ধর্ষন করে বিয়ে
পর্ব ৭+৮+৯
হঠাৎ পেছনে কারো ডাকে ঘোর কাটে সানভির।
শালিগুলা আবারো এসেছে।
ঝটপট চোখটা মুছে ফেলে সে।
নিলিমাও এতক্ষন অন্যমনস্ক ছিলো এবার বাস্তবে ফিরলো।
সানভি তাকিয়ে দেখি তার বন্ধুগুলা নিচে দৌড়াদৌড়ি করতাছে।
,
কি হইছে ওদের? ভাবতেই মনে পড়ে ওদের তো ঝাল বেশি করে দিয়ে খাওয়ানোর কথা ছিলো।
আমি দৌড়ে নিচে নামলো সানভি।
ওরা সানভিকে দেখে বললো,
.
- সালা তুই এইটা কি করলি এতো ঝাল আমরা বাপের জিবনেও খাইনাই।(সিয়াম)
.
সানভি না বুঝার ভান করে বললো,
- কি করলাম আমি?(সানভি)
.
- সালা এতো ঝাল দিতে বলছিস কেনো?(সিয়াম)
.
- আচ্ছা দাড়া আমি মিষ্টি আনতাছি।(সানভি)
.
সানভি দৌড়ে গেলো নিলিমার কাছে।
নিলিমা তখনো ছাদে দাড়িয়ে অন্যমনস্ত ভাবে দাড়িয়ে আছে।
সানভি চুপচাপ নিলিমার পেছনে গিয়ে দাড়ালো।
তারপর বললো,
.
- একটু মিষ্টি হবে?(সানভি)
নিলিমা সানভির কাছে চলে আসলো।
.
- আমি এই মিষ্টির কথা বলিনাই মিষ্টি চিনোনা ওইগুলা দাও।(সানভি)
,
নিলিমা লজ্জা পেয়ে রুমে চলে গেলো।
সে ভেবেছিলো আবারো ঝাল লাগছে তাই মিষ্টি চাইছে।
কিছুক্ষন পর মিষ্টির প্যাকেট হাতে ছাদে আসলো নিলিমা।
তারপর সানভির হাতে দিয়ে বললো,
.
- মিষ্টি দিয়ে কি করবা?(নিলিমা)
.
- নিচে তাকাও বুঝতে পারবে।(সানভি)
বলেই সানভি চলে গেলো।
নিলিমা নিচে তাকাতেই হেসে উঠে।
পুরা একটা কমেডি হিহিহি।
.
সানভি নিচে যাওয়ার সময় দেখা হয়ে যায় তার শালিদের সাথে।
নিহা বলে উঠে,
.
- দুলাভাই ঝাল একটু বেশিই দিছিলাম।(নিহা)
.
- তাই বলে এতো?(সানভি)
.
- আরে আপনি দুলাভাই মানুষ একটু দিতে বলছেন আমরা বেশি বেশি দিয়ে দিছি।(নিহা)
.
বলেই হেসে উঠে নিহা আর তার বান্ধবিগুলা।
সানভি বলে,
.
- শালিকা এতো খুশি হওয়ার কিছু নাই টাকা গুলা একটু ভালো করে চেক করো হাসি ফুরিয়ে যাবে।(সানভি)
.
- মানে??(নিহা)
- ওগুলা টাকা না শুধুই কার্ড।হিহিহি।(সানভি)
.
সানভি বিজয়ের হাসি দিয়ে বেরিয়ে যায়।
নিহা টাকাগুলা চেক করে দেখে সত্তিই তাই।
খুব রাগ হয় তার। বান্ধবিদের সাথে কথা বলে কিভাবে দুলাভাইকে জব্দ করা যায়।
তারপর একটা বুদ্ধি বের করে।
সানভিকে ল্যাং মেরে ফেলে দিবে। তারপর পকেট থেকে মানিব্যাগ টা নিয়েই দৌড়।
তখন বুঝবে কেমন লাগে।
,
সানভি দৌড়ে বন্ধুদের কাছে গিয়ে মিষ্টি খাওয়ায়।
তারপর চলে আসে।
গিয়ে রুমে বসে। তখনই নিলিমা আসে।
সানভি চুপচাপ বসে থাকে।
হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠে,
.
- হ্যালো।(সানভি)
- দোস্ত একটু ছাদে আয়।(সিয়াম)
- এখন আবার ছাদে কেনো??(সানভি)
- কথা আছে।আয় একটু।(সিয়াম)
.
সানভি ছাদে যায়।
গিয়ে দেখে সিয়াম দাড়িয়ে আছে,
- কিরে ডাকলি কেনো?(সানভি)
.
- দোস্ত একটা হেল্প লাগবো?(সিয়াম)
- কি হেল্প বল।(সানভি)
.
- হেল্পটা খুবই কঠিন একটা কাজ আমার জন্য তবে তোর জন্য খুব সহজ।দোস্ত প্লিজ বল কাজটা করবি তুই।(সিয়াম)
- আরে বলবিতো কি হেল্প।(সানভি)
.
- দোস্ত আমি প্রেমে পড়ছি।(সিয়াম)
- কস কি তুই কার প্রেমে পড়ছিস?(সানভি)
.
- তোর শালির প্রেমে।মানে নিহার প্রেমে।(সিয়াম)
- কিহ।(সানভি)
.
- হুমম সত্তি দোস্ত একটু নাম্বারটা যোগাড় করে দে প্লিজ.(সিয়াম)
.
- আমি এসবের মধ্যে নাই।(সানভি)
- নিলিমার ব্যাপার এ আমি কতটা হেল্প করছি ভুলে গেলি আচ্ছা যা লাগবোনা।(সিয়াম)
.
বলেই রাগ করে মুখ ঘুরায়।
- আচ্ছা দেখি কি করতে পারি।(সানভি)
- Thank u dost...assa akhon bye..ja salaa vabi wait kortase .....(siam)
- ok....(sanvi)
,
সিয়াম চলে যাওয়ার পর সানভি সিগারেট ধরায়।
সিগারেট শেষ করার পর কিছুক্ষন বসে থাকে সানভি।
তারপর আসার পথে শালিকাগুলা দেখে আড়াল থেকে তাকে।
নিহা ভাবে এই সুযোগ এবার ফেলে দিবো ব্যাটা দুলাভাইকে।
আমার সাথে পাঙা নেওয়া এবার হারে হারে টের পাবে নিহা কে হুমমমম।
.
সানভি অন্যমনস্ক ভাবে হেটে চলেছে।চারপাশে কি ঘটছে সেই খেয়াল নেই তার।
নিহার খুব কাছে চলে আসছে সে বুঝতেই পারেনি।
নিহা আড়াল থেকে পা বাড়িয়ে দিতেই সানভি কিছু একটার সাথে আটকে গিয়ে হোচট খায়।কিন্তু সে তো ব্যাথা পেলোনা তাহলে কি হলো তার।
.
হঠাৎ খেয়াল করলো নিলিমা তাকে ধরতে গিয়ে নিজেই পড়ে গেছে আর সানভি তার ওপর।
নিলিমার মুখে মুচকি হাসি। যদিও পায়ে বেশ ব্যাথা পেয়েছে তারপরও সে খুশি।
ওদিকে নিহা নিলিমাকে দেখে পালাইছে।
,
সানভির খেয়াল ই নেই সে একজনের ওপর পড়ে আছে।
তার সব মনোযোগ একটা ঠোটের ওপর।লাল একটা গোলাপের পাপড়ির ওপর নজর পড়ে গেছে। কিছুতেই চোখ ফেরাতে পারছেনা সে।
নিলিমা চোখ বন্ধ করে আছে,
.
সে আন্দাজ করতে পারে এখন কি হতে চলেছে।
তবে সানভি সবকিছু ভুল প্রমান করে নিজেকে সংযত করে উঠে দাড়ায়।
নিলিমা এতোক্ষন পর চোখ খুললো,
সানভি কিস করলো না এটা ভেবে সে একটু অবাক হলো।
তারপর সেও উঠারর চেষ্টা করলো কিন্তু ব্যার্থ।
পায়ে খুব ব্যাথা পেয়েছে উঠে দাড়াতে পারছে না সে।
.
ব্যাপারটা চোখ এড়ায় না সানভির।
চুপচাপ কোলে তুলে নেয় নিলিমাকে।
নিলিমা সানভির কাধে হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে রাখে।
সানভি হেটে চলেছে।আর মনে মনে বলছে
আটার বস্তা এতো ভাড়ি কেনো। এমনিতে তো চিকন তাহলে এতো ভাড়ি কেনো।
আর নিলিমা ভাবে,
লিপ কিস এর চাইতে আমাকে যে এভাবে নিয়ে যাচ্ছে এটাই বেশি আনন্দের।
মনে মনে ধন্যবাদ দেয় নিহা কে।
প্রথমে ভাবছিলো বকা দিবে কিন্তু এরকম কিছু হয়ে যাবে ভাবতেও পারেনি।
(ধর্ষন করে বিয়ে)
পর্ব ৮+৯
.
সানভি নিলিমাকে কোলে করে রুমে এনে নামিয়ে দেয়।
নিলিমা চুপচাপ শুয়ে থাকে। সানভিও চুপ। সানভি পাশে গিয়ে শুয়ে পড়ে।
.
পরের দিন সকালে সানভির ঘুম ভাঙে অনেক আগে।
নিলিমা তখনো ঘুমাচ্ছে।
সানভি অপলক দৃষ্টিতে দেখতে থাকে নিলিমাকে।
।
মন ভরে দেখে তার মায়াবি মুখটা।সানভি ভাবতেই পারেনা এমন একটা মেয়েকে সে কষ্ট দিচ্ছে।
নিজেই অবাক হয়।সানভি ভাবতে থাকে পুরনো কথা।
,
মনে মনে বলে সেই দিনগুলাই ভালো ছিলো যখন থাপ্পড় খেয়ে বাসায় ফিরতাম রাত হলে লুকিয়ে লুকিয়ে তোলা ছবিটা দেখে আবার সব ভুলে ঘুমিয়ে যেতাম।
,
খুব ইচ্ছা হচ্ছে মেয়েটার গাল স্পর্শ করতে।
একটু আদর করতে কিন্তু সে পারছে না।
এভাবেই ভাবতে থাকে।হঠাৎ নিলিমার ঘুম ভেঙে যায়।
।
সানভির সেদিকে খেয়াল নেই।
নিলিমা আড়চোখে দেখে সানভি তাকিয়ে আছে তার দিকে।
কিন্তু কিছু বলছে না।
.
হঠাৎ দুজনের চোখে চোখ পড়ে যায়।
সানভি চোখ নামিয়ে নেয়।তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়ে।
নিলিমা বুঝতে পারেনা সানভি আসলে কি চায়।।
তাকে চায় নাকি অন্যকিছু। আর ভালো লাগে না তার।সেও ঘুমিয়ে পড়ে।
.
সকাল আটটা বেজে গেছে দুজনেই ঘুমাচ্ছে।
ঘুমের মধ্যে কখন যে নিলিমা সানভিকে জড়িয়ে ধরেছে নিজেও যানে না।
।
সানভি অবশ্য বুঝতে পেরেছে ব্যাপারটা।
শীত লাগছিলো আর ঘুমের মধ্যে ধরেছে তাই কিছু বলেনি।
তারও খুবব ইচ্ছা হচ্ছিলো বউকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাবে।
কিন্তু কি আর করার নিজের মনকেই বুঝাতে পারছে না সে।
.
একবার ভাবে নিলিমা তার সাথে কি কি করছে আবার ভাবে সেও তো কম কিছু করেনি।
মনে মনে আফসোস করে,
.
আগে শীতকালে পোস্ট দিতাম এই শিতে বউ চাই কারন জড়িয়ে ধরে ঘুমাবো তাতে শীত কম লাগবে।
আর এখন বউ থাকতেও কিছু করতে পারিনা।
আমার কপালটাই খারাপ।
,
সানভি নিলিমাকে রেখে উঠে চলে যায়।
গিয়ে ফ্রেস হয়ে আসে।
একটু পর শালিগুলা আসে।
এসে নিচে নিয়ে যায় সানভিকে। সানভির মাথায় আবার আরেক চিন্তা ডুকছে। শালিকার নাম্বারটা নিতে হবে।
.
এই সিয়ামটাও না সালায় আমার বিয়েতে এসে মেয়ে পছন্দ করে ফেললো তাও আবার আমার শালিকাকেই আর আমিই তার নাম্বার এনে দিবো।
ভাবতেই হেসে উঠে সানভি।
.
সানভি গিয়ে দেখে বন্ধুরা বসে আছে।
সানভি গিয়ে তাদের পাশে বসে।
সিয়াম খোচা মেরে বলে,
.
- নাম্বার আসছোস?(সিয়াম)
- আরে ব্যাটা থাম।আমি দিবোনি এখন সবকিছু গোলমাল করে দিসনা।(সানভি)
- আচ্ছা ব্যাবস্থা কর।(সিয়াম)
- ওকে।(সানভি)
.
- দুলাভাই কি খাবেন বলুন।(নিহা)
- না বেশি কিছুনা এক গ্লাস পানি হলেই চলবে।(সানভি)
- আর আপনারা?(নিহা)
- আমরাও তাই।(সিয়াম)
- কি খাবেন বলুন।(নিহা)
- আপনার নাম্বারটা হবে?(সিয়াম)
.
সবাই কেমন চোখ বড় বড় করে তার দিকে তাকায়।
সানভি মাথা নিচু করে ফেলে।মান সম্মান বুঝি আজকে সব গেলো।
.
সালার সিয়ামটাও পারে। ওকে বলছি আমি যোগাড় করে দিবো বাট ওর সহ্য হয়না।
এখন যদি কিছু হয় তো আমি দায়ি না মর তুই সালা।
মনে মনে বলে সানভি।
.
ওদিকে নিহা তো আকাশ থেকে পড়লো।
ছেলেটা তার কাছে সরাসরি নাম্বার চেয়ে বসলো।
যেখানে কলেজে ছেলেরা তার দিকে তাকানোর সাহস ও পায়না।
.
আসলে নিহা একটু না একটু না অনেক রাগি তাই।
তার মুখের অবস্থা দেখে বুঝাই যাচ্ছে এবার ভুমিকম্প কিংবা বড়সড় ঝড় আসতে চলেছে।
.
নিহা চোখ রাঙিয়ে বলে আপনি ছাদে আসুন।
সিয়াম সানভির হাতে চিমটি দিয়ে বলে
- তুই ও আয় ভয় লাগতাছে।
- সালা আমি দিতে চাইছিলাম ভালো লাগেনি এখন যা একা একা ছাদে। তুই মর আমি নাই।
.
সিয়াম বেচারা একবার নিহার দিকে তাকায় আবার সানভির দিকে তাকায়।
কি আর করার একা একাই ছাদে যায়।
নিহা ও কিছুক্ষন পর চলে যায়।
সিয়াম চুপচাপ দাড়িয়ে আছে খুব লাগছে তার।
,
এমন পরিস্থিতিতে কখনো পড়েনি সে।
অন্যের জন্য অনেক মেয়েকে রাজি করিয়েছে বাট নিজের বেলায় কিছুই করতে পারে না।
.
হঠাৎ কারো পায়ের আওয়াজ পায় সে।
নিহা এসেছে মনে হয় এই ভেবে ঘুরে পেছনে তাকায়।
তাকিয়েই দেখে নিহা। নিহার চোখে রাগ স্পষ্ট।
,
সিয়াম বলে,
- ছাদে কেনো ডাকলেন।(সিয়াম)
- নাম্বার নিবেন না তাই ওখানে দিলে তো আপনার বন্ধরাও জেনে যেতো তাই ডাকলাম।(নিহা)
- হিহিহি তাও ঠিক।(সিয়াম)
.
বোকা মার্কা একটা হাসি দেয় সে।
নিহার বেশ রাগ হয় তার হাসি দেখে এমনিতেই মাথা গরম হয়ে আছে তার।
চিৎকার করে বলে উঠে,
.
- ওই ছেলে আমার নাম্বার চাওয়ার সাহস কোথায় পেলেন।আবার হাসেন।(নিহা)
নিহার চিৎকার এ ভয় পেয়ে যায় সিয়াম।
- সরি।(সিয়াম)
- শুধু দুলাভাইয়ের বন্ধু বলে কিছু বললাম না তা না হলে আজ আর বাসায় যাওয়া লাগতো না।(নিহা)
,
সিয়াম মাথা নিচু করে দাড়িয়ে থাকে।
কিছুক্ষন ঝেড়ে নিহা চলে যায়।
একটু পর সানভি আসে সিয়াম এর কাছে।
,
- কিরে দোস্ত কিছু হইলো??দিছে কিছু.(সানভি)
- হুমম দিছে।(সিয়াম)
- কি দিছে দোস্ত?(সানভি)
- ঝাড়ি আর হুমকি।(সিয়াম)
- ওহ আচ্ছা লেগে থাক হয়ে যাবে।(সানভি)
- আচ্ছা।(সিয়াম)
সানভি তার রুমে চলে যায়।গিয়ে দেখে,
চলবে??
ধর্ষন করে বিয়ে
পর্ব ৯
.
- কিরে দোস্ত কিছু হইলো??দিছে কিছু.(সানভি)
- হুমম দিছে।(সিয়াম)
- কি দিছে দোস্ত?(সানভি)
- ঝাড়ি আর হুমকি।(সিয়াম)
.
- ওহ আচ্ছা লেগে থাক হয়ে যাবে।(সানভি)
- আচ্ছা।(সিয়াম)
সানভি তার রুমে চলে যায়।গিয়ে দেখে নিলিমা গোসল করে আসছে।
মাথার চুল এখনো ভেজা।
সানভি আবারো ক্রাশ খায় নিলিমাকে দেখে।
.
কিন্তু কি আর করবে কিছুই করার নাই। নিজের মনে যে অনুতাপ আর রাগ তার সবটাই ঝাড়তাছে নিলিমার ওপর।
তবে সেতো পারেনা কাওকে ইগনোর করতে।
তাও আবার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটাকে।
.
সানভি কিছু না বলে বিছানায় বসে।
নিলিমা বলে,
।
- সানভি আমি সরি বলছিতো।তারপরও এমন করছো কেনো তুমি কি আমাকে ভালোবাসো না? তাহলে বিয়ে করলে কেনো।ছেড়ে দিতে রাস্তায়।(নিলিমা)
.
- আমি চাইনা কেও কষ্টে থাকুক লান্চনা আর অপমান নিয়ে।(সানভি)
.
- হ খুব সুখে রাখছো তাইনা।এর চাইতে মরে গেলেও ভালো হতো।(নিলিমা)
,
সানভি চলে যায় রুমম থেকে।
নিলিমা কাদতে থাকে। কেনো এই জিবন তার।
সেতো এটা চায়না সে তো চায় সানভিকে ভালোবাসতে আর সানভিও যেনো তাকে আগের মতো ভালোবাসে।
.
তাহলে কেনো এমন।আজ কেনো এভাবে কষ্ট পেতে হচ্ছে।
হ্যা সে মেনে নিচ্ছে জেদের বসে দুজনেই খুব খারাপ কিছু করে ফেলেছে। কিন্তু তাই বলে বিয়ের পর এসব কেনো।
নিলিমা চিৎকার করে কাদতে থাকে।
.
কেও শোনেনা তার কান্না।
সানভি চলে যায় ছাদে।
একা একা বসে থাকে।সকালের রোদটা গায়ে লাগতাছে।
তারও মনটা খারাপ।সেও তো চাইছে নিলিমাকে ভালোবাসতে কিন্তু পারছে না একটা বাধা সবসময় তাকে আটকাতে চাচ্ছে।
.
আসলে সে পারেনা কারো ওপর রাগ করে থাকতে আর সেখানে নিজের বিয়ে করা বউ যার পেছনে পুরো সাতটা বছর ঘুরেছে শুধু একটাবার ভালোবাসি শোনার জন্য
আর আজ সে তার বউ অথচ এতো কাছে থেকেও তারা অনেক দুরে।
,
চোখ দিয়ে দু ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ে সানভির।
নিজেকে খুব ছোট মনে হয় নিজের কাছে।
সানভি খেয়াল করেনি সিয়াম কখন তার পেছনে এসে দাড়াইছে।
সিয়াম সানভির কাধে হাত রাখে।
সানভি চমকে উঠে।
.
পেছনে তাকিয়ে দেখে সিয়াম।
সানভি সিয়ামকে জড়িয়ে ধরে কাদতে থাকে।
সিয়াম বুঝতে পারেনা কি হইছে তার।এর আগে কখনো সানভিকে এভাবে কাদতে দেখেনি।
কি হলো তার বুঝতে পারেনা সিয়াম।
কিছু না বুঝতে পেরে সিয়ামও সানভিকে জড়িয়ে ধরে।
,
- সানভি কি হইছে তোর কাদছিস কেনো?(সিয়াম)
সানভি চোখ মুছে বলে,
- কিছুনা কি হবে। কিছু হয়নাই।(সানভি)
- তাহলে কাদছিস কেনো।(সিয়াম)
- এমনিই।(সানভি)
- আচ্ছা কান্না থামা কেও চলে আসবে।(সিয়াম)
.
সানভি নিজেকে সামলে নেয়।
ওদিকে নিলিমা কেদেই চলেছে।
সবাই ভাবছে সবাইকে ছেড়ে চলে যাবে তাই কাদছে।
নিলিমাকে তার মা তার রুমে নিয়ে যায়।
,
সানভিও নিজের রুমে গিয়ে গোসল করে।
তারপর চলে যায় খাওয়ার টেবিল এ।
দেখে সবাই বসে আছে নিলিমাও অাছে।
সানভি গিয়ে পাশের চেয়ারটাতে বসে কারন একমাত্র ওই চেয়ারটাই খালি ছিলো।
.
তারপর খেতে শুরু করে। সবাই নানা গল্প করতে থাকে।
সানভি শুধু শুনে।নিলিমাকে খেয়াল করছে সে।
খু্ব একটা খাচ্ছেনা নিলিমা।
সানভি নিজেও খুব একটা খাচ্ছে না আর নিলিমার কথা বলে কি হবে।
.
খাওয়া দাওয়া শেষ করে।
সানভি রুমে গিয়ে আবারো ঘুমিয়ে পড়ে।
খুব ঘুম পাচ্ছিলো তার।তাই ঘুমিয়ে পড়ে।
,
সারাদিনে আর দেখা হয়নি নিলিমার সাথে হবে কিভাবে সানভি তো ঘুমিয়েই ছিলো।
বিকেল এ ঘুম ভাঙতেই দেখে সবাই এসে গেছেছে সানভি ফ্রেস হতে যায়।।গিয়ে ফ্রেস হয়ে এসে।
সবার সাথে আড্ডা দেয় সে। এভাবে সন্ধা হয়ে যায়।
এবার যেতে হবে তাদেরকে।
নিলিমা তার বাবা মা কে জড়িয়ে ধরে কাদতে থাকে ।
সানভির এই ব্যাপার টা খুবব খারাপ লাগে।
আরেভাই যাবি তো যা।
তাতে আবার কাদার কি আছে দুদিন পরতো আবার আসবিই।
,
চরম মাত্রায় রাগ উঠার আগেই নিলিমাকে নিয়ে গাড়িতে বসে।
চলবে??
পরের পর্ব বড় করে দিবো ইনশাআল্লাহ।

0 মন্তব্যসমূহ
গল্প গুলো কেমন লাগলো, আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।