ধর্ষক থেকে বর। পর্ব -২১+২২


ধর্ষক থেকে বর
পর্ব -২১+২২

ওরা নিজেদের মতো করে কেনা কাটা করছে।আর আমি মেলার এক পাশে এসে ঘোরাঘুরি করছি।হঠাৎ করে আমরা চোখ পড়লো একটা সাদা রংয়ের ঝিনুকের নুপুরের উপর।নুপুরটাকে দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে।এই নুপুর দুটি
লামিয়ার পায়ে অনেক সুন্দর মানাবে।আমি দোকানিকে নুপুরটা
দেখিয়ে বললাম:
-- ভাইয়া ওই নুপুরটা দেখি তো।
-- কোনটা এটা?
-- হ্যা ওটাই।
-- এই নিন।
-- এইটার দাম কতো ভাইয়া।
-- জ্বি।এইটার দাম ৫০০ টাকা।
-- ওকে এইটা প্যাক করে দিন।
দোকানি নুপুরটা প্যাক করে দিল।আমি সেখান থেকে লামিয়াদের কাছে চলে আসলাম।সেখান এসে দেখি ওরা এখনো জিনিস পত্র কেনা কাটা করতেই ব্যাস্ত হয়ে আছে।মেয়ে মানুষ কেন যে এমন হয় বুঝি না।পুরো দোকান ধরে নিলেও ওদের ইচ্ছা শেষ হবে না।আমি গিয়ে লামিয়ার পিছনে দাড়ালাম।লামিয়ার পিছনে দাড়িয়ে বললাম:
-- তোমাদের হলো।(আমি)
-- আর একটু দুলাভাই।
-- আচ্ছা দেখ তো এই
শোপিসটা কেমন?
-- বাহ্ শোপিসটা বেশ সুন্দর
দেখতে তো।
-- এইটা নেই।
-- আচ্ছা নাও।
তারপর আরো কিছু কেনা কাটা করে মেলা থেকে একটু বাহিরে চলে আসলাম।বাহিরে বেরিয়ে এসে রাস্তার এক পাশ দিয়ে হাঁটছি আর চারিদিকের মন মুগ্ধকর সৌন্দয্য উপভোগ করছি।একটু সামনে এসে দেখলাম।রাস্তার পাশে একজন শীতের পিঠা বিক্রি করছে।আমি লামিয়াকে বললাম:
-- শীতের পিঠা খাবে?
-- এখানে পিঠা কই পাবে।
-- ওই যে সামনে তাকিয়ে দেখ।
-- সত্যি তো পিঠা বানিয়ে বিক্রি
করছে।(লামিয়া)
-- আমাদের গ্রামে শীতের সময় পিঠা
বানিয়ে বিক্রি করে।(নীলা)
-- দুলাভাই চলেন পিঠা খাবো।(মেঘলা)
-- হু চলো।
আমরা সকলে পিঠার দোকানের সামনে গিয়ে দাড়ালাম।এক প্লেট এক প্লেট করে মোট চার প্লেট পিঠার ওডার দিলাম।পিঠাটা মুখে দিতেই অজানা এক সুখে হারিয়ে গেলাম।পিঠাগুলো খেতে বেশ মজা লাগছে।গ্রাম বাংলার পিঠা
বলে কথা এর সাথে অন্য কোন খাবারের তুলনায় হয় না।মুখে দিতেই মনে হচ্ছে যেন অমৃত খাচ্ছি।লামিয়া একটা পিঠা আমার মুখের সামনে ধরে বললো নাও হা করো।আমি হা করতেই লামিয়া পিঠাটা আমার মুখের ভিতর দিল।আমি অপন মনে পিঠাটা খেয়ে যাচ্ছি।এদিকে লামিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলাম লামিয়া আমার দিকে রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আরে।আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না।লামিয়া চাচ্ছে আমি ওকে খাইয়ে দিই।আমি বললাম:
-- এবার তুমি হা করো।
-- হাহহহহহহহহহহহহহ
-- মুখটা খুলতেই আমি পিঠাটা লামিয়ার
মুখে দিলাম।পিঠাটা মুখে নিতেই লামিয়া
আমার হাতে কামড় বসিয়ে দিল।
-- আহহহহহহহহহহহহহহ।
-- কি হয়েছে দুলাভাই।
-- বিড়াল হাতে কামড় দিছে।
-- কি আমি বিড়াল?
-- তবে রে।
কথাটা বলেই লামিয়া আমাকে মারতে শুরু করলো।আমি লামিয়ার হাতটা টান দিয়ে ওকে আমার বুকে জড়িয়ে নিলাম।লামিয়া আমার থেকে ওকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তুু পারছে না।এদিকে সবার দৃষ্টি আমাদের দিকে।আর আমাদের দৃষ্টি একে অপরের দিকে।
-- এই কি ছাড়ো আমাকে।
-- না ছাড়বো না।
-- সবাই দেখছে তো।
-- দেখুন।আমি আমার বউকে
জরিয়ে ধরেছি তাতে কার কি?
-- হয়েছে আর বউয়ের অধিকার
দেখানো লাগবে না এবার চলো।
-- হু।
আমরা সেখান থেকে গাড়ির সামনে এসে দাড়ালাম।তারপর গাড়িটা স্টাট করে মেলা থেকে বাড়িতে চলে আসলাম।বিকালে রুমে বসে থেকে ভাল লাগছিল না।তাই একটু ছাদে চলে আসলাম।ছাদে এসে বসে আছি আর গ্রামের চারদিকের অপরূপ সৌন্দয্য দেখছি।আকাশটা আজ বেশ নীল হয়ে আছে।
উত্তর দিক থেকে শীতল হওয়া আসছে সব মিলিয়ে বেশ ভালো লাগছিল।এমন সময় কেউ একজন আমার দুচোখ হাত দিয়ে আকড়ে ধরলো।নিশিমেই চারিদিক অন্ধকার হয়ে গেল।হাতের স্পর্শটা খুব চেনা লাগছে।আমার মনে হচ্ছে এইটা লামিয়া ছাড়া অন্য কেউ না।
-- বলো তো আমি কে?
-- তুমি লামিয়া তাই না।
-- তুমি জানলে কিভাবে?
-- কাউকে মন থেকে ভালবাসলে
তার সব কিছুই খুব চেনা লাগে।
-- তাই বুঝি?
-- হু।
লামিয়া বসে আছে আর আমি ওর কোলে মাথা রেখে শুয়ে রয়েছি।লামিয়া আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর আমি তা চেয়ে চেয়ে দেখছি।এমন সময় অন্য কারো কথায় পিছনে ফিরে তাকালাম।পিছনে ফিরে
তাকিয়ে দেখি................................






#_________চলবে_________

#ধর্ষক_থেকে_বর
.
#____পর্ব__২২____

.
লামিয়া বসে আছে আর আমি ওর কোলে মাথা রেখে শুয়ে রয়েছি।লামিয়া আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর আমি তা চেয়ে চেয়ে দেখছি।এমন সময় অন্য কারো কথায় পিছনে ফিরে তাকালাম।পিছনে তাকিয়ে দেখি নীলা দাড়িয়ে আছে।আমি নীলাকে দেখে উঠে বসলাম।তখন নীলা বললো:
-- আপু এখানে বসে কি করছো।(নীলা)
-- তোমাদের গ্রামের চারপাশের
পরিবেশটা দেখছিলাম।
-- এভাবে কি সমস্ত গ্রাম দেখা যায়।
-- আপনাদেরকে বরং অন্য একদিন
সমস্থ গ্রাম ঘুরে দেখাবো কেমন।
-- আচ্ছা।
-- আর হ্যা।আপনাদেরকে নিচে ডাকছে।
-- তুমি যাও।আমরা আসতেছি।
নীলা ছাদ থেকে নিচে চলে গেল।দূরের ওই নীল আকাশটাও যেন লামিয়ার সৌন্দয্যর কাছে হার মানবে।জানি না কেন আমার লামিয়াকে এতো ভাল লাগে।সারাক্ষণ ওর মায়াবী নেশায় হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে।হয়তো একেই বলে ভালবাসা।আমি লামিয়াকে বললাম:
-- তোমার চোখ দুটা বন্ধ করো তো।
-- কেন?
-- আরে এতো প্রশ্ন করো কেন?
-- যা বললাম করো।
-- আচ্ছা।
লামিয়া ওর চোখ দুটা বন্ধ করলো।আমি পকেট থেকে লামিয়ার জন্য নিয়ে আসা ঝিনুকের নুপুর জোরা বের করে লামিয়ার সামনে ধরে বললাম:
-- এবার চোখটা খোল।
-- ওয়াও এতো সুন্দর নুপুর।
কার জন্য আমার জন্য বুঝি।
-- হ্যা... শুধু তোমার জন্য।
-- তোমার পা দূটা দাও তো।
-- কেন?
-- এই নুপুর জোরা আমি তোমার
পায়ে পড়িয়ে দেয়।
লামিয়া ওর পা দুটো আমার সামনে ধরলো।আমি আলতো করে নিজ হাতে নুপুরটা লামিয়াকে পড়িয়ে দিলাম।নুপুরটা যেন লামিয়ার সৌন্দয্যকে আরো দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিল।নীল শাড়ি, ঠৌঁঠে হালকা লিপস্টিক, পায়ে ঝিনিকের নুপুর সব মিলিয়ে বেশ লাগছে কিন্তুু।লামিয়াকে দেখে এখন ডাবল ক্রাশ খেলাম।
আরো কিছু সময় ছাদে কাটানোর পর নিচে চলে আসলাম।নিচে এসে দেখি অনেক জন একসাথে ড্রইং রুমে বসে আছে।দেখে মনে হচ্ছে হয়তো নীলাকে দেখতে এসেছে।আমরা সিঁড়ি বেয়ে নামতেই লামিয়ার চাচা ডাক দিল।
-- লামিয়া জামাইকে নিয়ে
এদিকে আয়।
-- জ্বি চাচ্চু।
-- এনারা সবাই নীলাকে দেখতে
এসেছে।
-- তুই নীলাকে একটু ভাল করে
সাজিয়ে নিয়ে আয় তো।
-- আচ্ছা চাচ্চু।
-- এটা হলো আমাদের বাড়ির
বড় জামাই।
-- জামাই তুমি দাড়িয়ে আছো
কেন?বসো।
আমি সকলের সাথে বসে আছি।এদিকে লামিয়া নীলাকে সাজিয়ে আনতে চলে গেল।বেশ কিছু সময় পর লামিয়া নীলাকে নিজ হাতে সাজিয়ে নিয়ে আসলো।লামিয়া নিজে সাজার পাশাপাশি অন্যকেও অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে দিতে পারে।দেখা দেখির পর্ব শেষ করে সামনে শুক্রবার বিয়ে ঠিক করা হলো।রাতে আমি বারান্দার গ্রিন ধরে দাড়িয়ে ওই দূর আকাশের চাঁদটার দিকে তাকিয়ে আছি।আর লামিয়াকে ধর্ষণ করার কথাগুলো ভাবছি।আমি যদি নেশা না করতাম তবে আজ লামিয়াকে ধর্ষিতা হয়ে বাচতে হতো না।বাচতে হতো না একজন ধর্ষকের স্ত্রী হয়ে।পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী কষ্টের হলো ধর্ষিতা হয়ে জীবণ ধারণ করা।আমার একটা বড় ভূলের জন্য আজ লামিয়াকে ধর্ষিতা হয়ে বাচতে হচ্ছে।এসব কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে দুচোখের কনা দিয়ে পানি চলে এসেছে বুঝতেই পারিনি।এমন সময় কারো কথায় বাস্তবে ফিরলাম।দরজার সামনে তাকিয়ে দেখি লামিয়া দাড়িয়ে আছে।
-- এখানে দাড়িয়ে কি করছো।(লামিয়া)
-- তেমন কিছু না।দূর আকাশের
ওই চাঁদটাকে দেখছিলাম।
-- তোমার চোখে পানি কেন?
-- একদিকে অনেক সময় তাকিয়ে ছিলাম
তো।তাই হয়তো চোখের কনায় পানি চলে
এসেছে।
-- আচ্ছা তোমার রাতের তারা দেখতে
কেমন লাগে?
-- অনেক ভালো।
-- আজকে সারারাত আমরা বারান্দায়
বসে তারা দেখতে দেখতে কাটাবো।
-- তুমি দেখো আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।
আমি ঘুমাবো।
-- ঠিক আছে যাও তোমাকে থাকতে
হবে না।
-- আমি তোমার কে যে তুমি আমার
 কথা শুনবে।
কথাটা বলেই লামিয়া রাগি লুক নিয়ে অন্য দিকে ঘুরে রইলো।ওর দূ চোখ দেখে মনে হচ্ছে আর কিছু সময় পর দূচোখ দিয়ে অশ্রু ঝরতে শুরু করবে।
আমি একটু সামনের দিকে এগিয়ে ডান হাত দিয়ে লামিয়াকে আমার বুকের উপর রেখে বললাম:
-- রাগ করছো।
-- না।আমি কি কারো সাথে
রাগ করতে পারি।
-- আমি তো তোমার সাথে মজা
করলাম।
-- আজ সারা রাত আমরা এখানেই
কাটাবো।
-- সত্যি।
-- হুম।
-- আচ্ছা আমি যদি মরে যায় তবে
তুমি কি করবে।
-- লামিয়া চুপ।এই সব কথা ভূলেও
মুখে আনবে না।
লামিয়া আমার বুকে মাথা রেখে আমাকে জরিয়ে ধরে বসে আছে।আমি জানি যদি আমি এখন লামিয়ার সাথে থাকতে রাজি না হতাম তবে লামিয়া সারাটা রাত কান্না করতো।লামিয়াকে বড্ড ভালবেসে ফেলেছি।ভালই লাগে ওর ওই দৃষ্টু মিষ্টি খুন শুটিগুলো।ধীরে ধীরে ওর মায়ায় নিজেকে সম্পর্ণ জরিয়ে ফেলেছি।সারাটা জীবণ ওর মায়ায় নিজেকে জরিয়ে রাখতে চাই।কথাগুলো বলতে বলতে কখন যে লামিয়া ঘুমিয়ে পড়েছে বুঝতেই পারি নি।আমি লামিয়াকে কোলে তুলে নিয়ে এসে খাটে শুয়ে দিলাম।লামিয়াকে শুয়ে রেখে ওর পাশে আমিও শুয়ে পড়লাম।সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি লামিয়া রুমে নেই।কিছু সময় পর লামিয়া শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে আসলো।লামিয়াকে দেখে আর লোভ সামলে রাখতে পারলাম না।লামিয়া আমার কাছে আসতেই ওকে টান দিয়ে আমার বুকের উপর ফেলে দিলাম।
-- কি করছো ছাড়ো।
-- আমি এই মাত্র শাওয়ার নিয়ে
আসলাম।
-- এখন কিছু করো না প্লিজ।
আমি লামিয়ার কোন কথায় শুনছি না।শুধু আমার ঠোঁঠ দূটাকে লামিয়ার ঠোঁঠের সামনে নিয়ে যাচ্ছি।আমার ঠোঁঠ লামিয়ার ঠোঁঠের সামনে নিতেই ওর নিশ্বাস দ্বিগুন বেড়ে গেল।লামিয়া আমাকে ধাক্কা দিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেল।ইসসস আর একটু হলেই লামিয়ার ঠোঁঠের স্বাদ নিতে পারতাম।একটু সময়ের জন্য সুযোগটা মিস হয়ে গেল।বিকালে আমি লামিয়াকে নিয়ে গ্রামের আকা বাকা পথ ধরে হাটছি আর গ্রামের অপরূপ সৌন্ধয্য উপভোগ করছি।দেখতে দেখতে অনেকটা পথ একসাথে চললাম।আরো কিছু পথ
চলার পর লামিয়া বললো:
-- আমাকে একটু কোলে তুলে নাও।
-- লোকে কি ভাববে।
-- কেউ কিছুই ভাববে না।
নাও না প্লিজ।
-- আমি পারবো না।
-- যাও নিতে হবে না।
কথাটা বলেই লামিয়া দূত হাটতে শুরু করলো।লামিয়া সামনে আর আমি ওর পিছনে হাঁটতেছি। কিছু পথ চলার পর লামিয়া নিমিশেই মাথা ঘুরে মাটিতে পরে গেল।আমি লামিয়ার এমন অবস্থা দেখে থমকে দাড়ালাম।
.
.
.
.
.
.
.
 #_______চলবে_______

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ