ধর্ষন করে বিয়ে
পর্ব ১০+১১
গাড়িতে উঠে বসে দুজনে।
নিলিমা কেদেই চলেছে। গাড়িটা নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে তারা সবার আগে।
বাসা থেকে বের হতেই। নিলিমার কান্না আরো বেড়ে যায়।
সানভির রাগ মাথায় উঠে যায়।
ধমক দিয়ে বলে,
- চুপ করো।এতে কাদার কি আছে।(সানভি)
ধমক খেয়ে নিলিমা চুপ হয়ে যায়।
ফুপিয়ে কাদতে থাকে। এইটা আরো বিরক্তিকর লাগে সানভির কাছে।
,
- প্লিজ থামবে?(সানভি)
- তাহলে একবার বলো ভালোবাসি।(নিলিমা)
- কখনো বলবো না (সানভি)
- আমি আদায় করে নিবো।টেনশন নিয়োনা।(নিলিমা)
,
আবার কাদতে শুরু করে নিলিমা।
সানভি উপায় না পেয়ে কানে হেডফোন গুজে দিয়ে হার্ড রক একটা গান শুনতে থাকে।
এরকম গান কখনো শোনেনা সে।একটুও ভালো লাগেনা তার এরকম গান।কিন্তু আজকে ভালো লাগতাছে।
কানের কাছে কান্নার শব্দ শোনার চাইতে গান শোনা অনেক ভালো।
,
হঠাৎ নিলিমা হেডফোনটা খুলে দেয়।
সানভি আবারো কানে নেয়। নিলিমা আবারো খুলে দেয়।
এভাবে কিছুক্ষন করার পর।সানভি গাড়ি দাড় করায়।
.
- সমস্যা কি তোমার?কিছু বলছিনা বলে কি ভাবেছো তোমাকে আমি মেনে নিয়েছি।আর একবার যদি কান্নার শব্দ পাই তাহলে খারাপ হয়ে যাবে।(সানভি)
.
হঠাৎ নিলিমা সানভির কাছে চলে যায়।
সানভি কিছু বুঝে উঠার আগেই নিলিমা কিস করতে শুরু করে।
সানভি নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ঠাস করে একটা চড় মারে নিলিমাকে,
তারপর গাড়ি স্টার্ট করে।
,
নিলিমা বাইরের দিকে তাকিয়ে কাদতে থাকে।
শব্দ করেনা।শুধু চোখ দিয়ে পানি পড়তাছে।
সে ভুলে গিয়েছিলো সানভি তাকে মেনে নেয়নি।
তারপরও সে কেনো কিস করলো নিজেও ভেবে পায়না।
খুব কষ্ট হয় তার।
,
ওদিকে সানভির চোখ দিয়ে পানি না বের হলেও মন থেকে রক্ত বের হচ্ছে।নিজের হ্রদপিন্ডে নিজেই আঘাত করেছে।
ক্ষতটা তার মনে হয়েছে।বাইরে যতই বলুক ভালোবাসি না।
কিন্তু মন থেকে তো নিলিমাকেই ভালোবাসে।
.
সারা পথ আর কোনো কথা হয়নি।
দুজন দুজনকে আর দেখেনি।
চুপচাপ বাসায় চলে আসে।
ঘরে গিয়ে শাশুড়িকে সালাম করে নিলিমা।
তারপর মায়ের বুকে লুটিয়ে পড়ে।
সানভি সোজা রুমে চলে যায়।
গিয়ে ফ্রেস হয়। নিলিমাকে কোথাও দেখতে পাচ্ছে না।
হয়তো আম্মুর কাছে।
।
এই ভেবে তার মায়ের রুমের দিকে পা বাড়ায়।
রুমের কাছাকাছি যেতেই নিলিমার কন্ঠ শুনতে পায়,
সানভি আরেকটু এগিয়ে যায় এবার স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে কি বলছে তারা।
সানভি শুনতে পায়,
।
- সানভি অনেক ভালো মা। ওকে তো সেই ৭ বছর আগে থেকেই চিনি।ওকে কোনোদিন আমি কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে দেখিনি আর ঝগড়া তো না ই।(নিলিমা)
.
- হুমম ছেলেটা আমার ভালো তবে খুব কঠিন হয়ে গেছে তোমাকে এবার দায়িত্ব নিতে হবে ছেলেটাকে আগের মতো হাসিখুশি বানানোর।(মা)
।.
- অবশ্যই মা দোয়া করবেন।(নিলিমা)
,
সানভি এতটুকু শুনেই চলে যায়।
রুমে গিয়ে ভাবতে থাকে,
এবার কি মেনে নেওয়া উচিত?
আবার মনে হয়,
৭টা বছর কষ্ট দিছে আমাকে আর মাত্র তিনদিন হলো কেবল এখনি এতো পরিবর্তন কেনো আমারর মনে।
নাহহ আমাকে আরো শক্ত হতে হবে।
.
রাত তখন প্রায় আটটা।
সিয়াম বাসায় গিয়ে ব্যাগটা রাখে তারপর জিনিসপত্র গুলা বের করে ব্যাগ থেকে।
সিয়ামের মনটা খারাপ। নিহা সেইররকম ঝাড়ি দিছে আর নাম্বারতো দেয় নি।,
অন্তত নাম্বারটা পেলে ভালো হতো।লেগে থাকতে পারতাম।
এইগুলা ভাবতে ভাবতে ব্যাগ থেকে জিনিসগুলা বের করে।
,
হঠাৎ একটা চিরকুট দেখতে পায় ব্যাগের ভিতর।
চিরকুটটা বের করে পড়তে থাকে সিয়াম।
- গাধা কোথাকার।নাম্বার কেও ওইভাবে চায়।একটু স্টাইলিশ ভাবেও বলতে পারেনা।কালকে আমার কলেজের সামনে আসবা বয়ফ্রেন্ড এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো।(নিহা)
,
হতাশ হয়ে চিঠিটা রেখে দেয় সিয়াম।
প্রথমে ভেবেছিলে নাম্বারটা নিচে দেওয়া আছে পুরোটা পড়ে দেখে বয়ফ্রেন্ড এর সাথে দেখা করিয়ে দিবে।
,
সালার প্রেম করার আগেই ছেকা খেলাম।
আমার দ্বারা কিচ্ছু হবেনা।তবে মেয়েটা ভালো ছিলো।
এইসব ভাবে সিয়াম।
কালকে সে কলেজে যাবে চিন্তা করে অন্তত ওদের পক্ষ হতে ট্রিট তো পাবে। ক্রাশের বয়ফ্রেন্ড ট্রিট দিবে ছেকা পার্ট হিসেবে হলেও যেতে হবে।
,
সিয়াম বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই ঘুমিয়ে পড়ে।
,
ওদিকে সানভিও বেশ ক্লান্ত।সেও ঘুমিয়ে পড়ে।
নিলিমা খাওয়ার জন্য ডাকতে এসে দেখে সানভি ঘুমাচ্ছে তাই আর বিরক্ত করেনা।নিজেও না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়ে।
হঠাৎ গভির রাত ঘুম ভেঙে যায় সানভির।
নিলিমার দিকে তাকায় সে।
,
একদম বাচ্চাদের মতো করে ঘুমাচ্ছে নিলিমা।
সানভি নিলিমার গালে হাত রাখে।
নিলিমা কেপে উঠে।ঘুম ভেঙে যায় তার।তবুও চোখ বন্ধ করে রাখে। সানভি নিলিমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।
নিলিমার চুলগুলা খুব ভালো লাগে সানভির।
বলতে পারেন চুল দেখেই প্রেমে পড়েছিল।
.
সানভি আলতো করে একটা চুমু দেয় কপালে।তারপর শুয়ে পড়ে আবারো।নিলিমার চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে যায়
সে জানে সানভি তাকে কতটা ভালোবাসে।শুধু এই জেদের কারনে আজ সানভি তার থেকে দুরে অনেক দুরে।
,
এতো কাছে থেকে তবু্ও করিনি খেয়াল,
তোমার আমার মাঝে অদৃশ্য দেয়াল।
তোমাকেই বুঝি খুজেছি আমি এতকাল।
এক ঝলকে বদলে গেলো আমার দিনকাল।
চলবে?
(ধর্ষন করে বিয়ে)
পর্ব ১১
.
সানভি আলতো করে একটা চুমু দেয় কপালে।তারপর শুয়ে পড়ে আবারো।নিলিমার চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে যায়
সে জানে সানভি তাকে কতটা ভালোবাসে।শুধু এই জেদের কারনে আজ সানভি তার থেকে দুরে অনেক দুরে।
,
এতো কাছে থেকে তবু্ও করিনি খেয়াল,
তোমার আমার মাঝে অদৃশ্য দেয়াল।
তোমাকেই বুঝি খুজেছি আমি এতকাল।
এক ঝলকে বদলে গেলো আমার দিনকাল।
,
পরের দিন
নিলিমা ঘুম থেকে উঠে সানভির গালে একটা কিস করে গোসল করতে চলে যায়।সানভি তখন ঘুমাচ্ছে।
নিলিমা গোসল করে রুমে এসে দেখে সানভি এখনো ঘুমাচ্ছে।
গতকাল রাতের কথা ভুলে যায় সে।
সানভি যে তাকে চড় মেরেছে সেটা যেনো একটা স্বপ্ন ছিলো এমন একটা ভাব।
অবশ্য মনে রাখার ও কথা না।
.
সানভিকে তো কত চড় মারছে তার কোনো হিসেব সেই।
চড় খাওয়ার পর বাচ্চাদের মতো করে গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে থাকার দৃশ্যটা মনে পড়তেই হেসে উঠে নিলিমা।
.
রান্নাঘরে চলে যায় সে,
গিয়ে দেখে শ্বাশুড়ি মা রান্না করতাছে,
সে ছুটে গিয়ো সড়িয়ে দেয় তাকে,
.
- মা আপনি কেনো কাজ করছেন।আর করবেন না এসব এখন থেকে আমি করবো সব কাজ।(নিলিমা)
.
- তুমি পারবে না মা।এখনকার মেয়েরা এসব পারে না।(মা)
.
- মা আপনি আছেন তো শিখে নিবো।শুধু একটু একটু দেখিয়ে দিবেন।(নিলিমা)
.
- হুমম আচ্ছা শিখাবো এখন সরো তুমি পারবা সা।(মা)
.
- মা আপনি দেখিয়ে দিন আমি রান্না করি।(নিলিমা)
- আচ্ছা।(মা)
.
দুজনে মিলে রান্না করে।রান্না শেষে দেখে সানভি এখনো ঘুমিয়ে আছে,
সেই রাগগ হয় নিলিমারর।
গ্লাসে করে পানি নিয়ে আসে।
মনের ভিতর দুষ্টামি কাজ করছে তার।
একবার ভাবতাছে করবে আবার ভাবে করবে না।
শেষমেষ ঠিক করে একটু মজা করা যাক।
,
সানভির লুঙির ওপর কিছুটা পানি ঢেলে দেয় নিলিমা।
তারপর ডাকতে থাকে সানভিকে,
.
- এই উঠোনা।সানভি।(নিলিমা)
.
- উমমমমম কি হইছে?((সানভি)
..
- এগুলা কি?(নিলিমা)
.
- কোনগুলা কি?(সানভি)
.
- তোমার লুঙি ভিজা কেনো?(নিলিমা)
.
- মানে কই কি কোথায় ভিজা?(সানভি)
.
- এই তুমি বিছানায় ইয়া করোনাই তো আবার?(নিলিমা)
.
বলেই মুখ লুকিয়ে হাসে।
সানভি বোকার মতো তাকিয়ে থাকে বুঝতে পারেনা কি হইলো এটা।
আস্তে করে বলে,
.
- আমিতো কিছুই করিনাই তাহলে।(সানভি)
- তাহলে টাহলে কিছুই না আমি পানি ঢেলে দিছি।ঘুম থেকে উঠতে এতো দেরি হয় কেনো হুমম(নিলিমা)
,
বলেই দৌড় দেয়।কিন্তু এগুতে পারেনা।
সানভি হাতটা ধরে ফেলে।তারপর একটা ঝটকায় ফেলে দেয় বিছানার ওপর। তারপর বাকি পানিটুকু গ্লাসস থেকে নিলিমার ওপর ঢেলে দিয়ে চলে যায় সানভি।
.
নিলিমা বুঝতে পারলোনা সে কি এটা রাগ করে করলো নাকি ভালোবেসে। যাই করুক না কেনো তাতে আমার কি এখন আমাকে আবার কাপড় চেন্জ করতে হবে ধুররর।
সানভি নিজেও যানেনা কেনো করলো এটা।
,
নিলিমা ড্রেস চেন্জ করতে থাকে আর সানভি গোসল করে।
ওদিকে সিয়াম বেচারার অবস্থা খুবই করুন
কান্না করে অবস্থা শেষ করে ফেলেছে।
ছেকা ট্রিট খাবে আজকে।
সকাল সকাল গোসল করে পারফিউম মেরে জেল দেয় চুলে তারপর হেয়ার স্প্রে মেরে বের হয় সিয়াম।
,
পকেটে টাকা নেয়না খুব একটা। ডেটিংয়ে গেলে নাহয় টাকা নেওয়া যেতো কিন্তু যাবে তো ছেকা পার্টিতে হিহিহি।
বাইকটা নিয়ে বেড়িয়ে যায় সিয়াম।
.
নিহা অপেক্ষা করছে অনেকক্ষন ধরে।
এমন সময় সিয়াম গিয়ে দাড়ায় নিহার সামনে।
নিহা বাইকে উঠে।
সিয়াম প্রশ্ন করে,
.
- তুমি একা কেনো বয়ফ্রেন্ড কই আর বাইকে কেনো উঠলা বয়ফ্রেন্ড দেখলে মাইন্ড করবে তো।(সিয়াম)
.
- না মাইন্ড করবে না।ওতো রেস্টুরেন্ট এ থাকবে।(নিহা)
- আচ্ছা চলো।(সিয়াম)
.
সিয়ামের রাগ হয় বেশ।
জোরে জোরে ব্রেক কষে সে।বয়ফ্রেন্ড থাকা সত্তেও আরেকজনের বাইকে উঠে মজা দেখাবো আজকে।
সিয়াম মনে মনে বলে।
,
সারা রাস্তা ব্রেক কষতে কষতে যায় সিয়াম।
রেস্টুরেন্ট এর সামনে এসে থামে।
মনে মনে বেশ খুশি হয় সিয়াম। যাক খাওয়া দাওয়া ভালোই হবে।
নিহা আগে ডুকে একটা চেয়ার এ বসে।
সিয়াম দেখে কেও নাই সেখানে।
সিয়াম ও ডুকে চেয়ার এ বসে বলে,
.
- কই তোমার বয়ফ্রেন্ড।(সিয়াম)
.
- রাস্তায় আসতাছে।(নিহা)
.
- এই তুমি আসার আগে বলছো ও রেস্টুরেন্ট এ বসে আছে।(সিয়াম)
.
- না মানে আমার বয়ফ্রেন্ড নাই।(নিহা)
- কিহ??(সিয়াম)
চলবে??

0 মন্তব্যসমূহ
গল্প গুলো কেমন লাগলো, আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।