মামাতো বোন
পর্ব-২
হঠাৎ দরজায় কারো knock করল।
-কে?
-দাদু ভাই আমি।দরজা খোল।
-ওহ বুড়ি।থামো একটু।
(বাবা-মার ছবির দিকে তাকিয়ে কাঁদছিল আশিক । তখনি কেউ এসে পড়ে)
এতক্ষণ ৬ বছর আগে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে কঠিন দিনগুলো নিয়ে ভাবছিল আশিক। এভাবে হঠাৎ করে বাবা-মার accident মেনে নিতে পারেনি। তাই সব কিছু ভুলতে নিজের শহর ছেড়ে চলে গেছিল অন্য শহরে। কিন্তু স্মৃতি তো ভুলবার নয়। শুধু আজকে নয়, প্রায়ই আশিক বাবা মায়ের কথা মনে করে কাঁদে। আর রাতেরবেলা আকাশের তারার দিকে তাকিয়ে কথা বলে। তার মনে হয় সবচেয়ে কাছের বড় দুটি তারা ⭐⭐ওর বাবা মা।
চোখের 😢😢পানি মুছতে মুছতে আশিক ওয়াশরুমে চলে গেল।যেন না বুঝে কেঁদেছে।দরজা খুলে দিতেই,
-কি গো জানু এত তাড়াতাড়ি ডাকতে এলে যে?(আশিক😀☺
-শুনলাম তুই নাকি প্রতিদিন late করে office যাস। তাই ডাকতে এলাম। কিরে তোর চোখ এমন লাল কেন?(দাদিমা)😱
-কই না তো?😞
-তুই কেদিছিস তাই না।😡
-না না। আমার তো আজ রাতে ঘুম হয়নি তাই হয়তো।
-ও আচ্ছা।
-হুম।(যাক বুঝতে পারেনি)
-ভাইয়া এই না-ও খেয়ে office যাবে।(দিয়া)
-এতো সকালে? আমি তো এতো সকালে কিছুই খাই না।(আশিক)
-জানি তো তুই কি খাস। এখন চলে যাবি সেই দুপুরে খাবি।(দাদি)😬
-আমি তো ক্যান্টিনে খেয়ে নেই।
-চুপ করে এখন খেয়ে নে দেখি।দিয়া ওকে খাবার টা দে।(দাদি)
-হুম দাদি।
আশিক বাদ্ধ ছেলের মতো খেতে লাগলো। ৬-৭ মাস আগে আবারো আশিক ফিরে আসে নিজের শহরে। তবে নিজের বাসায় না। ভাড়া বাসায়।ঢাকায় এসেই এই বাসায় উঠে। দাদিমার সাথে তাড়াতাড়ি মিল হয়ে যায় আশিকের। মনে হয় ওর খুব পরিচিত। সাথে দিয়াও। দিয়া এই বাসার ২ নাম্বার মেয়ে। মানে মালিকের দ্বিতীয় মেয়ে। বড় মেয়ে বিদেশে পড়ালেখার জন্য পাড়ি জমায়। আর ছোটটা এবার অনার্স ১ম বর্ষে। আশিকের নিজের বলতে এরা দুজনি এখানে।
-এখন আসি তাহলে।(আশিক)
-হুম সাবধানে যাস।(দাদি)
-হুম।
রওনা দিলো office এর জন্য। আশিক যখন এখানে আসে তার ১ম মাসেই চাকুরি পেয়ে যায়। রেজাল্ট ভালো থাকায় ভালো কোম্পানিতে চাকরিটা হয়ে যায়।তবে প্রথমের দিকে তাকে বস অনেক বকাবকি করতো।কারন প্রতিদিনই late করে যেত। পুরনো অভ্যাস ছারতে পারে না। আগের অনেক অভ্যাস ত্যাগ করলেও এখনো কিছু কিছু ছাড়তে পারে নি।
তার কাজ দেখে বস মুগ্ধ হয়। দেরি করলেও কাজের প্রতি দায়িত্বশীল ছিল। তাই এখন বকাবকি করে না। আশিককে অন্ধবিশ্বাস করে। সবাই আশিকের সততায় মুগ্ধ হয়ে বন্ধু হয়ে যায়। এই কদিনে সবার সাথে ভালো বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। কিন্তু সমস্যা হলো গত মাসে। বস তাদেরকে ডেকে বললো,
-আপনারা হয়তো জানেন আমার ছেলেমেয়ে নেই। আমি আর আমার স্ত্রী নিয়েই আমার পরিবার।আমারও বয়স হয়েছে,তাই ভাবছি কোম্পানি বিক্রি করে দিবো। এতোদিন সবাইকে কষ্ট দিয়ে ফেলছি।বস হিসেবে কতোটুকু পরি সবাইকে সাহায্য করেছি। অবশ্য আপনাদের জন্যই আজ এখানে এসেছি।আপনারা সাহায্য করেছিলেন বলে এতো বড় কোম্পানি টিকিয়ে রাখতে পারছি। Thanks all.
কথা শুনে সবারই মন খারাপ হয়ে গেল😢😞😧।কেননা এমন বস পাওয়াই মুশকিল। ইনি সবসময় সবারই পাশে ছিলেন।
office এ ঢুকতেই আশিক কে ডেকে পাঠিয়েছেন বস।
-May I come in sir.
-Yes..plz come
- স্যার কিছু বলবেন?
-হুম।তাইতো ডেকে পাঠালাম।
-কি স্যার?
-তুমি তো জানোই আমি আমার property বিক্রি করে দিবো।
-জ্বি স্যার😞
-কেন সেটাও তো জানো।
-জ্বি স্যার।
-তাই বলছি এখন থেকে alert থাকার চেষ্টা করো। পরের বস কেমন হবে সেটা তো জানিনা। হয়তো আমার থেকে ভালোও হতে পারে আবার খারাপও। তোমার কাজ আমায় খুব ভালো লাগছে। প্রথমে আমিও অনেক বকাবকি করছি। না জানি উনি এতো দিন অপেক্ষা করবেন কিনা।So, এখন থেকে তাড়াতাড়ি আসার অভ্যাস করবে।
-জ্বী, ঠিক আছে স্যার।এখন আসি।
-হুম যাও। take care.
-Thanks sir.
-hmm
এভাবে প্রায় ১২ দিন চলে গেল।আশিক আগের থেকেও তাড়াতাড়ি আসার চেষ্টা করে।কিন্তু পারে না। সকাল ৬ টাই alarm দিয়ে রাখে ঠিকই। কিন্তু এতো দিনের অভ্যাস ছারতে কি পারে? Officer গিয়ে জানতে পারে কাল থেকে নতুন M.D জয়েন করবে।সবাইকে চিন্তিত লাগছে। নতুন বস তাদের কি রাখবে?না-কি বের করে দিবে এই ভয়ে।
-আশিক ভাই খুব tension এ আছি।(শফিক ভাই)
-কেন শফিক ভাই?(আশিক)
-কাল থেকে তো নতুন বস আসবে। উনি আমাদের বেড় করে দিলে তো নতুন করে চাকুরী খুজতে হবে।এই শহরে চাকরি খুজে পাওয়া খুবই মুশকিল জানেনই তো।😧😞
-TENSION নিয়েন না। সব ঠিক ঠাক থাকবে।
-হো ভাই। যদি না হয় তাহলে তো... 😨😨
-আরে ভাই সমস্যা নাই। আমরা আছিনা।😃
-নারে ভাই।আমার থেকে আপনাকে নিয়ে বেশি tension হচ্ছে।😕
-কেন শফিক ভাই?😱
-আপনি তো প্রতিদিনই late করে আসেন। নতুন বস যদি কোন সমস্যা করে।😦😦
-ধুর ভাই কিছু হবেনা। আর বের করে দিলেও কি হবে?নতুন কোথাও job ঠিকই পাবো।😀(মুচকি হেসে)
-হুম ভাই।
-tension নিয়েন না।আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে।
-হুম।
আজকে তাড়াতাড়ি ছুটি হয়ে গেল। কালকে থেকে নতুন M.D জয়েন করছে। আশিকের ভয় হচ্ছে না, তা নয়। সে জানে এখান থেকে বের করে দিলে অন্য কোথাও job পাবে। একটু হয়তো কষ্ট হবে। নানা ধরনের tension করতে করতে ঘুমিয়ে গেল।
.
পরেরদিন,,
.
ঘুম থেকে উঠেই আশিকের চোখ কপালে।
আজকে ভেবেছিল তাড়াতাড়ি office যাবে কিন্তু তা আর হলো না। ৮:৪০ টা বাজছে ইতিমধ্যে। ২০ মিনিটে আশিকের মতো আরও দুইটা আশিক আসলেও অফিস যেতে পারবে না।
কোন রকম ভাবে উঠে তৈরি হয়ে office এর দিকে রওনা দিলো। রাস্তায় jam থাকায় দেড়ি হয়ে গেল।
-আশিক ভাই সুখবর আছে।(শফিক ভাই)😉
-কি ভাই?😱
-আমাদের নতুন বস তো তো Lady. ভাই কি যে বলবো।সারাক্ষণ তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। এতো সুদর হবে ভাবতেই পারিনি। যেন আকাশের পরী☺
-কি যে বলেন না ভাই। উনি তো আমাদের বস।😐
-তাতে কি?ভাই কিছু একটা করেন আমার জন্য😂।
-ধুর ভাই। আমাকে দিয়ে এসব হবে না।এখন একটু কাজ করেন।
-স্যার আপনাকে ম্যাডাম ডাকছে।(পিয়ন)
-জ্বি যাচ্ছি।(আশিক)😨😞
-ভাই আমার লাইনটা একটু করে দিয়েন?(শফিক ভাই)😀😊
-আরে রাখেন আপনার লাইন।আগে ঝাড়ি খেয়ে আসি। না জানি কি করে।😰
-হুম জান।একটু আদর খেয়ে আসুন।নতুম বস।আবার লেডি।😂
বসের কেবিনের সামনে দাড়িয়ে আছে। ভিতরে ঢুকার সাহস নেই। আজকে প্রথম দিন।না জানি কতো বকা খেতে হবে। একটু সাহস নিয়ে,
-আসবো Madam?
-জ্বী আসুন।(manager এর সাথে কথা বলতে বলতে)
আশিক কেবিনে গিয়ে মাথা নিচু করে।
-আরে আশিক তুই?(মুন)
কথা শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে মুনের দিকে।হয়তো ভাবতে পারেনি মুনকে দেখতে পারবে।আবার বস হিসেবে।
মুনঃ আপনি এখন আসুন।পরে ডেকে নিবো(ম্যানেজারকে উদ্দেশ্য করে)
-জ্বি Ma'am.
-কিরে তুই এখানে?কোথায় ছিলি এতোদিন।(খুশিতে জরিয়ে ধরে)☺☺
-Madam কি করছেন।ছাড়ুন এটা office.😞(আশিক)
-আগে বল এতো দিন কেথায় ছিলি?হঠাৎ কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলি?
-গিয়েছিলাম অজানা শহরে। বাদ দিন কাজের কথা বলুন।😞😩
-তোকে আজ কাজ করতে হবে না। চল।☺☺
-কোথায়?😱
-বাসায়।😊☺
-না। আমি যাবোনা।অনেক কাজ আছে।😶
-বলছি না চল।😡
-দেখুন madam আমি সাধারণ কর্মচারী। কিছু স্যালারির জন্য কাজ করি।আর আমার জন্য আপনার কাজে কোন ক্ষতি হোক তা চাইনা।চলি।😕😕😲
.
বলেই নিজের ডেস্কে বসে পড়লো। এতদিন পর কেন দেখা হলো? না দেখা হলে কি হতো না।নতুন করে আবার কষ্ট দিতে চলে আসলো।
-কি ভাই?আজকেও বকা খেয়ে আসলেন নাকি?😂 আজকে অন্তত তাড়াতাড়ি আসতে পারতেন?(শফিক)
-না ভাই তেমন কিছু না।😢
-হুম।আমার দিকটা একটু ভাবিয়েন।😂😂😂
-(মুচকি হাসি দেয় আশিক)
.
.
মুনঃ অনেক চেঞ্জ হয়েছিস আশিক।তুই শুধু একজন কর্মচারী না।অনেক কিছু তুই।তোকে তা বোঝাতে পারবো না।( মনে মনে বলে)
.
.
Lunch time আশিককে ডেকে পাঠালো মুন।
আশিকঃ আসতে পারি?(না চাইতেও আসতে হলো)
মুনঃ হুম তোর জন্যই wait করছি।
আশিকঃ কিছু বলবেন?
মুনঃ কেন তোকে ডাকতে পারি না?
আশিকঃ না তেমন নয়।এটা অফিস। আর এখানে মালিক-কর্মচারীর মধ্যে কাজের জন্যই ডাকা হয়।
মুনঃ বস আমি না তুই।😡😡
আশিকঃ আপনি😞
মুনঃ তো?আমি যা বলব তা-ই করবি।😬😠
আশিকঃ জ্বী Madam.😞
মুনঃ এখন চল।
আশিকঃ কোথায়?😱
মুনঃ জাহান্নামে।যাবি না?এতো প্রশ্ন করিস কেন? আগে তো এমন ছিলি না।😠😠😠
আশিকঃ সময়ের সাথে সব কিছুই change হয়ে যায়।(আপনার জন্য সব জায়গাতেই যেতে রাজি আছি)
মুনঃ বাহ্।কথাই তো আগের মতোই আছিস।😱😡
আশিকঃ সব কিছু তো আর change হয় না। নাহলে আজকে হয়তো আমাকে চিনতে পারতেন না।😒
মুনঃ হুম। এবার চুপ করে চল।(তোর মতো তো আর স্বার্থপর নয়)
আশিকঃ কোথা....
মুনঃ আমাকে বিশ্বাস করতে পারিস।
আশিকঃ সেটা বলছি না।(ওরে বাবা যে রাগিয়ে আছে, যেন চোখ দিয়ে আগুন বের হচ্ছে) হুমok
.
.
মুন আশিককে নিয়ে office থেকে বেড়িয়ে গেল। একটা রেস্টুরেন্টের সামনে গাড়ি থামালো মুন।
মুনঃ ভেতরে চল।
আশিকঃ এখানে আসার কি দরকার ছিল?😱😱
মুনঃ চুপ।
ধমক খেয়ে চুপচাপ মুনের সাথে রেস্টুরেন্টের ভিতরে গেল আশিক। মুন যে এতো বছর পরও আশিকের উপর জোর খাটাবে তা কল্পনায় করতে পারে নি আশিক। তার মায়ের পরই বেশি Care নিতো মুন। আশিকের খেয়াল রাখার জন্য প্রায়ই ফুফুর কাছে শুনতে পেত আশিকের বউ করে মুনকে ঘরে তুলবে। কথাটি শুনে মুন লজ্জা পেলেও আশিকের জন্য ভালোলাগা কাজ করে।
মুনঃ বললি না তো আশিক?
মুনের এমন প্রশ্ন শুনে অবাকই হয় আশিক।
আশিকঃ কি বলব?😱😱
মুনঃ এতদিন কই ছিলি?হঠৎ চলে গেছিলি কেন😱?
আশিকঃ বাদ দিন না এসব। ভালো লাগছে না।😞
মুনঃ কি ভালো লাগে তোর? সব সময় তো বলিস এটা ভালো লাগে না,ওটা ভালো লাগে না। এইটা পছন্দ না,ঐটা পছন্দ না। তুই মানুষ হলি না এখনো😠😡😬।
আশিকঃ হুম।😂
মুনঃ কি হুম?(রেগে)😠😬
আশিকঃ না মানে চলুন।Lunch time তো শেষ। না হলে বকা খাইতে হবে।
মুনঃ আমি থাকতে তোকে কে বকা দিবে?কার এতো সাহস?😠
আশিকঃ না মানে Ma'am, office এ অনেক কাজ পড়ে আছে এখন যাওয়া লাগবে।
মুনঃ চুপ।একদম চুপ।আমি তোর madam লাগি?আর একদিন কাজ না করলে কিছু হবে না।
আশিকঃ না মানে maam.....
মুনঃ আবার Ma'am??
আশিকঃ আপনি তো আমার office এর বস।
মুনঃ তুই ভুলে যাস না আমাদের এর থেকেও বড় সম্পর্ক আছে।
আশিকঃ সেটা এখন মৃত।
মুনঃ কি বললি? তোর কাছে মৃত হতে পারে আমার কাছে না যাবি তো চল এখন।(রেগে)😬😠😬😠
আশিক চুপচাপ বাইরে চলে আসে। আর মুনের রেগে যাওয়ার কারন খুজতে থাকে।
.
মুনঃগাড়িতে উঠ।
আশিকঃ কোথায় যাবেন?😱
মুনঃ office এ।Mood টাই নষ্ট করে দিলি আজ😠😠😬।
কিছু না বলেই গাড়িতে উঠে আশিক।
.
অফিসে,
আসতে আসতে ২০মিনিট লেট।manager আশিকের ডেস্ক কে এসে বকাবকি করতে লাগলো। মুন তা দেখে ধমক দিয়ে বলে
মুনঃ ম্যানেজার সাহেব। আপনি ওকে বকছেন কেন?
ম্যানেজারঃ Ma'am কাজ ফাকি দিয়ে চলে গেছি.....
মুনঃ Shut-up.আপনি জানেন আশিক এতক্ষন আমার সাথে ছিল? আশিককে এর পর থেকে কিছুই বলবেন না।😠😠 Next time যেন এমন না দেখি।😠
-না মানে Ma'am sorry.(manager অবাক হয়ে)কে এই আশিক?যার জন্য madam এতো কথা শুনালো? সকালে তো দেখলাম আশিককে দেখে চমকে উঠতে। তাহলে কি...?😱😱😱
মুনঃ কি এতো ভাবছেন? কথা গুলো মনে রাখবেন।মি. আশিক। আপনি আমার কেবিনে আসুন।
আশিকঃ জ্বি Ma'am.
মুন হনহন করে চলে গেল।পিছনে আশিক ও।
আশিকঃ আসবো?
মুনঃ হুম আয়। আর আমার কাছে আসতে permission লাগবে না।😡
আশিকঃমানে?😱😱
মুনঃ আমার কেবিনে আসতে জিজ্ঞেস করা লাগবে না।
আশিকঃ কিন্তু...
মুনঃ চুপ। শোন, এরপর থেকে কেউ কিছু বললে আমাকে জানাবি।
আশিকঃ ok madam.
মুনঃহুম।আর যাওয়ার আগে আমার সাথে দেখা করবি।
আশিকঃ কেন?
মুনঃ আমি বলছি তাই। এতো প্রশ্ন করিস কেন?ভুলে যাসনা আমি তোর বস।😠😬
আশিকঃ Sorry Ma'am.
মুনঃ হুম যা এখন।
আশিক চলে গেল আপন ডেস্কে। আর ভাবতে লাগলো মুনকে নিজের বস হিসেবে দেখবে, সেটা কল্পনার বাইরে।হয়তো এতোদিনে অনেক টাকা income করছে। আমাদের বাড়ি টা এখনো কি আছে? থাকবে কেন? ওখানে তো কেও থাকে না। আর এতো দিনে আমাদের ছোট্ট বাসাটা ভেঙ্গে কিছু তৈরি করেছে। আমিতো তাদের কাছে এখন মৃত।কারো হয়তো মনেই নেই আমাকে।
মুনঃ সিসিটিভি ফুটেজে দেখছি আশিক কি যেন ভাবতে ভাবতে কাজ করছে। সত্যি ভাবতে পারিনি এতোদিন পর এই ভাবে দেখতে পারবো। এখন সবসময় ওর কাছাকাছি থাকতে হবে।একবার তো হারিয়ে ছিলাম।আর না। যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব আমার করে নিবো।
.
.
কাজ করতে করতে অনেক দেরি হয়ে গেল আশিকের । তাড়াতাড়ি বের হতে গিয়ে ধাক্কা খেল ।
মুনঃ উফফফ। চোখে দেখিস না নাকি?
আশিকঃ Sorry আসলে। তাড়াতাড়ি করে নামতে গিয়ে।
মুনঃতোকে কি বলছিলাম?😠😬😡
আশিকঃ কি?(অবাক হয়ে)😱😱😱
মুনঃযাওয়ার আগে দেখা করতে।(রেগে)😠😬
আশিকঃ ও,sorry আসলে মনে ছিল না।😞😞
মুনঃ তা মনে থাকবে কেন?মনে থাকলে আর হারিয়ে যেতি না।আমরা তো আর তোর কেউ না।মনে রাখবি কেন?😠😬
আশিকঃ (আপনি জানেনই না আমার কতোটা জুরে আপনি আছেন। জানলে হয়তো এসব বললতেন না)
মুনঃ কিরে?কথা বলছিস না কেন?
আশিকঃ নাহ্। বলুন কি বলবেন।
মুনঃ হুম গাড়িতে ওঠ।
আশিকঃ গাড়িতে কেন?😱
মুনঃ তোকে kidnap করবো না। চল।😬😡😠
.
দুজনেই নিশ্চুপ হয়ে আছে।আর গাড়ি চলছে তার আপন গতিতে।
আশিকঃ (কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আমায়? এমনিতেই অনেক রাত হয়ে গেছে।)
মুনঃ (ইচ্ছে করছে তোর সাথে সেই আগের মতো করে রাত জেগে গল্প করি। আবারও আগের মতো খুনসুটি তে মেতে উঠি। তোকে যে কতটা মিস করেছি।তা শুধু আমি জানি)
আশিকঃ কোথায় যাচ্ছি আমরা।(নিরবতা ভেঙ্গে বললাম)
মুনঃ চুপ করে বসে থাক। গেলেই দেখতে পারবি।
আশিকঃ আমার বাসার রাস্তা তো এইদিকে না?
মুনঃ তোকে বলেছি তোর বাসায় যাচ্ছি।😡😠(আমি ঠিকই বুঝতে পারছি।তুই এখনো আগের মতোই আছিস। এখন গিয়েই ঘুমিয়ে পরবি)😂
কিছুক্ষণ পর নির্দিষ্ট জায়গায় গাড়ি পৌছালো।
মুনঃকিরে নামবি?😡(এমন একটা মুডে ছিল।দেখতেই খুব কিউট লাগছিল)😂😂😂
আশিকঃওহ হ্যাঁ😱😱।(চমকে উঠলাম। কখন গাড়ি থামলো বুঝতেই পারিনি।এমনিতেই tension এ ছিলাম)
মুনঃ তাড়াতাড়ি কর।
আশিকঃ নেমেই চমকে উঠলাম।এটা তো সেই জায়গা,😱😱😱 যেখানে......
.
.
.
.
.
.
To be continue......

0 মন্তব্যসমূহ
গল্প গুলো কেমন লাগলো, আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।