পর্দাশীল মেয়ের ভালোবাসা
পর্ব- ৩+৪
আমি: আসবো না এখন অনেক জরুরি কাজ আছে।
সোহাগ : এখন তুই কোথায়? আর কি জরুরি কাজ করতাছোছ?
আমি: আমি এখন নদীর পারে বসে আছি?
সোহাগ : নদীর পারে বসে কি করছ?
আমি: মাছ ধরতাছি।🤣ফোন রাখ হারামজাদা।😡
আমি ফোন কেটে দিলাম আর রুহির দিকে তাকিয়ে দেখি রুহি খুব হাসতাছে। 😂
আমি: আরে তুমি হাসছো কেন?🤔
রুহি: এভাবেই।😅
সেইদিন আর বেশি কথা বললাম না একটু কথা বলেই বারি চলে গেলাম। রাতে আবার রুহির ফোন দিয়েছে আমি তারাতারি রিসিভ করে নিলাম।
রুহি: hello.
আমি: Hello.
রুহি: কি ব্যপার এতো রাত হয়েছে এখনো ঘুমাও নি কেন। 😡
আমি: এতো রাত মানে, এখন তো মাএ 11.30 বাজে😕
রুহি: কিইইইই, দেখো আমার রাগ তুলো না কিন্তুু ঠিক হবে না।😠
আমি: আরে এখানে রাগ তুলার কি করলাম।
রুহি: 12 টার আগে ঘুমা। 😤
আমি: এতো তারাতারি ঘুম আসে না।
রুহি: তারাতারি মানে কি?
আমি: এখন তো আমার জন্য সন্ধ্যা। পরে ঘুমিয়ে যামুনে।😁
রুহি: কালকে তোর সাথে আমার দেখা হয়ে নেক। তারপর দেখবি আমি কি করি।😠
( প্রচণ্ড রাগে এই কথা বললো)
আমি: তাহলে কালকে দেখা করবো না,কি বলো?
রুহি: তোর বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসবো।
আমি: কি বলো পারবা এমন করতে?
রুহি: হ্যা পারবো।
আমি: কোন অধিকারে আমাকে নিয়ে যাবা?
রুহি কিছু সময় চুপ থাকার পর, বললো
রুহি: জানি না, কোন অধিকার নিয়ে আসবো।
আমি আর কিছু বললাম না। এভাবে 2 জনে 5 মিনিট চুপ থাকর পর রুহি বললো এখন বায়। আমি ও বায় বলে ফোন কেটে দিলাম আর চিন্তা করতে লাগলাম।মেয়েটা আমাকে ভালোবাসার পর ও বলে না। আর আমার সাহস ও হয় না। কবে যে ওকে এই কথা টা বলবো কিন্তুু একটা ভয় সবসময় থাকে। যদি ও আমাকে ভুল বুজে যদি ও এই কথায় রাজি না হয় তাহলে কি করবো। আর যদি ও আমার এই বন্ধুত ভেঙ্গে দেয় তাহলে কি করবো।
এসব কথা চিন্তা করে কখনো ওকে যে আমি ভালোবাসি তা বলি নি।
এই সব এর পিছনে আমাদের 2 টা বছর চলে গেলো। আমরা এতোটাই কোলোজ যে, আমার সব বন্ধুরা আমাদের কে নিয়ে ভুল বুজে। কিন্তুু আমি পুরোপুরি সিউর যে রুহি আমাকে ভালো বাসে তারপর ও আমি ওকে কখনো এই বেপারে কিছু বলি নাই।
তাই সব কথা বাদ দিয়ে আমি রুহিকে আমার মনের কথা বলার সিধান্ত নিলাম,যা হওয়ার হবে। তারপর আমি রুহিকে ফোন করলাম।
আমি: hello রুহি
-> রুহি বারিতে নেই। আমি রুহির মা বলছি। কে তুমি?
আমি: আন্টি আমি সৌরভ। কেমন আছেন।
-> ভালো আছি। তোমার কি অবস্থা আর পড়ালেখা কেমন চলছে?
আমি: জি ভালো চলছে। রুহি কখন বাসায় আসবে?
-> সেটা তো বলতে পারবো না। কোন জরুরি কথা থাকলে বলো আমি বলে দিবোনে।
আমি: না তেমন জরুরি কথা না। রুহি আসলে বইলেন যে আমি কল করছিলাম।
-> ঠিক আছে।
bay বলে ফোন কেটে দিলাম। সময় যেমন থেমে গেছে আর আমি বার বার রুহির কথাই চিন্তা করছি। সময় কাটাতে বন্ধুদের ফোন করলাম। কিন্তুু আমার বন্ধুদের একটা খারাপ আবভাশ আছে। কিছু হওক বা না হোক শুধু খাওয়া। বন্ধুদের আনলাম একটু দুঃখের কথা বলার জন্য, আর হারামজাদারা আমার পকেট খালি করার জন্য পাগল হয়ে গেছে। সব বন্ধুরা আমার 200 টাকা শেষ করে দেওয়ার পর আড্ডা দিচ্ছে। ঠিক 4.35 এ রুহির ফোন আসলো, তারাতারি রিসিভ করে->
আমি: hello রুহি
রুহি: হ্যা বলো, কি হয়েছে?
আমি: আমার সাথে এখন তারাতারি নদীর পাসে দেখা কর।
রুহি: কেন?কি হয়েছে তোর?
আমি:কিছু হয় নাই। তুই এখন দেখা কর আগে।
রুহি: ok তুই 10 মিনিট অপেক্ষা কর আমি আসতাছি।
আমি: ok তারাতারি
আমি ফোন কেটে দিয়ে তারাতারি বন্ধুদেরকে বললাম বাসায় যেতে হবে। ওদের সাথে মিথ্যা না বললে যেতে দিতো না তাই মিথ্যা কথা বলে ওদের থেকে বিদাই নিয়ে তারাতারি নদীর পারে গেলাম। গিয়ে দেখি রুহি সেখানেই বসে আছে। আমি গিয়ে ওর পাসে বসলাম। যেহেতু এই জায়গার আমরা আগে ও অনেক বার এসেছি কিন্তুু তারপর ও আজ কেমন জানি অন্য অন্য রকম লাগছে। আমি চুপচাপ বসে আছি।
5 মিনিট পর রুহি বললো
রুহি : কি হয়েছে বলবি? আমার খুব টেনশন হচ্ছে।
আমি:....... ( আমি ভয়ে আর কিছুই বলতে পারছি না)
রুহি: কি হয়েছে তোর কিছু তো বল। এমন বোবা হয়ে গেলি কেন?
আমি:...........( আমি একেবারে চুপ কথা বলতে পারছি না। সরমে)
রুহি: দেখ আমার কিন্তুু এখন প্রচুর রাগ হচ্ছে?
আমি:........
রুহি: যদি এখন কিছু না বলোছ তাহলে আমি চলে যাবো।
এটা বলেই রুহি চলে যেতে লাগলো। আমি রুহির হাত ধরে ফেললাম আর রুহিকে বসিয়ে দিলাম। ও এবার আমার দিকে খুব রাগি লুক নিয়ে তাকালো আর বললো
রুহি: তুই কি কিছু বলবি নাকি আমি চলে যাবো সেটা বল?
আমি এবার মনের মধ্যে খুব সাহস নিয়ে রুহির...........
চলবে............
part = 4
রুহি: যদি এখন কিছু না বলোছ তাহলে আমি চলে যাবো।
এটা বলেই রুহি চলে যেতে লাগলো। আমি রুহির হাত ধরে ফেললাম আর রুহিকে বসিয়ে দিলাম। ও এবার আমার দিকে খুব রাগি লুক নিয়ে তাকালো আর বললো
রুহি: তুই কি কিছু বলবি নাকি আমি চলে যাবো সেটা বল?
আমি এবার মনের মধ্যে খুব সাহস নিয়ে রুহির দিকে তাকালাম।
রুহি: তোর কি হয়েছে একটু বল তো। তুই আজ বোবা হয়ে গেলি নাকি। সবসময় তো বকবক করতে থাকিছ আর আজ কিছুই বলছোছ না কেন?
আমি আবার সাহস করে রুহির কানে কানে বললাম I love you Ruhi.
এটা বলেই আমি মাথা নিচে করে নিলাম আর দুই গালে হাত দিয়ে রাখলাম।
( যে কোনো সময় থাপ্পড় দিতে পারে তাই )
অনেক সময় হয়ে গেলো কিন্তুু রুহির কোন রিয়েকশন নাই। তাই 5 মিনিট পর আমি আমার গাল থেকে হাতটা সরিয়ে নিলাম আর মাথাটা একটু ওপরে করতেই সাথে সাথে
"ঠাসসসসসসসসসসস"
আবার ও দুই গালে দুই হাত দিয়ে সাবধানে রুহির দিকে তাকালাম। ও নীল বরখার সাথে মিলিয়ে একটা নীল হেজাপ পরছে কিন্তুু তারপর ও ওর রাগি চেহারাটা আমি বুজতে পেরেছি।
(মনে মনে ভাবলাম এখান থেকে পালিয়ে যাই। কিন্তুু তারপর চিন্তা করলাম রুহির উওর টা শুনেই যাই)
আমি: দেখ রুহি আমি তোকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসি কিন্তুু ভয়ে বলতে পারিনি। please তুই যদি আমাকে ফিরিয়ে দেস তালে কিন্তুু আমি সুসাইড করমু।
{ আর কিছু বলার আগেই রুহি আমার চুলগুলো ধরে আর বললো}
রুহি: কি বললি আমার বল তো?
আমি: না কিছূ বলি নাই। আমার চুল ছার? অনেক ব্যাথা লাগছে।
রুহি: আগে বল কি বললি এখন?
আমি: please চুলটা ছার তারপর বলতাছি?
রুহি: বলবি না তাই তো। ( এবার এমন ভাবে চুলগুলোকে টান দিলো দে আমার 10 টার ও বেশি চুল ছিরে গেছে)😭
আমি: আল্লাহরেএএএ।
রুহি: তারাতারি রিপিড কর, কি বলছোছ?
আমি: আমি বলছি তুমি আমার প্রপোজ এ রাজি না হলে আমি সুসাইড করমু।
বলার সাথে সাথে আমার কানটা ধরে মোচড় দিলো। এক হাত দিয়ে চুল আরেক হাত দিয়ে কান, দুইটার অবস্থা খারাপ করে দিছে।
রুহি: এইইই তুই প্রপোজ করছোছ কখন? কানে কানে I love you বললে কি সেটাকে প্রপোজ বলে নাকি। আর যে আস্তে I love you বলছোছ আমি ঠিক মতো শুনি ও নাই।
তাহলে আমি রাজি হবো কেন বল তো। আর প্রপোজ যে করছোছ আমার গিফট কই, আরে গিফট তো ধুরের কথা একটা ফুল ও দেছ নাই।
আমি: sorry. আমার এতোকিছু মনে ছিলো না। প্রথম বার কোন মেয়েকে প্রপোজ করছি তো তাই ভুল হয়েছে।
রুহি: এইইই তোমার মতলব কি?
আমি: কিছু না। এবার দয়াকরে আমার কান আর চুলটা ছার?
রুহি: আচ্ছা ছেরে দিলাম। কিন্তুু তুই যে আমাকে ভালোবাসো তা আগে বলোছ নাই কেন?
আমি: তুমি যে আমাকে ভালোবাসো সেটা বললি না কেন।
রুহি : আমি যে তোকে ভালোবাসি তোকে সেটা কে বলছে?
আমি: কেন? তুমি আমাকে ভালোবাসো না।
রুহি... না মানে!
আমি: আরে থাক বলতে হবে না। আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো?
রুহি: না আমি তোমাকে ভালোবাসি না। আর তোকে কে বলছে যে আমি তোকে ভালোবাসি?
আমি: তোর বান্ধবী বলছে।
রুহি: ওর নাম কি?
আমি: না থাক ওর কপালে শনি লাগানোর দরকার নেই।
রুহি: বলবা নাকি এখন তোমার কপারে শনি লাগাবো? ( এটা বলে একটা বিলেন মারকা হাসি দিলো। আমি ওর হাসি দেখে ভয় পেয়ে গেলাম। তাই সব বলে দিলাম)
আমি: তোমার বান্ধবী বলেছে। ওইযে আমার বন্ধুর gf.
রুহি: তারাতারি ভদ্র ছেলে মতো ওর নামটা বল না হলে, এখন আমি তোমার নিজের নাম ভুলিয়ে দিবো।
আমি: না থাক। আমাকে এসব কথা নুপুরে বলছে।
( মনে মনে বলি আল্লাহ তুমি নুপুরের জীবন টা বাচাই ও। আর কি ডেন্জারাস মাইয়া রে। আল্লাহ তুমি এই শয়তানকে কি দিয়ে বানাইছো)
রুহি: এই কি বলতাছোছ।
আমি: কিছু না?
রুহি: আমি জানি তুই আবার আমাকে গালি দিছোছ।
আমি: এই এসব কি বলো আমি জীবনে ও কাওকে গালি দেই নাই।
{ আচ্ছা আপনারা একটু বলেন তো আমি কি গালি দিছি}
রুহি: যদি জীবনে কোনদিন ও গালি দিতে শুনি তাহলে তোরে জিন্দা মাটি দিয়ে দিমু।
আমি: 😳😲। আচ্ছা দিবো না। কিন্তুু তুমি আমাকে এভাবে তুই তুই করে বলো কেন।
রুহি: বলমুই? আমার রাগ তুলোছ কেন?
আমি: এর জন্য কি তুমি তুই তুই করে বলবা।
রুহি: বলবো। আর আমি তোর থেকে বর তাই বলতেই পারি।
আমি: কে বললো তুমি আমার থেকে বরো।
রুহি: আমি হিসাব করে বের করছি।
আমি: না, তুমি যতোই হিসাব করো আমি তোমার থেকে বড়ো।
রুহি: আমি তোর থেকে বড়ো। আর বিশ্বাস না হলে তোর বন্ধু র........। ( বলতে গিয়ে ও বললো না)
আমি: থামলা কেন? বলো কোন হারামি আমার গোপন রহস্য তোমার কাছে ফাঁস করে দিছে।
রুহি: কেও না আমি নিজেই বের করছি।
আমি: আমি জানি তো কে আমার রহস্য ফাঁস করছে। তাই তোমার মুখ থেকে সেই হারামির পবিত্র নামটা শুনতে চাই।
রুহি: আরে রাসেল বলছে।
আমি: আমি জানতাম ওই হারামি ছারা আর কেও এমন কাজ করবে না।
[ বন্ধু থেকে বড় কোন হারামি নেই। যতো বিপদেই পরি না কেন তার পিছনে আমার বন্ধুদের হাত ঠিকই থাকবে। আর আমার জীবনটা তেছপাতা করলো ওই হারামি বন্ধু। আমার কাছে বন্ধু = বাস থাক আর কিছু বললাম না]
রুহি: ও একবারে ঠিক কাজ করছে?
আমি: তারপর ও তুমি আমার থেকে বেশি বরো না। তাই আর তুই তুই করে বলবা না।
রুহি: কিইইইইই? আমি তো থেকে পুরো এক মাস সতেরো দিন বড়ো।
আমি: তাই নাকি, ( আল্লাহরে কি সুন্দর হিসাব করে রেখছে রে)
রুহি: হ্যাঁ।
আমি: রুহি?
রুহি: কিইই?
আমি: রুহি?
রুহি: কিইই বলবি তো?
আমি: রুহিরে?
রুহি : ভালো মতো বলবি নাকি আমি তোর মুখ থেকে কথা বের করমু।
আমি: না থাক আমি বলতাছি?
রুহি: তারাতারি বল?
আমি: আমার উওর টা বল না। আর না ভুলে ও বলিছ না?
রুহি : যদি আমার উওরে না বলি তাহলে?
আমি: সামনেই নদী আছে? লাফ দিয়ে মরে যা........ ( রুহি আমার মুখে চেপে ধরলো, আর আমি কিছু বলতে পারলাম না)
রুহি: তুই কেন বার বার মরার কথা বলোছ? তোকে আমার জন্য বাচতে হবে। আমার সাথী হয়ে আজীবন চলতে হবে।চলবি আমার সাথী হয়ে সবসময় আমার পাসে?
আমি: হ্যা, আমি সবসময় তোর পাসে থাকবো। এখন আমাকে I love you বলো।
রুহি: না।
আমি: কেন? আবার কি সমস্যা?
রুহি: এতো দিন আমরা একটা ভালো বন্ধু হিসাবে ছিলাম। কিন্তুু এই প্রেম- ভালোবাসা হলো হারাম। আর আমি এসব করতে ও পারবো না। আর আমার মা-বাবা এসব এর জন্য জীবনে ও রাজি হবে না। আর আমার মা-বাবা আমাকে অনেক ভালোবাসে, তারা আমাকে অনেক বিশ্বাস করে আমি তাদের বিশ্বাস ভাঙ্গতে পারবো না।
আমি: তাহলে আমি কি করবো এখন? আমি তোকে ছারা বাচবো না।
রুহি: আমাকে তুই ভালোবাসছ?
আমি: হ্যাঁ। অনেক বেশি?
রুহি: আমাকে বিয়ে করতে পারবি।
আমি: এতে কোন সন্দেহ নেই, পারবো।
রুহি : তাহলে তোর ফেমেলি দিয়ে আমার বারিতে চলে আসিছ।
আমি: এইইই কি বলোছ এসব। আমাকে ঘড় থেকে বের করে দিবে এসব বললে।
রুহি: বের করে দিলে আমার বাড়িতে চলে আছিস।
আমি: এইই রুহি?
রুহি: হুমম
আমি: তোর ফেমেলি নিয়ে আমার বাসায় আসতে পারবি না। ( এ বলেই রুহি থেকে একটু দুরে সরে গেলাম)
রুহি: আরে দুরে গেলি কেন? সামনে আয় তোরে বলতাছি?
আমি: না না থাক।আর বলতে হবে না।
রুহি: আরে সামনে আয়, আমি সব বুজিয়ে বলবো?
আমি: না বললাম তো আমি সব বুজে গেছি।
রুহি: বুজলে ভালো। চুপচাপ 3 দিনের মধ্যে আমার বাসায় আসবি আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব নিয়ে। আর যদি একটু ও দেরি হয় তাহলে তোরে আমি খাইছি।
আমি: মাএ তিন দিন।
( রুহি রাগি লুক নিয়ে আমার কাছে আসলো আর কমরে দুই হাত দিয়ে আমাকে বললো )
রুহি: কি বললি আবার বলতো?
( আমি তো ভয়ে পানি পানি হয়ে গেছি)
আমি: না কিছু না। তিন দিন তো অনেক বেশি সময় হয়ে যায়, তুমি চাইলে আর কম দিতে পারো। ( ভয়ে আমি পাগল হয়ে গেছি)
রুহি: না থাক তিন দিন ঠিক আছে। তিন দিনের মধ্যে যদি কাজ না হয় তাহলে বুজবি কতো ধানে কতো চাল?
আমি: এটা কেমন কথা যতটা ধান থাকবে ততটা চাল থাকবে।এখানে বুজার কি আছে।
রুহি: তোর এখন মজা লাগতাছে। দারা তোর মজা আমি বের করতাছি?
আমি: না না মাফ করে দেও আর মজা করবো না।
{আচ্ছা আপনারাই বলেই তো আমি কি কোন মজা করছি}
রুহি: মনে থাকবে তো।
আমি: হ্যা।
রুমি: Jest 3 day only.
আমি: Ok. মনে থাকবে
তারপর রুহি আমার গালে একটা চিমটি দিয়ে বললো good boy.
চিমটি টা ও কিন্তুু আস্তে দেয় নাই, আমার চোখে পানি চলে এসেছে। তারপর রুহি চলে গেলো।
আমাকে মহা টেনশন রেখে ও চলে গেলো, আবার বলে আমার সাথী হবে।
ওরে তো আমি বিয়ের পর মজা বুজাবো।
রুহিকে দিয়ে ঘরের সব কাজ করাবো।বন্ধুদের ফোন করলাম। সবাইকে নদীর পারে আসতে বললাম। সবাই আসার পর............
চলবে...............
0 মন্তব্যসমূহ
গল্প গুলো কেমন লাগলো, আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।