গল্পঃ পর্দাশীল মেয়ের ভালোবাসা। পর্ব-১


পর্দাশীল মেয়ের ভালোবাসা
  
Writer : Sadi
পর্ব- 1

রাস্তায় পাসে দারিয়ে Facebook  চালাইতে ছিলাম☺
 আর এমন সময় আমার থেকে কে যেন আমার মুবাইলটা নিয়ে নিলো। সামনের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার বন্ধু রাসেল।রাসেল মুবাইলটা নিয়ে ওর পকেটে রেখে দিলো।
আমি বললাম,কি হয়েছে মুবাইল নিলি কেন?😡

রাসেল ওর পকেট থেকে একটা আম বের করলো।

আমি: কিরে আম কোথা থেকে এতো?🤔

রাসেল: আরে ওই গাছ থেকে।

আমি: কোন গাছ। গাছ তো অনেক গুলোই আছে।😕

রাসেল :আরে স্কুল এর পিছনে যে, বড় আম গাছ আছে না আমি সেটার কথা বলছি।

আমি: ও। দোস্ত আম তো ভালোই বড় আর হলুদ হয়েছে।

রাসেল: তাহলে চল।

আমি: কোথায় যাবো?

রাসেল : আরে দোস্ত চল আম নিয়ে আসি?😁

আমি: কি বলিছ এসব? কেও দেখলে কি করবো।

রাসেল: দেখলে আর কি করবি। পায়ের জুতা কাধে নিয়ে দৌড় দিবো।🤣

আমি: তাহলে চল।

আমি আর রাসেল স্কুল এর পিছনের বড় আম গাছের কাছে যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম। হাটতে হাটতে আপনাদেরকে আমার পরিচয়টা দিয়ে দেই।
 আমি হলাম একটা সাধারণ ছেলে। কিন্তুু ফাজলামি একটু বেশিই করি। তারপর ও সবার আদর,সেন্হের ছেলে আমি। আমার নাম মোঃ জাবের ইসলাম সৌরভ। আর কথা পরে বলবো।
এখন আমি আর রাসেল আম গাছের কাছে  চলে এসেছি। আমি গাছের দিকে তাকিয়ে দেখি আম গুলো হলুদ হয়ে আছে, সাইজ ও তেমন ভালো।

রাসেল : দোস্ত তুই গাছে ওঠ, আমি পাহারা দেই।

আমি: একটা লাথি দিমু😡 তোর ওপর আমার একটু ও বিশ্বাস নাই, কাওকে দেখলে তুই আমাকে রাইখা দৌড়ে চলে যাবি।

রাসেল: আরে না। এমন কিছুই করমু না। তুই ওঠ দোস্ত 🙄

আমি: এর আগের কাহিনী মনে আছে নাকি ভুলে গেছোছ।

রাসেল: এবার এমন করমু না। তুই গাছে ওঠ।

আমি: না আমি ওঠতাম না। তুই ওঠ।

অনেক খন ঝগড়া করার পর মারামারি ও করলাম। অনেক মারার পর হারামজাদায় গাছে ওঠার জন্য রাজি হয়েছে। এখন রাসেল আম পারার জন্য গাছে ওঠছে আর আমি পাহারা দিচ্ছি। ও গাছে ওঠে একটা আম দিলো। আমি নিয়ে খেতে শুরু করলাম আর রাসেল গাছ থেকেই গালি দিচ্ছে। আমার এতো কথা শুনে লাভ নাই। আমি আমার কাজে বেসতো আছি। 15 মিনিট পর আমার পকেট পুরো ভরে গেছে। আমি দেখলাম কে যেন আসছে, তাই রাসেলকে ডাক দিলাম রাসেল গাছ থেকে নামতে নামতে অনেক দেরি হয়ে যাবে। তাই আমি আম নিয়ে দৌড়াতে শুরু করলাম।ও মরলে মরুক আমি বাচলেই চলে? আমাকে আপনারা স্বাথপর মনে করবেন না কিন্তুু। এটা ওর শাস্তি এর আগে ও আমাকে একবার ছেরে চলে গেছিলো তাই আজ আমি করলাম।
 আমি আম নিয়ে দৌড়াচ্ছি কিন্তুু পিছনে তাকিয়ে এর জন্য  কার সাথে যেন ধাক্কা খেয়ে পরে গেলাম। নিজেকে সামলিয়ে ওঠতেই দেখি আমি একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা খেয়েছি। আমি মেয়েটিকে ওঠালাম আর আমার আমের বেগ খুজতে লাগলাম। বেগ নিয়ে মেয়েটাকে সরি বলবো এমন সময় মেয়েটা আমার কলার চেপে ধরে।আমি তো পুরোই অবাক।

মেয়ে: তুই এতোগুলো আম কোথায় পেয়েছিছ?😡

আমি মেয়েটার গলা শুনে বুজতে পারলাম এটা কোন অপরিচিত মেয়ে না,এটা রুহি।
রুহি সাথে আমার দেখা হয় খেলার মাঠে। আমি মাঠে বসেছিলাম আর রুহি ওর বান্ধবীদের সাথে যাচ্ছিলো, আমি ওইদিকেই তাকিয়ে ছিলাম আর এমন সময় অনেক জোরে বাতাস আসলো আর রুহির মুকুস খুলে যায় আর আমি ওকে দেখে পুরো অবাক হয়ে গেছিলাম। ও দেখতে পুরো চানের মতো সুন্দরী ছিলো। আমি বেশিখন রুহি কে দেখতে পারিনি কারন ও তারাতারি করে আবার মুকুস পরে নিয়েছিলো। সেদিন থেকেই ওরে পটানোর চেষ্টা করছি কিন্তুু এখন ও সফল হতে পারি নাই। কিন্তুু এসব এর পর ও আমাকে রুহি প্রচুর শাষন করে আর প্রতেক সময় হুকুম করতে থাকে। ওর কথা না শুনলে আবার রাগ করে কথা বলে না। আমি জানি রুহি ও আমাকে ভালোবাসে কিন্তুু কোনোদিন বুজতে দেয়নি।

রুহি: এই তুই বলোছ না কেন? এতো গুলো আম কোথায় পেয়েছিছ। 😡😡

আমি: আরে কি বলো এসব। আম কি রাস্তায় পরে থাকে নাকি? 😏

রুহি : তাহলে কোথায় থেকে এনেছিছ?🤔

আমি: আরে মাএ কিনে নিয়ে আসলাম।😁

আর কিছু বলতে পারলাম না। রাসেল এসে পরেছে।এসেই সব রহস্য খুলে দিলো।

রাসেল : হারামজাদা তুই আমাকে ছেরে চলে আসলি কেন। 😡

আমি:...............(আমি চুপ থেকে চোখের ইশারায় রাসেলকে বুজানোর চেষ্টা করলাম যে এখানে রুহি ও আছে। যাতে ও এইসময় কিছু না বলে)

রাসেল: আচ্ছা দোস্ত এসব বাদ দে আর আমার ভাগ আমাকে দে?😁

রুহি: কিসের ভাগ দিবে?🤔

রাসেল : আমের ভাগ।

রুহি : তোমাকে আমের ভাগ দিবে কেন? 🤔

রাসেল : আরে আজব তো? আমরা দুজনে মিলেই তো আম চুরি করছি, আর তুমি বলছো আমার ভাগ দিবে না।
 এটা শুনেই রুহি পুরো রেগে গেলো আর ওর শরীরের সকল শক্তি দিয়ে একটা থাপ্পড় মারলো।

          ঠাসসসসসসসসসসসসসসস,

রুহি আমাকে অনেক জোরে একটা থাপ্পড় মারলো আর চলে যেতে লাগলো। আমি রুহির হাত ধরে ফেললাম আর তখনি
     
                             ঠাসসসসসসসস

রুহি আবার আমাকে থাপ্পড় মারলো আর চলে যেতে লাগলো। এবার আর ওকে আটকালাম না। না হলে আরো থাপ্পড় খেতে হতো।
আমি আমার আরো বন্ধুদের ফোন করে আসতে বললাম।20 মিনিট পর সব বন্ধুরা একসাথে হলাম। ওদের সব কথা খুলে বললাম তারপর রাসেলরে গনধোলাই দিলাম। একটানা 30 মিনিট রাসের রে মারলাম। যাক এখন ভালো লাগছে, মনটা খুশি হলো।এমন মাইর দিছি যে রাসেলের পুরো শার্ট ছিরে গেছে।

তারপর সব বন্ধুদের থেকে বিদাই নিয়ে আমি গেলাম পার্কে। কারন যখন রুহি কষ্ট পায় তখন ও পার্কে বসে কান্না করে। আমি পার্কে গিয়ে রুহিকে খুজতে লাগলাম কিন্তুু কোথায় ও রুহি কে পেলাম না। আমি চিন্তায় পরে গেলাম রুহি কোথায় গেলো। রুহিকে ফোন করার জন্য মুবাইল বের করবো ঠিক তখনি মনে পরলো, মুবাইল তো রাসেলের কাছে। আবার রাসেলের কাছে গেলাম আর মুবাইল নিয়ে সাথে সাথে রুহি কে ফোন করলাম। সতবার ফোন করার পর ফোন ধরছে।

আমি: hallo, তুমি কোথায়?

রুহি.............

আমি: place  কথা বলো। আমার প্রচুর টেনশন হচ্ছে। তারাতারি বলো তুমি কোথায়?

রুহি: তোমার টেনশন করতে হবে না।

আমি: না এমন বলো না। তুমি সত্যটা জানো না। আমি তোমাকে সব বুঝিয়ে বলবো।

রুহি : আমি কিছুই জানতে চাই না।

আমি: তুমি কোথায় সেটা বলো।

রুহি : আমি জানি না।

টুট টুট টুট ফোন কেটে দিলো। আমি অনেক চিন্তা করার পর বুজতে পারলাম ও নদীর পাসে বসে আছে। আমি দেরি না করে নদীর পাসে গিয়ে  ওকে খুজতে লাগলাম। অনেক খুজার পর দেখি রুহি একটা বড় পাথরের ওপরে বসে কান্না করছে। ও মনে হয় একটু বেশিই কষ্ট পেয়েছে, তাই কান্না করছে।আমি ওর পাসে গেলাম, গিয়ে ওর পাসে বসলাম ও আমাকে দেখে ওঠে চলে যেতে লাগলো আর আমি রুহিকে...........

চলবে...................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ