শিরক সম্পর্কে জানলেন না ? তো !!! (একবার পরে দেখুন)
_______আল্লাহ ব্যাতিত অন্য কারো নামে কসম করা শিরক.........[আবু দাউদ:৩২৩৬(ইফা)]
________কোন কিছুকে শুভ-অশুভ লক্ষন বা কুলক্ষণ মনে করা শিরক.....[বুখারি :৫৩৪৬, আবু দাউদ:৩৯১০]
_______মাজারে ও কোন পির-ফকির কিংবা কারো নিকট সিজদা দেয়া শিরক.....[সুর জীন: ২০, মুসলিম:১০৭৭,আবু দাউদ, মুত্তাফাকুন আলাই]
_____আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো বা যেকোন পির-আওলিয়া কিংবা মাজারের নামে নামে মানত করা শিরক। তবে মানত না করাই উত্তম..…....
[সহিহ বুখারি: অধ্যায় : তাকদির]
_____কেউ পেছন দিক থেকে ডাক দিলে কিংবা নিজে যাত্রার সময় পিছন ফিরে তাকালে যাত্রা অশুভ হয় এই ধারনা বিশ্বাস করা শিরক........(বুখারি, আবু দাউদ:৩৯১০)
_______আল্লাহর গুনবাচক নামে অন্য কাউকে ডাকা শিরক (যেমন: কুদ্দুস,রাহমান, রহীম, জাব্বার, সালাম, মুমিন ইত্যাদি) এক্ষেত্রে নামের
আগে "আব্দুল্লাহ" "আব্দ" বসাতে হবে।.........
[সুরা আরাফ:১৮০, ইসরা:১১০, হাশর]
_______আল্লাহ তাআলার গুনবাচক নাম ব্যাতিত অন্য কোন নামে তাকে ডাকা শিরক।.......
[সুরা আরাফ:১৮০, ইসরা:১১০, হাশর]
_____কোন বিপদে পড়ে আল্লাহকে বাদ দিয়ে "ও মা, ও বাবা" ইত্যাদি বলে এইরকম গায়েবি ডাকা শিরক।
বিপদে পড়লে "ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন" বলতে হয় ........(সুরা বাকারাহঃ ১৫৬)
_______'তোর ভবিষ্যত অন্ধকার', 'তোর কপালে বহুত কষ্ট আছে',এই ধরনের গায়েবি কথা কাউকে বলা শিরক........[সুরা নমল:৬৫, আল জিন:২৫-২৬, আনাম:৫৯]
_____হোচট খেলে কিংবা পেচা ডাকলে সামনে বিপদ আছে এই ধারণা শিরক...... (সুরা আনাম:১৭, ইউনুস:১০৭)
_______:রোগ ব্যাধি বা বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পেতে শরিরে
পিতলের বালা, শামুক, ঝিনুকের মালা, সুতা, কিংবা যেকোন প্রকারের বস্তু লটকানো শিরক। এইসব বস্তুর কোনো ক্ষমতা নেই রোগ নিরাময় করার ।........
[তির্মিযি, আবু দাউদ ও হাকেম]
_______সকালে বেচাকেনা না করে কোন কাষ্টমারকে বাকি দিলে কিংবা সন্ধ্যার সময় কাউকে বাকি দিলে ব্যাবসায় অমংগল হয় এই ধারনা করা
শিরক.........(আবু দাউদঃ৩৯১০)
_______সফলতা কিংবা মংগল লাভের জন্য এবং অমংগল থেকে রক্ষা পেতে যেকোন প্রকার আংটি ব্যাবহার করা শিরক.......[সুরা আনাম:১৭, ইউনুস :১০৭]
______যে কোন জড় বস্তুকে সম্মান দেখানো তথা তাযীম করা বা তার সামনে নিরবতা পালন করা শিরক যেমন: পতাকা, স্মৃতিসৌধ, শহিদ মিনার কিংবা মাজার ইত্যাদি।........[সুরা বাকারাহ:২৩৮, আহকাফ:৫, ফাতহুল বারি ৭/৪৪৮, আবু দাউদ:৪০৩৩]
________আল্লাহর ছাড়া অন্য কারো সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কিংবা লোক দেখানো ইবাদাত করা শিরক........
[সুরা আন'আম:১৬২, বাইয়িনাহঃ ৫, কাহফ:১১০,ইমরান:৬৪, ইবনে মাজাহ হা
নং৫২০৪]
______আল্লাহ ব্যাতিত কোন গণক বা অন্য কেউ গায়েব জানে এই কথা বিশ্বাস করা শিরক.......
[সুরা নমল:৬৫, আল জিন:২৬, আনাম:৫৯]
______পায়রা/ কবুতর উড়িয়ে শান্তি কামনা করা শিরক,কারন শান্তিদাতা একমাত্র আল্লাহ.....
(সুরা হাশরঃ ২৩)
______ আল্লাহর ছাড়া কোন পির-আওলিয়া এবং কোন মাজারের নিকট দুয়া করা বা কোন কিছু চাওয়া শিরক........[সুরা ফাতিহা:৪, আশ শোআরা:২১৩, গাফির:৬০, তির্মিযি]
_______"আপনি চাইলে এবং আল্লাহ চাইলে এই কাজটি হবে" এই কথা বলা শিরক...... (নাসাঈ)
এইরকম আরো অসংখ্য শিরক সমাজে বিদ্যামান।
আল্লাহ বলেন,
অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে।(সুরা ইউসুফঃ ১০৬)
মনে রাখবেন,,
শিরক এমন একটি গুনাহ যা করলে ঈমান এবং পূর্বের সমস্ত আমল সম্পুর্ন নষ্ট হয়ে যায়। কিয়ামতের দিন আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতায়ালা যেকোন গুনাহ ইচ্ছা করলে ক্ষমা করে দিবেন কিন্তু শিরকের
গুনাহ কস্মিনকালে ও ক্ষমা করবেন না।
আল্লাহ তাআলা বলেন,,
নিসন্দেহে আল্লাহ ইচ্ছা করলে যেকোন গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন কিন্তু শিরকের গুনাহ কখনো ক্ষমা করবেন না (সুরা নিসা :৪৮,১১৬)
নিশ্চয়ই যে ব্যাক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জান্নাতকে হারাম করে দেন এবং জাহান্নামকে অবধারিত করে দেন (সুরা মায়িদাহ:৭২)
রাসুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,,
“আমার সামনে জিব্রাঈল আবির্ভূত হলেন। তিনি বললেন, আপনি আপনার উম্মতদের সুসংবাদ দিন, যে ব্যাক্তি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক না করা অবস্থায় মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ
করবে। আমি বললাম, যদিও সে যিনা করে এবং যদিও সে চুরি করে থাক? তিনি বললেন: যদিও সে যিনা করে এবং যদিও সে চুরি
করে থাকে। [সহিহ বুখারি :১২৩৭,মুসলিম:৯৪]
শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় ধ্বংসত্মাক বিষয়। শত পাপ করলে ও
কিয়ামতের দিন তা ক্ষমার সম্ভবনা আছে কিন্তু শিরকের পাপ ক্ষমার কোন সম্ভাবনাই নেই এবং তা নিসন্দেহে জাহান্নামে নিয়ে যাবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে শিরক/কুফরী/বিদায়াত থেকে হেফাজত করুন । আমীন.....
শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন

0 মন্তব্যসমূহ
গল্প গুলো কেমন লাগলো, আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।