ধর্ষক থেকে বর
পর্ব- ১৯+২০
লামিয়ার মতো এমন মায়াবী একটা বউকে রেখে অন্য মেয়ের দিকে তাকানো কি আমার ঠিক হচ্ছে।মেয়েটা আমাকে অনেক ভালবাসে।আমার কতো কেয়ার করে।আজ পর্যন্ত কোনদিন আমাকে না খাইয়ে ও একটা দানাও মুখে তোলে নি।।ওর মতো একটা লক্ষী মেয়েকে রেখে অন্য মেয়ের সাথে সময় কাটানো আমার একদম ই ঠিক হয় না।আমি আর বৃষ্টির কথা ভাববো না।ওর সাথে কোন যোগাযোগও রাখবো না।এসব কথা ভাবতে ভাবতে ডাইনিং রুমে চলে আসলাম। ডাইনিং রুমে এসে লামিয়া আমার পাশের চেয়ারটাতে বসলো।মেঘলা আমাদের জন্য প্লেটে খাবার বেড়ে দিল।খাবার খাওয়ার এক পর্যায়ে হঠাৎ করেই আমি বিশম খেলাম।লামিয়া গ্লাসে পানি নিয়ে আমার মুখের সামনে ধরলো।আমি একবার গ্লাসের দিকে তাকিয়ে আবার লামিয়ার মুখের দিকে তাকালাম।লামিয়ার ওই মায়াবী মুখটার দিকে তাকাতেই আমি স্বাবাভিক হয়ে গেলাম।সত্যি অন্য রকম একটা মায়া আছে লামিয়ার মুখে।রাতে বাসার ছাদে বসে আছি আর দূরের ওই মেঘাছন্ন আকাশটার দিকে তাকিয়ে আছি।দক্ষিণ দিকের ঠান্ডা হাওয়া মেঘাছন্ন অকাশ একটু পর পর বিদুৎ চমকে চারদিকে আলো ছড়ানো সব মিলিয়ে ভালোই লাগছিল।এমন সময় কারো কথায় পিছনে ফিরে তাকালাম।পিছনে তাকিয়ে দেখি লামিয়া দাড়িয়ে আছে।হাতে লাল চুরি পায়ে আলতা ঠোঁঠে লিপস্টিক সব মিলিয়ে বেশ সুন্দর লাগছে লামিয়াকে।
.
-- এখানে এভাবে দাড়িয়ে আছো
কেন?(লামিয়া)
-- রুমে বসে ভাল লাগছিল না।
তাই একটু ছাদে আসলাম।
-- ছাদে দাড়িয়ে কি করছো?
-- এই মেঘাছন্ন আকাশটাকে
দেখছিলাম।
-- রুমে চলো আর একটু পর
বৃষ্টি নেমে পড়বে।
.
কথাটা বলার সাথে সাথে জোরে একটা বিদুৎ চমকালো।লামিয়া ভয় পেয়ে আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।মেয়েদের হার্ড দূরবল তাই এমনটা হয়ে থাকে।কোন উচ্চ শব্দ পেলেই মেয়েরা চমকে উঠে লামিয়ার বেলাও তার ব্যাতিক্রম হয়নি।দেখেতে দেখতে আকাশের বুক থেকে হালকা হালকা বৃষ্টি নামতে শুরু করলো।এদিকে লামিয়া এখনো আমাকে জরিয়ে ধরে আছে।
.
-- লামিয়া চলো রুমে যাই।আর একটু পর
মুসুল ধারে বৃষ্টি নামতে শুরু করবে।
-- আমি তোমার সাথে বৃষ্টিতে ভিজবো।
চলো না দুজন বৃষ্টিতে ভিজি।
-- পাগলামী করো না।বৃষ্টিতে ভিজলে
তোমার জ্বর আসবে।
-- আসুক তাতে কি?আমি বৃষ্টিতে
ভিজবো ব্যাস।
-- ঠিক আছে তুমি ভেজো।
আমি চললাম।
.
কথাটা বলেই আমি ছাদ থেকে নিচে নেমে আসলাম।লামিয়াও আমার পিছন পিছন নিচে চলে আসলো।আমি জানতাম আমি না ভিজলে লামিয়াও ভিজবে না।আর তাছাড়া এখন ভিজলে জ্বর তো নিশ্চিতভাবে আসবে।রুমে এসে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম।কিছু সময় পর লামিয়াও এসে আমার পাশে শুয়ে পড়লো।আকাশের বুক চিরে মুসুল ধারে বৃষ্টি নামতে শুরু করলো। বাহিরের বৃষ্টির ঠান্ডা হাওয়ায় দু চোখে ঘুম চলে আসছে।হঠাৎ করে আবার বিদুৎ চমকালো লামিয়া ওর বুকের সাথে আমার বুক লাগিয়ে আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লো।সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি লামিয়া আমার বুকের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে।আমি লামিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি আর ওর দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।লামিয়াকে যত দেখছি ততই ওর মায়ায় জরিয়ে যাচ্ছি।কেন জানি না লামিয়ার প্রতি আমার ভাল লাগা কাজ করতে শুরু করেছে।ওর মতো একজন নিষ্পাপ মেয়েকে আমি নর পশুর মতো একসময় ধর্ষন করেছিলাম।এইটা ভাবতে নিজের উপর নিজেরই রাগ হচ্ছে।এমন সময় কারো কথায় ঘোর কাটলো আমার।এদিকে লামিয়াও ঘুম থেকে উঠে পড়লো।
.
-- দুলাভাই আসতে পারি?(মেঘলা)
-- আরে মেঘলা আসো।
-- আপনাদের জন্য চা নিয়ে এসেছি।
-- টেবিলে রেখে যাও।
-- আচ্ছা।
-- দুলাভাই একটা কথা বলি?
-- বলো।
-- আপনাদের রোমান্সটা দরজা আটকে
করলে ভালো হয় না।
-- তুই গেলি এখান থেকে।(লামিয়া)
.
কথাটা বলতেই মেঘলা চায়ের কাপ টেবিলে রেখে মিষ্টি মিষ্টি হাসতে হাসতে দৌড়ে চলে গেল।এদিকে লামিয়া লজ্জায় বিছানার পাশ থেকে ওড়নাটা নিয়ে শরীরের উপর দিয়ে ওয়াস রুমে চলে গেল।সেই কখন থেকে ডাইরিং রুমে সকলে বসে আছি।লামিয়ার বাবা মানে আমার শশুর মসাইয়ের জন্য।এদিকে আমার ক্ষুধায় পেট জ্বলে যাচ্ছে এখন পর্যন্ত তার আসার কোন নাম গন্ধই নেই।ওই তো ওনি চলে এসেছে।লামিয়ার বাবা এসে আমার সামনের চেয়ারটাতে বসলো।
.
-- কিরে জামাইকে এখন পর্যন্ত খাবার
দিস নি কেন?(লামিয়ার বাবা)
-- আব্বু দুলাভাই বলছিল আপনার
সাথে খাবে।(মেঘলা)
-- তাই বলে এতো সময় বসিয়ে রাখবি।
-- না বাবা ঠিক আছে।(আমি)
-- জামাইকে খেতে দে।
-- দিচ্ছি আব্বু।
.
মেঘলা সকলের জন্য খাবার বেড়ে দিল।যে যার মতো করে খাবার খেতে শুরু করলো।খাওয়া দাওয়ার এক পর্যায়ে আমার শশুড় বাবা বললো:
.
-- মেঘলা শোন।(লামিয়ার বাবা)
-- জ্বি আব্বু বলো?(মেঘলা)
-- বিকালে লামিয়া এবং জামাইকে
নিয়ে আমাদের গ্রামের বাড়িতে
বেড়াতে যাবি।
-- কেন আব্বু?
-- এই সময় সেখানে বসন্তের মেলা বসে।
লামিয়া এবং জামাইকে বসন্তের মেলাটা
ঘুরিয়ে দেখাবি।
-- ওয়াও।আব্বুু তাহলে তো ভালই হয়।এই
সুযোগে দাদি ফুপি এবং চাচা চাচীর সাথে
কয়েকটা দিন কাটানোও যাবে।(লামিয়া)
-- কিন্তুু আব্বু সে তো অনেক দূর।(মেঘলা)
-- তাতে কি হয়েছে।গাড়ি আছে
গাড়ি নিয়ে যাবি।
-- জামাই এই নাও গাড়ির চাবি।
-- এইটা আমাকে দিচ্ছেন কেন বাবা?
-- গাড়িটা তুমি ড্রাইভ করে নিয়ে
যাবে।
.
বসন্ত মেলা।বসন্তের শুরুতেই এই মেলাটা হয়ে থাকে।এখানে নানা রংয়ের নানা পেশার মানুষ বেড়াতে আসে।বসন্ত মেলায় বিভিন্ন রকমের ফুল শীতের পিঠা সহ আরো অনেক কিছু পাওয়া যায়।সাধারণত বসন্তের সৌন্দয্যকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এই মেলা উৎযাপিত হয়।সেই কখন থেকে গাড়ির ভিতর বসে আছি এখন পর্যন্ত ওদের আসার কোন চিহ্ন মাত্র দেখছি না।মেয়ে মানুষ এই রকমই একবার সাজতে বসলে আর উঠতেই চায় না।জানি না আর কতো সময় এভাবে বসে থাকতে হবে।বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করার পর লামিয়া এবং মেঘলা চলে আসলো।দুজনকেই দেখতে যা লাগছে না।দেখে মনে হচ্ছে যেন দুটো ডানা কাটা পরী আকাশ থেকে মাটিতে নেমে এসেছে।ওদেরকে দেখে প্রসংসা না করে পারলাম না।গাড়ির কাছে এসে মেঘলা বললো:
.
-- এই যে দুলাভাই এমন করে
কি দেখছেন?(মেঘলা)
-- তোমাকে।
-- আমাকে আবার দেখার
কি হলো।
-- শাড়িতে তোমাকে বেশ
লাগছে কিন্তুু।
-- তাই নাকি দুলাভাই।
-- হু।তাই তো দেখছি।
-- আমার দিকে চোখটা না দিয়ে
আপনার বউয়ের দিকে দেন।
-- তুমি তো আমার 2nd বউ।
-- কি বলছেন?
-- হু তাই তো।বউয়ের ছোট বোন মানে
শালিকা তো বউয়ের মতোই তাই না।
-- হয়েছে আর মজা করতে হবে না।এবার
চলো।(পাশ থেকে লামিয়া বলে উঠলো)
-- হু চলো।
.
তারপর গাড়িটা স্টাট করলাম।গাড়ি তার নিজ গতিতে চলছে।নানা রংয়ের মানুষের নানা জায়গার ছুটে চলার পথ একটাই।এখানে বিভিন্নি গাড়ি বিভিন্ন গতিতে ছুটে চলেছে।প্রায় ৩ ঘন্টা অপেক্ষার পর হাইওয়ে পেরিয়ে গ্রামের লোকাল রাস্তায় ঢুকলাম।গ্রামের রাস্তায় পথ চলার মজাটাই অন্য রকম।চারিদিকে মনোমুগ্ধ কর প্রাকৃতির সৌন্দর্য।কৃষক ফসলি জমিতে ফসল ফলাচ্ছে।গাছে গাছে বসম্তের ফুল ফুঁটে রয়েছে।পাখিরা কিচির মিচির করে ডাকছে।সব মিলিয়ে ভালই লাগছিল।হঠাৎ করে একটা...................
।
।
।
।
।
।
#______চলবে_______
#ধর্ষক_থেকে_বর
.
#____পর্ব__২০____
.
.
গ্রামের রাস্তায় পথ চলার মজাটাই অন্য রকম।চারিদিকে মনোমুগ্ধ কর প্রাকৃতির সৌন্দর্য।কৃষক ফসলি জমিতে ফসল ফলাচ্ছে।গাছে গাছে বসম্তের ফুল ফুঁটে রয়েছে।পাখিরা কিচির মিচির করে ডাকছে।সব মিলিয়ে ভালই লাগছিল।হঠাৎ করে একটা পিচ্চি মেয়ে হাতে ফুলের ঝুড়ি নিয়ে রাস্তার এক পাশে দাড়িয়ে গাড়িটা থামানোর জন্য হাত দিয়ে ইসারা দিল।মেয়েটার পড়নে একটা লাল জামা।জামাটার বিভিন্ন জায়গায় সেলায় করা এবং অনেক ময়লা জমানো।আমি গাড়িটা দাড় করালাম।গাড়িটা দাঁড় করিয়ে গ্লাসটা খুলে দিতেই মেয়েটা বললো:
-- ভাইয়া আপুদের জন্য ২টা ফুল নেন না।
-- আমাদের তো এখন ফুল লাগবে না।
-- নেন না ভাইয়া।আজ একটা ফুলও বিক্রি হয়
নি।ঘরে আমার অসুস্থ মা রয়েছে।ফুলগুলো
বিক্রি করে মার জন্য কিছু খাবার নিয়ে
যেতে হবে।
-- তুমি খেয়েছো?
-- না ভাইয়া।আমি খেলে মার জন্য ওষুধ
নিয়ে যেতে পারবো না।
-- বাড়িতে তোমার কে কে আছে।
-- একমাত্র মা ছাড়া আমার আর কেউ
নেই।
-- তোমার বাবা নেই?
-- না।আমার জন্মের ২ বছর পরই বাবা মারা গেছে।
-- মেয়েটার কথাগুলো শুনে অজান্তেই চোখের
কনা দিয়ে অশ্রু চলে আসলো।
-- আমি মানি ব্যাগ থেকে ১০০০ টাকার ২টা নোট
বের করে মেয়েটার হাতে দিলাম।
-- ভাইয়া এতো টাকা দিচ্ছেন কেন?আমার ফুলের
দাম তো মাত্র ৫০ টাকা।
-- এই টাকাগুলো দিয়ে তুমি রেস্তুরেন্সে গিয়ে কিছু
খেয়ে তোমার মার জন্য খাবার এবং ঔষুধ নিয়ে যাবে।
-- না ভাইয়া এই টাকাগুলো আমি নিতে পারবো না।
-- কেন?
-- আমার মা বলেছে।কারো কাছ থেকে যেন বিনা
কাজে কোন টাকা না নেয়।
-- বড় ভাইয়ের থেকে টাকা নিতে কোন কাজ
করার প্রয়োজন হয় না।
বলেই পিচ্চিটার হাতে টাকাগুলো দিয়ে চলে আসলাম।আমাদের গাড়িটা যতদূর পর্যন্ত দেখে যাচ্ছিল।পিচ্চিটা তত দূর পর্যন্ত আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল।আজকাল কার দিনে কই জনই বা ওদের মতো অসহায় মানুষদের কথা ভাবে।সবাই শুধু তাদের তুচ্ছ তালিন্য করে।কেউ তাদের দিকে
করুনার দৃষ্টিতেও তাকায় না।সবাই তাদেরকে ঋৃণার দৃষ্টিতে দেখে।আরো কিছু পথ চলার পর গাড়িটা লামিয়াদের গ্রামের বাড়িতে ঢুকালাম।বাহ বাড়িটা বেশ
সুন্দর দেখতে তো।বাড়ির চারদিক ঘিরে নারিকেল এবং সুপারি গাছ।গেটের সামনে বিভিন্ন রকমের ফুলের গাছ।বাড়ির পাশে বিশাল বড় একটা পুকুর।
বাড়িটাকে দেখে মনে হচ্ছে।প্রকৃতি যেন তার সব সন্ধর্য এখানে উজার করে দিয়েছে।
-- আরে লামিয়া তোরা কখন আসলি।(চাচী)
-- এইতো মাত্র আসলাম।(লামিয়া)
-- আসতে কোন অসুবিধা হয়নি তো।
-- না চাচি আম্মা।(মেঘলা)
-- মা দেখেন কারা এসেছে।
-- কি হয়েছে বউমা এতো ডাকাডাকি
করছো কেন?(দাদী)
-- ওমাগো একি দেখছি।এতোদিন পর
তোদের দাদির কথা মনে পড়লো।
-- না দাদি।তোমার কথা তো আমাদের
সব সময়ই মনে পড়ে।
-- আমি গাড়িটা রেখে এসে লামিয়ার
পাশে দাড়ালাম।
-- আসসালামু আলাইকুম।
-- ওয়ালাইকুম আসসালাম।
-- আরে নাতনি জামাই যে।
কেমন আছো ভাই।
-- আমি ভালো আছি।আপনি
ভাল আছেন তো।
-- আমার আর ভাল থাকা এই অসুস্থ
শরীর নিয়ে ভালভাবে হাঁটা মেলাও
করতে পারি না।
-- লামিয়া জামাইকে নিয়ে আসবি
একটা বার ফোন করে বলবি না।
-- তোমাদের জামাইকে গ্রামের বসন্ত
মেলা দেখাতে নিয়ে আসলাম।
-- ভালো করেছিস।এখন তোরা
রুমে যা।
তারপর আমরা সকলে রুমে চলে আসলাম।অনেকটা পথ জার্নি করে এসেছি।
শরীরটা অনেক খারাপ লাগছে।তাই একটু বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বিছানায় শুয়ে পড়লাম।শুয়ে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতেই পারি নি।রাতে
লামিয়া এসে ঘুম থেকে উঠিয়ে খাবার খাওয়ার জন্য ডাইনিং রুমে নিয়ে গেল।
খাওয়া দাওয়া করে রুমে চলে আসলাম।রুমে এসে কিছু সময় বসে থাকার
পর লামিয়া রুমে চলে আসলো।রুমে এসে দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে বিছানার সামনে আসতেই একটা চিৎকার দিয়ে আমাকে জরিয়ে ধরলো।
.
.
.
নীল ক্যাফের ডাইরি
.
.
পেজটা আমার পাঠক/পাঠিকাদের বিনোদনের জন্য।
এখানে প্রতিনিয়ত সেরা গল্পগুলো পোষ্ট করা হয়।
পেজ থেকে ঘুরে আসার আমন্ত্রণ রইলো।
.
.
.
-- কি হয়েছে লামিয়া।এমন
করছো কেন?
-- লামিয়া কিছু বলছে না।শুধু
আমাকে শক্ত করে জরিয়ে
ধরে আছে।
-- কি হলো বলো কি হয়েছে।
-- ওইদিকে দেখো।
-- কি দেখবো।
-- আরে দেখোই না।
-- আমি রুমের দেওয়ালের দিকে তাকালাম।
-- হিহিহিহিহিহিহিহিহিহিহি।
-- হাসছো কেন?
-- আরে ওইটা তো একটা আরশোলা।
-- তুমি জানো না।আমি আরশেলা দেখে
অনেক ভয় পায়।
-- আচ্ছা দাড়াও আমি আরশোলাটাকে
তাড়িয়ে দিচ্ছি।
আমি লামিয়াকে আমার বুকে জরিয়ে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।আমাদেরকে দেখে মনে হচ্ছে যেন।দুটি মনের একটি দেহ।সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস
হয়ে হালকা কিছু নাস্তা করে নিলাম।নাস্তা করার পর বাড়ির পাশের পুকুরটাতে বসে আছি।আর বিভিন্ন প্রজাতির মাছের দল বেধে চলা দেখছি।বেশ কিছু সময় পর মেঘলা সেখানে আসলো।মেঘলা এসে বললো:
-- দুলাভাই চলেন।(মেঘলা)
-- কোথায়?
-- আর একটু পর আমরা মেলাতে
ঘুরতে যাবো।
-- আপনি রেডি হয়ে নিন।
-- আচ্ছো চলো।
আমরা রুমে চলে আসলাম।রুমে আসতেই আমি তাসকি খেয়ে গেলাম।দেখি লামিয়া একটা হদুল রংয়ের শাড়ি পরে মাত্র ওয়াস রুম থেকে বের হলো।লামিয়াকে দেখে মনে হচ্ছে যেন বসন্ত তার সব সৌন্ধয্য ওর মাঝে ওজার করে দিয়েছে।লামিয়ার পড়নে হদুল রংয়ের শাড়ি হাতে লাল রংয়ের চুড়ি পায়ে আলতা ঠোঁঠে লিপস্টিক সব মিলিয়ে বেশ সুন্দর লাগছে।আমিও আর দেরী না করে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিলাম।মেলায় যাওয়ার সময় লামিয়ার ওর চাচাতো বোন নীলাকে সাথে করে নিয়ে গেল।কারণ এই গ্রামের সব কিছু নীলার চেনা ওকে সাথে করে নিয়ে গেলে উপকার ছেড়ে অপকার হবে না।লামিয়া মেঘলা নীলা গাড়িতে বসে আছে।আর আমি গাড়িটা ডাইভ করে নিয়ে যাচ্ছি।কিছু পথ চলার পর আমরা মেলায় চলে আসলাম।গাড়িটা একটু সাইডে রেখে এসে সবাইকে নিয়ে মেলার ভিতর ঢুকলাম।মেলায় ঢুকে ওরা নিজেদের মতো করে কেনা কাটা করছে।আর আমি মেলার এক পাশে এসে ঘোরাঘুরি করছি।হঠাৎ করে........................
।
।
।
।
।
।
।
#_______চলবে________
0 মন্তব্যসমূহ
গল্প গুলো কেমন লাগলো, আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।