ধর্ষক থেকে বর। পর্ব- ১১ +১২


ধর্ষক থেকে বর
পর্ব- ১১ +১২

.
আমি আমার ঠোঁঠ দুইটা লামিয়ার ঠোঁঠের সামনে নিয়ে আসলাম।আমি যত লামিয়ার কাছে আসছি।লামিয়া তত জোরে জোরে নিশ্বাস ফেলছে।আমার ঠোঁঠ দুইটা লামিয়ার ঠোঁঠের সাথে লাগাতেই লামিয়ার নিশ্বাস আরো দ্বিগুন বেড়ে গেল।আমি আলতো করে লামিয়ার কোমরে হাত রাখলাম।কোমরে হাত রাখতেই লামিয়া শিউরিয়ে উঠলো।এমন সময়
দরজায় কারো আঘাত করার শব্দ শুনতে পেলাম।লামিয়া গিয়ে দরজাটা খুলতেই দেখি আম্মু দাড়িয়ে আছে।
.
-- বউ মা এখনো তোমরা ঘুম
থেকে উঠো নি।(আম্মু)
-- এইতো উঠতেছি আম্মু।(লামিয়া)
-- তোমরা তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে
খেতে আসো।
-- আচ্ছা।
.
আম্মু রুম থেকে বেরিয়ে যেতেই লামিয়া সোজা ওয়াস রুমে চলে গেল।লামিয়া ফ্রেস হয়ে আসার কিছু সময় পর আমি ওয়াস রুমে চলে আসলাম ওয়াস রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে খাবার রুমে আসলাম।খাবার রুমে এসে বসার কিছুক্ষণ পরই আব্বু চলে আসলো লামিয়া আমাদের জন্য প্লেটে খাবার বেড়ে দিল।আমরা খেতে শুরু করলাম।কিছু সময় পর
আব্বু বললো:
.
-- শাকিল আজকে বউমা কে একটু
শপিংয়ে নিয়ে যাস তো।(আব্বু)
-- কেন আব্বু?
-- কেন মানে?বউমার জন্য কেনা
কাটা করতে যাবি।
-- আমি পারবো না।
-- কেন?পারবি না।
-- আব্বু আমার এইসব শপিং টপিং
ভালো লাগে না।
-- আমি তোকে যেতে বলছি
 তুই যাবি ব্যাস।
-- আর এই নে টাকা।
.
তারপর আমি খাওয়া দাওয়া করে রুমে চলে আসলাম।উফ কি ঝামেলা রে বাবা এখন বউকে নিয়ে আবার শপিংয়ে যেতে হবে।আজকে যদি লামিয়াকে নিয়ে শপিংয়ে না যায় তবে আব্বু আমার বারটা বাজিয়ে দিবে।
এক প্রকার জোর করেই বিকালে বাইকটা বের করে লামিয়াকে নিয়ে শপিংয়ের উদ্দেশ্য রওনা হলাম।কিছু পথ চলার পর একটা দোকানের সামনে বাইকটা দাড় করালাম।বাইকটা রাস্তার পাশে রেখে এসে দোকান থেকে একটা সিগারেট কিনে লামিয়ার সামনে আসলাম।লামিয়ার সামনে এসে দেখি লামিয়া আমার দিকে রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে।আমি সামনে এসে সিগারেটে একটা টান দিতেই লামিয়া আমার মুখ থেকে সিগারেটটা নিয়ে ভেঙে ফেললো।
.
-- এটা কি হলো।(আমি)
-- কি হলো? (লামিয়া)
-- তুমি আমার সিগারেটটা এভাবে
ভেঙে ফেললে কেন?
-- তোমার সাহস তো কম নয় তুমি সিগারেট
খাচ্ছো।তাও আবার আমার সামনে।
-- তাই বলে সিগারেটটা ভেঙে ফেলবে!
-- তো কি করবো?
-- তুমি আর কখনো সিগারেট খাবে না।
-- খেলে কি করবে?
-- তোমার ওই পোড়া ঠোঁঠ দিয়ে আমাকে
কিস করতে দেব না।
.
কথাটা বলেই লামিয়া মন খারাপ করে অন্য দিকে ঘুরে রইলো।
আমি পিছন থেকে লামিয়াকে জরিয়ে ধরে বললাম:
.
-- ঠিক আছে সোনা।আর কখনো
সিগারেট খাবো না।
-- মনে থাকে যেন।
-- হু।
-- কি করছো ছাড়ো সবাই দেখছে তো।
.
এমন সময় সামনে তাকিয়ে দেখি স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চারা আমাদের দুজনকে এমন অবস্থায় দেখে হাসছে।আমি লজ্জায় লামিয়াকে ছেড়ে দিলাম।তারপর বাইকটা স্টাট করে দুজন মার্কেটে চলে আসলাম।লামিয়া নিজের ইচ্ছা মতো করে কেনাকাটা করছে।আমি মার্কেটের অন্য দিকটায় একটু ঘুরে দেখতে আসলাম।অন্য দিক টায় এসে একটা মেয়ের দিকে চোখ পড়তেই অবাক হয়ে গেলাম।একটু দূরে তাকিয়ে দেখি বৃষ্টি দাড়িয়ে আছে।আমাকে দেখেই বৃষ্টি আমার সামনে আসলো।
.
-- তুমি এখানে?(আমি)
-- এই একটু কেনাকাটা করতে
আসলাম।তুমি?
-- আমিও তো।
-- তা তুমি একাই এসেছো।
-- আরে না আমার সাথে লামিয়াও আসছে।
-- কই লামিয়াকে দেখছি না তো।
-- ও একটু ভিতরে কেনা কাটা করছে।
-- ওহ আচ্ছা।
-- হু।
.
এমন সময় কারো ডাকে পিছনে ফিরে তাকালাম।পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখি লামিয়া দাড়িয়ে আছে।
.
-- এই যে শুনছো।(লামিয়া)
-- কি হলো তোমার কেনা কাটা শেষ?
-- হু।
-- চলো এখন  বাসায় যায়।
-- আচ্ছা চলো।
-- বৃষ্টি এখন আসছি কেমন।
-- আচ্ছা আসো।(বৃষ্টি)
.
মার্কেট থেকে দুজন বেরিয়ে আসলাম।মার্কেট থেকে বেরিয়ে কিছুদূর আসার পর হঠাৎ করে লামিয়ার কাধে রাখা ব্যাগটা ছিনতায় হয়ে গেল।
আমি ব্যাগটা ফিরিয়ে আনার জন্য ছিনতায়কারীর পিছন পিছন দৌড় দিলাম।কিছুপথ দৌড়ানোর পর আমি ব্যাগ ধরে লাথি মেরে লোকটাকে মাটিতে ফেলে দিলাম।লোকটা ওঠেই আমাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করলো।আমি ছুরিটা হাত দিয়ে আটকে ঘরতেই আমার হাত কেটে রক্ত বেরুতে শুরু করলো।লোকটা আমাকে আঘাত করেই ব্যাগটা রেখে দৌড়ে পালিয়ে গেল।আমি সেখান থেকে লামিয়ার কাছে চলে আসলাম।আমাকে দেখেই লামিয়া বললো:
.
-- তোমার হাত তো অনেকটা কেটে
 গিয়েছে।(লামিয়া)
-- এইটা কিছু না একটু পর ঠিক
হয়ে যাবে।
-- কিছু না মানে।তোমার
 হাতটা দাওতো।
-- আরে বললাম তো কিছু হয়নি।
-- আমি তোমার হাতটা দিতে বলেছি।
.
আমি আমার হাতটা লামিয়ার দিয়ে এগিয়ে দিলাম।লামিয়া ওর ব্যাগ থেকে ব্যান্ডেজটা বের করে আমার হাত ব্যান্ডেজ করে দিল।তারপর
আমি বাইকটা স্টাট দিয়ে লামিয়াকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
.
.
.
.
.
.
.
.
#_______চলবে_______

#ধর্ষক_থেকে_বর
.
#____পর্ব__১২____

.
আমি আমার হাতটা লামিয়ার দিয়ে এগিয়ে দিলাম।আমার হাত থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্ত বের হচ্ছে।লামিয়া ওর ব্যাগ থেকে ব্যান্ডেজটা বের করে আমার হাতটা ব্যান্ডেজ করে দিল।তারপর আমি বাইকটা স্টাট দিয়ে লামিয়াকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।বাসায় এসে বাইকটা রেখে আমরা দুজন ভিতরে চলে আসলাম।ভেতরে আসতেই আম্মু এসে আমাদের সামনে দাড়ালো।
.
-- কিরে তোর হাত ব্যান্ডেজ করা কেন?
-- আসলে হয়েছে কি আম্মু.........
-- থাক আপনাকে আর বানিয়ে মিথ্যা
কথা বলতে হবে না।
-- আসলে আম্মু (লামিয়া আম্মুকে সব
কথা খুলে বললো)।
-- ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলি।
-- না আম্মু লামিয়ায় ব্যান্ডেজ করে
দিয়েছে।
-- আচ্ছা যা হবার হয়েছে।আমি টেবিলে
 খাবার দিচ্ছি এগুলো রেখে খাবার খেতে
আয় কেমন।
-- আচ্ছা আম্মু।
.
তারপর আমি আর লামিয়া রুমে চলে গেলাম।লামিয়া রুমে এসে কাপড় - চোপড় রেখেই রুম থেকে বেরিয়ে গেল।আমি ফ্রেস হয়ে খাবার রুমে চলে আসলাম।খাবার টেবিলে গিয়ে বসতেই লামিয়া আমার জন্য প্লেটে খাবার বেড়ে দিল।কিন্তুু আমি খাবো কিভাবে আমার হাত তো কাটা।এই কাটা হাত নিয়ে তো খাবার তুলতেও পারবো না।আমি চামিজ হাতে নিয়ে খাবার নড়াচড়া করছি আর এই সব কথা ভাবছি।এমন সময় লামিয়া বললো:
.
-- কি হলো?খাচ্ছো না যে।
-- আমার চামিজ দিয়ে খেতে
ভাল লাগে না।
-- তো কিভাবে খাবে?
-- তুমি খাইয়ে দাও।
-- আমি পারবো না।তাছাড়া
অন্যরা দেখলে কি বলবে।
-- কেউ কিছুই বলবে না।তুমি
আমাকে খাইয়ে দাও।
-- আচ্ছা হা করো।
.
লামিয়া ওর নিজ হাতে আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে।আর আমি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি লামিয়ার দিকে।লামিয়ার উপর থেকে আমার চোখ যেন সড়তেই চাইতেছে না।কিছু সময় পর আমি বললাম:
.
-- তুমি খাবে না।
-- তোমার খাওয়ার পর খাবো।
-- তুমিও আমার সাথে খেয়ে নাও।
-- না।আমি পরে খাবো।
-- আমার সাথে খাইতে বলছি কিন্তুু।
(চোখগুলো বড় বড় করে একটু
 রাগ দেখিয়ে বললাম)
-- আচ্ছা খাইতেছি।
.
তারপর লামিয়াও আমার সাথে খেয়ে উঠলো।খাবার খাওয়ার পর আমি আমার রুমে চলে আসলাম।রুমে আসতেই আমার ফোনটা বেজে উঠলো।
স্কিনে সুন্দর করে রাফি নামটা ভেসে উঠলো।আমি ফোনটা রিসিভ
করতেই ওপাস থেকে বলে উঠলো:
.
-- হ্যালো শাকিল।(রাফি)
-- হ্যা রাফি বল?
-- তুই এখন কোথায়?
-- কেন বাসায়?
-- দোস্ত এখন তুই আমার সাথে
দেখা করতে পারবি?
-- কেন বলতো।
-- তোকে একটা প্রয়োজনীয়
 কথা বলবো।
-- কি কথা?এখানেই বল।
-- না এখানে বলা যাবে না।তুই আয়
পরে বলতেছি।
-- আচ্ছা কোথায় আসবো বল?
-- রাফি ঠিকানা বললো।
.
আমি বাইটা স্টাট করে সোজা রাফির কাছে চলে গেলাম।সেখানে গিয়ে একটা ফাঁকা জায়গায় দুজন নিরব হয়ে বসে আছি।কিছু সময় পর আমি বললাম:
.
-- রাফি বল কি বলবি?
-- দোস্ত আমি তো এক জন রে
 ভালবেসে ফেলেছি।
-- সত্যি নাকি দোস্ত?
-- হু।
-- কারে?
-- তোর শালিকা মেঘলা রে।
-- কি বলছিস ভাই।
-- হ্যা আমি ঠিকিই বলছি।আমি মেঘলা রে
ভালবেসে ফেলেছি।সেই প্রথম যেদিন ওরে
দেখে ছিলাম সেই দিনই মেঘলার প্রতি আমার
ভাল লাগা কাজ করতে শুরু করেছিল।আসতে
আসতে সেটা ভাল লাগা থেকে ভালবাসাতে
রূপান্তিত হয়েছে।আমি ওরে ছাড়া বাসবো না।
ভাই তুই প্লিজ আমার প্রেমটা করিয়ে দে।
-- তা না হয় দেব কিন্তুু আমার ট্রিট কই।
-- দেবো আগে তুই আমার প্রেমটা করে দে
তারপর তুই যা খেতে চাইবি আমি তোকে
সে সব কিছুই খাওয়াবো।
-- ওকে Done...
.
তারপর রাফির সাথে আরো কিছু সময় আড্ডা দেওয়ার পর সন্ধায় বাসায় ফিরলাম।রাতে খাওয়া দাওয়া করে রুমে এসে শুয়ে আছি।এমন সময় মেঘলার নাম্বার থেকে আমার নাম্বারে ফোন আসলো।আমি ফোনটা
রিসিভ করলাম:
.
-- ভাইয়া কেমন আছেন?
-- আমি ভালো আছি।তুমি
কেমন আছো।
-- আমিও ভাল আছি।
-- তা কি করেন এখন?
-- এইতো শুয়ে আছি।
-- রাফি ভাইয়া আপনাকে একটা
কথা বলবো রাগ করবেন না তো।
-- কি কথা বলো।
-- আগে বলেন রাগ করবেন না।
-- না করবো না বলো?
-- আমি আসলে.....
-- আমি আসলে আপনাকে ভালবেসে
ফেলেছি। I love u...
-- What..কি বলছো এই সব।
-- হ্যা ভাইয়া।আমি ঠিকিই বলছি।সেই প্রথম
যেদিন আমি আপনাকে দেখেছি সেই দিনই
আমি আপনার প্রেমে পড়ে গিয়েছি।
-- কিন্তুু আমি তো তোমাকে ভালবাসি না।
-- আমার দোসটা কি জানতে পারি?
-- তোমার কোন দোসই নেই।আমি আসলে
অন্য একটা মেয়েকে ভালবাসি।
-- কাকে?নাম কি তার?
-- নাম তো বলা যাবে না?কালকে আমি
পার্কে ওকে নিয়ে উত্তরের একটা বেঞ্চে
বসে থাকবো।তখন তুমি এসে দেখে নিও
কেমন।
-- ঠিক আছে।আমি ও দেখতে চাই সে
আমার থেকে কতটা সুন্দরী।
.
কথাটা বলেই মেঘলা ফোনটা কেটে দিল।হাহাহাহাহাহা আমার জামাতে চুলকানীর ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া এবার বোঝ কেমন লাগে।মেঘলা তুমি সের হলে আমি শোয়া শের।এর কিছুসময় পরই লামিয়া রুমে চলে আসলো।লামিয়া রুমে এসে সোজা আমার পাশে শুয়ে পড়লো।লামিয়া এতো সুন্দর করে ঠোঁঠে লিপস্টিক দিয়ে রাখে যে আমার শুধু লামিয়ার ঠোঁঠের লিপস্টিকের স্বাদ নিতেই ইচ্ছে করে।লামিয়ার লিপস্টিকের স্বাদ নিতে আমি আমার ঠোঁঠ দুইটা লামিয়ার ঠোঁঠের সামনে নিয়ে আসলাম।আমার ঠোঁঠ দুইটা লামিয়ার ঠোঠের সামনে নিয়ে আসতেই লামিয়া ওর হাতটা আমার মুখের উপর রেখে বাধা সৃষ্টি করলো।আমি লামিয়ার হাতটা সরিয়ে দিয়ে ওর ঠোঁঠের সাথে আমার ঠোঁঠ লাগিয়ে কিস করতে শুরু করলাম।লামিয়া কেমন যেন উনমুক্ত হয়ে গেল।তারপর আমি লামিয়ার বুকের উপর থেকে ওর ওড়নাটা সরিয়ে ফেললাম।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
#________চলবে_______

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ