![]() |
| ঝগড়াটে মেয়ে |
গল্প: ঝগড়াটে মেয়ে
পর্ব-২ শেষওদের বাসার দিকে গেলাম গিয়ে কলিং বেল বাজালাম পিছনে দেখি মুন আসছে।আমার সাথে মুন দারালো। একটু পর আন্টি দরজ খুলে দিলো --
--আসসালামু আলাইকুম আন্টি।
--ওলাইকুম আসালাম বাবা তুমি আসো ভিতরে আসো। (আন্টি)
--আর বলিয়েন না আন্টি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম আর মুন আমাকে......
কথা টা বলতে না বলতেই মুন আমার মুখ চেপে ধরল।
--মুন কি করছিস ছার ওকে।(আন্টি)
মুন ছেরে দিলো।
--হ্যা বাবা বলো মুন কি করছে তোমাকে। (আন্টি)
--না আন্টি কিছু করে নাই।আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম আমাকে দেখে জোর করে আপনাদের বাসায় নিয়ে আসলো। (আমি)
--ওওহহহ তাই বলো। আমি ভাবলাম তোমার সাথে ফাজলামি করছে না কি??(আন্টি)
--না না আন্টি। ও তো খুব ভালো মেয়ে।(আমি)
এই দিকে মুন আমার দিকে রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে।
--আচ্ছা বাবা তুমি বসো আমি তোমার জন্য নাস্তা নিয়ে আসি।(আন্টি)
আন্টি নাস্তা আনতে চলে গেলো।
--এই যে মিস্টার মিথ্যা কথা বললেন কেনো হুম।(মুন)
--কই মিথ্যা কথা বললাম।(আমি)
--কই মিথ্যা কথা বললেন মানে।আমি কি আপনাকে জোর করে এখনে আনছি।(মুন)
--না। (আমি)
--তাহলে মিথ্যা কথা বললেন কেনো হুম???(মুন)
--বারে কই আমাকে ধন্যবাদ দিবেন তা না আমাকে মিথ্যুক বানিয়ে দিচ্ছেন।(আমি)
--ওরে আসছে ধন্যবাদ নিতে।আমি আপনাকে বলছি মিথ্যা কথা বলতে।(মুন)
--তাহলে আমার মুখ চেপে ধরছিলেন কেনো হুম।আমি তো সত্যি টা বলতে যাচ্ছিলাম। (আমি)
--হয়ছে থাক আর বলতে হয়ে না।এখন নাস্তা করে ফুটেন তো।(মুন)
--তারিয়ে দিচ্ছেন।(আমি)
--যদি বলি তাই।(মুন)
--আর আমি যদি না যাই।(আমি)
--সে দিনের থাপ্পড়ের কথা ভুলে গেছেন??(মুন)
--কি ভুলে যেতে রে মুন।(আন্টি)
--কি,,,,কি,,,,কি,,,ছু না আম্মু।(মুন)
--না কিছু তো একটা বলছিস।(আন্টি)
--না আন্টি তেমন কিছু না।আসলে আমি আপনাদের বাড়ি আসার রাস্তা টা ভুলে গেছি তাই বলছিলাম আর কি।(আমি)
--ওওওও এই কথা তুমি চিন্তা করনা মুন তোমাকে দিয়ে আসবে।(আন্টি)
--আচ্ছা আন্টি। (আমি)
--হুম বাবা এখন নাস্তা কর।(আন্টি)
নাস্তা শেষ করে আন্টির সাথে কিছুক্ষন গল্প করলাম--
--আচ্ছা আন্টি আজ উঠি।(আমি)
--আচ্ছা বাবা আসিও আবার।মুন যা তো আকাশকে ওদের বাড়িতে দিয়ে আয়।(আন্টি)
--আচ্ছা আম্মু।(মুন)
তারপর দু'জনাই বের হলাম।কেউ কোন কথা বলছি না।একটু পর মুন বলল--
--আপনি এত খারাপ কেনো??? (মুন)
--কেনো কি করলাম আমি??(আমি)
--কি করেন নাই তাই বলেন?? আপনি কি বাড়ির রাস্তা চিনেন না???(মুন)
--হুম চিনি তো।(আমি)
--তাহলে আম্মু কে বললেন কেনো রাস্তা ভুলে গেছেন।(মুন)
--হুম না বললে তো আপনার গালে থাপ্পড় পরতো।আর আপনাকে ওখনে থাপ্পড়ের কথা বলতে কে বলছে হুম।এখন যদি আমি আপনার গালে থাপ্পড় মারি হুম কেমন হবে বলেন তো।(আমি)
--হুম মারেন।গাল এগিয়ে দিয়ে বলল মুন।
আমি কি করব বুঝতে পারছি না এত সুন্দর গালে থাপ্পড় মারলে গাল টা নষ্ট হয়ে যাবে তাই চুমু দিয়ে দিলাম এক দৌড়। এই দিকে মুন তো রেগে আগুন--
--ঐ আকাশের বাচ্চা। দারা তোকে আজ আমি শেষ করে দিব।(মুন)
--ধরতে পারলে তো। (আমি)
--ঐ দারা বলতেছি।(মুন)
--আমাকে কি পাগলে কামরাইছে যে মার খাবার জন্য দারাবো।(আমি)
দৌড়ে বাড়িতে এসে রুম লক করে সুয়ে আছি।একটু পর মুন ও আসলো।
--আন্টি তাজমিনা কই??(মুন)
--ওর ঘরে আছে মা যাও।(মা)
--আচ্ছা আন্টি। (মুন)
মুন তাজমিনার রুমে গেলো। আর আমি আমার রুমের দরজার সামনে দারিয়ে দেখছি।একটু পর আবার বের হয়ে গেলো। যাক বাবা বাচা গেলো। যাই তাজমিনার কাছ থেকে ফোনটা নিয়ে আসি।
--তাজমিনা ফোনটা দে।(আমি)
--হুম নে।(তাজমিনা)
--এই শোন। (আমি)
--কি??(তাজমিনা)
--মুন তোকে কি বলে গেলো রে।(আমি)
--কিছু না তো।(তাজমিনা)
--আচ্ছা ঠিক আছে।(আমি)
তারপর রুমে চলে আসলাম।অনেক ক্ষন থেকে ফেসবুকে ঢুকা হয় নি একটু ঢুকি।ফেসবুকে গল্প পরছিলাম। গল্প টা সুন্দর ছিলো। পুরু মন টা গল্পের ভিতরে দিয়ে দিছি।এর মধ্যে কে যেনো ফোন দিলো। মেজাজ টা গরম হয়ে গেলো বিরক্তি হয়ে ফোনটা ধরলাম--
--হ্যালো কে বলছেন???(আমি)
--ঐ লুচু তোরে খালি আমি সামনে পায়।(মেয়ে)
--ও হ্যালো বলা নাই কয়া নাই আপনি আমাকে লুচু বলছে কেনো হুম কি লুচ্চামি করছি আমি।(আমি)
--কি লুচ্চামি করছেন মনে নাই।একটু আগে কাকে চুমু দিছেন হুম।যদি আপনাকে সামনে পায় তাহলে আপনার খবর করব।(এই বার বুঝতে পারলাম মেয়েটা কে।আপনারাও তো বুঝতে পারছেন যে মেয়েটা মুন)
--আ,,আ,,আপনি... (আমি)
--জি আমি।(মুন)
--আপনি আমার নাম্বার কই পাইলেন।(আমি)
--কই পায়ছি সেটা বড় কথা হয় বড় কথা হলো আপনাকে আমি ছারব না।(মুন)
--ইয়ে মানে এই বারের মত ক্ষমা করে দিন।আর জিবনেও এমন হবে না।(আমি)
--ক্ষমা কিসের ক্ষমা। আপনাকে আমি ক্ষমা করব না।(মুন)
--প্লিজ এই বারের মত ক্ষমা করেন আপনি যা বলবেন তাই করব।(আমি)
--সত্যি তো আমি যা বলবো তাই করবেন??(মুন)
--হুম সত্যি।(আমি)
--আমাকে আইসক্রিম খাওয়া তে হবে।(মুন)
--আচ্ছা খাওয়াবো। (আমি)
--ওকে আজ সন্ধ্যার সময় আমি ফোন দিবো। (মুন)
--ওকে।(আমি)
দুর এখন পকেট থেকে টাকা টা বের হয়ে যাবে।কই টা আর খাবে।যাই গল্প টা শেষ করি।আবার গল্প পরায় মনোযোগ দিলাম।একটা গল্প শেষ করে আর একটা গল্প পরা শুরু করলাম এই ভাবে ৪-৫ টা গল্প পরলাম।সন্ধ্যার দিকে মুন ফোন করল--
--হ্যালো কে বলছেন??(আমি)
--বাহহ এত তারাতারি ভুলে গেলেন।ও বুঝেছি আইসক্রিম খাওয়ানোর ভয়ে এখন চিনছেন না তাই না।(মুন)
--ও আপনি।(আমি)
--হুম আমি।এখন তারাতারি আমাদের বাসায় আসেন।(মুন)
--আচ্ছা আসতেছি।(আমি)
রেডি হয়ে মুন দের বাসায় গেলাম দরজার সমনে দারিয়ে কলিং বেল বাজালাম আন্টি দরজা খুলে দিলো--
--ও আকাশ তুমি আসো বাবা ভিতরে আসো।(আন্টি)
তারপর ভিতরে গিয়ে বসলাম।
--আন্টি মুন কথায়।(আমি)
--তুমি না কি আইসক্রিম খাওয়াতে চাইছো তাই তোমার সাথে যাবার জন্য রেডি হচ্ছে।(আন্টি)
--(আমি খাওয়াতে চাইছি না কচু জোর করে খাচ্ছে।মনে মনে বললা।)হুমম আন্টি খাওয়াতে চাইছি।(আমি)
--আচ্ছা বাবা তুমি বসো আমি মুন কে পাঠায় দিচ্ছি।(আন্টি)
আন্টি চলে গেলো মুনের রুমে। আমি বসে আছি একটু পর মুন বের হলো মুন কে দেখে তো আমি পুরাই হা হয়ে গেছি।নিল শারি পরছে দেখতে অসাধারণ লাগছে।আমি তো দু'বস্তা ক্রাশ খাইলাম।এক পলকে মুনের দিকে তাকিয়ে আছি।ঘোর কাটলো মুনের ডাকে--
--ও হ্যালো এমন করে কি দেখেন।(মুন)
--পরি..(আমি)
--কি???(মুন)
--কিছু না একদম ভালো লাগছে না একবারে পেত্নীর মত লাগছে।(আমি)
--হুম আমি যানি আমাকে কিসের মত লাগছে আপনাকে বলতে হবে না।(মুন)
--হুমম চলেন।(আমি)
তারপর আমি আর মুন বের হয়ে গেলাম।দু'জনায় পাশা পাশি হাটছি।কিছুক্ষন ঘুরলাম তারপর আইসক্রিমের দোকানে গেলাম।
--মামা আইসক্রিম দেন তো।(আমি)
--একটা দেন।(আমি)
--এখনে খাবেন না নিয়ে যাবেন।(দোকানদার)
--এখানেই খাবো মামা দেন।(মুন)
--এই নেন (দোকানদার)
কিছুক্ষন পর মামা আর একটা দেন।দোকানদার আবার দিয়ে গেলো কিছুক্ষন পর আবার বলল মামা আর একটা দেন দোকানদার আবার দিয়ে গেলো এই ভাবে ১০ টা আইসক্রিম খেয়ে শেষ করল।তারপর মুন বলল--
--হুম শেষ খাওয়া আমার।(মুন)
--আচ্ছা আপনি দারান আমি বিলটা দিয়ে আসি।।(আমি)
বিল দিতে যায়ে দোকানদার বলল--
--মামা মামীকে আপনার সাথে বেশ মানিয়েছে।(দোকানদার)
--ধন্যবাদ মামা।(আমি)
বিল দিয়ে আমি আর মুন যাচ্ছিলাম--
--একটা রিক্সা নেন।(মুন)
একটা রিক্সা নিয়ে দ'জনায় রিক্সায় উঠে বসলাম।রিক্সা চলছে তার গতিতে আমাদের কারো মুখে কথা নাই।একটু পর মুন বলল--
--দোকানদার কি বলল তখন??(মুন)
--কই কিছু না তো।(আমি)
--আমি কিন্তু সব শুনছি।(মুন)
--(এই রে কেস কেয়ে গেলাম)কি শুনছেন??(আমি)
--কিছু না বলে মুচকি হাসি দিলো আর আবার এক বস্তা ক্রাশ খেলাম।কিছুক্ষন পর মুনদের বাসার সামনে আসলাম।
--আচ্ছা আসি তহলে।(মুন)
--আর একটু থাকলে হয় না।(অস্পষ্ট ভাবে)
--কি??(মুন)
--কিছু না আসেন।(আমি)
--আচ্ছা বাই।আর শুনেন আমাকে আপনি করে বলার দরকার নাই তুমি করে বলবেন।(মুন)
--হুম বলবো যদি আপনিও বলেন।(আমি)
--আচ্ছা সাবধানে বাসায় যাও।(মুন)
--তুমি আগে যাও।তারপর আমি যাচ্ছি। (আমি)
তারপর মুন ওর বাসায় চলে গেলো আর আমি আমার বাসায় চলে আসলাম।এই ভাবে শুরু হয়েছিলো আমাদের বন্ধুত্তটা। ঝগড়া, মান ভবিমান সবই চলত আমাদের মাঝে তবে ঝগড়া টায় বেশি হয়।এই ভাবে চলতে কখন যে মুন কে ভালোবেসে ফেলেছি নিজেও জানিনা।ওকে কিছু বলতেও পারছি না।ভয় করে যদি আর কথা না বলে।আর না বলেও থাকতে পারছি না।কয়েক দিন থেকে ভালো মত খেতেও পারছি না।সব সময় অন্যমনষ্ক হয়ে থাকি।বিষয় টা বাবা ধরতে পারে --
--কি রে আকাশ কি হয়ছে তোর??(বাবা)
--কিছু না বাবা।(আমি)
--কিছু না হলে তুই এমন থাকিস না বাবা।কি হয়ছে খুলে বল আমাকে দেখি সমাধান করতে পারি কি না।(বাবা)
তারপর বাবা কে সব খুলে বললাম।বাবা বলল--
--আমার মনে হয় মুনও তোকে ভালোবেসে কিন্তু বলতে পারেন না।তুই মুন কে তোর মনের কথা বলে দে।(বাবা)
--না বাবা যদি ও ভালো না বাসে।পরে যদি আমার সাথে কথা না বলে।ওর সাথে কথা না বললে আমি মরেই যাব বাবা।(আমি)
--তুই কিছু চিন্তা করিস না দেখি কি করা যায়।(বাবা)
--হুম বাবা ওকে আমার চাই বাবা।তুমি কিছু একটা কর।(আমি)
--এক কাজ কর তুই আজ রাতেই কিছু দিনের জন্য তোর নানু বাড়ি থেকে ঘুরে আয়।ফোন বন্ধ করে রাখবি।ফেসবুক বন্ধ রাখবি।(বাবা)
--বাবা এই সব করে কি হবে।(আমি)
--উহুম এই সব করেই সব হবে।তুই জাস্ট দেখে যা।ভুলেও ফোন ফেসবুক অন করবি না।(বাবা)
--আচ্ছা বাবা।(আমি)
বাবার কথা মত রাতেই নানু বাড়ি চলে আসলাম।ফেসবুক ডিএক্টিভ করে ফোন বন্ধ করে রাখলাম। দু'দিন পার হয়ে গেলো মুনের সাথে কনো কথা হয়নি।ওর সাথে কথা বলার জন্য মন টা ছটফট করছে।এই দিকে বাবার কথাও ফেলতে পারছি না।ফোনও অন করতে পারছি না।নানুর ফোন দিয়ে বাবা কে ফোন দিলাম--
--হ্যালো বাবা।(আমি)
-হুম বল।(বাবা)
--বাবা আমি থাকতে পারছি না।একবার ফোন দিবো মুন কে।(আমি)
--এই না না ভুলেও ঐ কাজ করবি না।তোর কাজ হয়ে যাচ্ছে।আর কিছু দিন পর তুই চলে আসিস।আর ভুলেও ফোন অন করবি না।(বাবা)
--আচ্ছা বাবা ফোন অন করব না।(আমি)
বাবার সাথে কথা বলে বসে আছি আর মুনের কথা ভাবছি।সত্যিই ওর সাথে কথা না বলে থাকা যাচ্ছে না।খুব কষ্ট হচ্ছে।দেখতে দেখতে দশ দিন হয়ে গেলো এই দশ দিন যে আমার কি ভাবে কাটছে আমি কিছুই বলতে পারি না।তারপর নানু বাড়ি থেকে বাড়িতে চলে আসলাম।মুন কে দেখার জন্য মন টা বেকুল হয়ে আছে।যেতে চাইলাম কিন্তু বাবা যেতে দিলো না।একটু পর দেখি মুন নিজেই চলে আসছে--
--এই তাজমিনা তোর ভাই আসছে??(মুন)
--হুমম আসছে ওর রুমে আছে।(তাজমিনা)
মুন দৌড়ে আমার রুমে আসলো। আমি তখন শুয়ে আছি।মুন দরজা লাগিয়ে দিয়ে এসেই--
--ঠাসসসস ঠাসসসসস
ঐ কুত্তা এত দিন কই ছিলি???তোর ফোন বন্ধ কেন??ফেসবুক ডিএক্টিভ করছিস কেন??(মুন)
--আরে এত্য প্রশ্ন একবারে করলে উত্তর দিব কি ভাবে।আর কই যাই না যাই তোমার কি।(আমি)
--আমার কি মানে আমার অনেক কিছু।আমি তোমাকে ভালো.........(মুন)
--কি ভালোবাস??(আমি)
--হুম অনেক বাসি।(মুন)
--তাহলে বলনি কেনো। (আমি)
--আগে বাসতাম নাকি।তুমি চলে যাবার পর তোমাকে মিস করতে শুরু করলাম।তোমার সাথে কথা বলতে পারছিলাম না খুব কষ্ট হচ্ছিলো।মনে হচ্ছিলো কিছু একটা নেই আমার মাঝে।তারপর বুঝতে পারলাম তোমাকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি।এই দশটা দিন প্রতেকটা দিন তোমার বাড়িতে এসে তোমার খবর শুনে গেছি।তোমাকে ফোন দিছি অনেক বার কিন্তু বার বার ফোন দন্ধ পায়ছি।(মুন)
--আমি ও কষ্ট পাইছি।তোমাকে আমি অনেক আগে থেকেই ভালোবেসে ফেলেছি কিন্তু ভয়ে বলতে পারিনি যদি তুমি কথা বলা বন্ধ করে দাও।তুমি আমাকে ভালোবাস কি না তা জানার জন্যই এই সব করা।(আমি)
--তুমি খুব খারাপ। একবার তো বলতে পারতা।(মুন)
--এখন তো বলছি।
মুনের দু'টি হাত ধরে বললা বিয়ে করবে আমাকে।(আমি)
--হুম করব।
বলে আমাকে জরিয়ে ধরে কান্না করছে।
--এই পাগলী কান্না কর কেনো। (আমি)
--আর কখনো ছেরে যাবে না তো।(মুন)
--না রে পাগলী যাবনা কখনো।
বলে আমিও জরিয়ে ধরলাম।
বাবা কে সব অ বললাম।বাবা সব ব্যবস্থা করছে। কিছু দিন পর আমার চাকরির জয়েনিং লেটার আসল।আমি তো মহা খুশি বিয়ের আগে চাকরি টা পেয়ে গেলাম।এখন কেউ বলতে পারবে না আমি বেকার।সামনে মাসে আমার জয়েনিং। হাতে অনেক সময় আছে এর মধ্যেই বিয়েটা সেরে নিতে হবে কি বলেন আপনারা।
""""""""""""""" সমাপ্ত"""""""""""

0 মন্তব্যসমূহ
গল্প গুলো কেমন লাগলো, আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।