ছাঁদের এক কোনায় দাঁড়িয়ে আকাশ পানে তাকিয়ে থাকলো মুন।কতোই না আশিকের সাথে সুর্য উদয় দেখেছে সে। প্রতিদিনই দেখতো তারা😍। আশিক চলে যাওয়ার পর তেমন একটা ভালো লাগেনা মুনের। একা-একা দেখতে বিরক্তিকর লাগে।তাই সকালবেলা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয় মুন। মাঝেমাঝে যখন হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে যায় তখন সূর্যোদয় দেখতে আসলেও তা আর হয়না। ঠিক তখনই আশিকের স্মৃতি সামনে এসে যায়। দুচোখ ভিজে যায় মুনের। সেই আশিকের সাথে কাটানো মূহুর্তগুলো ভেবে ভেবে কতো জল ঝরিয়েছে তার কোন হিসাব নেই।😢 আশিককে বড্ড ভালোবাসে সে।😍
.
বেশ কিছুক্ষন পর মুন ফ্রেশ হতে চলে যায়।আজ মনটা হালকা লাগছে মুনের। তবে কাল থেকে নিজের মধ্যে আলাদা ফিলিংস অনুভব করছে সে।হয়তো ভালবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার আনন্দে।
।
মুনঃ পাগলটা মনে হয় এখনো উঠে নি।ফোন দিবো? না থাক।ঘুমাক।আজ ওকে সারপ্রাইজ দিবো।😂
।
মুন চলে গেল রান্নাঘরে।আজ সব আশিকের পছন্দের রান্না করবে। আশিক যা যা পছন্দ করে তা-ই রান্না করে আশিককে সারপ্রাইজ দিবে।রান্নার সব আয়োজন দেখে মুনের মা মিসেস শাহানা মুচকি হাসতে লাগলো।😄😃😛
।
মিসেস শাহানাঃ কি রে মুন? আজ এতো আয়োজন?কি ব্যাপার?😃😄
মুনঃ না মা।কোন ব্যাপার না।😃
মিসেস শাহানাঃ দেখায় যাচ্ছে কোন ব্যাপার।আমার মেয়ের তো আর সহ্য হচ্ছে না।😀☺
মুনঃ ধুর মা।যাও তো।আমার কাজ করতে দাও😞।
মিসেস শাহানাঃ হ্যাঁ তুই মনোযোগ দিয়ে কাজ।দেখিস আবার ভুল টুল যেন না হয়।(হেঁসে চলে গেলো)☺☺
.
মুন সব তৈরি করে রওনা দিচ্ছে। উদ্দেশ্য আশিকের বাসা।জানে এখনো সে ঘুমিয়ে আছে।এমনিতেই ঘুম পাগল।আর 😛শুক্রবার হলে তো কথায় নেই☺😊😆।
.
.
.
ক্রিংক্রিং ক্রিংক্রিং🔔
.
কলিং বেলের আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় আশিকের।বিরক্ত হয়ে বলল,
আশিকঃ কে?
ওপাশ থেকে কোন সাড়াশব্দ নেই।শুধু বেল 🔔বাজাচ্ছে। আশিক বিরক্ত হয়ে দরজা খুলতেই ছোট খাটো ক্রাশ খেয়ে ফেললো।ওর সামনে যেন পরী দাঁড়িয়ে আছে। এই সকালবেলা এতো সুন্দর করে সেজে এসেছে, তা দেখে সবাই ক্রাশ খেয়ে ফেলবে।আশিক মুনের দিকে একনাগাড়ে তাকিয়ে আছে। এভাবে তাকিয়ে থাকাতে মুন লজ্জা পাচ্ছে।😔
।
মুনঃ কি রে? এভাবে হা করে তাকিয়ে আছিস কেন?এর আগে আমাকে দেখিস নি নাকি?😃
আশিকঃ হ্যাঁ বাট এত্তো সুন্দর ভাবে সেজে আসলেন মনে হচ্ছে কোন পরী আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।☺(ঘোড়ের মধ্যে বললাম)
মুনঃ (লজ্জা পেলো। এই প্রথম এমনভাবে বলল আশিক) থাক আর পাম দিতে হবে না। এভাবে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকবো নাকি😀?
আশিকঃ ও সরি।প্লিজ ভিতরে আসুন।(এই আমি কি বলে ফেললাম।ঘোরের মধ্যে কি না কি বললাম।সত্যি মুনকে আজ পরীর মতো লাগছে।কালো😍 শাড়ীতে বেশ মানিয়েছে তাকে।)
মুন ভিতরে ঢুকেই আশিকের দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।😠
।
মুনঃ এই সব কি?(রেগে)😠😠
আশিকঃ ব্যাচেলরদের থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না।😂
মুনঃ তো বিয়ে করে নে।তাহলে তোর বউ তোর সব কাজ করে দিবে।(হেঁসে)😂😃
আশিকঃ (মুচকি হেঁসে)কি যে বললেন না।আমার আবার বিয়ে? আমার মতো ছেলেকে কে আবার বিয়ে করবে?😂
মুনঃ তুই রাজি থাকলে আমাকে বিয়ে করতে পারিস।[অট্টহাসি দিয়ে]😂😂(তুই বলে দেখ একবার। আমি শুধু তোর।এবার তো বল)😞
আশিকঃ (মলিন হেঁসে) কি যে বললেন না। লজ্জা দিচ্ছেন আমায়?(😄সেই স্বপ্ন টা যে কখনো পুরন হওয়ার নয়?এটা শুধু একটা স্বপ্ন মাত্র।ঘুম থেকে উঠলে যেমন রাতের স্বপ্ন বিলীন হয়ে যায়, ঠিক তেমনি এই স্বপ্ন টাও বিলীন হয়ে যাচ্ছে😞)
মুনঃ হিহি😂। যা ফ্রেশ হয়ে আয়।(মুখে হাসির রেখা ফুটিয়ে বললাম। চোখের কোনে জল খেলা করছে। এতোটা ভালোবাসি তোকে আর তুই এখন পর্যন্ত বুঝতে পারলি না।)😢😢
আশিকঃ ও হ্যাঁ। ভুলেই গেছিলাম। একটু ওয়েট করুন।😃
।
আশিক চলে গেলো ওয়াশরুমে।এই ফাঁকে মুন আশিকের বিছানা গুছিয়ে দিচ্ছে।
মুনঃ একবার বলে দেখ।তোর এসব দায়িত্ব আমি সারাজীবন পালন করতে রাজি আছি। কেন তুই বুঝিস না? আমার যে খুবই কষ্ট হয়।😢শুধু একবার বল ভালোবাসি। আর কিছুই লাগবে না আমার।😒
.
আশিক ফ্রেশ হয়ে আসতে আসতে মুনের সব কিছু গোছানো শেষ।আশিক শুধু দূর থেকে ভালোবাসতে চায়। কাছে গেলে হয়তো পেয়েও হারাতে হবে,এই ভয়ে কোন কিছু করার বা বলার সাহস নেয়😞। সে বুঝতে পেরেছে মুন ও তাকে ভালোবেসে ফেলেছে।বললেই সে রাজি হয়ে যাবে।কিন্তু আশিক চায় না ওর জন্য মামা-মামী কষ্ট পাক। ওর মামা-মামীর ইচ্ছে তেই মুনের বিয়ে হবে। এর মধ্যে সে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। মুনের বিয়ে অবধি সে থাকবে না এখানে । তবে সবসময় ওর জন্য দোয়া করবে যেন মুন সুখে থাকে।ওর স্বামী সংসার নিয়ে ভালো থাকে।😶
.
মুনঃ কি হলো?এভাবে দাঁড়িয়ে কি ভাবছিস?😱
আশিকঃ কই? না, কিছু ভাবছি না। আপনি এখানে এতো সকালে?😱
মুনঃ দেখতে এলাম তুই কি করছিস।জানিতো ১২ টার আগে ঘুম থেকে উঠবি না।তাই তোকে কেয়ারফুল বানাতে চলে এলাম😂😂😂।(হেঁসে)
আশিকঃ আসলে আজ শুক্রবার। সব কিছু বন্ধ। তাই ঘুমিয়ে আছি।😃
মুনঃ হু জানি।সব বন্ধ থাকলেও কিন্তু ভালোবাসার দরজা খোলাই আছে😍😃।(রহস্যের হাসি হেঁসে)
আশিকঃ মানে?😮
মুনঃ কিছু না।চল খেয়ে নেই।😃
আশিকঃ কিন্তু এতো সকালে আশেপাশের সব কিছুই তো বন্ধ।😱
মুনঃ তোকে বাইরে যেতে বলেছি?😠
আশিকঃ না।তবে খাবার কই পাবো।😱
মুনঃ চল আমার সাথে।😬
আশিকঃ কোথায়?😱
মুনঃ (চোখ পাকিয়ে) টেনে নিয়ে আসলাম।😡
আশিকঃ এত্তো খাবার? এতো সকালে কই পাইলেন?😱
মুনঃ কেন? আমি কি রান্না করতে পারি না?😬
আশিকঃ হ্যাঁ কিন্তু এতো খাবার আপনি রান্না করেছেন?😱😮
মুনঃ হুম।😑
আশিকঃ কেন অযথা কষ্ট করতে গেলেন?😱😩
মুনঃ তুই বুঝবি না।কথা কম বলে হা কর।😃
আশিকঃ আমি নিজেই খেয়ে নিচ্ছি।😨
মুনঃ চুপ।হা করতে বলছি না?😡
।
ভয়ে আশিক কথা বলে চুপচাপ খেয়ে নিলো।মুনের এই রাগটা আশিক খুব ভয় পায় ছোটবেলা হতেই। তখন তেমন রাগতো না মুন।তবে এখন প্রায়ই রাগ দেখায় আশিককে।
.
আশিকঃ আপনি খাবেননা?😨
মুনঃ তুই খাইয়ে দিবি? তুই খাইয়ে দিলে খাবো।😂
আশিকঃ কি বলছেন আপনি? আমি কি করে খাইয়ে দিবো?😱
মুনঃ কোন কথা শুনবো না।যদি তুই খাইয়ে দিস তো খাবো।না হলে খাবনা।😠
.
একটু ভেবে আশিক সম্মতি জানায়। আশিক মুনকে খাইয়ে দেওয়ায় মুন খুব খুশি হয়।😂 এভাবেই আমি তোকে চাই।সারাটা জীবন,আমার পাশাপাশি, একসাথে, শুধু ভালোবাসায় ভরে উঠবে আমাদের জীবন......
.
.
.
.
.
.
.
To be continue..

0 মন্তব্যসমূহ
গল্প গুলো কেমন লাগলো, আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।