মামাতো বোন
পর্ব- ১১
আশিক মুনকে খাইয়ে দেওয়ায় মুন খুব খুশি হয়। এভাবেই আমি তোকে চাই।সারাটা জীবন,আমার পাশাপাশি, একসাথে, শুধু ভালোবাসায় ভরে উঠবে আমাদের জীবন।কোন লুকায়িত কষ্ট থাকবে না।শুধু থাকবে অসীম ভালোবাসা তোর আর আমার মাঝে।💟 ভালোবাসি তোকে।বড্ড ভালোবাসি।
খাওয়ার শেষে দুজনেই মেতে উঠলো আড্ডায়।আজ বাইরে যেতে ইচ্ছে করছে না মুনের। এভাবে একা সময় কাটাতে চায় সে। যাতে অন্য কেউ ডিস্টার্ব না করতে পারে।বিভিন্ন টপিক নিয়ে গল্প করতে লাগলো তারা।হঠাৎ করে মুন বলে উঠলো,
.
মুনঃ মনে কর আমি তোর বউ।☺তখন কি করবি তুই?
আশিকঃ এএএ আপনার মতো পেত্নীকে বউ😕 বানানোর ইচ্ছে নাই।কখন না জানি ঘার মটকে দিবেন।😂
মুনঃ কিহহহ।আমি পেত্নী?😠
আশিকঃ তা নয়তো কি? আমার উপর এমন করেন যেন পেত্নী ভর করেছে আমার উপর।😂
মুনঃ আমি তোর উপর ভর করেছি তাই না।আজ সত্যি সত্যি ভর করবো😠।(শাড়ির আঁচল টা কমড়ে গুজে নিয়ে আশিককে বিছানাতে ফেলে দিয়ে ওর উপর উঠে বসলাম)😠
আশিকঃ আরে কি করছেন কি? লাগছে তো।😩
মুনঃ লাগুক।আমাকে পেত্নী বলার সাধ মিটিয়ে দিবো আজ😠।(আবারও কিল ঘুসি মারতে লাগলাম)
আশিকঃ লাগছে তো😞।(এভাবে হবে না।কিছু একটা করতে হবে।ওর হাত দুটো শক্ত করে ধরে ফেললাম)
মুনঃ ছাড় বলছি।তোকে আজ মেরেই ফেলবো😠😠।
.
মুন আশিকের থেকে ছাড়াতে কি চেষ্টা করতে লাগলো।আশিক আচমকা টান মেড়ে শান্ত করতে লাগলো। কিন্তু এরই মধ্যে ঘটতো বিপত্তি। মুন ছাড়াছাড়ি করতে গিয়ে আশিককে চোখের দিকে তাকিয়ে হারিয়ে গেলো অজানা দেশে।দুজন দুজনের চোখের দিকে তাকিয়ে বাকরূদ্ধ হয়ে গেলো। মুনের নিঃস্বাস ঘন হতে লাগলো। নিজের প্রতি কন্ট্রোল হারিয়ে আশিকের দিকে ঝুকে পড়তে লাগলো মুন। আশিকও নিজের প্রতি কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলে রেসপন্স দেওয়ার চেষ্টা করতে লাগলো। কি করছে দুজনের কারো খেয়াল নেই।যত সেকেলে চলে যাচ্ছে তারা আরও ঘনিষ্ঠ হতে লাগলো।মুনের নজর পরলো আশিককে 💋ঠোঁট জোড়ার দিকে।নিজের ঠোঁট গুলো আশিকের ঠোটের দিকে এগিয়ে নিতে লাগলো মুন। এমন সময় ঘোর কাটলো আশিকের। কি হতে চলেছে সেটা অনুমান করতে লাগলো। বুঝতে পেরে মুনকে ধাক্কা দিয়ে পাশে শুইয়ে দিলো। আশিক দাড়িয়ে পরলো সাথে সাথে। 😮
আশিকঃ সরি সরি বুঝতে পারিনি।😞
মুনঃ লজ্জাতে কথা বলতে পারছিনা।কি হতে হচ্ছিল এখন।😔
আশিকঃ এবার মনে হয় আপনার যাওয়া উচিত😒।
মুনঃ হুম। উঠতে গিয়ে আবার বসে পড়লাম।😧একবার মনের ভিতর শয়তান ঢুকে পড়েছে, এখন বারবার উকি মারছে।😂
আশিকঃ কি হলো আবার বসে পড়লেন যে?😮
মুনঃ কিছু না এদিকে আয় তো একটু।☺
আশিকঃ কেন?😮
মুনঃ আচ্ছা থাক ওখানে আমি যাচ্ছি।😃
আশিকঃ হৃদপিণ্ড এতো উত্তেজিত হচ্ছে কেন?😲
।
মুন আশিকের কাছে গিয়ে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো, যাতে নড়াচড়া করতে না পারে। আশিক এমন অবস্থায় বাকরুদ্ধ হয়ে গেলো। মুন আশিকের মাথা টেনে এনে নিজের ঠোঁটের💋 সাথে আশিকের ঠোঁট লাগিয়ে দিলো। কতক্ষণ এমন অবস্থায় ছিলো তাদের কোন হুঁশ মনে। এতো তাড়াতাড়ি সব ঘটে গেলো, আশিকের মস্তিষ্কে এখনো ঘুরপাক খাচ্ছে বিষয় টা। বুঝতে পেরে মুনকে সরিয়ে দিতে লাগলো আশিক। কিন্তু মুনের সাথে পেরে উঠা সম্ভব হলো না।😍
বেশ কিছুক্ষন এভাবে থাকার পর আশিককে ছেড়ে দিয়ে চলে গেলো মুন।কোন কথা বলার সুযোগ পেলো না আশিক।এখনো হাঁপাচ্ছে সে।এমন ঘটানো ঘটতে পারে তা কখনো আশা করে নি আশিক।😨
মুন এসব ভাবছে আর মুচকি হাসছে।লজ্জা পেয়ে মুখে হাত 🙈🙊দিয়ে মুখ ঢাকছে।এমনটা হবে সেও বুঝতে পারেনি।তখন নিজের প্রতি কন্ট্রোল হারিয়ে যা করেছে তা ভেবে নিজের প্রতি রাগ হচ্ছে😠।
।
মুনঃ আশিক কি মনে করবে?আমায় কি ভুল বুঝবে?😒 ভুল বোঝার কি আছে।আমার হবু হাজবেন্ড কে কিস করেছি।😃
।
আর কিছুদিন পর তো আশিক মুনেরই, আশিকের সাথে সব করতে পারবে সে। এসব ভেবে খুশিই হলো মুন।😊😊
.
আশিকঃ এটা কি ঠিক হলো? এমন করলো কেন মুন? তাহলে কি ও আমাকে ভালোবাসে?😨 কিন্তু কেন ভালোবাসে আমায়? 😲আমি তো অনাথ।আমার সাথে কিভাবে যায় ওর। সেদিন যে বলল ওর বিয়ের কথা। তাহলে কেন এমন করছে সে? না, কিছুই ভাবতে পারছি না আর।উফফফ মাথা ব্যাথা করছে।😞😒
।
এসব ভাবত ভাবতে দিন কেটে গেলো তাদের। কাল অফিস খোলা। তাই মাথায় প্রেশার না দিয়ে ঘুমিয়ে পরলো।
.
.
আশিকঃ আজ কি আমার যাওয়া ঠিক হবে? কাল যা ঘটালো কি ভাবে মুনের সামনে মুখ দেখাবো😞। লজ্জা পাচ্ছি খুব।যদি উনার সামনে না যায় তাহলেই তো আর লজ্জায় পরতে হবে না😕।কিন্তু অফিস টাইম তো হয়ে গেছে এতোক্ষণে।মাঝপথে এসে ঘুরে না গিয়ে অফিসেই যায়।😦
.
মুনঃ আজকে এখনো আশিক আসেনি কেন? নাকি কালকের বিষয়ে কিছু মনে করেছে?😩
.
আশিকঃ আজ কেবিন থেকে বের হবো না। যদি সামনাসামনি মুনের সাথে দেখা।যা হওয়ার হবে😞😞।আগে তো অফিসে যায়।
.
মুনঃ এখনো আসলো না কেন? নাহ একটু বাইরে গিয়ে দেখি।😩
.
আশিক ঢুকতেই মুনের সাথে ধাক্কা খেয়ে মুনের উপর পরে যায়।
মুনঃ আউচ... (আশিককে দেখে এমন অবস্থায় জরিয়ে ধরলাম।)😂
আশিকঃ সরি সরি ম্যাম।(উঠতে চেষ্টা করলেও উঠতে পারছি না।)😞
শফিকঃ আশিক ভাই এটা বাসা না।যা করার বাসায় গিয়ে করবেন।😃
শফিকের এমন কথায় লজ্জা পেলো মুন।আশিককে ছেড়ে দিয়ে উঠে পড়লো।
মুনঃ চোখে দেখিস না নাকি? চোখ কোথায় রেখে এসেছিস।😠😠
আশিকঃ সরি ম্যাম।বুঝতে পারিনি।😞
মুনঃ এতো লেট কেন? এটা কি তোর বাসা মনে হয়😠?
আশিকঃ সরি ম্যাম।(আজ এভাবে কথা বলছে কেন)😞
মুনঃ সরি দিয়ে কাজ হবে? এমনিতেই দেড়ি করে আসছে, আবার ধাক্কা দিয়ে সরি বলা হচ্ছে না😠😠।(রেগে)
আশিকঃ মাথা নিচু করে আছি। কি বা বলার আছে। তবে আশ্চর্য হচ্ছি খুব।কালকের মুন আর এখনকার মুনের মধ্যে বিশাল পার্থক্য দেখতে পাচ্ছি।😞😱
.
এভাবে আশিকের সাথে ব্যবহার করা দেখে সবাই অবাক হয়ে গেলো। জানে ম্যাডাম একটু রাগি😠।তাই বলে তুইতোকারি বলবে? এটা কিভাবে পসিবল? শুধু শফিক ব্যতীত।
.
মুনঃ এভাবে হা করে তাকিয়ে না থেকে যে যার কাজ করুন।😠😠
.
মুনের রাগী কন্ঠ শুনে সবাই ভয়ে কাজ করতে লাগলো। আশিকের মাথায় কিছু ঢুকছে না। সে নিজেই ধাক্কা দিয়ে এতো গুলো কথা শুনালো। বাহ্।একটা মানুষের কতোই না রূপ থাকতে পারে।😒😢
।
শফিকঃ ভাই আপনাদের মধ্যে কি কিছু হয়েছে?😶
আশিকঃ (শফিক ভাইয়ের কথায় আশ্চর্য হয়ে) কি হবে?😱
শফিকঃ না মানে ম্যাডাম এভাবে কথা শুনালো যে😰?
আশিকঃ দেখুন উনি যা করেছে তা ঠিকই করেছে। আমি সাধারণ একটা এমপ্লয়ি।এমনিতেই লেট করে আসছি।আর এসেই ধাক্কা দিয়েছি। মালিক হিসেবে এর থেকে ভালো কিছু কি আশা করা উচিত? ভাগ্য ভালো বের করে দেয় নি।😰
শফিকঃ আপনার সাথে তো শুধু মালিক-কর্মচারীর সম্পর্ক না।এর থেকে আরো অনেক কিছু। আর বড় কথা হলো উনি আপনার মামাতো বোন।😨😨
আশিকঃ (শফিকের কথা শুনে চোখ দুটো ভিজে যাচ্ছে)😰 আসলে ভাই এ জগতে অনাথের কোন মূল্য নেই। যখন ইচ্ছে হবে কাছে টেনে নিবে।তখন ইচ্ছে হবে ছুরে ফেলে দিবে। বাদ দেন ভাই।😒 আমার সাথে গল্প করার অপরাধে আপনার চাকরি চলে যেতে পারে।😞
শফিকঃ কিন্তু ভাই...😱
আশিকঃ প্লিজ।😒😒
।
আশিকের সাথে আর কোন কথা বাড়ালো না শফিক। আশিকের চোখ দিয়ে পানি ঝরতে লাগলো।এভাবে প্রিয় মানুষের থেকে কষ্ট পেলে যে কারো চোখ বাঁধা শুনবে না😭।আজ নিজেকে সত্যি একা লাগছে আশিকের। কি ভাবে পারলো মুন এমন ভাবে কথা বলতে।এখানে তো আমার দোষ নেই। নিজেই তো ধক্কা মেরে জরিয়ে ধরলো, তাহলে?😞
আশিকের চোখ আজ বাঁধা মানতে চাচ্ছে না। তবুও নিজেকে অনেক কষ্টে কন্ট্রোল করতে হচ্ছে তাকে। নিজের কাজ মনোযোগ দিয়ে করতে লাগলো সে।মন টা ভালো নেই আজ তার। ভাবছে লান্স টাইমের সময় চলে যাবে।😕
.
মুনঃ আশিকের চোখে জল? সত্যি অনেক বড় ভুল করে ফেললাম।😶এভাবে তো বলতে চাই নি।তবুও নিজের রাগকে কন্ট্রোল করতে না পেরে কি না কি বলে ওকে কষ্ট দিয়ে ফেললাম😞। কিভাবে এমন করতে পারলাম আমি? 😢ওর তো কোন দোষ নেই। তবুও এমন করাটা ঠিক হয়নি।😩😰 ওর থেকে ক্ষমা চেয়ে নিবো।ওকে আর কখনো কষ্ট দিবো না।😰😢
.
অনেকক্ষণ এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে খেয়ালই ছিলো না যে কালকে বিজনেস ট্যুর আছে। ট্যুরের কথা মনে পড়তেই পিয়নকে দিয়ে নতুন জয়েন করা তের জন কে ডেকে পাঠালো(পুরোনো এমপ্লয়ি দের আগেই জানানো হয়েছে)। প্রথমে আশিক না আসতে চাইলেও সবারই জোড়াজুড়িতে আসতে হলো মুনের কেবিনে।
.
শফিকঃ ম্যাডাম আসবো?😄
মুনঃ হ্যাঁ আপনাদের জন্যই ওয়েট করছি।😨
শিলাঃ জ্বি ম্যাডাম কিছু বলবেন?😊
মুনঃ তাই ডেকে পাঠালাম।(শান্ত ভাবে)😦
সুফলঃ জ্বি ম্যা’ম বলুন।
মুনঃ কালকে আমাদের অফিস থেকে বিজনেস ট্যুরের আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় সপ্তাহ খানিকের জন্য।😦
শামীমঃ কালকেই?😱😱
মুনঃ হ্যাঁ।কোন প্রবলেম?😡
শামীমঃ না ম্যা’ম।😞
মুনঃ এখন আপনারা বাসায় চলে যান। প্রস্তুতি নেন। আর হ্যাঁ কাল ঠিক এগারোটায় সবাই এখানে উপস্থিত হবেন। এগারোটা পাঁচ এ রওনা দিবো। এক মিনিটও কারো জন্য অপেক্ষা করা হবে না😠😠।
মিলিঃ জ্বি ম্যাডাম। আমরা তাহলে আসি।😒
মুনঃ হুম।😶
.
আশিক শুধু নিরব দর্শকের মতো শুনে গেলো।একটা কথাও বললো। কিভাবে বলবে?এর ভাষা যে তার অজানা। সবাই কেবিন হতে চলে যেতে লাগলো।তখনি মুন আশিকে থামতে বললো।
।
আশিকঃ জ্বি বলুন(মাথা নিচু করে)😞
মুনঃ একটু বোস।😦
আশিকঃ সরি ম্যাম। কোন কাজের কথা বলার😞 থাকলে বলেন।অযথা আমার মতো থার্ড ক্লাস ছেলের জন্য সময় নষ্ট করবেন না।😒
।
কথা টা মুনের বুকে তীরের ↗ মতো গিয়ে বিঁধল। আশিক যে সকালের বিষয়টা নিয়ে কতোটা কষ্ট পেয়েছে তা আর বুঝতে কষ্ট হলো না মুনের😩।
মুনঃ সরি আশিক। প্লিজ ক্ষমা করে দে। আসলে বুঝতে পারিনি তখন কি বলেছি। রাগে উল্টাপাল্টা বলে দিয়েছি। প্লিজ কিছু মনে করিস না😢।
আশিকঃ আপনি যা বলেছেন ঠিকই বলেছেন। এতে ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেই।😞
মুনঃ প্লিজ আশিক আমি বুঝতে পারিনি তুই এতোটা কষ্ট পাবি।বললাম তো রাগের মাথায় বলেছি।😞😰
আশিকঃ (মুচকি হেঁসে) আমটা রাগের মাথায় যার বিষয়ে বলি তার সম্পর্কে যা ভেবে থাকি তাই বলি😄। আর হ্যাঁ কষ্ট?? আমি কেনো কষ্ট পাবো? এমনটা তো হওয়ারই কথা।অনাথের সাথে এর থেকে কি বা ভালো কিছু আশা করা যায় চলি।😒
মুনঃ (শেষের কথাটা শুনে মনে হচ্ছে বুকের ভিতর কেউ ছুরি🔪 দিয়ে আঘাত করছে।নিজের অজান্তে এতো বড় কষ্ট দিয়ে ফেললাম।চোখ দিয়ে জল গড়াগড়ি করতে লাগলো।😢) প্লিজ আশিক মাফ করে দে।আর কখনো এমন করবো না।😰
আশিকঃ (মুচকি হেঁসে) 😃আমি কে? যে মাফ চাইছেন।আমি তো সাধারণ একটা কর্মচারী।আমার মনে হয় আপনি বেশি করে ফেলছেন না? একজন এমপ্লয়ির কাছ থেকে ক্ষমা চাচ্ছে মিস্টার আরমার চৌধুরীর একমাত্র কন্যা।'হাহাহা' হাসাইলেন।😄😄
মুনঃ প্লিজ আশিক এমন ভাবে বলিস না।(চোখ দিয়ে পানি গড়ে পরছে অঝোর ধারায়)😭
আশিকঃ আমি যাচ্ছি। কোন কাজের কথা থেকে বললে বলতে পারেন।😞
মুনঃ শোন তুই কোথাও যাবি না😒।(হাত ধরে) আমার সাথে যাবি।😡
আশিকঃ নিশ্চয় আপনার কোন প্রবলেম হয়ছে। ডক্টর দেখান।😃
মুনঃ আমার কোন সমস্যা নেই। আমি যা বলছি তাই হবে।😡
আশিকঃ এটা কোনভাবে পসিবল নয় মিস মোনালিসা চৌধুরী।😡
মুনঃ আমি যা বলি তাই হবে।আর পসিবল না তাই তো? কিভাবে পসিবল করা লাগবে আমি ভালোভাবেই জানি।😃
আশিকঃ কি করবেন আপনি? কিছুই করার নেই আপনার। কারণ আমার উপর কোন অধিকার নেই আপনার।😃
মুনঃ অধিকার? তাই না। তুই রুম থেকে বেড়িয়ে দেখ কি করি আমি।😃
আশিকঃ হু।যা করার করেন আমার কিছু যাই আশে না।😡
মুনঃ আচ্ছা?বেড়িয়ে দেখ না। কালকে তোর বাসায় যা হলো সেটা তুই আর আমি ছাড়া কেউ জানে না। যদি এখানে যদি আবার করি সবার সামনে😃।
আশিকঃ কি করবেন আপনি?(ভয়ে ভয়ে)😨
মুনঃ বেড়িয়ে দেখ না। সবার সামনে।😂তোর ঠোঁটের সাথে আমার ঠোঁট💋। বুঝতে পারছিস তো? তোকে সবাই কত্তো ভালো মনে করে।আর তুই এভাবে আমার সাথে😉..(শয়তানি মার্কা হাসি দিয়ে)
আশিকঃ চুপ করে দাড়িয়ে পরলাম। মুনকে বিশ্বাস নেই। যখন তখন যা খুশি করতে পারে।😥
মুনঃ কি হলো যা।😃
আশিকঃ কি করতে হবে আমায়।😒
মুনঃ এই তো বাবু লাইনে আসছো। এখন চুপ করে বসে পড়।এই ফাইলটা চেক করে তোকে নিয়ে বেড়িয়ে পরবো।😃
আশিকঃ (তাহলে ওখান থেকে কেটে পড়তে হবে।ওর সাথে যাওয়ার ইচ্ছে করছে না।যখন ইচ্ছে হবে তখন আমার উপর অধিকার খাটাবে,আবার ছুড়ে ফেলবে তা তো হবে না)😩
মুনঃ মিস্টার আশিকুর রহমান আপনি যা ভাবছেন তা একদম করার চেষ্টা করবেন না।😡
আশিকঃ মানে?(😱আমি তো আস্তে আস্তে বললাম।মনের কথা কিভাবে বুঝতে পারলো সে? নাকি জোড়েই বলে ফেললাম)
মুনঃ ঠিক বলেছিস।মনে মনে বললেও এতো জোরে বললি তা সবাই বুঝবে😃।আর হ্যাঁ এখন যেখানে যাবো সেখানে আমাকে কিছু করার জন্য বাধ্য করবি না। না হলে তোরই ক্ষতি।😃
আশিকঃ হুহ।😞
মুনঃ এবার চল।😄
আশিকঃ কোথায় যাবো?😱
মুনঃ বেশি কথা না বলে চল।😠
.
চুপচাপ চলে গেলো মুনের সাথে। মুন একটা শপিংমলে চলে গেলো🏢।মুনের পিছন পিছন আশিকও ঢুকলো। আশিককে অবাক করে মুন আশিকের পছন্দ অনুযায়ী সব কিনছে।আশিক 'না না' করলেও মুনের জোড়াজুড়িতে সব কিছু পছন্দ করতে হলো।😍
মুনও আশিকের জন্য নিজের পছন্দের কিছু শার্ট প্যান্ট কিনলো। কেনাকাটা করতে করতে বিকাল হয়ে গেলো। রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে সোজা আশিকের বাসায় গেলো।
।
মুনঃ চল।
আশিকঃ আপনি কোথায় যাবেন।😱
মুনঃ তোর বাসায়।
আশিকঃ না।😦
মুনঃ কেন? ভয় পাচ্ছিস? আজ কিছু করবো না।😂
আশিকঃ ঠিকতো?😨
মুনঃ হুম।চল এখন, সময় নেই।😃
আশিকঃ আপনি গিয়ে কি করবেন? আপনি বাসায় যান। 😧
মুনঃ চুপ।আমার সাথে চল।😠
আশিকঃ হু।চুপচাপ মুনের পিছনে যাচ্ছি।
মুনঃ এই শোন। কাল কে এগুলো পড়ে যাবি। আর হ্যাঁ ব্যাগ কোথায়?😨
আশিকঃ কিসের ব্যাগ?😱
মুনঃ ধুর। তোকে দিয়ে কিচ্ছু হবে।😠
বলেই আশিকের আলমারিতে খুজতে লাগলো। পেয়েও গেলো। মুনের পছন্দ মতো শার্ট প্যান্ট প্যাক করতে লাগলো।👕👘👚👖 বেশ কয়েকটা শার্ট প্যান্ট প্যাক করলো মুন।
মুনঃ শুন, সব কিছু গুছিয়ে দিয়েছি। কাল সময় মতো আসবি। জানি যাওয়ার ইচ্ছে নাই। যদি সময় মতো না আসিস আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না বলে দিলাম।😠
আশিকঃ হু।(মাথা নিচু করে, কিভাবে জানতে পারে যে আমি কি করবো।)😨
.
গেলেও বিপদ না গেলেও বিপদ ।কি করবে সে, এসব ভাবতে ভাবতে সন্ধ্যার পরপরই ঘুমিয়ে পরে আশিক।😴💤💤
.
মুনঃ জানি তুই আসবি না।তার ব্যবস্থাও আমি করে আসছি। তোকে যেতেই হবে। না হলে আমার প্ল্যান সাকসেস হবে না।😂
.
খুব সকালে এলার্ম দিয়ে ঘুমিয়ে⌚ পরলো মুন। ওর মাথায় এখন শুধু আশিকের চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে।কিভাবে ওই হাঁদারাম কে নিজের করে নিবে তা নিয়েই ব্যস্ত মুন।😦
।
পরদিন সকালে...
........
.
.
.
.
.
.
.
.
.
To be continue..
.
.
.পরবর্তী পর্ব একটু দেড়ি করে দিবো। তাই আজকে এই পর্ব দিয়ে দিলাম।

0 মন্তব্যসমূহ
গল্প গুলো কেমন লাগলো, আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।